জেনারেশন \'জেড\' কারা? কী তাদের বৈশিষ্ট্য?

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
জেনারেশন \'জেড\' কারা? কী তাদের বৈশিষ্ট্য?

বিবিসির নিউজবাইট এর গবেষণা অনুসারে জেনারেশন 'জেড' হলো ভুল বুঝাবুঝির শিকার একটি প্রজন্ম। এই প্রজন্মের বয়স ১৬ থেকে ২২ বছর।
যারা নিজেদেরকে খুবই কঠোর পরিশ্রমী, আত্মনির্ভরশীল এবং সৃজনশীল বলে বিবেচনা করে থাকে। অথচ পুরনো প্রজন্মগুলো তাদেরকে অলস এবং স্বার্থপর মনে করে।

এমনটাই দেখা গেছে বিবিসির ইপসোস পরিচালিত একটি জরিপে।
বিবিসির জরিপে 'জেড' প্রজন্মের ১০০৩ জনকে তাদের অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলো, তারা নিজেদেরকে বিশ্বের কোথায় দেখে থাকে এবং ভবিষ্যতে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছে সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়।

কোন বয়সীরা কোন প্রজন্মের অংশ
জেনারেশন জেড : ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সীরা (যাদের জন্ম হয়েছে ১৯৯৫-২০০১ সালের মধ্যে) (২০০২ সাল থেকে যাদের জন্ম তারা আরেকটি নতুন প্রজন্ম হিসেবে গণ্য হবে। এদের নামকরণ হয়নি এখনো)
জেনারশেন ওয়াই : ২৩ থেকে ৩৭ বছর বয়সীরা (যাদের জন্ম হয়েছে ১৯৮০-১৯৯৪ সালের মধ্যে)
জেনারেশন এক্স : ৩৮ থেকে ৫১ বছর বয়সীরা (যাদের জন্ম হয়েছে ১৯৬৬-১৯৭৯ সালের মধ্যে)
বেবি বুমারস : ৫২ থেকে ৭১ (যাদের জন্ম হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে)

নিউজবিট ২৩ থেকে ৩৭ বছর বয়সী ২ লাখ ৪২৩ জনকেও নতুন জেনারেশন ‘জেড’ সম্পর্কে প্রশ্ন করে যে তারা কীভাবে নতুনদেরকে দেখে থাকেন।


গবেষণায় দেখা গেছে, জেনারেশন জেড পরিবার ও শিক্ষাকে বাইরে বেড়াতে যাওয়া, সামাজিক গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেন।
আর তারা নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও অনেক বেশি আশাবাদী। পুরোনো প্রজন্মগুলোর ধারণার চেয়েও তারা অনেক বেশি আশাবাদী।

গবেষণায় প্রাপ্ত প্রধান তথ্যগুলো
১. যৌনতার ব্যাপারে তাদের মনোভঙ্গি ভিন্ন।

জরিপে দেখা গেছে, ১৬ থেকে ২২ বছর বয়সীদের মাত্র দুই তৃতীয়াংশ বলেছে, তারা শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট।
যা বেবি বুমারস ও জেনারেশন এক্স এর তুলনায় অনেক কম। বেবি বুমারস এর ৮৮% আর এক্স জেনারেশনের ৮৫% ছিল শুধু বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট।
জেনারেশন জেড এর প্রতি ১০ জনের একজন বলেছেন, তারা সমানভাবে উভয় লিঙ্গের প্রতিই যৌনতায় আকৃষ্ট!
২. বয়স্ক প্রজন্মগুলো মনে করে সামাজিক গণমাধ্যম, বাইরে বেড়াতে যাওয়া এবং ইন্টারনেটই ১৬-২২ বছর বয়সী জেড প্রজন্মের সদস্যদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ নিউজবাইটের গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- পরিবার, শিক্ষা এবং জীবন সঙ্গী বা সঙ্গিনী; এই বিষয়গুলো।

