নগরকান্দায় ওষুধের কার্টনে মিলল নবজাতকের মরদেহ

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
নগরকান্দায় ওষুধের কার্টনে মিলল নবজাতকের মরদেহ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের মাশাউজান এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মাশাউজান এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের একটি ওষুধের কার্টনের মধ্যে নবজাতকের মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে নগরকান্দা থানায় নিয়ে যায়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তারেক বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মারধরের অভিযোগ : সেই কৃষক দল নেতার পদ স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
মারধরের অভিযোগ : সেই কৃষক দল নেতার পদ স্থগিত
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিনের পদ স্থগিত করেছে জেলা কমিটি। গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিনকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
প্রতি ছক্কা-উইকেটে গাজার শিশুদের জন্য ১ লাখ রুপি, প্রথম দিনে ১৫ লাখ

প্রতি ছক্কা-উইকেটে গাজার শিশুদের জন্য ১ লাখ রুপি, প্রথম দিনে ১৫ লাখ

 

এ ছাড়াও জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সব নেতাকর্মীদের তার সহিত সব পর্যায়ে সাংগঠনিক সম্পপর্ক না রাখার জন্য প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ এপ্রিল উন্মুক্ত লটারিতে যোগ দেওয়ায় রাসেল রানা নামের এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কালের কণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মন্তব্য

বিদ্যালয়ের টিনের ঘর ভেঙে বসতঘর বানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
শেয়ার
বিদ্যালয়ের টিনের ঘর ভেঙে বসতঘর বানাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক!
ছবি: কালের কণ্ঠ

অবসরের চার দিন মাত্র বাকি। এর মধ্যে নিজের স্ত্রীকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়াসহ আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম গুছিয়ে বিদ্যালয়ে থাকা ৬৬ হাত লম্বা একটি টিনের ঘর (শ্রেণি কক্ষ) ভেঙে নিয়ে নিজবাড়িতে বসতঘর তৈরি করছেন। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আব্দুল হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনায়েত হোসেন ভূঁইয়া রতনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন
পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদে স্বপদে বহালের দাবি

পদত্যাগে বাধ্য হওয়া শিক্ষকদে স্বপদে বহালের দাবি

 

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের রাজাবাড়িয়া গ্রামে অবস্থিত ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের টিনের চাল, বেড়া ও অন্যান্য উপকরণ প্রধান শিক্ষক মো. এনায়েত হোসেন ভূঁইয়ার নতুন বাড়ি ভিটার আশপাশে জড়ো করে রাখা হয়েছে।

বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ দিকে ছিল ৬৬ হাত দৈর্ঘ্য ও নয় হাত প্রস্থ বিশিষ্ট টিনের ঘরটি।

বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক মো. এনায়েত হোসেন ভূঁইয়া জানান, গত ৩১ মার্চ তিনি অবসরে গেছেন। তার স্ত্রী শামছুন্নাহার এখন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বপালন করছেন। 

বিদ্যালয়ের ঘর ভেঙে ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণকাজে ব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনায়েত হোসেন ভুইয়া রতন বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ তিনি বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটি নিলামে তুলেছেন।

তিনজন ডাককারী নিলামে অংশ নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে হিমেল মিয়া ৩২ হাজার টাকায় টিনের ঘরটি কিনে নেন। আমি সেই ক্রেতার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় ঘরটি কিনে নিয়েছি।’

আরো পড়ুন
দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু

দুর্নীতির মামলায় খালাস পেলেন ফালু

 

কীভাবে নিলাম ডাক অনুষ্ঠিত হয়েছে জানতে চাইলে এনায়েত হোসেন ভুইয়া বলেন, ‘নান্দাইলের তৎকালীন ইউএনও অরুন কৃষ্ণ পালের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

ওই কমিটিতে তাঁর স্ত্রী (ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) ও বিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক ছিলেন।’

তবে এ বিষয়ে নান্দাইলের সাবেক ইউএনও অরুন কৃষ্ণ পাল বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে নান্দাইল থেকে অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তিনি বদলি হওয়ার আগে এ ধরনের কোনো নির্দেশ দেননি। প্রধান শিক্ষক মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন।’

হিমেল নামে একজনকে দিয়ে ঘরটি কিনিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।

জানতে চাইলে ওই হিমেল বলেন, ‘আমাকে কাগজে-কলমে রেখেছেন, এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’

জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা এডহক কমিটির আহ্বায়ক আজিজুল হক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক তো আমাকে বলেছেন সবই নিয়মের মধ্যে হয়েছে। এখন কেন প্রশ্ন উঠছে। বিষয়টি জানতে হবে।’

আরো পড়ুন
মোংলায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

মোংলায় অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

 

নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সারমিনা সাত্তার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিজের ইচ্ছা মতো প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কোনো ঘর বিক্রি করতে পারেন না। এই জন্য উপজেলায় একটি কমিটি রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

মন্তব্য

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল যুবকের
ছবি: কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরে করাতকলের মোটর দিয়ে পানি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাউছার হোসেন (২৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের হাজিরবাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কাউছার শাকচর গ্রামের হাজী আলী হোসেনের বাড়ির ওমর ফারুকের ছেলে। 

আরো পড়ুন
মহিষ লুটের মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

মহিষ লুটের মামলায় বিএনপির ১১ নেতাকর্মী কারাগারে

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাজিরবাজার এলাকায় কাউছারদের করাতকল রয়েছে।

