‘আমাদের কিসের ঈদ, ৭ বছরের নৌফা বারবার শহীদ বাবাকে খোঁজে’

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
‘আমাদের কিসের ঈদ, ৭ বছরের নৌফা বারবার শহীদ বাবাকে 
 খোঁজে’
দেবীদ্বারের শহীদ আবদুর রজ্জাক রুবেলের পরিবার। ছবি : কালের কণ্ঠ

সবার ঘরেই বইছে ঈদুল ফিতরের আমেজ। কিন্তু কুমিল্লায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৩৮ শহীদ পরিবারে নেই ঈদ আনন্দের ছিঁটেফোটা। গত বছরও যে পরিবারগুলোতে ঈদের আনন্দ ছিল আজ তা শুধুই স্মৃতি। তাদের পরিবারে এবারের ঈদ যেন বিষাদের ঈদ।

এসব শহীদদের অনেকেই ছিলেন সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। তাদের কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউবা সন্তান কেউ আবার স্বামী।

জুলাই ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লা জেলায় ৩৮ শহীদের মধ্যে দেবিদ্বারেই শহীদ হয়েছেন ১৩ জন।

এছাড়াও বরুড়ায় ৩ জন, চান্দিনায় ২ জন, চৌদ্দগ্রামে ২ জন, দাউদকান্দিতে ৩ জন, হোমনায় ১ জন, লাকসাম ২ জন, মনোহরগঞ্জে ১ জন, মুরাদনগরে ৪ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, সদর দক্ষিণে ২ জন ও তিতাসে ১ জন শহীদ হয়েছেন।

৪ আগস্ট ছাত্রআন্দোলন চলাকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভায় আওয়ামীলীগ-যুবলীগ কর্মীদের গুলিতে নিহত হন আবদুর রজ্জাক রুবেল। সংসারের একমাত্র উপর্জনোক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। স্বামীকে হারিয়ে এখনও শোকে স্তব্ধ তাঁর স্ত্রী হ্যাপী আক্তার।

দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে এবারের ঈদ তার কাছে যেন বিষাদের ঈদ।

হ্যাপী আক্তার বলেন, আমাদের কীসের ঈদ! ৭ বছরের নৌফা বারবার বাবাকে খুঁজে। সে এখনো জানে না তার বাবা নেই। কোলে পাঁচ মাসের মো. রাইয়ান বাবাকে দেখেনি। গত বছর ঈদে সবার জন্য নতুন জামা-কাপড় নিয়ে আসছিল নৌফার বাবা।

প্রতিবেশীদের ঘরে নতুন জামা কাপড় দেখে ঘরে এসে কান্না করছিল। ওর বাবা বেঁচে থাকলে কিনে দিত। পাষণ্ডরা আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমাদের জীবনে আর কোনোদিন সেই ঈদের আনন্দ আসবে না। আর ঈদ নেই আমার পরিবারে।

বাড়ির পাশের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ২০ জুলাই নিহত দেবিদ্বারের সূর্যপুর গ্রামের শহীদ কাদির হোসেন সোহাগকে। কবরের পাশে প্রায় সময়ই দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করেন তাঁর মা নাসিমা বেগম। কাদির হোসেন সোহাগের বাড়ি সূর্যপুর গ্রামে। 

তার মা নাসিমা বেগম বলেন, স্বামীকে হারিয়েছি ২০ বছর আগে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে দুই সন্তানকে বড় করেছি। কাদির হোসেন সোহাগ কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে সংসার চালাত। আর ছোট ছেলে শহীদুল লেখাপড়া করত। গত ২০ জুলাই রাতে সাড়ে ৮টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সোহাগ। এরপর থেকে সংসারে আনন্দ বলতে কিছু নেই। গত বছর ঈদে আমাকে কাপড় কিনে দিয়েছে সোহাগ। এই ঈদে আমার বুকের ধন কাছে নেই। আমি কীভাবে সন্তান ছাড়া ঈদ করব!

চৌদ্দগ্রামের শহীদ সাখাওয়াত হোসেন সাদাতের বাবা আব্দুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ছেলে হারানোর শোকে পুরো পরিবার স্তব্ধ। ঈদ বলতে কিছু নেই। সাদাতের মা এখনো ছেলের জন্য কান্নাকাটি করেন। তাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, কুমিল্লার ৩৮ শহীদ পরিবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি অনুদানের সঞ্চয়পত্র প্রথম কিস্তির ১০ লাখ টাকা এসেছে। আমি নিজে এগুলো বিতরণ করেছি এবং যারা আহত আছেন তাদের জন্য ১ ক্যাটাগরিতে ২ লাখ ও ১ লাখ করে বিতরণ করা হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, যারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত হয়েছেন আমরা তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চসিক সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চসিক সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকার নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমকে তার বাসার সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো মামলা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য

লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় মিলল

কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
কাউছার আলম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
শেয়ার
লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের পরিচয় মিলল
ছবি: কালের কণ্ঠ

দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের নাম পরিচয় মিলেছে। নিহতদের মধ্যে ৩ নারী, ২ শিশু ও ৫ জন পুরুষ।

দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে। 

হাইওয়ে পুলিশের তালিকা অনুযায়ী নিহতরা হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার দুলাল বিশ্বাসের ছেলে দিলীপ বিশ্বাস (৪৩), দিলীপ বিশ্বাসের স্ত্রী সাধনা মন্ডল (৩৭), দিলীপের শ্বশুর আশীষ মন্ডল (৫০)।

