নারী একটা পরিবারের স্তম্ভ, অনুপ্রেরণা। তাদের প্রতি সম্মানার্থেই একটি দিনকে আলাদাভাবে স্মরণ করা হয়। ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।
অপু বিশ্বাস
প্রত্যেকটা নারীকে মায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্মান করা উচিত

ইমরুল নূর

• আধুনিক যুগে নারীরা দুরন্ত হয়ে এগিয়ে চলছেন। এর পরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা নানা রকম প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন। এটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আমরা ভাবছি নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন, আসলেই কি এগিয়ে যাচ্ছেন? কোনো না কোনো কারণে আমাদেরকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমরা নারীরা এগিয়ে যাচ্ছি ভাবছি বা এগিয়ে গিয়ে কাজও করছি।
• পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অবদানকে কিভাবে মূল্যায়ন করা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
প্রত্যেকটা পুরুষের কাছে যেমন তার মাকে শ্রদ্ধার জায়গায় রাখা উচিত, একজন নারীকেও ঠিক সেই জায়গায় রাখা উচিত। একজন নারীর পরিচয় কিন্তু কারো মা, কারো সন্তান আবার কারো স্ত্রী। আমার কাছে মনে হয়, বেলা শেষে নারীর একটিই পরিচয়, আমরা মা। মাকে যে দৃষ্টিকোণ থেকে সম্মান করা উচিত, প্রত্যেকটা নারীকেও সেভাবেই সম্মান দেওয়া উচিত।
• শোবিজ নারীদের জন্য কতটা সহায়ক বলে আপনার মনে হয়?
এই বিষয়ে আমি কোনো মত পোষণ করতে চাই না। তবে এটা বলতে চাই, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের সমাজে পোশাকের বিচরণটা অনেক বেশি সাহসিকতার পর্যায়ে চলে গেছে। এই জায়গাটা একটু হলেও সংযত করা দরকার বলে আমি মনে করছি। আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে আমরা বাংলাদেশি, আমরা বাঙালি। একবাক্যে যদি বলি, আমাদের বাংলাদেশ যেই ধর্মকেন্দ্রিক দেশ সেই জায়গা থেকে বিচরণটা সংযত করা উচিত।
• কাজের সুবাদে একজন নারীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পুরুষের মুখোমুখি হতে হয় কিংবা কাজ করতে গিয়ে অনেক পুরুষের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের বন্ধু হিসেবে নারীরা কতটা নিরাপদ বলে মনে করেন আপনি?
এটা নির্ভর করে ব্যক্তির ওপর, তার মানসিকতা কেমন সেটার ওপর। এটা মানুষ ভেদে ভিন্ন হয়। যেমন ধরেন- আমার বাবা-মা কেউই পৃথিবীতে নেই। তাদের সম্মান রক্ষা করা মানেই কিন্তু আমি সম্মানিত হওয়া। আমি সম্মানিত হওয়া মানে মৃত্যুর পরও সে সম্মানটা তাদের ক্যারি করা। সেই জায়গা থেকে আমি যেহেতু অভিনেত্রী পাশাপাশি একজন স্ত্রী ও একজন মা; সেই জায়গা থেকে এই সম্মান ক্যারি করাটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
• দীর্ঘ ক্যারিয়ার আপনার, এ পর্যন্ত আসতে নিশ্চয়ই নানা চরাই-উতরাই পার করতে হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আপনি কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছিলেন কি, হলেও সেটা কিভাবে প্রতিকার করেছেন?
আমার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে সবার প্রিয় শাকিব খানের সঙ্গে, যে আমার সন্তানের বাবা এবং আমার স্বামী। সেই তখন থেকে অর্থাৎ প্রথম দিন থেকে সে (শাকিব) বিভিন্নভাবে আমার কেয়ার করে আসছে। সেই সুবাদে তার সঙ্গে কাজ করতে করতে নিজের একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে। একটা অবস্থান তৈরি হয়ে যাওয়ার পর পরিবেশটা একদম নিজের মধ্যে থাকে। সিনিয়র পার্সোনালিটি এবং সবার কাছে সম্মানের জায়গাটা থাকার কারণে আমাকে কখনোই কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়নি। সেদিক থেকে আমি অনেক বেশি ভাগ্যবতী।
সম্পর্কিত খবর

