প্রিয়তমা : যেমন দেখলাম

মিঠুন কুমার পাল
মিঠুন কুমার পাল
শেয়ার
প্রিয়তমা : যেমন দেখলাম

প্রিয়তমা দেখতে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে। হলে ছবি দেখলাম অনেক দিন পর। বিশেষ করে ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে সিনেমাটি। গিন্নিকে অন্য একটি ছবি দেখার কথা বললে সে এক বাক্যে বলে দিল প্রিয়তমা দেখবে।

আমি আর না করলাম না। রাজি হয়ে গেলাম। বিশেষ করে অনেক দিন পর শাকিব খানের মুভি দেখব, তাই আগ্রহটা ছিল।

শাকিব অভিনীত ও হিমেল আশরাফ পরিচালিত 'প্রিয়তমা' সিনেমাটা প্রথম দিকে সত্যি বলতে ভালো লাগেনি।

কেমন যেন তামিল মুভির মতো এলাকার মাস্তানদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, লড়াই দিয়ে শুরু। আমি অ্যাকশন মুভি কম দেখি বলে এমনটা মনে হতে পারে।

ছবিটা শুরু হওয়ার মিনিট বিশেক পরে পাশে বসে থাকা গিন্নি ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞেস করলাম, ফিলিংস কেমন? দুজনই এক বাক্যে বলে দিল, বিউটিফুল। আমার বিমর্ষ মুখ দেখে তারা হতাশ।

বলল, এত দারুণ একটা সিনেমা তোমার ভালো লাগছে না? আসলেই প্রথম দিকে আমার ভালো লাগছিল না। যার ছাপ ফুটে উঠেছিল আমার অবয়বে।

সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। আমি নিজেও যে পাল বংশের লোক। মূলত ইধিকা পাল বা সিনেমায় ইতি নামের মেয়েটির সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ।

তার আধো আধো ভাঙা ইংরেজি শুনে হেসে খুন। কেবল আমি না, পুরো হলজুড়েই হাসির রোল। আর ইতির ভাই যে অভিনয়টা করেছেন, এককথায় অসাধারণ। তার ভূমিকাটা শেষে গিয়ে হয়ে উঠেছিল আরো জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ। মূলত ছবির ক্লাইমেক্সটা ছিল ওখানেই। হঠাৎ করে কাহিনি ঘুরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এই ছবিতে ভয়ংকর মাদকের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। কক্সবাজার এলাকা ঘিরে মাদক ব্যবসা, তাদের গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন পরিচালক হিমেল আশরাফ। শহীদুজ্জামান সেলিম ও লুৎফর রহমান জর্জের অভিনয়টা কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এই দুজনের দ্বন্দ্ব শুরু হয় শাকিব খানের পরিবারকে কেন্দ্র করে। তারা হুমায়ূন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকেও অভিনয় করেছিলেন।

শাকিব খানের কক্সবাজার থেকে চলে আসা ও ইতির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা- এমন ঘটনা সিনেমায় অনেক দেখেছি। তাই ঘটনাটা যে মনে দাগ কেটেছে তা বলব না। দাগ কেটেছে শাকিব খানের শক্ত মনোবল, ইতিকে হারিয়ে তার অসংলগ্ন কথাবার্তা। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া। ‘বেইমান’ ইতিকে মনের চিলেকোঠায় জায়গা দিয়েও বিয়ের সিদ্ধান্ত, বিয়ের কেনাকাটা করতে তাকেই ডেকে পাঠানোতে বেশ নাটকীয়তা ছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি আমার জন্য আরো বড় সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে। ইতির মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছে, বাঁচবে আর তিন মাস। শাকিব খানের বিয়ের সিদ্ধান্ত বদল, ইতিকে বিয়ের সিদ্ধান্ত। কী নাটকীয়তা! শেষে ইতির মৃত্যুদৃশ্যটা কষ্ট লেগেছে। তবে এমন দৃশ্যের জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম। সেই ছেলেবেলায় দেখা ‘তেরে নাম’, পরে ‘মনপুরা’তে এ দৃশ্য দেখেছি।

