প্রায়ই তারকাদের মধ্যে ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয় লক্ষ করা যায়। বলিউড তারকারা এ ক্ষেত্রে এগিয়ে। বলিউডের বেশ কয়েকজন তারকা রয়েছেন, যারা নিজের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। কেউ হয়েছেন ভালো লাগা থেকে।
বলিউডের ধর্ম পরিবর্তন করা তারকাদের কথা
অনলাইন ডেস্ক
এ আর রহমান
ভারতের বিখ্যাত সংগীত পরিচালকদের একজন অস্কারজয়ী এ আর রহমান। সংগীত জগতে সারা বিশ্বের কাছে এক নামেই পরিচিত তিনি।
ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনি
৭০’র দশকের সবচেয়ে সফল বলিউড তারকা যুগল ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনি। হেমার জন্ম একটি হিন্দু তামিল পরিবারে। প্রেমিক ধর্মেন্দ্রও হিন্দু ছিলেন। কিন্তু তাদের সম্পর্ক বিবাহে রূপ নিতে পারছিল না। কেননা ধর্মেন্দ্র ছিলেন বিবাহিত।
মমতা কুলকার্নি
৯০’র দশকে বেশ কয়েকটি হিন্দি সুপার হিট ছবির নায়িকা মমতা কুলকার্নি। অভিনয়ের পাশাপাশি তার সৌন্দর্যেও দ্যুতি ছড়িয়েছে। মমতা কুলকার্নি হঠাৎ করেই পর্দা থেকে উধাও। পরবর্তী সময়ে কারণ হিসেবে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে মমতা মুসলিম প্রেমিককে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে স্বামীকে নিয়ে কেনিয়ার নাইরোবিতে বসবাস করছেন তিনি।
শর্মিলা ঠাকুর
বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রীদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৩ সালে পদ্মভূষণ পদকে ভূষিত হন এ অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্কের পরিণতি দিতেই ধর্ম (কালের কণ্ঠ প্রতিবেদন) পরিবর্তনের পথ বেছে নেন এ অভিনেত্রী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি মনসুর আলী পতৌদিকে বিয়ে করেন। শর্মিলার তিন সন্তানের মধ্যে সাইফ আলী খান, সোহা আলী খান, সারা আলী খান- প্রত্যেকেই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তার নামকরণ করা হয় আয়েশা।
অমৃতা সিং
জন্মসূত্রে শিখ ধর্মের অনুসারী ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিং। ১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর তার অভিনীত ‘সানি’, ‘মারদ’, ‘সাহেব’ ছবিগুলো দারুণ ব্যবসা সফল হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অভিনেতা সাইফ আলী খানকে বিয়ে করেন। যদিও বিয়েটি শেষ পর্যন্ত টেকেনি।
হ্যান্স রাজ হ্যান্স
জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক হ্যান্স রাজ হ্যান্স। হিন্দু ধর্মের হলেও নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। মূলত সুফি সংগীতের প্রতি আকৃষ্টতা থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয় তার। পরবর্তী সময়ে (কালের কণ্ঠ প্রতিবেদন) ইসলামের ইতিহাসের ওপর ব্যাপক পড়াশোনা করেন তিনি। ধর্ম পরিবর্তনের পর মদিনা সফরের পরিকল্পনা করছেন বলেও জানা গেছে। উল্লেখ্য, ‘আজা নাচলে’, ‘দিল টুটে টুটে’ প্রভৃতি জনপ্রিয় গানের গায়ক হ্যান্স।
জুভান শংকর রাজা
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ইলাইয়া রাজার পুত্র জুভান শংকর রাজা। কিন্তু শুধু পিতার নামেই পরিচিত নন জুভান। কম বয়সী গীতিকার হিসেবে তার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই প্রথম গানের (কালের কণ্ঠ প্রতিবেদন) কম্পোজ করেন তিনি। জুভানের পিতা ইলাইয়া রাজা ছিলেন কট্টর হিন্দু। মূলত কোরআন পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ইসলাম ধর্ম চর্চা শুরু করেন। পারিপারিকভাবে তার ধর্ম পরিবর্তনের বিষয় মেনে না নিলেও তিনি মুসলিম ধর্মে পথই বেছে নিয়েছেন।
আয়েশা টাকিয়া
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আয়শা টাকিয়া। পারিবারিকভাবে ভিন্ন ধর্মে বেড়ে উঠেছেন এ অভিনেত্রী। বাবা ছিলেন হিন্দু আর মা ছিলেন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান। হিন্দু হয়েও আয়েশা টাকিয়া দীর্ঘ সময় প্রেম করেছেন মুসলিম প্রেমিক ফারহান আজমির সঙ্গে। এরপর ২০০৯ সালে ওই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগেই আয়েশা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যদিও তিনি কখনো ওই ধর্মান্তরের বিষয়টি প্রকাশ করেননি। তবে তার ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মিকাইল আজমি নামে তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
সম্পর্কিত খবর