৩. বয়স্করা এদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে নৈরাশ্যবাদী হলেও এরা নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। এদের ৫৯ শতাংশই মনে করে তাদের ভবিষ্যত জীবন খুব ভালো হবে।
আর মাত্র ৪১% মনে করে তাদের ভবিষ্যত খারাপ হবে। অথচ বেবি বুমারস প্রজন্মের ৫৪% নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ ছিলেন।
৪. ওই জরিপে ব্রিটেনের কোন কোন ইস্যুগুলো আরো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নেওয়া দরকার এমন প্রশ্নও করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রজন্মের লোকদেরকে।
আগের সবগুলো প্রজন্মই স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন, সন্ত্রাসবাদ এবং ব্রেক্সিটের পর অর্থনীতির চাকা সচল রাখার কথা সবচেয়ে বেশি বলেছে।
কিন্তু জেনারেশন জেড বা ২৩ এর নিচের বয়সীরা এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায় এর অধিকার, লিঙ্গ সমতা এবং বর্ণবাদ ইস্যুকেও গুরুত্বপূর্ণ বলেছে।
৫. ফেসবুক তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক গণমাধ্যম। জেনারেশন জেড এর সদস্যদের ৭৫ শতাংশই ফেসবুক ব্যবহার করে। আর ৪৪% টুইটার ব্যবহার করে।
এ ছাড়া তাদের ৫৯% ইনস্টাগ্রাম (পুরোনোদের ২১%), ৫৬% স্ন্যাপচ্যাট (পুরোনোদের মাত্র ৯%), ১৭% টাম্বলার (পুরোনোদের ৩%) এবং ১৩% টুইচও (পুরোনোদের ২%) ব্যবহার করে।
৬. পুরোনো প্রজন্মগুলো সবচেয়ে বেশি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি বেশি ব্যবহার করে তা হলো- লিঙ্কডইন।
৭. জেনারেশন জেড খুবই প্রভাব বিস্তারকারী প্রজন্ম। এমনটাই মত চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ মার্কেটিং এর জেমস ডেলভস এর।
স্ন্যাপচ্যাটের মতো ব্র্যান্ডও তাদের এই প্রভাববিস্তারকারী বৈশিষ্টটি উপলব্ধি করতে পেরেছে। স্ন্যাপচ্যাট বুঝতে পেরেছে তারাই এখন ফ্যাশনের প্রথমসারিতে আছে। আর তাদের প্রভাব তাদের প্রজন্ম ছাড়িয়ে তাদের আগের প্রজন্মগুলোকেও প্রভাবিত করছে।
সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একটানা বসে কাজ করে পিঠে ব্যথা, যে উপায়ে মিলবে স্বস্তি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
একটানা বসে কাজ করে পিঠে ব্যথা, যে উপায়ে মিলবে স্বস্তি
সংগৃহীত ছবি

অফিসে গিয়ে চেয়ারে বসলে লাঞ্চ ব্রেকে আগে আর উঠার সুযোগ হয় না। আট-নয় ঘণ্টার অফিসে লাঞ্চ, টিফিন, টয়লেটে যাওয়াসহ হাতেগোনা কয়েকবার উঠার সুযোগ পান। এভাবে একনাগাড়ে বসে থাকায় ক্রমশ বাড়ছে পিঠ-কাঁধের ব্যথা। ক্লান্ত শরীরে রাতে শুয়েও স্বস্তি পাওয়া যায় না, যন্ত্রণায় ছটফট করতে হয়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যথা-যন্ত্রণা বড় কোনো বিপদও ডেকে আনতে পারে। অনেকেরই এই ব্যথা ক্রনিক আকার নেয়। যার জন্য ওষুধ খেতেও বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও অনেক সময়ে লাভ হয় না।

সেক্ষেত্রে নিয়মিত কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই সহজে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেসব বিষয়ে-  

যতই ব্যস্ততা থাকুক, শরীরচর্চায় অবহেলা করবেন না। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, পিঠ-কোমর-কাঁধের যন্ত্রণায় কয়েকটি যোগাসন, স্ট্রেচ করলে সবচেয়ে বেশি আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা করলে উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন
অতিরিক্ত পেঁপে খেলে হতে পারে যে বিপদ

অতিরিক্ত পেঁপে খেলে হতে পারে যে বিপদ

 

গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সময়ের অভাব তো থাকবেই! কিন্তু তারই মধ্যে বিরতি নেওয়ার চেষ্টা করুন। অন্তত এক ঘণ্টা অন্তর ৫ মিনিট হাঁটাচলা করতে হবে। শুধু ব্যথা নয়, এতে চোখ এবং মাথারও বিশ্রাম হবে। আর যদি একান্তই কাজ ছেড়ে হাঁটতে না পারেন, তাহলে বসে বসেই স্ট্রেচিং করুন। এতেও খানিকটা স্বস্তি পাবেন।

 

একটানা অফিসে এক জায়গায় বসে কাজ করলে পিঠ, কোমরের যন্ত্রণা হওয়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে বসার ভঙ্গি ঠিক রাখতে হবে। কাজ ছাড়াও অন্য সময়ে কিংবা ঘুমানোর সময়েও সঠিক বসা ও শোওয়ার অভ্যাস করতে হবে। অনেক সময় শোয়ার ভুলেও কোমরে চাপ পড়ে। টেবিল-চেয়ারে কাজ করার সময়ও মেরুদণ্ড সোজা রাখা জরুরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথার সঙ্গে মানসিক চাপ বা অবসাদের একটা যোগ রয়েছে। তাই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে মন ভালো রাখা জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন।

আরো পড়ুন
কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন

কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন

 

ঘুমের সঙ্গেও পিঠ-কোমর যন্ত্রণার যোগ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম ঘুম হলে কোমরের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। সারা দিন নানা কাজের পর শরীরের বিভিন্ন পেশি, স্নায়ু ঘুমানোর সময় শিথিল হয়ে পড়ে। তাই ব্যথামুক্ত শরীরের জন্য রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর ক্যাপসিকাম

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর ক্যাপসিকাম
সংগৃহীত ছবি

ক্যাপসিকামকে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী সবজি বলে মনে করা হয়। যদিও ক্যাপসিকাম সারা বছরই পাওয়া যায়, তবে শীতকালে সবুজ শাক-সবজি বেশ তাজা পাওয়া যায়। আমরা বেশির ভাগ সময়ই সবুজ ক্যাপসিকাম দেখে থাকি, তবে ক্যাপসিকাম হলুদ এবং লাল রঙেরও হয়। এগুলো বেশির ভাগই পাস্তা, পিৎজা, স্যান্ডউইচ ইত্যাদিতে ব্যবহার কর হয়ে থাকে।

এই ক্যাপসিকামে অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যেমন ভিটামিন-সি, কে, এ, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জেন নিন, এই পুষ্টিগুণ ছাড়াও শরীরে কী কী উপকার করে।

চোখের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকামে লুটেইন ও জেক্সানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড পাওয়া যায়, যা চোখ সুস্থ রাখতে সহায়ক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : ক্যাপসিকামে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

যা শরীরকে জারণজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এ ছাড়া লাল ক্যাপসিকামে ক্যাপস্যান্থিন নামক একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

আরো পড়ুন
টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল

টেস্ট না করিয়েও যেভাবে বুঝবেন বেড়েছে কোলেস্টেরল

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক : ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। যার ফলে আপনি অনেক ধরনের রোগ এড়াতে পারবেন।

রক্তস্বল্পতা দূর করে : শরীরে রক্তের অভাব রক্তাল্পতার কারণ হতে পারে। আপনার খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে উপস্থিত আয়রন রক্তাল্পতার ঝুঁকি দূর করে।

আরো পড়ুন
সবজির সিজনে বাড়িতে তৈরি করুন ফুলকপির শিঙাড়া

সবজির সিজনে বাড়িতে তৈরি করুন ফুলকপির শিঙাড়া

 

সুস্থ রাখতে সাহায্য় করে : ক্যাপসিকাম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং এ-এর একটি ভালো উৎস। এসব পুষ্টি উপাদান হৃদরোগের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

ওজন কমাতে সহায়ক : ওজন কমানোর জন্য ক্যাপসিকাম সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। যাদের ওজন বৃদ্ধির সমস্যা আছে তারা খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : ক্যাপসিকাম ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক। এতে রয়েছে এপিজেনিন, লুপিওল ও ক্যাপসিয়েট, ক্যারোটিনয়েড। এগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

