<p>ঢাকায় থেকে সেন্ট মার্টিন, সবখানেই সংকটে দেশের প্রাণীকুল। কখনো বিষ প্রয়োগে মারা পড়ছে কখনো না খেয়ে। তবে প্রাণী কুলের এমন সংকটে সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছেন কিছু মানুষ। তাদেরই একজন অভিনেত্রী নওশাবা। প্রাণি অধিকারের প্রশ্নে সাম্প্রতিক সংকটসমূহের সমাধানে এগিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। তার সমন্বয়ে প্রাণী কল্যাণ ও প্রাণী অধিকার কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা নিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তারা। এ তালিকায় ছিলো টুগেদার উই ক্যান, পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার (প) ফাউন্ডেশন, এভিয়ান ট্রিটমেন্ট সেন্টার বাংলাদেশ ও ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিবৃন্দ।</p> <p>কদিন আগে জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষপ্রয়োগে পথ কুকুর ও বিড়াল হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে প ফাউন্ডেশন ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের উদ্যোগে আদাবর থানায় জিডি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুততম সময়ে তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জন্য স্বয়ং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং ময়নাতদন্তের সময় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সশরীরে উপস্থিত থেকে তদারক করেন। পরবর্তী  আইনী পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রতিনিধিদল জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ রেয়াজুল যতদ্রুত সম্ভব ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বের করে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান। তিনি প্রাণির প্রতি নৃশংসতা বন্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদানের দৃষ্টান্ত স্থাপন এবং সচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যক্রম গ্রহণে গতিশীলতার আশ্বাস দেন।</p> <p>এছাড়া আলোচনায় প্রাণিকল্যাণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাণীর প্রতি কোন নিষ্ঠুরতার অভিযোগের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণে গতিশীলতাসহ প্রাণী কল্যাণ ও প্রাণী অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রাণিকল্যাণ সংস্থাগুলোর সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান উপস্থিত প্রাণিকল্যাণ কর্মীরা। সভায় কাজী নওশাবা আহমেদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা জনাব জাফর ইকবাল ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান, টুগেদার উই ক্যান এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা: অমিত সিনহা ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য অনীক চৌধুরী, এভিয়ান ট্রিটমেন্ট সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা সিফাত ই রাব্বানী‌ এবং ডিপ ইকোলজির পরিচালক সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া।</p>