উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোহাম্মদ নূর (৩০) নামে এক হেড মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উখিয়ার ২০নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। নিহত নূর উখিয়া ২০নং ক্যাম্পের হেড মাঝির দায়িত্বে ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আরিফ হোসেন ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এপিবিএন কর্মকর্তারা।

থানার ওসি  জানান, তারাবির নামাজ শেষ করে নূর নামে এক হেড মাঝি মসজিদ থেকে বের হলে ৬-৭ জন সন্ত্রাসী কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শোলাকিয়ায় জনসমুদ্র, বিশ্বশান্তি ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
শোলাকিয়ায় জনসমুদ্র, বিশ্বশান্তি ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া
ছবি: কালের কণ্ঠ

লোকে লোকারণ্যধ মাঠ। মুসল্লিতে ঠাসা আশপাশের রাস্তা। বাসাবাড়ির ছাদেও ভিড়। ঈদগাহ মাঠ ছাড়িয়ে যতদূর চোখ যায়, ঠাঁই নেই অবস্থা।

এটি কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যাবাহী শোলাকিয়া ময়দানে অনুষ্ঠিত আজকের (সোমবার) ঈদ জামাতের চিত্র। এবার শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজের জামাতে সবমিলিয়ে পাঁচ লাখেরও বেশি মুসল্লি অংশ নেয় বলে জানিয়েছে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি। আর এ জামাতকে নিরাপদ রাখতে নেওয়া হয় পাঁচস্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যাবস্থা। এতে প্রথমবারের মতো যুক্ত থাকে সেনাসদস্যরাও।
 

আরো পড়ুন
আগামী বছর থেকে আরো বড় পরিসরে ঈদ উৎসব : আসিফ মাহমুদ

আগামী বছর থেকে আরো বড় পরিসরে ঈদ উৎসব : আসিফ মাহমুদ

 

জামাতের পর বিশ্বশান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত থেকে বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের আহ্বানও জানানো হয়।

এটি ঈদুল ফিতরের ১৯৮তম ঈদ জামাত। সকাল ১০টায় শুরু হয় জামাত।

ঈদের নামাজে ইমামতি করেন জেলা শহরের বড়বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় শোলাকিয়া ও আশাপাশের এলাকা। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হয় ঈদগাহ মাঠে। কঠোর নিরাপত্তার কারণে মাঠে প্রবেশ করতে মুসুল্লিদের খানিকটা দেরি হয়। তিনটি আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মেটাল ডিটেক্টরের তল্লাশির মাধ্যেমে মুসল্লিদের ঈদগাহে ঢুকতে দেওয়া হয়।

সকাল ৯টার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।

আরো পড়ুন
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

 

মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধা করে দিতে সকাল থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফলে ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়ায়। সকাল ছয়টার পর থেকে মুসল্লিদের ঢল নামে ঈদগাহ মাঠে। চারদিক থেকে আসা জনস্রোতের গন্তব্যো ছিল এই শোলাকিয়া মাঠ। 

জামাত শুরুর ঘণ্টাখানিক আগেই কানায় কানায় ভরে যায় ঈদগাহ। পাশের সড়ক, ফাঁকা জায়গা, নদীর পাড় ও আশপাশের বাসাবাড়ির ছাদে উঠে জামাতে শরিক হতে দেখা যায় অনেককে। এবারও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয় পুরো আয়োজন। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, প্রায় এক হাজার ২০০ পুলিশ, শতাধিক র‌্যাব সদস্য, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় কঠোর নিরাপত্তাবলয়। এবার প্রথমবারের মতো সেনাসদস্যারা নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়। তারা স্ট্রাইকিংফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। 

আরো পড়ুন
আমরা পৃথিবীর সব মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করব : সারজিস

আমরা পৃথিবীর সব মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করব : সারজিস

 

নজরদারিতে আকাশে ছিল শক্তিশালী ক্যামেরাযুক্ত পুলিশের ড্রোন ক্যামেরা। মাঠ ও শহরসহ প্রবেশ পথগুলো সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। মাঠে স্থাপিত ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরবীন নিয়ে নিরপত্তার দায়িত্ব পালন করে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। শোলাকিয়া মাঠ ও শহরের যত অলিগলি আছে, সবখানে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করেন। ঈদগাহ এলাকায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল টিম এবং অগ্নিনির্বাপণ দলও মোতায়েন ছিল। স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্বে ছিল স্কাউট সদস্যরা। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেছেন, উৎসবমুখর, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ঈদ জামাত আয়োজন করতেই নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এবার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মুসল্লি জামাতে অংশ নিয়েছে। 