ঢাকার ঢাকার মিরপুরের আব্দুল জব্বারের ছেলে রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৬), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী লুৎফুন নাহার সুমি (৩৫), বড় মেয়ে আনিসা (১৬), ছোট মেয়ে লিয়ানা (০৮), মৃত রফিকুল ইসলামের ভাগিনা তানিফা ইয়াসমিন (১৬), মামা মুক্তার হোসেন (৬০) ও মাইক্রোবাস চালক ঢাকার দক্ষিণ খান এলাকার কালা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ আলী (৫৫)।

এ ঘটনায় আহত চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো তিনজনেরও পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন- প্রেমা (১৮), পিতা মৃত রফিকুল ইসলাম শামীম, মিরপুর, ঢাকা। আরাধ্যা বিশ্বাস (৭), পিতা মৃত দিলীপ বিশ্বাস, উত্তর বোয়ালিয়া, থানা শৈলকুপা, জেলা ঝিনাইদহ।

দুর্জয় মন্ডল (১৮), পিতা দেবাশীষ মন্ডল, প্রান্তি কুমারখালী, কুষ্টিয়া, (মৃত দিলীপ বিশ্বাসের চাচাতো শ্যালক)।

লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগড়া চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় রাস্তার একটি মোড় এবং লবণবাহী একটি গাড়ির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে মরদেহগুলো হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

লোহাগাড়ার জাঙ্গালিয়ায় বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা। ঈদের দিন (৩১ মার্চ) দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। পরদিন (১ এপ্রিল) একই স্থানে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৯ জন আহত হন। একাধিক দুর্ঘটনার কারণে এ স্থানটি এখন চিহ্নিত ‘রেড জোন’ হিসেবে।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, সড়কে কী অসঙ্গতি আছে তা সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের দেখতে বলেছি।

তারা এখানে আছেন। ওনারা দেখে দ্রুততম সময়ে করণীয় নির্ধারণ করে জানাবেন।

তিনি বলেন, এখানে যে বেপরোয়া গাড়ি চলছে, এগুলোর স্থান চিহ্নিত করে বিভিন্ন জায়গায় যথাযথ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা দরকার। সেটার জন্য সড়ক কর্তৃপক্ষ যেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমি বলে যাচ্ছি।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় ঘটা দুর্ঘটনাস্থল বিকেলে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  

উপদেষ্টা ফারুকী আজম আরো বলেন, দীর্ঘসময় ধরে বারবার এখানে দুর্ঘটনা হচ্ছে, শুধু এখানে নয়, এই সড়কের অন্য অংশেও। চট্টগ্রাম থেকে আমাদের কক্সবাজার যেতে হলে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাগছে। আর ঢাকার লোকের ফ্লাইটে করে আধা ঘণ্টায় কক্সবাজার পৌঁছাচ্ছে। এটা একটা ডিসক্রিমিনেশনও (বৈষম্য) বটে। এগুলোরও অবসান হওয়া উচিত। 

অপরদিকে, দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেককে বিআরটিএর পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং সরকারিভাবে আরো ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান উপদেষ্টা।

এর আগে, বুধবার সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

নান্দাইলে ইটভাটায় জিম্মি থাকা ২০ শ্রমিক উদ্ধার, দুজন আটক

জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
জেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
নান্দাইলে ইটভাটায় জিম্মি থাকা ২০ শ্রমিক উদ্ধার, দুজন আটক

ময়মনসিংহের নান্দাইলে এসআরবি ব্রিকস ইটভাটায় জিম্মি থাকা ২০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম এলাকায়  এসআরবি ব্রিকস ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইটভাটা থেকে বিল্লাল হোসেন ও জাকারিয়া নামে দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসআরবি ব্রিকস নামক ইটভাটায় শ্রমিকরা কাজ করে আসছিল।

কাজ শেষে তাদের ন্যায্য টাকা-পয়সা চাইতে গেলেই ইটভাটার মালিকপক্ষ জিম্মি করে মারধর করে। এভাবেই বেশ কয়েকদিন যাবৎ মারধরের শিকার শ্রমিকরা সম্প্রতি গৌরীপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে বিষয়টি জানান। 

অভিযোগ পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জিম্মি থাকা ২০ শ্রমিককে উদ্ধার ও ইটভাটার মালিক পক্ষের দুজনকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআরবি ব্রিকসের মালিক রুহুল আমিন শ্রমিক জিম্মির বিষয়টি এড়িয়ে যান।

তিনি বলেন, এটি মিথ্যা অভিযোগ। 

মন্তব্য

কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধের জেরে হামলায় গুরুতর আহত ইউনুস মিয়া নামে এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ইউনুস মিয়া কোতয়ালী মডেল থানার সাহেবনগর উত্তরপাড়া গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।

পুলিশ জানায়, প্রতিবেশী ছেতু মিয়ার ছেলে মো. ইউনুসের পরিবারের সঙ্গে নিহত যুবক ইউনুসের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

মঙ্গলবার উভয় পরিবারের সেই বিরোধ থেকে ইউনুসকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তিনি মারা যান। 

কোতোয়ালি থানার ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, উভয় পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার ইউনুস মিয়াকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকালে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্ত মো. ইউনুসকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