দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। তিনি বাংলা সিনেমা এবং অডিও গানের জগতে সুপরিচিত। তার আছে দলছুট নামের ব্যান্ডও। সেই ব্যান্ড নব্বই দশক থেকেই শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছে।
দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এবং সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। তিনি বাংলা সিনেমা এবং অডিও গানের জগতে সুপরিচিত। তার আছে দলছুট নামের ব্যান্ডও। সেই ব্যান্ড নব্বই দশক থেকেই শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছে।
‘মিউজিক্যাল মাইন্ডস’ নামে একটি পেজ করেছিলেন। হঠাৎ সেটি বন্ধও করতে চেয়েছিলেন, কেন?
যে ভাবনা থেকে পেজটি শুরু করেছিলাম, সেটা পূরণ হচ্ছিল না। এক কথায় যেমন রেসপন্স আশা করেছিলাম, তেমনটা পাচ্ছিলাম না। মনে হলো, আমার ভাবনাগুলো, গান নিয়ে পরিকল্পনাগুলো হয়তো মানুষ পছন্দ করছেন না।
‘দ্য কেজ’ রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক আপনি। শোটি কেমন হয়েছে?
একটা দারুণ রিয়ালিটি শো হয়েছে। আমি অতিথি বিচারক হয়েছি। ফলে মার্কিংয়ের বিষয়টা ছিল না। আমি শুধু ভালোকে ভালো আর মন্দকে আরো ভালো করার অনুপ্রেরণা দিয়েছি। তবে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো। এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী। দারুণ কিছু সাউন্ড পেলাম। এদের প্রপার স্কুলিংটা করাতে পারলে আগামীর বাংলাদেশ ভালো ভালো ব্যান্ড পাবে।
অনেক দিন চলচ্চিত্রের গানে আপনাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
হয়তো চলচ্চিত্রের গানে আমার বাজার কম (হা হা হা)। আসলে ডাক পাই না সেভাবে। আমি সংগীতের সঙ্গে আছি। অডিও, চলচ্চিত্র, জিঙ্গেল, ওয়েব ছবি, ওয়েব সিরিজ—সব মাধ্যমেই তো কাজ করতে চাই। যখন যেখানে ডাক পাব অবশ্যই সাড়া দেব। অনেকে বলেন, এখন চলচ্চিত্রের গানে বাজেট কমে গেছে। হতে পারে সে কারণে প্রযোজক-পরিচালক আমাকে ডাকেন না।
একটা গজলের প্রজেক্ট করছেন। কতটি গান তৈরি হয়েছে এখন পর্যন্ত?
দুটি গান তো প্রকাশিত হয়েছে। আরো চারটি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। একটা তো আমি আর রুনা লায়লা ম্যাডাম গেয়েছি। রুনা ম্যাডাম এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরলেই গানটির ভিডিও শুট করব। এরপর প্রকাশ করব। বাকি তিনটি গেয়েছে তানভীর আলম সজীব, টিনা রাসেল ও সোমনুর মনির কোনাল। প্রাথমিকভাবে আমরা আটটা গান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরের সিজন হলে আরো আটটি গান হবে।
রুনা লায়লার সঙ্গে গান গাওয়ার পর বলেছেন, ‘আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন।’ এমন আর কেউ আছেন, যার সঙ্গে গাইতে পারলে খুশি হতেন?
রুনা ম্যাডামরা গানের জগতের কিংবদন্তি। তাঁদের সঙ্গে গাইতে পারাটা অনেক গর্বের। আমি দেশের বেশির ভাগ গুণীজনের সঙ্গে কাজ করেছি। নকীব ভাই, পিলু ভাই, কুমার বিশ্বজিৎ দাদাদের সঙ্গে বেশ কিছু গান করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। নিজের কাছে তৃপ্তি লাগে, যখন ভাবি দেশের এই কিংবদন্তিদের সঙ্গে কাজ হয়েছে। আলাদা করে আর কারো নাম বলতে চাই না। ইচ্ছা রয়েছে, এসব গুণীজনের সঙ্গে আরো বেশি বেশি কাজ করার।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে গানে আছেন। লক্ষ্য করেছেন কি না হঠাৎ ইউটিউবে বাংলা গানের ভিউ কমে গেছে। আগের মতো শ্রোতাদের মুখে মুখেও গান ফিরছে না। এর থেকে উত্তরণের উপায় কী?