গত ৩০ বছর ধরে শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজ আদায় করছেন গাজীপুরের আব্দুল খালেক (৬৫)। তিনি জামাতের একদিন আগে ভাতিজাকে নিয়ে কিশোরগঞ্জে চলে আসেন। গতবার নিজের ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন। এবার ভাতিজা নিয়ে এলেন। তিনি বলেন, ‘যতদিন বেঁচে আছি এভাবে সক্ষম সব আত্মীয়স্বজনকে শোলাকিয়ায় নিয়ে আসব। এখানে নামাজ আদায় করলে মনে শান্তি পাই। তাই বারবার আসি। শোলাকিয়ায় আসাটাই আমার ঈদ।’

আরো পড়ুন
পুতিনের ওপর ‘বিরক্ত’ ট্রাম্প, শুল্ক আরোপের হুমকি

পুতিনের ওপর ‘বিরক্ত’ ট্রাম্প, শুল্ক আরোপের হুমকি

 

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের সিদলা থেকে সাইকেল চালিয়ে এসেছেন আবু তালেবে (৫০)। এবারেরই প্রথম এলেন। এ মাঠের ঐতিহ্যল ও সুনামের কথা তিনি অনেকে শুনেছেন। আশা ছিল আসবেন, কিন্তু আসতে পারেননি। তিনি বলেন, গত বছরও আমার বাবা ঈদে নামাজ পড়তে এসেছিলেন। তিনি মারা গেছেন সম্প্রতি। তাই বাবার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে এসেছি। এত মানুষের সঙ্গে নামাজ আদায় করে ভালো লেগেছে। আগামীতে ছোটভাইকে নিয়ে আসব। 
ময়মনসিংহের নান্দাইলের মুসল্লির বাসিন্দা আরাফাত মিয়া (৩২) তিন বছর ধরে ঈদে শোলাকিয়ায় আসেন। তিনি বলেন, এবার নিয়ত করেছিলাম। হেঁটে শোলাকিয়ায় গিয়ে নামাজ আদায় করব। ফজরের নামাজ পড়েই রওয়া হয়েছি। জামাতের আগে পৌঁছে গেছি। 

তিনি আরো বলেন, বড় জামাতে নামাজে অংশ নিলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এ কারণে নিজে থেকে কষ্ট করে এসে ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছি।

দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী এবারও শোলাকিয়ার ঈদ জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে শটগানে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি ও এক মিনিটি আগে একটি গুলির আওয়াজ করা হয়। এটি নামাজ শুরু করার সংকেত বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। 

আরো পড়ুন
পুতিনের ওপর ‘বিরক্ত’ ট্রাম্প, শুল্ক আরোপের হুমকি

পুতিনের ওপর ‘বিরক্ত’ ট্রাম্প, শুল্ক আরোপের হুমকি

 

শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফোজিয়া খান বলেন, এবার পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লি শোলাকিয়ায় নামাজ আদায় করেছেন বলে আমাদের ধারণা। এবারের জামাতের ব্যবস্থাপনা ছিল খুবই ভালো। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে মুসল্লিদের।    

ঈদের দিন শোলাকিয়ায় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে দুটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। একটি ট্রেন ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে আসে এবং সকাল ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছায়। অন্যটি ময়মনসিংহ থেকে সকাল পৌনে ৬টায় ছেড়ে আসে এবং সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরগঞ্জ পৌঁছায়। নামাজ শেষে জামাতে আসা যাত্রীদের নিয়ে আবার গন্তব্যে ফিরে যায় ট্রেন দুটি।

আরো পড়ুন
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

 

কিশোরগঞ্জ শহর থেকে পূর্ব দিকে নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত শোলাকিয়া মাঠ। এর আয়তন ৭ একর। প্রায় ২০০ বছর ধরে এই মাঠে বিশাল ঈদের নামাজের জামাত হয়ে আসছে। 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, শোলাকিয়ার সাহেববাড়ির সুফি সৈয়দ আহম্মদ ১৮২৮ সালে তার নিজ জমিতে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ঈদের প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। পরে উচ্চারণ বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া এবং সেখান থেকে শোলাকিয়া শব্দটি প্রচলিত হয়েছে। 

মন্তব্য

ঈদের নামাজ শেষে যা বললেন সারজিস আলম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের নামাজ শেষে যা বললেন সারজিস আলম
ছবি: কালের কণ্ঠ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, রমজানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অর্জন করা আর সব নেতিবাচক কাজ থেকে দূরে থাকা। আল্লাহর প্রতি যেমন বান্দার হক রয়েছে তেমনি বান্দার প্রতি বান্দার হক রয়েছে। এই হক যেন আমরা আমাদের জায়গা থেকে আদায় করতে পারি।