ছবির একদম শেষে শাকিব খানের যে অবয়ব দেখলাম, এককথায় অনবদ্য। একদম চেনা যাচ্ছিল না। কলেজে পড়ার সময় আমাদের বাংলা স্যারের বলা হোসেন ভাইয়ের স্ত্রীর কবর জড়িয়ে বেঁচে থাকা, নকশি কাঁথার মাঠের রূপাইর কথা মনে পড়ে গেল আমার। আমার শ্বাস সত্যি বন্ধ হয়ে আসছিল। আমার কষ্ট হচ্ছিল খুব। আমার কষ্ট দেখে ওরা দুজনও কষ্ট পেল।

বাইরে বেরিয়ে ওদের বললাম, অসাধারণ এক মুভি দেখলাম। দারুণ। গিন্নি বলল, ছবিটা আমায় আবার দেখাবে? আমি বললাম, অবশ্যই। শ্যালিকাও মাথা নেড়ে সায় দিল। আমার মনে হয় এখানেই ছবিটার সার্থকতা। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মডেল মেঘনা আলম কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মডেল মেঘনা আলম কারাগারে
মেঘনা আলম। সংগৃহীত ছবি

মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের কারাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহের আদালত এ আদেশ দেন। আদালত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারার জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিকর কার্য থেকে নিবৃত্ত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে আবশ্যক অনুভূত হওয়ায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আটকাদেশ স্বাক্ষরের তারিখ থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তার অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়।

মন্তব্য

দুই কোটির ঘরে ‘দুই চাক্কার সাইকেল’

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
দুই কোটির ঘরে ‘দুই চাক্কার সাইকেল’
সংগৃহীত ছবি

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ অমি। গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন মডেলও। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলছেন। তার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়া ‘দুই চাক্কার সাইকেল’ গানটির ভিউয়ার ইতিমধ্যে দুই কোটি ছাড়িয়েছে।

বুধবার এই সংবাদটি গায়ক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে জানান দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন সালাউদ্দিন সাগর এবং সুর দিয়েছেন অমি নিজেই। প্রকাশের পর সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গানটি ট্রেন্ডিংয়ে ১ নম্বরে ছিল। দেশের জাফলংসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন দর্শনীয় লোকেশনে চিত্রায়িত গানটিতে মডেল হিসেবে সৈয়দ অমির সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তার স্ত্রী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি।

 

এই প্রথমবারের মতো ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি সিনেমায় প্লে­ব্যাক করছেন বাংলাদেশি এই গায়ক। ওপার বাংলার নির্মাতা জিৎ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘আড়ি’ সিনেমায় ‘মরুভূমি’ শিরোনামের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। গানটির কথা ও সুর করেছেন লিংকন রায় চৌধুরী, আর মিউজিক প্রগ্রামিংয়ে ছিলেন কেডি। 

আরো পড়ুন
মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

মেয়ের হবু স্বামীর সঙ্গে পালালেন মা

 

সৈয়দ অমি বলেন, “শ্রোতা এবং দর্শকদের ভালোবাসায় আমার ‘দুই চাক্কার সাইকেল’ গানটির ভিউ দুই কোটি ছাড়িয়েছে।

আমাকে এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। গাটনি শুনতে যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি অসাধারণ নাচের জন্য গানটি দেখতেও বেশ সুন্দর হয়েছে। এ দুইয়ের সমন্বয়ে গানটি দর্শক ও শ্রোতাদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়েছে।”

উল্লেখ্য, সৈয়দ অমির ‘মাতাল’ গানটি ভিউয়ের দিক থেকে ২০২৪ সালের সেরা ১০ গানের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিল। সে বছরই তার আরেক গান ‘দুই চাক্কার সাইকেল’ বেশ জনপ্রিয়তা পায়।

চলতি বছরের শুরুতে অমির মুক্তি পাওয়া ‘পরি পাইছি রে’ গানটিও ব্যাপক সাড়া ফেলে।

মন্তব্য

‘এড়িয়ে যেতে শিখেছি’, আমিরের সঙ্গে প্রেমের প্রসঙ্গে ফাতিমা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
‘এড়িয়ে যেতে শিখেছি’, আমিরের সঙ্গে প্রেমের প্রসঙ্গে ফাতিমা
ফাতিমা সানা শেখ ও আমির খান