নিউ ইয়র্কে জায়েদ খানের অন্যরকম বৈশাখ উদযাপন
- ঘণ্টাব্যাপী ট্রাকে করে র্যালি করেন জায়েদ খান
মেয়েরা নাম ধরে ডাকছিল আর নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছিল আমাকে
বিনোদন প্রতিবেদক

দেশে কিংবা দেশের বাইরে, জায়েদ খান যেখানেই যান সেখানেই একটা আলাদা পরিবেশ তৈরি করে ফেলেন। গান হোক, নাচ বা ডিগবাজি—পুরো আলো নিজের দিকে নিয়ে নেন।
এবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে অনুষ্ঠিত বাংলা নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন জায়েদ খান। এছাড়াও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তিনি অংশ নিয়েছিলেন ‘বাংলাদেশি প্যারেড’-এ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ সোসাইটি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ট্রাকে করে র্যালি করেন জায়েদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আগত অনেক বাংলাদেশি শিল্পীদের সাথে দেখা হয় এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটান বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে জায়েদ খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবারের পহেলা বৈশাখে খুব সুন্দর একটা সময় কেটেছে। এখানে নববর্ষ বরণ তারপর ‘বাংলাদেশি প্যারেড’-এ অংশ নিয়ে ট্রাকে করে জ্যাকসন হাইটসের রাস্তায় বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে র্যালি করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়েছে। দেবাশীষ দা, প্রতিকসহ অনেকেই ছিল, একসঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি। অনেক গল্প করেছি।’
ঈদের পর পহেলা বৈশাখটাও বেশ দারুণভাবেই কাটিয়েছেন বলে জানান জায়েদ খান।
ঈদের দিনই সিনেমা দেখেছেন জানিয়ে জায়েদ খান বললেন, ‘ছোটবেলায় পিরোজপুরে উৎসবগুলোতে মেলার স্টল থেকে টাকা জমিয়ে জমিয়ে সেই টাকা দিয়ে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। এবারও ঈদের দিনই সিনেমা দেখেছি, ‘সিকান্দার’। যেহেতু আমি সালমান খানের অনেক বড় একজন ভক্ত। আর দেশি সিনেমা তো এখনও এখানে মুক্তি পায়নি, আগামী সপ্তাহে আসবে। সবগুলো ছবিই দেখব।’

৪৫ কোটি পেরিয়ে সানির ‘জাট’
বিনোদন ডেস্ক

সদ্য মুক্তি পাওয়া সানি দেওলের ‘জাট’ বেশ ভালো ব্যবসা করছে। ৫ দিনেই ৪৫ কোটির ঘর পেরিয়ে গেল। অন্যদিকে ঈদে মুক্তি পাওয়া
সালমান খানের ‘সিকান্দার’-এর আয় পাল্লা দিয়ে কমছে।
ট্রেড ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার ‘জাট’ ছবির আয় কিছুটা কমেছে, তবে সপ্তাহের প্রথম দিন হওয়া সত্ত্বেও ৭-৭.৫ কোটি নেট আয় করেছে।
যদিও তা সানির আগের হিট ছবি ‘গদর ২’ এর মতো চমকপ্রদ নয়, যা ভারতে পাঁচ দিনে ২২৮.৯৮ কোটি আয় করেছিল, তবুও ‘সিকন্দার’ বা ‘গুড ব্যাড আগলি’র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় স্থিরভাবে টিকে আছে।
‘জাট’ প্রযোজনা করে মিথ্রি মুভি মেকারস এবং পিপল মিডিয়া ফ্যাক্টরি। সানি দেওল ছাড়াও ছবিতে রণদীপ হুদা এবং রেজেনা ক্যাসান্ড্রা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এবং সাইয়ামি খের, জগপতি বাবু, রম্যা কৃষ্ণন, ভিনীত কুমার সিং, প্রশান্ত বাজাজ, জারিনা ওয়াহাব, পি. রবি শংকর এবং বাবলু পৃথ্বীরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