সেখানে সকালে পানি উঠানোর জন্য মোটর চালু দেয়। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাউছার ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

পরিবার থেকে কোন অভিযোগ নেই। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

৭ সন্তানকে নিয়ে এক মায়ের আকুতি

আল নোমান শান্ত, দুর্গাপুর
আল নোমান শান্ত, দুর্গাপুর
শেয়ার
৭ সন্তানকে নিয়ে এক মায়ের আকুতি
ছবি: কালের কণ্ঠ

স্বামী মারা গেছেন দুই বছর আগে। এরপরই জীবনে নেমে সীমাহীন কষ্ট। এখন সাত সন্তান ও শাশুড়ি নিয়ে ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস। সকালে দুমুঠো খেলেও দুপুরে মেলে না।

রাতে সন্তান-শাশুড়িকে কি খেতে দেবেন এই চিন্তায় এখানে-ওখানে দৌড়ঝাঁপ। অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না সন্তানরা। কথাগুলো বলেন এক অসহায় মা সুলেমা খাতুন।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মউ গ্রামের বাসিন্দা সুলেমা খাতুন।

ওই গ্রামের মৃত সাদত আলীর স্ত্রী তিনি।

আরো পড়ুন
ধুনটে ঘর থেকে শিশু শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ধুনটে ঘর থেকে শিশু শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

 

গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্তানদের পেটে ক্ষুধা, মা সুলেমার চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ। দুপুরে খাওয়া হয়নি কারোই। ঘরে আছে অল্প চাল কিন্তু তরকারি নেই কিছুই, রাতে কি খাবে এই ভেবে বসে আছেন ঘরের সামনে।

বড় ছেলে আইসক্রিম বিক্রিতে বের হয়েছে। কিছু টাকা পেলে যদি কিছু আনতে পারে সবার অপেক্ষা যেন সেদিকে।

সুলেমা খাতুন জানান, বেঁচে থাকতে স্বামীও ভিক্ষা করতেন। তিনিও অন্যের বাড়ি কাজ করতেন। তখনও কষ্টে দিন কেটেছে তাদের।

সংসারে ছিল পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে এবং শাশুড়ি। স্বামীর মৃত্যুর পর খাবার জোগাতে সুলেমাও হাত পাততে হচ্ছে মানুষের কাছে। হাত পেতে কয়দিন চলে, কখনো মানুষের বাড়িতে কাজ করে যা মিলে তা দিয়েই সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে জীবন চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে এক মেয়েকে গত এক সপ্তাহ আগে আশপাশের মানুষের সহায়তায় ও ঋণ করে বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে সাত সন্তান নিয়ে বসবাস, সঙ্গে অসুস্থ শাশুড়িও। উপার্জন উপযুক্ত বড় ছেলে কাজ পেলে কাজ করে তা নাহলে তারও হাত পাততে হয় মানুষের কাছে। এভাবেই দুঃখে কষ্টে বেঁচে আছেন।

আরো পড়ুন
ঐতিহ্যের সাক্ষী গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি

ঐতিহ্যের সাক্ষী গাংগাটিয়া জমিদার বাড়ি

 

তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে আশেপাশের বাড়িতে কাজ পেলে করি। যা পাই তাই সন্তানদের লইয়া খাই। কিন্তু সব সময় কাজ থাকে না। দুই-তিন আগে পাশের বাড়ির মাসুদের মা কিছু চাউল দিছিল, ওগুলো সন্তানদের খাওয়াচ্ছি। বড় ছেলে আইসক্রিম বিক্রি করতে বের হয়েছে, যদি কয়ডা টাকা পায় তাহলে কিছু যদি আনে নইলে তো এভাবেই থাকতে হবে।’

প্রতিবেশী হাসিনা বেগম বলেন, ‘সুলেমা সন্তানদের নিয়ে এখন খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছে। আমরা প্রতিবেশী যতুটুকু পারি সাহায্য করি কিন্তু সব সময় তো আমরাও পারি না, তখন শুনি তারা না খেয়ে আছে। ছোট ছোট পোলাপানগুলোরে মাদরাসায় ভর্তি করাই তো সবার কাছে সাহায্য চাইতেছে। পাইলে ভর্তি করাতে পারবো নইতো পারতো না। ঘরেও খাওন নাই, এমনেই কষ্টে বেঁচে আছে। কেউ যদি তার জন্য এগিয়ে আসতো তাহলে ভালো হত।’

মো. আকবর আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘সুলেমার জামাইও অসুস্থ আছিলো ভিক্ষা করতো, তখনও কষ্টে গেছে। এখনও কষ্টই করতাছে পোলাপানগুলোরে নিয়ে। খাইতে পারলে খা, না পাইলে না খাইয়া থাকে। খুবই কষ্ট করতেছে তারা।’

আরো পড়ুন
সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত

সম্প্রীতি ধরে রাখতে সেনাবাহিনী সব করতে প্রস্তুত

 

সুলেমার আকুতি ছোট সন্তানদের অল্পস্বল্প পড়াশোনা করানোর আর পেট ভরে দুবেলা খাওয়ানোর। কিন্তু অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না সন্তানরা। অভাব অনটনে যেখানে দুবেলা মুখে খাবার তুলে দিতে পারছে না, ক্ষুধা পেটে দিন কাটে সেখানে পড়াশোনা যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূরণ হবে কি তার এই ইচ্ছা!

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