বলিউড অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। ‘দঙ্গল’ দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছে যান এ অভিনেত্রী। নিজের প্রথম সিনেমায় আমির খানের সঙ্গে রীতিমতো ছক্কা হাঁকান। তবে তা কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার জীবনে।

কারণ ব্যাক্তি জীবনে আমিরের প্রেমিকা হিসেবে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে তাকে ঘিরে।

২০২১ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাও-এর সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টানেন আমির। যৌথভাবে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছিলেন তারা। সেই বিচ্ছেদের পরেই ফাতিমার সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল অভিনেতার।

‘দঙ্গল’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তারা। আমিরের কন্যার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফাতিমা। আমিরের পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রায় সবখানেই দেখা মিলত ফাতিমার। তখন থেকেই শুরু হয় প্রেমের গুঞ্জন।

আরো পড়ুন
প্রাপ্তবয়স্ক যে ছবিগুলো গল্পেও নজর কেড়েছে দর্শকের

প্রাপ্তবয়স্ক যে ছবিগুলো গল্পেও নজর কেড়েছে দর্শকের

 

যদিও আমিরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে অভিনেত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিকবার। তবে সম্প্রতি আমির খান নিজের তৃতীয় ভালোবাসার মানুষকে প্রকাশ্যে আনায় অনেকটা দায়মুক্তি পেলেন ফাতিমা। একসময় এই গুঞ্জন তার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে গিয়েছিল, এমনটাই জানিয়েছিলেন ফাতিমা। 

এক সাক্ষাৎকারে ফাতিমা বলেছিলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম, এক দল মানুষ যারা আমাকে চেনে না, তারা আমাকে নিয়ে লেখালিখি করছে। তারা জানেই না, যা লিখছে তা ঠিক, নাকি ভুল।

আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমিই উত্তর দিয়ে দিতাম।’

আরো পড়ুন
ঈদের যে নাটকগুলো তাদের চোখেও সেরা

ঈদের যে নাটকগুলো তাদের চোখেও সেরা

 

আমিরের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের জল্পনা মোটেই ভালোভাবে গ্রহণ করেননি অভিনেত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সত্যিই বিরক্তি লাগে। আমি চাই না, আমার ব্যাপারে ভুল ধারণা গড়ে উঠুক মানুষের মনে। কিন্তু এখন আমি এড়িয়ে যেতে শিখে গিয়েছি। তবে কোনো কোনো দিন আমার খুবই খারাপ লাগে।’

সম্প্রতি নিজের নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে এনেছেন আমির খান। গত ১৪ মার্চ নিজের ৬০ তম জন্মদিনের বিশেষ চমক হিসেবে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন নতুন প্রেমিকার সঙ্গে। গৌরী স্প্র্যাট বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। বেঙ্গালুরুতে একটি সেলুনের মালিক রীতা স্প্রেটের মেয়ে গৌরী প্রায় সারা জীবন এই শহরেই থেকেছেন। তার লিঙ্কডইন প্রফাইল বলছে, বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ে একটি বিব্লান্ট সেলুন চালাচ্ছেন। গৌরীর ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি আমিরকে ২৫ বছর ধরে চেনেন। আমিরের প্রডাকশন হাউসের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন গৌরী।

মন্তব্য

প্রাপ্তবয়স্ক যে ছবিগুলো গল্পেও নজর কেড়েছে দর্শকের

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রাপ্তবয়স্ক যে ছবিগুলো গল্পেও নজর কেড়েছে দর্শকের
বেসিক ইন্সটিংক্ট -এর একটি দৃশ্য

প্রাপ্তবয়স্ক ছবি বলতে আমরা বুঝি এমন কিছু ছবি যা সাধারণ বিনোদনের গণ্ডি পেরিয়ে যৌনতার সংবেদনশীল দিকগুলো খোলামেলাভাবে তুলে ধরে। প্রাপ্তবয়স্ক ছবিগুলো শুধু খোলামেলা দৃশ্যের জন্য আলোচিত হয়। তবে আজ এমন পাঁচটি ছবি নিয়ে প্রতিবেদন, যেগুলো প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হলেও এর গল্প মানুষের আবেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং সম্পর্কের জটিল দিক নিয়ে ভাবতে শেখায়। এই ছবিগুলো প্রমাণ করে যে, যৌনতা ও সম্পর্ক নিয়ে পরিপক্ব আলোচনা করতে হলে সাহসী গল্প বলা জরুরি।

