বেশ লম্বা সময় ধরে ছোটপর্দায় কাজ করছেন জাহের আলভী। ধীরে ধীরে নাটেকের ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরী করেছেন। এখন ছোটপর্দার ব্যস্ত অভিনেতাদের একজন। ২০১৩ সালে অভিনয়ে অভিষেকের পর এক যুগে ৪০০টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
বেশ লম্বা সময় ধরে ছোটপর্দায় কাজ করছেন জাহের আলভী। ধীরে ধীরে নাটেকের ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরী করেছেন। এখন ছোটপর্দার ব্যস্ত অভিনেতাদের একজন। ২০১৩ সালে অভিনয়ে অভিষেকের পর এক যুগে ৪০০টির বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন।
কেমন আছেন?
খুব ব্যস্ততার মাঝে আছি। এখন (গতকাল সন্ধ্যা) লঞ্চে উঠলাম।
প্রতি ঈদেই আপনার অভিনয়ে এক ডজনের বেশি নাটক মুক্তি পায়। এবারও কি তাই হবে?
না। এখন আমি একটু বেছে বেছে কাজ করছি। গল্পে বাস্তবতা বা জীবনঘনিষ্ঠ কিছু না থাকলে সেটা করছি না। আগে যেমন শুটিংয়ের ক্ষেত্রে ধর-মার-কাট একটা ব্যাপার ছিল।
২০১৩ সালে অভিনয় শুরু করেছিলেন। এর মধ্যে এক যুগ পার হলো। যে লক্ষ্যে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, সেটা কি পূরণ হয়েছে?
আমি অন দ্য ওয়ে আছি। আসলে লক্ষ্য পূরণ হয়ে গেলে তো আর কিছু চাওয়ার বা পাওয়ার থাকে না। তাই আমি এখনই লক্ষ্য পূরণ হোক তা চাই না। এই এক যুগে আমি দর্শকের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। ৪০০টির মতো নাটকে অভিনয় করেছি, যার মধ্যে ৩০০টির বেশি মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। ১০০টির বেশি নাটক কোটি ভিউয়ের ঘরে। দর্শক আমাকে পছন্দ না করলে তো এটা সম্ভব হতো না।
সেমন্তী সৌমি ও ইফফাত আরা তিথির সঙ্গে আপনার একাধিক নাটক। এটা কি নির্মাতাদের কারণে?
নির্মাতা তখনই জুটি হিসেবে একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে পছন্দ করেন, যখন দর্শক চায়। সেমন্তী সৌমি ও তিথির সঙ্গে করা প্রতিটি নাটকই দর্শকপ্রিয়। ফলে নির্মাতাদের কাছেও একটা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে। তাঁরাও আমাদের কাস্ট করছেন। এই যে ‘জলপরি’র শুটিংয়ে যাচ্ছি, এই নাটকেও কিন্তু আমার সঙ্গে তিথি আছেন।
আপনার নিজের একটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আছে। সেখান থেকে ঈদে নাটক আসবে না?
দুটি নাটক আসবে এবার। ‘জংগলে বিয়ে’ নাটকটি বেশ অ্যাডভেঞ্চারের। দর্শকের ভালো লাগবে। আরেকটা ‘জানোয়ার ৩’। এই সিরিজের আগের দুটি নাটক দারুণ জনপ্রিয় হয়েছে। এটাও ভালো লাগবে সবার।
গত বছর পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। নতুন কিছু নির্মাণ করেছেন?
একটা নাটক নির্মাণ করেছি সম্প্রতি। ‘তোমারই পথপানে’ নামের নাটকটি ঈদেই আসবে, ‘জয়ধ্বনি’ নামের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। কোরবানির ঈদের জন্যও কিছু নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। ঈদের পরপরই গল্প নিয়ে বসব।
অনেকেই আপনাকে বড় পর্দায় দেখতে চান। এ বিষয়ে কিছু ভেবেছেন?