ইউটিউবের ভিউ নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই। তবে শ্রোতাদের মুখে মুখে গান শোভা পাচ্ছে না এটা চিন্তার বিষয়। এখন গানের ধরন বদলে গেছে। খেয়াল করেছেন কি না! গানের কথায় এখন আর সেই কাব্য নেই। কি সব কথা দিয়ে গান হচ্ছে সেটা খোলামেলা না বললেও বুঝতে পারছেন। গান একটা শৈল্পিক বিষয়। এখানে বাজার চাহিদা বলে কিছু নেই। বাজার চাহিদার নামে সস্তা কথার গান করলে বড়জোর এক সপ্তাহ চলবে। এক যুগ, দুই যুগ তো দূরের কথা, এক বছরও মানুষ মনে রাখবে না। গানের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের কাছে অনুরোধ, প্লিজ, গানের কথার দিকে নজর দেন। নইলে আগামীতে বাংলা গানের বাজার আরো মন্দা হবে।
সম্পর্কিত খবর
প্রয়াত লাকী আখন্দের সুরে একটি দেশের গান নিয়ে আসছেন কিংবদন্তি শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। তার সঙ্গে আরো আছেন শিল্পী সাঈদা শম্পা। গানটির শিরোনাম, ‘দেখেছি সে তোমাকে’। গোলাম মোর্শেদের কথায় গানটির সংগীতায়োজন করেছেন মানাম আহমেদ।
ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “যখন শুনেছি গানটি লাকী আখন্দের সুরে তখন আর না করতে পারিনি। পরে গানটির কথা ও সুর শুনে দারুণ মুগ্ধ হয়েছি। অনেক দিন পর এমন একটি দেশের গান করতে পেরে ভালো লাগছে। অনেকেই হয়তো জানে না আমার কালজয়ী গান ‘আগে যদি জানতাম, মন ফিরে চাইতাম’ গানটিও লাকী আখন্দের সুরের গান।
গীতিকার গোলাম মোর্শেদ বলেন, ব্রিটিশ শাসনের আমল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সময় পর্যন্ত বাঙারি সত্তা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে কেবলমাত্র বাংলাকে ভালোবেসে জীবনকে উৎসর্গ করেছেন যারা, তাদের নিয়ে এই গান।
শম্পা বলেন, ‘এমন খ্যাতিমান ভারী ভারী মানুষদের সম্মিলনে তৈরি গানটিতে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি নিজে অনেক সম্মানিত বোধ করছি, শুধু সেটা নয়, স্বপ্নে আছি নাকি বাস্তবে আছি সেটা পরখ করতে নিজের শরীরে নিজে চিমটি কেটে দেখার মতো অবস্থা হয়েছিল। আনন্দের মাত্রা ছিল ঠিক তেমনি, আমার জন্য।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৪ মার্চ ‘গান জানালা’র ইউটিউব চ্যানেলে গানটি অবমুক্ত হবে।
অপরিচিত দুটি ছেলে-মেয়ের এক হঠাৎ জার্নি আর সেই জার্নিতে ঘটতে থাকে নানা রকম ঘটনা। সেই ঘটনাগুলো কী বলতে চায়—এমন গল্পের আভাসেই নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘হাউ সুইট’।
এর মধ্যে ফিল্মটির টিজার, ট্রেলার এবং একটি গান উন্মুক্ত হয়েছে, যা দর্শকরা লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি।
দর্শকদের পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে ‘হাউ সুইট’, এমনটাই জানালেন এর পরিচালক। ৯০ মিনিট ব্যাপ্তির এই ওয়েব ফিল্মে রোমান্স, অ্যাকশন, কমেডি, নাচ-গান সব কিছুই রয়েছে।
‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ খ্যাত এই নির্মাতা বলেন, ‘হাউ সুইট’ একটা গুড ফিল, অর্থাৎ মন ভালো করার মতো কনটেন্ট, একটা হ্যাভ ফান কনটেন্ট যেখানে একটু রোমান্স, একটু কমেডি, একটু অ্যাকশন থাকবে। দর্শকরা ঘরে বসে যেন একটু সিনেমাটিক এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারে সে জন্যই ওটিটিতে কনটেন্টটি করেছি।
