ঈদ আনন্দকে রঙিন করে তুলতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার চাপতা গ্রামের রেলস্টেশন বালুর মাঠে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ খেলাধুলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
রশি টানাটানি, বালিশ খেলা, হাঁড়ি ভাঙা, তেলমাখা কলাগাছ বেয়ে ওঠা, চেয়ার সিটিংসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণ শতাধিক প্রতিযোগী অংশ গ্রহণে করেন। গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরতে রাখতে আগামীতেও এমন আয়োজনের কথা জানান আয়োজকরা।
কাশিয়ানীতে গ্রামীণ খেলাধুলায় ঈদ আনন্দ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

সরেজমিন দেখা গেছে, মাঠের এক প্রান্তে রশি টানাটানি খেলা। অপর প্রান্তে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠা প্রতিযোগিতা। অন্য পাশে হাঁড়ি ভাঙাসহ নানা খেলা। রশির দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন দুই দল যুবক।
এ প্রতিযোগিতা দেখতে দুপুর থেকেই দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। গ্রামের মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে এ খেলাগুলো উপভোগ করেন। বিশেষ করে শিশু ও তরুণদের মাঝে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল।
খেলার আয়োজক আব্দুর রহিম খাকি বলেন, ‘হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ সংস্কৃতির পুনর্জাগরণের উদ্দেশ্যেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। ঈদ-পরবর্তী আনন্দ দিতে গ্রামীণ খেলার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে গ্রামবাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করতে আমাদের এই চেষ্টা। আশা করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে এই যুগের মানুষ পুরাতন সংস্কৃতিকে জানতে ও বুঝতে সক্ষম হবে।’
সম্পর্কিত খবর

নেত্রকোনা
ছাগলে ধান খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আহত ১৮
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

নেত্রকোনার মদনে ছাগলে ধান ক্ষেত খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে ইমাম হোসেন (৫৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারীসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের আখাশ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আহত তৌহিদ মিয়া ও ক্বারী ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, আখাশ্রী গ্রামের কৃষক সোনাতন মিয়ার একটি বোরো ক্ষেতের ধান খাচ্ছিল একই গ্রামের আকবর মিয়ার ছাগল।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘আখাশ্রী গ্রামে সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ এখনো ময়মনসিংহ মর্গে রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চাঁদপুর
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন, পরিকল্পিত দাবি পরিবারের
চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের কচুয়ায় রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নুরুল হক (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার বিতারা গ্রামের খলিফা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নুরুল হক একই গ্রামের মৃত. সুলতান মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লুৎফুর রহমান, কচুয়া থানার ওসি আজিজুল ইসলাম ও ওসি তদন্ত জিয়াউল হক এবং ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পরকীয়া সংক্রান্ত একটি ঘটনা নিয়ে একই গ্রামের ওমান প্রবাসী শুক্কর আলীর সঙ্গে নুরুল হকের বিরোধ ছিল। শনিবার রাতে একই এলাকার জাহাঙ্গীর ও জালাল নামে ২ যুবক কৌশলে নুরুল হককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শুক্কর আলী একাই নূরুল হকের শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
এসময় রক্তাক্ত নূরুল হকের ডাক চিৎকারে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী ছুটে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। সেখানেই কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় নুরুল হকের।
নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম, শ্বশুর আমির হোসেন ও ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে বিতারা গ্রামের জাহাঙ্গীর ও জালাল মুঠোফোনে তাকে (নুরুল হক) ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার পরিকল্পনা ছিল।
নিহতের বোন জুলেখা বেগম,রাশিদা ও তাছলিমা জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) লুৎফুর রহমান জানান, একাধিক বিয়ে করা ওমান প্রবাসী শুক্কুর আলী নামে এক ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রী'র সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। এমন সন্দেহ থেকে নূরুল হককে হত্যা করা হয়। আর এই ঘটনা শুক্কুর আলী একাই করে গাঢাকা দিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তবে হত্যাকান্ড সম্পর্কে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কচুয়ার ওসি আজিজুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে হত্যাকান্ড নিয়ে রোববার দুপুর পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

লালমাইয়ে অস্ত্রসহ আ. লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার লালমাইয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ এয়ারগান ও দেশে তৈরি অস্ত্রসহ সালাউদ্দিন সুমন (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে লালমাই থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল্লাহ আল ফারুক তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার সুমন লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল হক চেয়ারম্যানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী শনিবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের জালগাঁও গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।
ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আমিনুর রহমান বলেন, ‘লালমাই আর্মি ক্যাম্প, লালমাই থানা ও ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের যৌথ অভিযানে শনিবার গভীর রাতে অবৈধ এয়ারগান ও দেশে তৈরি অস্ত্রসহ সালাউদ্দিন সুমন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি এয়ারগান দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মানুষকে ভয় দেখাতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার এয়ারগানের ভয়ে পেছনে যেতে গিয়ে এক ব্যক্তির দুই পা ভেঙেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন সুমনের হেফাজত থেকে একটি অবৈধ এয়ারগান, ২৭টি এয়ারগান বুলেট, ৫টি দেশীয় অস্ত্র ও একটি ২২০ সিসির পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সালাম গ্রেপ্তার
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মহা. আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে শহরের বড়বাজার তার নিজ বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
অ্যাডভোকেট মহা. আব্দুস সালাম কেন্দ্রীয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তাকে বর্তমানে মেহেরপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ‘ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’