খুলনায় মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষার দাবিতে মশারি নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন নাগরিক সমাজের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১ মার্চ) বেলা ১১টায় নগরীর প্রাণকেন্দ্র পিকচার প্যালেস মোড় থেকে মশারি নিয়ে মিছিলটি বের হয়। এসময় খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদারের সঞ্চালনায় এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগরীর মশা নিধনে খুলনা সিটি কর্পোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এখন শুধু রাতে নয়, দিনে-রাতে সবসময় মশার উপদ্রবে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসা-বানিজ্য, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া এবং অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সমাবেশে বক্তৃতা দেন, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, গণ সংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, নাগরিক নেতা মিনা আজিজুর রহমান, মিজানুর রহমান বাবু, জাসদ নেতা রেজাউল করিম, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মো. নাসির উদ্দিন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিপিবি নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, কবি ও সাংবাদিক আবু আসলাম বাবু, কবি ও গবেষক সৈয়দ আলী হাকিম, কবি নুরুন নাহার হীরা, কবি তৈফুন নাহার, সমাজ সেবক মীর কবির হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা টিইউসি নেতা এস এম চন্দন, কেএইচ ফাউন্ডেশনের খ ম শাহীন হোসেন, এ্যাড মেহেদী হাসান, সাংবাদিক সংগঠক মোসলেহ উদ্দীন তুহিন, চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শাহ নেওয়াজ, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়া বক্তারা খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে মশার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোড়ালো আহ্বান জানান এবং নগরবাসীকে রক্ষা করতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
সম্পর্কিত খবর
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যেই শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) পরীক্ষা শুরুই আগেই প্রবল বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। এতে বৃষ্টিতে ভিজেই অনেক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে যেতে দেখা গেছে। এদিকে টানা বৃষ্টিতে কিছু কেন্দ্রে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২২ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এসএসসি (সাধারণ) শাখায় ১৭ হাজার ৯৭৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ২ হাজার ৮০৮ জন এবং কারিগরি শাখায় ১ হাজার ৯৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জেলার মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৪০টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ঠাকুরগাঁও জেলার অধিকাংশ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পরেও বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। তবে কতটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আবার অনেকে কেন্দ্রের পরীক্ষা কক্ষে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিপাকে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি বলেন, ‘‘বাইরে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় কক্ষে বিদ্যুৎ ছিল না। ফলে আমাদের রুমে মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। আলো কম থাকায় প্রশ্ন পড়া ও উত্তর লেখা বেশ কষ্টকর ছিল।’’
আরেক পরীক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, ‘‘ভিজে কেন্দ্রে আসতে হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষারত এক অভিভাবক বলেন, ‘‘সকাল থেকেই বৃষ্টি। ছেলেমেয়েরা ভিজে কেন্দ্রে এসেছে। কর্তৃপক্ষ আগে থেকে ব্যবস্থা নিলে এই দুর্ভোগ হতো না।’’
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহীন আকতার বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজানো মামলায় ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দাতা রাঙ্গুনিয়ার নুরুল আবছারকে রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন থেকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
তিনি রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড এলাকার ফরিদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কের নেতৃত্বে এলাকাবাসী তাকে আটক করে।
কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক বলেন, স্থানীয় সোর্স থেকে খবর পেয়ে এলাকাবাসীদের নিয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে তাকে আটক করে রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নুরুল আবছার চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দন পুরা এলাকার মৃত কাজী মো. জাবেদের ছেলে। তিনি বলেন, 'আমি সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রাষ্ট্র পক্ষের ১০ নং স্বাক্ষী ছিলাম।'
রামু থানার ওসি ইমন চৌধুরী বলেন, 'রাঙ্গুনিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে মামলার খোঁজখবর নিচ্ছি, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চুরির অপবাদ দিয়ে ছোট ভাই আশরাফুল ইসলামকে মারপিট ও বড় ভাই ছুরমান খানকে (৪৩) মারপিটের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেশী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাকিমসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের চর থানাপাড়া এলাকা থেকে রিকশাচালক ছুরমান খানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ছুরমান খান কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার আব্দুল কালাম খানের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ মার্চ রাতে প্রতিবেশী হাকিমের বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে দাবি করে হাকিম তার দোকানের কর্মচারী আশরাফুল ইসলামকে চোর সন্দেহে মঙ্গলবার তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করেন।
নিহত ছুরমান খানের বড় ভাই জয়নাল খান বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম হাকিমের হালিমের দোকানে কাজ করত। ঈদের দিন রাতে হাকিম দাবি করে, তার বাড়িতে চুরি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘গত মঙ্গলবার সে বাড়ি থেকে আশরাফুলকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে। এরপর আমার আরেক ভাই ছুরমান খান বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, আশরাফুল ভালো মানুষ। তাকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দেন হাকিম ও তার লোকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় ছুরমানকে হত্যা করেছে হাকিম ও তার লোকজন। তাকে বিনা দোষে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ওসি মশাররফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
খুলনা জেলার রূপসা সেতু টোল প্লাজার পূর্বদিক থেকে বুধবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সাদ (২০)। তিনি নগরীর খালিশপুর থানাধীন ঝুড়িভিটা ফকির বাড়ির বাসিন্দা বাবলু ফকিরের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত ৯ নয়টার দিকে বৈকালী থেকে কে বা কারা তাকে ডেকে নিয়ে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন তারা।
বর্তমানে পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