তিনি আরো বলেন, দর্শক এই ঈদে তাদের ওয়াচলিস্টে ‘হাউ সুইট’কে এগিয়ে রাখবে।
কনটেন্টের ব্যাপ্তি অনেক সময় বেশি দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
‘হাউ সুইট’-এর ব্যাপ্তি ৮৬ মিনিট, এন্ড টাইটেল মিলিয়ে ৯০ মিনিট। দর্শকের এক সেকেন্ডও বিরক্ত লাগবে না, বরং তারা বলবে আরো ১০ মিনিট বেশি হলে ভালো হতো।
বঙ্গ প্রযোজিত ‘হাউ সুইট’ মুক্তি পাবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে। এতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ, পাভেল প্রমুখ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, ‘প্রয়াত টলিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা হরনাথ চক্রবর্তী!’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে টলিপাড়ায় হইচই শুরু হয়ে যায়।
এর পর এক ফেসবুক পোস্ট দিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় জানান যে, খবরটি ভুয়া।
এর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকাল যে কোনো কিছু লিখে দিয়ে ভিউ বাড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। মানসিকভাবে অত্যন্ত আহত হয়েছি এমন খবরে।
এর পর পরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগে গত ১৮ তারিখ এসএসকেএম হাসপাতালে তার স্ত্রী রাজশ্রী চক্রবর্তী মারা যান।
বললেন, সেই খবর অনেকেই জানতে পেরেছিলেন।
প্রসঙ্গত, হরনাথ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন অঞ্জন চৌধুরীর সহকারী পরিচালক হিসেবে। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র হল মঙ্গলদ্বীপ (১৯৮৯)। তার পরিচালিত সাথী (২০০২) বাংলার তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০টি একক নাটক ও একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন নির্মাতা এস আই সোহেল। নাটকগুলো প্রযোজনা করেছেন পিএফএফ এন্টারটেইনমেন্ট, কেএসআর মাল্টিমিডিয়া, ফখরুল ইসলাম ও থ্রি স্টার ড্রামা।
নাটকগুলো হলো পিতার মতো শ্বশুর, ৫ টাকার কয়েন, সাইকো ম্যান, চাটগাইয়া বউয়ের ঠেলা, লতিফের সুন্দরী বউ, প্রবাসীর লাশ, আইল ঠেলা মুসুল্লি, শ্বশুরবাড়ি বরিশাল, শ্বশুরের খেদমত, প্রাক্তনের প্যারা। গল্পগুলো রচনা করেছেন তরিকুল ইসলাম তারেক ও সজিবুর রহমান পিন্টু।
নাটকগুলোতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শেলী আহসান, তন্ময় সোহেল, সাব্বির আহমেদ, একে আজাদ, মীম চৌধুরী, সামান্তা পপি, নেহা মনি, নওশীন নাহার, ফারজানা উর্মি, শিশির আহমেদ, নাবিলা চৌধুরী, রেশমি আহাম্মেদ, আনোয়ার শাহী, এম কে এইচ পামির, শিবা শানু, জিনিয়া যিনি, নাবিলা চৌধুরী, শিশির আহমেদ, ইমরান আজান, টি.এ. তুহিন খান, একে আলামিন, ইভা রহমান, টিটু বাঙ্গালী, লিটন, মাইমুনা মম, সাবিনা রনি, নাহার নৌরিন আরও অনেকে।
এর বাইরে এসআইসোহেল ‘রঙিন ফিলিংস’ নামে একটি বিগ বাজেটের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল এবং শাহরিয়ার রাফাত। গানটির গীতিকার সুদীপ কুমার দীপ।