‘আমার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপ প্রসঙ্গে আইরিনের হুঁশিয়ারি
বিনোদন ডেস্ক

‘আলো আসবেই’ শব্দটি দেশের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত। গত বছর জুলাই আন্দোলনের সময় এই নামে শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে। আর সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন শোবিজের একদল শিল্পী। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সমালোচিত হয়েছিলেন সেই গ্রুপের সদস্যরা।
এ চিত্রনায়িকার দাবি, সেই রিপোর্টে তার নাম জড়ানো অনাবশ্যক ও বিভ্রান্তিকর।
তিনি আরো বলেন, ‘আন্দোলনের সময় নানাভাবে আমি আন্দোলনের পক্ষেই সোচ্চার ছিলাম। সরকারের নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে।’
কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন না জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেন, ‘আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে কখনও সম্পৃক্ত নই। আগেও ছিলামও না।
২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আইরিন আরও বলেন, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপে আমার কোনো সম্পৃক্ততার সুস্পষ্ট প্রমাণ যদি উপস্থাপন করতে না পারে। তাহলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ্যে আমার কাছে নিস্বার্থ ক্ষমা চাইতে হবে। দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। যদি তারা ক্ষমা না চায় তাহলে ওই বেসরকারি টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলসহ সংশ্লিষ্ট সবার নামে মানহানি মামলা দায়ের করব।
এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা। এরই মধ্য বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। মাঝে বেশ কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত থাকার পর গত বছর নির্মাতা সাইফ চন্দন পরিচালিত ‘দুনিয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেন আইরিন। সর্বশেষ তিনি নির্মাতা ইভান মনোয়ারের ‘ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প—কফিগার্ল’ নামের একটি শর্টফিল্মে কাজ করেছেন। বর্তমানে চলছে সম্পাদনা। শিগগিরই এটি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

মা হারালেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ
বিনোদন প্রতিবেদক

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের মা কিম ফার্নান্দেজ। রবিবার (৬ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রবিবার অভিনেত্রীর টিম সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে।
গত ২৪ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় জ্যাকলিনের মাকে।
জ্যাকলিন বাহরাইনের মানামায় জন্মে ছিলেন। বহুজাতিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি।
জ্যাকলিনের জীবনের একমাত্র ছায়াসঙ্গী তার মা কিম। তাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ অভিনেত্রী। এ তারকার অনুরাগীরাও শোকাহত। তবে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি জ্যাকুলিন।