গল্প, নির্মাণশৈলী ও অভিনয়ের জন্য দর্শকদের মনে আলাদা ছাপ ফেলেছে এই পাঁচ ছবি।

5

আইস ওয়াইড শাট (১৯৯৯)
ডাক্তার বিল হারফোর্ড (টম ক্রুজ) এবং তার স্ত্রী অ্যালিস হারফোর্ড (নিকোল কিডম্যান) নিউ ইয়র্ক শহরের উচ্চবিত্ত সমাজের সুখী দম্পতি। এক পার্টির রাতে কিছুটা মাতাল অবস্থায় অ্যালিস স্বীকার করেন, একসময় তিনি অন্য একজন অপরিচিত নৌবাহিনীর অফিসারের জন্য তীব্র আকর্ষণ অনুভব করেছিলেন এবং স্বামীর সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়ারও মানসিকতা ছিল। অ্যালিসের এই অকপট স্বীকারোক্তি বিলকে মানসিকভাবে আলোড়িত করে তোলে।

এখান থেকে বিলের মধ্যে সন্দেহ, কৌতূহল এবং পুরুষসুলভ ইগোর সংঘাত শুরু হয়। তিনি রাতভর শহরে ঘুরে বেড়ান এবং নানান ধরণের প্রলোভন এবং রহস্যের সম্মুখীন হন। 

এই মনস্তাত্ত্বিক প্রাপ্তবয়স্ক থ্রিলারটি শুধুমাত্র যৌনতার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং মানুষের সম্পর্ক, কামনা এবং অবচেতনের জটিল দিকগুলোর অন্বেষণ করেছে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সন্দেহ, কৌতূহল এবং ইচ্ছার সংঘাত সিনেমাটিতে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।

সিনেমার ধীরগতির কাহিনি ও রহস্যময় পরিবেশ এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। স্ট্যানলি কুব্রিকের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ ও নিকোল কিডম্যান।

5

ব্লু ইজ দ্য ওয়ার্মেষ্ট কালার (২০১৩)
অ্যাডেল নামের এক কিশোরীর গল্প, যে নিজের যৌন পরিচয় এবং ভালোবাসা খুঁজে পাওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যায়। অ্যাডেল একটি সাধারণ উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। প্রথমদিকে সে নিজের অনুভূতি নিয়ে দ্বিধায় থাকে, কারণ তার ছেলেবন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কটা যেন কোথাও আটকে আছে।

এরপর অ্যাডেলের জীবনে আসে এমা। প্রথম দেখা থেকেই অ্যাডেল ভেতরে ভেতরে কিছু টের পায়, যেন এই মেয়েটি তার জীবনে বিশেষ কিছু। ধীরে ধীরে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা পরে রূপ নেয় প্রেমে।

এটি শুধুমাত্র একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং আত্ম-আবিষ্কারের একটি সংবেদনশীল যাত্রা। সাহসী, খোলামেলা এবং বাস্তবধর্মী। সিনেমার দীর্ঘ এবং স্পষ্ট যৌন দৃশ্য অনেক বিতর্কের জন্ম দিলেও, এটি মূলত চরিত্রের গভীর সংযোগ এবং আবেগের পরিপূর্ণতা তুলে ধরার মাধ্যম। আব্দেললতিফ কেচিচের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন লি সিডক্স, অ্যাডেল এক্সারচপোলস, জেরেমি লাহের্ত প্রমুখ।

5

বেসিক ইন্সটিংক্ট (১৯৯২)
এই সিনেমাটি ইরোটিক থ্রিলারের এক কালজয়ী ক্লাসিক। ডগলাস এবং স্টোনের দুর্দান্ত রসায়ন এবং গল্পের টানটান উত্তেজনা সিনেমাটিকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের এক প্রখ্যাত রকস্টারকে নৃশংসভাবে হত্যা করার মাধ্যমে সিনেমার গল্পের শুরু। তদন্তের দায়িত্ব পড়ে গোয়েন্দা নিক কারান (ডগলাস)-এর ওপর। খুনের ধরন এতটাই ঠাণ্ডা মাথায় ঘটানো যে, সন্দেহের তীর দ্রুতই ঘুরে যায় নিহত ব্যক্তির প্রেমিকা এবং রহস্যময় লেখিকা ক্যাথরিন ট্রামেল (শ্যারন স্টোন)-এর দিকে।

