মণিরামপুর

দখলবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বহিষ্কার

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
দখলবাজির অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বহিষ্কার
সংগৃহীত ছবি

যশোরের মণিরামপুরে হরিদাসকাঠি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আরজান হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন

পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিবিএ-বিজিএমইএ

পোশাক রপ্তানি বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে বিজিবিএ-বিজিএমইএ

 

আসাদুজ্জামান মিন্টু জানান, সম্প্রতি হরিদাসকাঠি এলাকায় ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আরজান হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘের দখল, সরকারি গাছ কাটা, অবৈধ মাটি কাটা ছাড়াও সংখ্যালঘু পরিবারের এক ব্যক্তিকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।

 

পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেনের নির্দেশে সাংগঠনিক সম্পাদক খান শফিয়ার রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বিষয়টি তদন্তের পর প্রতিবেদন দাখিল করতে। খান শফিয়ার রহমান তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

আরো পড়ুন

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

ঈদ উদযাপনে নাড়ির টানে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ

 

পরে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ জররী সভা করে আরজান হোসেনকে বহিষ্কার করেন। 

আরজান হোসেন জানান, বহিষ্কারের কথা তিনি শুনেছেন।

তবে কপি হাতে পাননি।

আরো পড়ুন

মাগুরার শেখর ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

মাগুরার শেখর ও তার স্ত্রীসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

 

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল বারী রবুর উপস্থিতিতে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় হুশিয়ারি দেওয়া হয় বিএনপির যেকোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চাঁজাবাজি, দখলবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ প্রমানিত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এ ঘোষণার মাত্র তিনদিন পর প্রথম বহিষ্কার করা হলো আরজান হোসেনকে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

শ্রমিক দল নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা, গ্রেপ্তার ৬

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
শ্রমিক দল নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা, গ্রেপ্তার ৬
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে সিএনজিচালিত আটরিকশায় থেকে চাঁদা না পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদেরকে মারধর এবং থানায় হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে দুটি মামলা হয়েছে। এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারা হলেন- বিএনপি কর্মী উপজেলার বাখর নগরপাড় গ্রামের মৃত রুশন আলীর ছেলে কালাম (৪৮), রহিমপুর গ্রামের মাহাবুব হোসেনের ছেলে মো. হোসেন (২২), নবীপুর গ্রামের মৃত জানু মিয়ার ছেলে মো. ওয়াহাব আলী (৫৫), মুরাদনগর উত্তর পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে আবুল হাসান জুয়েল (৪২), পরমতলা গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মহসিন সরকার (৩৮) ও রহিমপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মো. জসীম উদ্দিন (৫৮)।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক উবায়দুল সিদ্দিকী বলেন, গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) ইফতারের আগে তিনিসহ তিনজন একটি অটোরিকশায় আকবপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।

অটোরিকশাচালক মুরাদনগর হয়ে সরাসরি নবীনগর রাস্তায় না গিয়ে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কারণ জানতে চাইলে চালক বলেন, ‘ওই দিক দিয়ে গেলে ৫০ টাকা জিপি (চাঁদা) দিতে হবে।’ তখন তিনি চালককে সোজা পথে যেতে বলেন। কিন্তু নবীনগর সড়কের মুখেই চালককে চাঁদা দেওয়ার টোকেন আছে কি না জিজ্ঞেস করা হয়।
চালক টোকেন নেই জানালে কয়েকজন তাকে মারধর শুরু করেন। যাত্রীরা নেমে মারধরের কারণ ও চাঁদাকে তুলতে বলেছে জানতে চাইলে তারা হামলা করেন। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে তাদের রক্ষা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আবুল কালামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সন্ধ্যার পর হামলার ঘটনায় অভিযোগ করতে তারা থানায় যান।

আরো পড়ুন
টমেটো ভর্তা আর ভাত দিয়েই ইফতার-সেহেরি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা সালেহা

টমেটো ভর্তা আর ভাত দিয়েই ইফতার-সেহেরি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা সালেহা

 

পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, সোমবার উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্ট্যান্ডে চাঁদা না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পরে রাত ৮টায় হামলায় শিকার নেতাকর্মীরা মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করতে গেলে যুবদল নেতা মাসুদ রানা ওরফে গুছা মাসুদের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জনের একটি দল পূনরায় থানার ভেতরেই আরেক দফা হামলা করে। এ সময় থানা কম্পাউনডারের দরজা-জানালার গ্লাস ভাঙ্গাসহ ও হাজত খানার কেচি গেইট ভেঙে আটক এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

হামলাকারীদের বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপারসহ অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ ঘটনায় সোমবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বাঙ্গরা বাজার থানা এলকার আকুবপুর গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে প্রবাসী আবুল ফয়সাল (৩৫) বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৩০ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগে মামলা করেন। একইভাবে সরকারি কাজে বাধা ও থানায় হামলা করার অভিযোগে বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মহি উদ্দীন অঞ্জনসহ ৩১জন বিএনপি নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৭০/৮০ জনকে আসামি করে এসআই আক্কাস আলী বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন।

আরো পড়ুন
আলোচিত-১০ (২৫ মার্চ)

আলোচিত-১০ (২৫ মার্চ)

 

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দীন অঞ্জন বলেন, থানার ভেতরের ঘটনার সময় আমি তখন সেনাবাহিনীর সাথেই উপস্থিত ছিলাম। তখন আমাদেরকে বলা হয়েছিল মামলা হবে না, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর জানতে পারলাম এ ঘটনায় পুলিশ আমাকেই অভিযুক্ত করে মামলা করেছে। আমিও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, চাঁদা দাবির অভিযোগে এক যুবককে আটকের পর বিএনপি নেতারা তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি প্রতিবাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা মামলা করতে চাইলে তাতেও তারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় তারা থানায়ও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে এ ঘটনায় মামলা করা হলে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য