লিখন চরিত্রটা না করতে পারলে আফসোস থেকে যেত: সুনেরাহ

ইমরুল নূর

ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দাগি’ সিনেমা ঈদের ষষ্ঠ দিনেও দাপটের সঙ্গে ব্যবসা করছে। দর্শকরা উন্মুখ হয়ে হলে ফিরছে ছবিটি দেখার জন্য। গল্প, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে পুরো টিম। তবে যারাই ছবিটি দেখেছেন তাদের রিভিউতে আলাদা করে স্পেশাল মেনশন পাচ্ছে ছবিটির ‘লিখন’ চরিত্রটি, যেটিতে অভিনয় করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল।
অভিনেত্রীর ভাষ্য, আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে যে বিষয়টি সেটি হলো, যারা সিনেমাটি দেখেছেন তারা এটিকে ওন করেছেন। এটা বুঝেছি তাদের রিভিউ দেখে। কারণ, কেউই স্পয়লার দেননি। কারণ, আমার চরিত্র বলেন বা অন্য কারো সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গেলে গল্পটাই রিভিল হয়ে যাবে।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে সুনেরাহ বিনতে কামাল বলেন, ‘এখানে আমার স্ক্রিনটাইম খুবই কম কিন্তু গল্পে চরিত্রটার ইমপেক্ট রয়েছে। শুরুর দিকে আমি কনফিউজড ছিলাম যে, চরিত্রটি করব কি না! তাছাড়া নিশো ভাইয়ের মতো সিনিয়র শিল্পী রয়েছেন, তার সঙ্গে পর্দায় আমাকে মানাবে কি না; এরকম কিছু বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম।
দর্শকের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘দর্শক যখনই পর্দায় আমাকে দেখছে তখনই হাসছে, প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
সুনেরাহ আরো বলেন, ‘সিনেমার গল্পটা এত ভালো ছিল এবং এখানে প্রত্যেকটা অভিনয়শিল্পী দারুণ অভিনয় করেছেন। গল্পটা শোনার পর আমি শুধু একজন শিল্পী হয়ে চরিত্রটা করতে চেয়েছি। এরকম একটা চরিত্র করার ইচ্ছে সবসময় ছিল। যার কারণে স্ক্রিনটাইম কম হলেও আমি সেটা করেছি। এটা না করতে পারলে হয়তো আফসোস থেকে যেত একটা সময়। একজন শিল্পী হিসেবে স্ক্রিনটাইমের চেয়ে চরিত্রটি গল্পে কিংবা দর্শক মনে কতটা প্রভাব ফেলল সেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যা আমি লিখনের মাধ্যমে পেয়েছি।’
প্রসঙ্গত, শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমাতে সুনেরাহ বিনতে কামাল ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তমা মির্জা, শহিদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, প্রীতি আলভি প্রমুখ।

‘তারা দেবের অনুরাগী কি না সন্দেহ’, আদালতে বয়ান দিলেন জিনিয়া
বিনোদন ডেস্ক

কয়েক মাস আগে টলিউড অভিনেতা ও সংসদ সদস্য দেবের অনুরাগীদের কাছে হেনস্তা হয়েছিলেন প্রযোজক-পরিচালক-অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছিল তাকে। সেই সময় তাঁর স্ত্রী এবং কাহিনি-চিত্রনাট্যকার জিনিয়া সেন প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বিষয়টি নিয়ে। এরপর তাকেও আক্রমণ করা হয়।
পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর ভবানী ভবনে ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এ তারকা দম্পতি। তারপর ফের শিবপ্রসাদ-পত্নীর অর্ধনগ্ন-বিকৃত ছবি ছড়ানো হয় অনলাইনে। তখন রবীন্দ্র সরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান দুজন।
এ বিষয়ে কলকাতার গণমাধ্যমকে জিনিয়া সেন জানান, গত জুলাইয়ে রাজ্যে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের কিনারা এখনো হয়নি। তার মধ্যেই তাঁর বিকৃত, অর্ধনগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ ধর্ষকামের পরিচায়ক।
জিনিয়ার কথায়, হুমকি আর কটাক্ষের মধ্যে সামান্য ফারাক। তিনি কটাক্ষের ঘোর বিরোধী।
‘দেব অনুরাগী’দের এ ধরনের কাজকর্ম প্রসঙ্গে জিনিয়া বলেন, যারা এমন কাজ করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষেই দেবের অনুরাগী কি না তার সন্দেহ রয়েছে। তার কথায়, দেব থাকলেও হয়তো একই পদক্ষেপ নিতেন।
২০২৪ সালে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘বহুরূপী’ সিনেমাটি ব্লকবাস্টার হয়। এর ঠিক পরপরই মুক্তি পায় দেবের ‘খাদান’। সেটিও বক্স অফিসে হিট হয়। তখনই শিবপ্রসাদকে আক্রমণ করে বসেন দেব অনুরাগীরা। আজেবাজে মন্তব্য করে হেনস্তা করতে শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখনই বিতর্ক দানা বাঁধে। যা শেষ পর্যন্ত গড়ায় আদালত পর্যন্ত।