হানি ট্র্যাপে ফেলে পরিচালককে অপহরণ, ৩ জনের কারাদণ্ড
বিনোদন ডেস্ক

পাকিস্তানের জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার খালিল-উর-রহমান কামারকে জড়িয়ে ‘হানি-ট্র্যাপ ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণ’ মামলায় জড়িত আমনা উরুজসহ তিনজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি)। সোমবার (১৪ এপ্রিল) এটিসি বিচারক আরশাদ জাভেদ এই রায় ঘোষণা করেন, যা আদালত এর আগে এই উচ্চপ্রোফাইল মামলায় রায় সংরক্ষণ করার পর ঘোষণা করল।
নাট্যকার খলিলুর রহমানকে অপহরণের পরিকল্পনার জন্য কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আমনা উরুজ, মামনুন হায়দার এবং জিশান। এদিন মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য কয়েকজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, গত বছরের জুলাইয়ে নাট্যকার খালিল-উর-রহমানকে লাহোরের একটি বাড়িতে একজন নারী প্রলুব্ধ করে নিয়ে যান। ওই নারী নিজেকে তার ভক্ত দাবি করেছিলেন এবং একটি সঙ্গে চিত্রনাট্য সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ভোর চারটা ৪০ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর আমনা উরুজ স্বাগত জানান নাট্যকারকে। এর কিছুক্ষণ পরই একটি সশস্ত্র দল ঘরে প্রবেশ করে খালিল-উর-রহমানের শরীর তল্লাশি করে এবং তার কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, আইফোন ১১ সিরিজের একটি মোবাইল ফোন, ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জব্দ করে।
অপহরণকারীরা খালিল-উর-রহমানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখেরও বেশি অর্থ উত্তোলন করে নেয়। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা অর্থ দাবি করে সশস্ত্র দলটি। তারা জানায়, মুক্তিপণ না দিলে হত্যা করা হবে তাকে।
এ ঘটনার কিছুদিন পর বিস্তারিত সব এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন নাট্যকার খালিল-উর-রহমান।

এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি : শাওন
বিনোদন ডেস্ক

রাষ্ট্র নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন আটক হয়েছিলেন গত ৬ ফেব্রুয়ারি। পরদিন ছাড়াও পেয়েছেন। এরপর এক মাস দেশের কোনো জরুরি ইস্যু নিয়ে সেভাবে লিখতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। তবে এবার পহেলা বৈশাখ নিয়ে লিখলেন শাওন।
আনন্দবাজারে শাওনের দীর্ঘ একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ক্ষোভ। শাওন লিখেছেন, ‘এমন দমবন্ধ করা, অবরুদ্ধ পহেলা বৈশাখ দেখিনি। কখনো দেখব বলেও আশা করিনি।
বৈশাখের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে শাওন বলেন, ‘চারপাশে বৈশাখের নাম পরিবর্তন নিয়ে নানা কথা শুনছি। তবে এর বীজটা মনে হয় আগে থেকেই রোপণ করা হয়েছিল। এখন নামের মধ্যেও ধর্ম খুঁজে বের করা হচ্ছে। ‘আনন্দ’ শব্দটার মধ্যেও চাইলে অনেক কিছু খুঁজতে পারেন।
তবে বৈশাখ উদযাপন করবেন জানিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘এত কিছুর মধ্যে আমি নিজের পরিবার ও কিছু প্রিয় মানুষকে নিয়ে উৎসব উদ্যাপন করব। সবটাই বাড়িতে। যেকোনো উৎসবের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। তবে ইলিশ-পান্তা খাবার পক্ষপাতী নই সেভাবে। বরং অনেক ধরনের ভর্তা ও দেশীয় মাছ খেতে ভালোবাসি। আসলে এই দিনটাতে ঘরটাকেও সেভাবে সাজাব। নিজের ও ঘরের মধ্যে সেই দেশীয় সাজকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকি।’
দেশকে নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখেন জানিয়ে শাওন লেখেন, “মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে। তবে তার পরেও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ছাড়ি না। ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখি। তবে একটা জিনিস বড্ড ভাবায়। বাংলাদেশে ‘মব সংস্কৃতির’ চল শুরু হয়েছে, যাকে বলা হয় ‘উত্তেজিত জনতা’। তবে এটাও ঠিক, জনতা নিজে নিজে উত্তেজিত হয় না। পেছনে কোনো না কোনো ইন্ধন থাকে। আমি চাই এই ‘মব সংস্কৃতি’ বন্ধ করতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করুক এই সরকার।”