টমেটো ভর্তা আর ভাত দিয়েই ইফতার-সেহেরি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা সালেহা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
টমেটো ভর্তা আর ভাত দিয়েই ইফতার-সেহেরি, কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন বিধবা সালেহা
সালেহা বেগম। ছবি: কালের কণ্ঠ

‘জীবনডা আর চলে না। ঘরে ছেড়িডাও কাইলা (রোগ)। হের জামাই মইর‌্যা যাওনের পর আমি এক বিধবা আরেক বিধবারে লইয়া চলতাছি। রোজাডা পাড় করতাছি খাইয়া না খাইয়া।

পাড়াত না গেলে (ভিক্ষা) তো ওবাশ (উপবাস) থাহন লাগে। টমেটো হস্তা (সস্তা) দেইখ্যা হেইডা ভর্তা কইর‌্যা ভাত দিয়া ইফতার করি ও সেহেরির সময় ভাত খাই। পুরা রোজাডা এইবাই চলছে। ঈদের আগে পাড়ার অনেকেই চাউল আনতাছে, আমি পাই না।
’ 

এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ষাটোর্ধ্ব সালেহা বেগম। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশল্লী ইউনিয়নের পালাহার গ্রামের এক গ্রামীণ সড়কে দেখা মেলে তাঁর। দুপুর ২টার দিকে ভিক্ষা করে অন্য এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি।

স্বামী মারা গেছেন ২০ বছর আগে।

একমাত্র মেয়ে মনোয়ারারও স্বামী মারা যায় ছয় বছর সংসারের পর। এরপর থেকেই সহায়সম্বলহীন সালেহা মেয়েকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। কিছুদিন মেয়েটি অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে না পারায় তার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।

নিজেও নানা রোগে ভুগছেন সালেহা।

একটা বিধবার কার্ড থাকলেও অনেক সময় টাকা কেউ নিয়ে যায়। তখন আরও বিপদে পড়তে হয়। বয়স ও অসুস্থতার কারণে আগের মতো পাড়া ঘুরতে পারেন না। দুপুরের আগেই যা পান, তা নিয়েই বাড়ি ফিরেন। রোজার শুরু থেকে খাবারের অভাবে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

তিনি আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘বাজান, আপনের কাছে একটা দাবি—আমার ছেড়িডারে একটা বিধবার কার্ড কইর‌্যা দিলে মইর‌্যাও শান্তি পাইয়াম।’

সালেহার অভিযোগ, বিত্তশালীরাও সরকারি সুযোগসুবিধা পেলেও তিনি বঞ্চিত। ঈদ উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল বিতরণ হলেও তিনি কোনো স্লিপ না পাওয়ায় নিতে পারেননি। কারও কাছে গিয়েও কোনো ব্যবস্থা হয়নি। এসব কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আছেন হেইল্যা। এরপরও বেহেই ভালা থাহোক—আমার তো জীবন শেষের দিকেই।’

মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

লক্ষ্মীপুরে হাত-চোখ-মুখ বেঁধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের (২৩) ঘটনার মামলায় প্রধান আসামি জামাল আহমেদ সনিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। অভিযুক্ত জামাল ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর ননদের স্বামী।


মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাতে র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ইফতারের আগমুহূর্তে তাকে নোয়াখালী জেলা শহরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।


গ্রেপ্তার জামাল উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের শফি আলমের ছেলে।


পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামাল দীর্ঘদিন তার শ্যালকের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনাটি গৃহবধূ তার স্বামীকে জানায়। এ ঘটনায় সালিশি বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু জামাল কারো কথা না শোনে, উলটো গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেওয়া অব্যাহত রাখে। সবশেষ সোমবার (২৪ মার্চ) ভোরে ভোক্তভোগী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে জামাল তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে। পরে জামালের ডাকে আরো ৪ জন এসে ভুক্তভোগীর ওড়না দিয়ে হাত মুখ চোখ বেঁধে ফেলে। একপর্যায়ে জামাল তাকে ধর্ষণ করে।
পরে ভোক্তভোগী চিৎকার দিলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ওইদিন রাতে জামালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে ভুক্তভোগী নারী।


রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী মামলা করেন। র‌্যাব তাকে গ্রেপ্তার করেছে। র‌্যাব থেকে আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছে।

আসামিকে তারা থানায় হস্তান্তর করবে।’

মন্তব্য

কালীগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল প্রবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
কালীগঞ্জে সড়কে প্রাণ গেল প্রবাসীর
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের কালীগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নেয়ামুল ইসলাম (২২) নামের এক প্রবাসী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নোয়াপাড়া-দালান বাজার আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছেন।
 
নেয়ামুল জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের বাঙ্গালগাঁও এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।

তিনি সৌদিপ্রবাসী ছিলেন।

আহতরা হলেন নেয়ামুলের বোন নাদিয়া (১৮) ও মামাতো ভাই মাশফিক (১২)। এ ছাড়া অপর মোটরসাইকেলে থাকা কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজের ছাত্র উপজেলার বাহাদুরসাদী এলাকার হাবিউল্লাহর ছেলে রিয়াদ (১৯) এবং পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজের ছাত্র জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে আল আমিন (১৯) গুরুতর আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ছোট বোন ও মামাতো ভাইকে নিয়ে বিকেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে নোয়াপাড়া সড়ক দিয়ে দালান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন নেয়ামুল।

সন্ধ্যায় দালান বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা রিয়াদ ও আল আমিনের মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

তারা আরো জানায়, আহত নেয়ামুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। আহত নাদিয়া ও মাশফিককে গাজীপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত রিয়াদ ও আল আমিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে।


 
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