রহস্যময় লেখিকা ক্যাথরিন ট্রামেলের চরিত্রে শ্যারন স্টোন এক অনন্য ছাপ ফেলেছেন। সিনেমার বিখ্যাত সেই ‘ইন্টারোগেশন সিন’ আজও আলোচনার বিষয়। চিত্রনাট্য এবং পটভূমির গা ছমছমে পরিবেশ দর্শককে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখে। পল ভারহোভেন পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মাইকেল ডগলাস এবং শ্যারন স্টোন।

5

দ্য ড্রিমারস (২০১৩)
১৯৬৮ সালের গল্প। সিনেমাপ্রেমী এক আমেরিকান তরুণ ম্যাথিউ, পড়াশোনার জন্য প্যারিসে এসেছে। সেখানেই তার পরিচয় হয় জমজ ভাইবোন থিও এবং ইসাবেল-এর সঙ্গে। তারা দুজনও চলচ্চিত্র এবং শিল্প-সাহিত্যের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত। একদিন ম্যাথিউ জানতে পারে, থিও ও ইসাবেলের বাবা-মা শহরের বাইরে যাচ্ছেন। তারা ম্যাথিউকে আমন্ত্রণ জানায় তাদের বাসায় কয়েকদিন থাকার জন্য। এই সুযোগেই তিনজনের মধ্যে তৈরি হয় এক অদ্ভুত, অন্তরঙ্গ এবং অনন্য বন্ধন। ধীরে ধীরে তাদের কথোপকথন, উষ্ণতা আর চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনা এক প্রকার সাহসী এবং পরীক্ষামূলক সম্পর্কের দিকে মোড় নেয়। তিন তরুণ-তরুণী তাদের যৌবনের কৌতূহল ও স্বাধীনতার খোঁজে যৌনতা, ভালোবাসা এবং পরিচয়ের সীমা পেরিয়ে যায়। 

পরিচালক বার্তোলুচ্চি তাঁর নান্দনিক পরিচালনার মাধ্যমে যৌনতা ও মুক্তচিন্তার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন অনন্যভাবে। এতে অভিনয় করেছেন ইভা গ্রিন, লুইস গ্যারেল ও মাইকেল পিট।

Nymphomaniac (2013) | "This Film Should Be Played Loud"

নিম্ফোম্যানিয়াক (২০১৩)
যৌনতা আর বাস্তবতার গল্পকে নির্মাতা বেঁধেছেন এক সূতায়। গল্পের প্রধান চরিত্র জো ধীরে ধীরে তার জীবনের সব অধ্যায় বলতে শুরু করে। শৈশব থেকে কৈশোর, তারপর প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি ধাপেই যৌনতা তার জীবনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়। ছোটবেলা থেকেই সে বুঝতে পারে, সে সাধারণ নয়— তার মধ্যে আছে তীব্র যৌন আকর্ষণ। জো’র প্রথম যৌন সম্পর্ক, বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে অধিক সংখ্যক পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার খেলা— এসবের মধ্যে দিয়ে গল্প এগোতে থাকে।

পর্দায় যৌনতার সব সীমারেখা পার করা এ সিনেমা নিছক কোনো যৌনতার সিনেমা নয়, বরং এটি এক নারীর যৌন-আবিষ্কারের গভীর আত্মজৈবনিক উপাখ্যান। গল্পের গাঁথুনি এবং দার্শনিক কথোপকথন সিনেমাটিকে প্রাপ্তবয়স্ক সিনেমার চেয়েও বেশি কিছুতে পরিণত করেছে। লার্স ভন ট্রিয়ায়ের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন চারলট গেইনসবর্গ, মিয়া গথ, লেসি মার্টিন, উইলিয়াম ড্যাফো প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