এখন আমার ডেস্টিনি বড় পর্দাকে ঘিরেই। ভেতরে ভেতরে প্রস্তুতিও নিচ্ছি। তবে আমার দর্শকের কাছে দুই বছর সময় চেয়ে নিচ্ছি। ২০২৭ সালে অবশ্যই বড় পর্দায় আমার অভিষেক ঘটবে। সেই সঙ্গে বলে রাখি, আমার প্রথম ছবিটার নির্মাতা থাকব নিজেই। এটাও দর্শকের জন্য অন্য রকম একটা বিষয় হবে। এখন গল্প নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।
সম্পর্কিত খবর
পাঁচ বছর তদন্তের পর বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। রিপোর্টে সুশান্তের সাবেক প্রেমিকা ও অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়। অভিনেতার মৃত্যুর পর দুজনকেই নানারকম আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী, অভিনেতার মৃত্যুর পর এমনই দাবি করেন তার অনুরাগীরা।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তী ক্লিন চিট পাওয়ার পর রিয়ার জন্য ন্যায় বিচারের দাবি করেছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। সেই সময় নায়িকাকে নিয়ে নানা সংবাদ মাধ্যম নানা নেতিবাচক খবর করেছিল, দিয়া তাদের বলেছেন রিয়ার কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি স্টোরি শেয়ার করে এমনটা দাবি করেন দিয়া।
সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টের পর দিয়া মির্জা তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “সংবাদ মাধ্যম থেকে কি রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের কাছে লিখিত ভাবে কোনও ক্ষমা চাওয়া হয়েছে? আপনারা ছেলেরাও ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, যেন ‘ডাইনি’ শিকার চলছিল। শুধু টিআরপির জন্য তাঁদের উপর অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। তাদের কাছে ক্ষমা চান। এটুকু অন্তত আপনারা করতে পারেন।
সিবিআইয়ের ক্লোজার রিপোর্টের পর রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবীও সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মাধ্যমে যে সব মিথ্যা খবর ছড়ানো হয়েছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। করোনার কারণে সবাই টিভি ও সংবাদ মাধ্যমেই আটকে ছিলেন। বড় ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটলে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা হয় এবং গণমাধ্যম ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে তাদের হেনস্থা হতে হয়। এই গোটা ঘটনায় রিয়া ও তাঁর পরিবারের সাহসের প্রশংসা করতেই হবে।
২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ। পরিবার এবং অভিনেতার ভক্তরা এই মৃত্যুর জন্য রিয়া চক্রবর্তীকে দায়ী করেছিলেন। এক্ষেত্রে মাদকের দিকটিও প্রকাশ্যে এসেছিল। গত পাঁচ বছর ধরে সুশান্ত সিং কাণ্ডের তদন্ত চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি সিবিআই তাদের ক্লোজার রিপোর্ট দেওয়ার সময় জানায়, অভিনেতার মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা।
ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস আজ। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ (আজকের দিনে) মৃত্যু হয় তার। তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র নন্দন দাশগুপ্তর “অপরাধী” হলেও তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র "পথভোলা"।
তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে প্রভাত রায়ের লাঠি, স্বপন সাহার লেখা বকুল প্রিয়া, পবিত্র পপি, সজনী আমার সোহাগ এবং চাওয়া পাওয়া। তিনি বাঙালি অভিনেতা প্রশান্ত চ্যাটার্জির ছেলে। বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেঠ আনন্দরাম জয়পুরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
অভিষেক চ্যাটার্জি ৫৭ বছর বয়সে ২০২২ সালের (২৪ মার্চ) কলকাতায় তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
খেলা চলাকালীন মাঠে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল। শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা গেলে তাকে দ্রুতই বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
