আশুলিয়ায় শ্রমিক কলোনিতে আগুন, পুড়ে গেছে ৮ কক্ষ

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
আশুলিয়ায় শ্রমিক কলোনিতে আগুন, পুড়ে গেছে ৮ কক্ষ
সংগৃহীত ছবি

সাভারের আশুলিয়ায় একটি শ্রমিক কলোনিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে শ্রমিক কলোনির অন্তত ৮টি কক্ষ এবং ভেতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শনিবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনামিয়া মার্কেট এলাকার কালাম মাদবরের মালিকানাধীন টিনশেড শ্রমিক কলোনিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

 

স্থানীয়রা জানায়, রাতে টিন সেড ঘরের একটি কক্ষ থেকে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুন দ্রুত আশেপাশে থাকা অন্যান্য কক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে ফোন করে আগুন লাগার বিষয়টি জানায়। 

আরো পড়ুন
জামালপুরে ৪ দফা দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট

জামালপুরে ৪ দফা দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট

 

খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কিন্তু ততক্ষণে আগুনে ওই শ্রমিক কলোনিতে থাকা ৮টি টিনসেড কক্ষ এবং ভেতরে থাকা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার প্রণব চৌধুরী বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত কাজ শুরু করে। এতে আধঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি তিনি। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঠাকুরগাঁও

কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
কালবৈশাখীর তাণ্ডব, ধ্বংস কৃষকের ৬৫ হেক্টর জমির ফসল
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঠাকুরগাঁওয়ে গত শনিবার দিবাগত রাতে (১৩ এপ্রিল) ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে গেছে এবং কৃষকদের মূল্যবান ফসল, বিশেষ করে পেঁয়াজের বীজ, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার সদর উপজেলা ছাড়াও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঝড়।

এলাকাবাসী জানায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে আকস্মিকভাবে প্রবল বেগে বাতাস বইতে শুরু করে।

সেই সঙ্গে বজ্রপাত ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকার গাছপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ।

ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছেন জেলার হাজার হাজার কৃষক। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজের বীজ বপনের মৌসুম চলছে।

অনেক কৃষক ইতিমধ্যেই তাদের জমিতে বীজ বপন করেছেন। ঝড়ের পর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ জমির মাটি সরে গিয়ে বীজ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রহমত আলী হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘আমি তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ বপন করেছিলাম।

ঝড়ের পরে সকালে মাঠে গিয়ে দেখি, কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। সব নষ্ট হয়ে গেছে।'

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়ন গ্রামের আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের শুধু পেঁয়াজবীজই নয়, সঙ্গে থাকা কিছু টমেটো ও মরিচগাছও ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এক রাতের ঝড় আমার অনেক দিনের কষ্টের ফসল কেড়ে নিল।’

এদিকে ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ‘ঝড়ে ভুট্টা ১০.৭৫ হেক্টর, মরিচ ১ হেক্টর, শাকসবজি ১.৫ হেক্টর, পেঁয়াজবীজ ৫০ হেক্টর এবং লালশাক ২ হেক্টরসহ মোট ৬৫.৪৮২ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সহযোগিতার জন্য আবেদন জানানো হবে।'

মন্তব্য

নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চান শতাধিক জমির মালিক

খালিদ সাইফুল
খালিদ সাইফুল
শেয়ার
নিজেদের সম্পত্তি বুঝে পেতে চান শতাধিক জমির মালিক
ছবি : কালের কণ্ঠ

মাথা গোঁজার স্বপ্নে সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি বাড়ি করতে চান অনেকেই। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের কুষ্টিয়ার হাউজিং স্টেটের চতুর্থ পর্বে প্লটপ্রাপ্তরা ১০ বছরেও বুঝে পাননি বরাদ্দকৃত জমি।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য

প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন

এম সাইফুল ইসলাম
এম সাইফুল ইসলাম
শেয়ার
প্যারালাইজড স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীর সংগ্রামী জীবন
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝুপড়ি ঘরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বাস করছেন হতদরিদ্র ঝর্ণা বেগম। কখনও খেয়ে আবার কখনও না খেয়ে কোনো রকমে চলছে তাদের সংসার। শশুরবাড়িতে কোনো সম্পত্তি না থাকায় মাথা গোঁজার ঠায় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলার পৈত্রিক ভিটার ছোট একটি ঘর। 

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে... 

 

মন্তব্য
নেত্রকোনা

ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮
সংগৃহীত ছবি

নেত্রকোনার মদনে ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইমাম হোসেন (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আখাশ্রী গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

আরো পড়ুন
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহত তৌহিদ মিয়া ও ক্বারী ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আখাশ্রী গ্রামের কৃষক সোনাতন মিয়ার একটি বোরোক্ষেতের ধান খাচ্ছিল একই গ্রামের আকবর মিয়ার ছাগল।

এ নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে দুই কৃষকের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে দুই পক্ষের ১৮ জন আহত হন। এর মধ্যে আহত ইমাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গতকাল শনিবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন
বিমানে হেনস্তার শিকার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী

বিমানে হেনস্তার শিকার গায়িকা ইমন চক্রবর্তী

 

মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘আখাশ্রী গ্রামে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ এখনো ময়মনসিংহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