ঢাকার ধামরাইয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে আবুল কাশেম নামের বিএনপির এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
নিহত আবুল কাশেম (৫৯) জালসা গ্রামের মৃত রইস উদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ এনাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশে আবুল কাশেম নিজ বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরত্বে গেলে তাকে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেরাজুল রায়হান পাভেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাক্তার পাভেল বলেন, মৃত অবস্থায়ই ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে স্থানীয় আব্দুল জলিল, বাছেদ, বাবু, বিল্টু, আলী, আহাদ, সায়েম ও গফুর মালেক কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
নিহতের ছেলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘নব্য বিএনপি নামধারীরা আমার বাবাকে খুন করেছে। আমি এর বিচার চাই।
’
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আবুল কাশেমের নিহত হওয়ার ঘটনা তাৎক্ষণিকভাবে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা রথখোলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, যুবদলের নামধারী কিছু সন্ত্রাসী কারখানায় চাঁদাবাজি করে আসছে।
তারাই আবুল কাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, ১৫ দিন আগে জালসা এলাকায় মাটির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১০ আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ইটভাটায় মাটির ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে প্রায়ই মারামারির ঘটনা ঘটছে।