জানা গেছে, সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রামের পর তামিমের হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। এরই মধ্যে হার্টে রিং পড়ানো হয়েছে।
জাতীয় এই ক্রিকেট তারকার অসুস্থতার খবরে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে দেশবাসী। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও একই কামনা করছেন।
তামিমের সুস্থতা কামনা করে দেশের শীর্ষ তারকা শাকিব খান তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লিখেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের গর্ব তামিম ইকবালের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
এদিকে তামিম ইকবালের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। সোমবার (২৪ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকের এক পোস্টে তিনি লিখেন, তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে উন্নতির দিকে। সবার কাছে দোয়ার আবেদন থাকল।
রাজনৈতিক বিবেচনায় গত বিশ বছর বিটিভি প্রাঙ্গণে কিংবা পর্দায় দেখা মেলেনি দেশের অন্যতম গায়িকা বেবী নাজনীনের। অবশেষে দেখা মিলল তার।
টানা দুই দশক পর ঈদের একক সংগীতানুষ্ঠানের জন্য ২১ মার্চ রাষ্ট্রীয় এই টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাকে আমন্ত্রণ জানায়।আমন্ত্রণে সাড়াও দেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার ভোর ৪টা পর্যন্ত টানা রেকর্ড করা হয় ‘প্রিয়তম একটু শোনো’ শিরোনামে একক সংগীতানুষ্ঠানের ৮টি গান।
জানা গেছে, এদিন রাতভর রেকর্ড ও শুটিং হওয়া গানের তালিকায় ছিল দেশজুড়ে আলোড়ন তোলা বেবী নাজনীনের গান ‘দু চোখে ঘুম আসে না’, ‘কাল সারা রাত’, ‘মধুচন্দ্রিমা এই রাতে’, ‘সারা বাংলায় খুঁজি তোমারে’, ‘দারুণও বরষায় নদী’, ‘প্রিয়তম একটু শোনো’ ও ‘বন্ধু তুমি কই’।
এর পাশাপাশি রেকর্ড করা হয় ‘খোলা হাটের বালুচরে’ শিরোনামে একটি আঞ্চলিক বিয়ের গানও। অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনতে কবিরুল ইসলাম রতনের পরিচালনায় তিনটি গানে আলাদাভাবে কোরিওগ্রাফি করা হয়েছে।
এ আয়োজন নিয়ে কোকিলকণ্ঠী বেবী নাজনীন বলেন, ‘ঈদ উৎসব আনন্দময় করে তুলতেই দর্শক-শ্রোতার প্রিয় কিছু গান দিয়ে অনুষ্ঠানটি সাজানো হয়েছে। নির্মাণেও আছে নান্দনিকতার ছাপ। সব মিলিয়ে অনুষ্ঠানটি অনেকের ভালো লাগবে বলেই আশা করছি।’
এরপর বিটিভিতে ফিরে বেবী নাজনীন অতীতের রাজনৈতিক বিবেচনায় ‘কালো তালিকা’র ভূত তাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিটিভি সংশ্লিষ্টদের।
নন্দিত এই শিল্পী বলেন, ‘বিটিভি শুধু রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলেই নয়, সেই সঙ্গে বহু শিল্পী ও তারকার আঁতুড়ঘর। দশকের পর দশক পেরিয়ে গেছে, তারপরও গান গাওয়ার বিষয়ে যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে, তার ইতি টানা প্রয়োজন মনে করেননি কেউ। রাজনৈতিক কারণে শিল্পীদের অদৃশ্য এক কালো তালিকা তৈরি করে সেখানে একরকম প্রবেশ নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। একজন শিল্পী হিসেবে জাতীয় গণমাধ্যমে গাইতে না পারা কষ্ট কেমন, তা গত দুই দশক ধরে উপলব্ধি করেছি। অবশেষে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিটিভিতে ফিরে আসতে পেরেছি। এই ফেরা অন্যরকম এক ভালো লাগার। এখন আমার একটাই চাওয়া, অতীতের ঘটনাগুলোর যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। প্রতিটি শিল্পী যেন স্বাধীনভাবে প্রচারমাধ্যমগুলোয় নিজস্ব সৃষ্টি ও প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পান। এটাই নতুবা বাংলাদেশের প্রতি আমার প্রত্যাশা।’
এদিকে বিটিভির পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যানেলের আরো কয়েকটি ঈদ অনুষ্ঠানে দেখা মিলবে এবার বেবী নাজনীনের। এরই মধ্যে জিটিভির ‘টাইমলাইন বাংলাদেশ’ এবং একাত্তর টিভিতে জীবনীভিত্তিক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তিনি। শিগগিরই অংশ নেবেন যমুনা টিভির ‘যমুনার নিমন্ত্রণে’ অনুষ্ঠানে।