আজ সোমবার (৩১ মার্চ) পঞ্চগড় কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে ঈদের নামাজ শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।

এ সময় মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন।

আরো পড়ুন

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

 

সারজিস আলম বলেন, ‘পৃথিবীতে অনেক মজলুম মুসলিম ভাই-বোনেরা আছেন যারা আমাদের মতো করে ঈদ করতে পারছেন না। ভারতে উগ্র সাম্প্রদায়িক কিছু হিন্দুত্ববাদি গোষ্ঠী রয়েছে তাদের কাছে আমাদের মুসলিম ভাইরা মজলুম। ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে মুসলিম ভাইয়েরা মজলুম হিসেবে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দেশে মায়ানমারের অনেক মুসলিম মজলুম ভাইয়েরা রয়েছেন। আমরা পৃথিবীর সব মুসলিম ভাইয়ের জন্য দোয়া করব। পৃথিবীর সব মানুষের জন্য দোয়া করব। যেন আমরা একসঙ্গে আমাদের মনের সংকীর্ণতা আমাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দেশের জন্য মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি।

এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে এমন কিছু করে যেতে পারি যেন ইহকাল পরকালে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।’

মন্তব্য

বিগত বছরগুলোতে আমরা ঈদ উদযাপন করতে পারিনি: এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
বিগত বছরগুলোতে আমরা ঈদ উদযাপন করতে পারিনি: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে, ১৬-১৭ বছর ধরে আমরা আনন্দের সহিত ঈদ উদযাপন করতে পারিনি। ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদেরকে এ আনন্দ উপভোগ করতে দেয়নি। আজকে এ দেশের মানুষের আন্তরিকতা সহযোগিতায় আমরা সবাই খুব শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর সোনামিয়া ঈদগাহ মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ্যানি বলেন, আমাদের মধ্যে আনন্দ আছে, খুশি আছে। এ আনন্দ এবং খুশি যেন আমরা সামনের দিনগুলোতে ধরে রাখতে পারি সবাই মিলেমিশে। সেখানে ঐক্যের প্রয়োজন আছে। সুদৃঢ় ঐক্যই আমাদের মধ্যে এ আনন্দ এবং খুশি ধরে রাখতে পারে।

আমার বিশ্বাস আমরা সবাই সুন্দরভাবে আছি, মিলেমিশে আছি, মিলেমিশে থাকবো। এটাই হোক আজকের এ আনন্দের দিনে আমাদের অঙ্গিকার। ঈদের খুশি আমরা উপভোগ করছি, ঈদের খুশি নিয়েই আমরা চলতে চাই ভবিষ্যতে। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়েজ আহম্মেদ, জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি বদরুল ইসলাম শ্যামল, সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহেল আদনান, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহবাজ চৌধুরী জিদান প্রমুখ।


 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
ছবি : কালের কণ্ঠ

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে খুলনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। খুলনায় ঈদের প্রধান জামাত আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ও খুলনা আলিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।

ঈদের জামাত শেষে মোনাজাতে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

সেই সঙ্গে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয়। দেশবিরোধী সব ধরনের ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা হয় মোনাজাতে।

আরো পড়ুন
হামজা থেকে রোনালদো, তামিম-শান্তরা জানিয়েছেন ঈদের শুভেচ্ছা

হামজা থেকে রোনালদো, তামিম-শান্তরা জানিয়েছেন ঈদের শুভেচ্ছা

 

খুলনার প্রধান এ ঈদের জামাতে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং হাজার হাজার মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এদিকে খুলনার প্রধান জামাত ছাড়াও খুলনা টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে সকাল ৯টা ও সকাল ১০টায়। এ ছাড়া খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ২টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে সকাল ৮টায় এবং সকাল ৯টায়।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুপ্রাচীন আল-হেরা জামে মসজিদের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো খুলনার জাতিসংঘ শিশু পার্কে সকাল সাড়ে ৭টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর ফারাজীপাড়া রোডস্থ ময়লাপোতা মোড়ের বায়তুল আমান জামে মসজিদে সকাল পৌনে ৮টায় ও পৌনে ৯টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এমনিভাবে খুলনার ৬৮০টি ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ঈদের মাঠ
খুলনার প্রধান ঈদের জামাতকে ঘিরে খুলনা সার্কিট হাউসে ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়। পুলিশ, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিসসহ পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে টহলে ছিলেন বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া কেসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরও উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সার্কিট হাউসের ঈদ জামাতকে ঘিরে চারদিকে ছিল প্রয়োজনীয়সংখ্যক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, এ ছাড়া পৃথক নিয়ন্ত্রণ কক্ষও ছিল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