আরো পড়ুন
লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

 

আয়রনের ঘাটতি কমায় : ক্যাপসিকামে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং অন্যান্য ভিটামিন পাওয়া যায়। এটি খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। যদি আপনার রক্তাল্পতার সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ক্যাপসিকাম অন্তর্ভুক্ত করুন।

চুলের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকামকে চুলের জন্যও খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। এটি ভিটামিন বি৬ এর একটি ভালো উৎস এবং চুলের গোড়ায় রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। যার ফলে আপনার চুল আরো শক্তিশালী হতে পারে।

ত্বকের জন্য উপকারী : ক্যাপসিকাম ত্বক সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। এতে উপস্থিত ক্যাপসাইসিন ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর।

আরো পড়ুন
শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার

শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াবে যেসব খাবার

 

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

ডাব বা নারকেল পানি থেকে দূরে থাকবেন যারা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডাব বা নারকেল পানি থেকে দূরে থাকবেন যারা
সংগৃহীত ছবি

নারকেল বা ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। গ্রীষ্ম হোক বা শীত, প্রতিটি ঋতুতে সকালে খালি পেটে বা দিনের যেকোনো সময় নারকেল বা ডাবের পানি খাওয়া স্বাস্থ্যকর।

এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এতে পাওয়া ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালশিয়াম, কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়মের মতো পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তার সঙ্গে এটি খেলে ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এত স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও নারকেল বা ডাবের পানি খাওয়া কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরো পড়ুন
লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

 

কিছু স্বাস্থ্য সমস্যায় নারকেলের পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আসুন জেনে নিই কাদের নারকেল বা ডাবের পানি খাওয়া উচিত নয়।

কিডনি রোগী

যাদের কিডনির সমস্যা আছে তাদের নারকেল পানি পান থেকে বিরত থাকা উচিত। আসলে নারকেল পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, যা কিডনি ফিল্টার করতে পারে না। তাই কিডনির সমস্যায় ভুগছেন এমন লোকদের নারকেলের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

ডায়াবেটিক রোগী

যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তাদেরও নারকেল পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আসলে নারকেল পানিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি এবং এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এর সেবন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের এটি খাওয়ার  আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
সমুদ্রসৈকত ছাড়া কক্সবাজারে আরো যা আছে, পর্ব-৩

সমুদ্রসৈকত ছাড়া কক্সবাজারে আরো যা আছে, পর্ব-৩

 

অ্যালার্জির সমস্যায়

কিছু মানুষের নারকেল পানি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। এর সেবন ত্বকে চুলকানি ও লালচে ভাবের কারণ হতে পারে।

তাই যাদের নারকেল পানি খাওয়ার পর ফোলাভাব বা এই ধরনের কোনো সমস্যা হয় তাদের এটি সেবন করা উচিত নয়।

হাই প্রেসার

যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদেরও নারকেল পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এতে পাওয়া পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের সঙ্গে মিশে ক্ষতি করতে পারে।

ঠাণ্ডা-কাশি

নারকেল বা ডাবের পানি শরীর ঠাণ্ডা করে। এমন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা-কাশি হলে নারকেল বা ডাবের পানি সেবন সীমিত পরিমাণে করুন বা না করুন।

আরো পড়ুন
মাঝরাতের যে লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে

মাঝরাতের যে লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে

 

এই প্রতিবেদনটিতে সচেতনতার জন্য কেবল সাধারণ তথ্যগুলোই দেওয়া হয়েছে। তাই খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর সেবন করুন।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার
সংগৃহীত ছবি

শীত প্রায় শেষ দিকে। এই সিজনে অধিকাংশ মানুষই ঠাণ্ডা লেগে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগেছেন। সেই সঙ্গে হাড়ের ব্যথা, ত্বকের সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। শীতের প্রকোপে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়েছেন অনেকেই।

তাই মৌসুম শেষে সুস্থ থাকতে অবশ্যই বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

শীত শেষে ত্বকের বিশেষ যত্ন নিতে কী করবেন, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। ডায়েটে এমন জিনিস অন্তর্ভুক্ত করবেন, যা ত্বকের জন্য উপকারী। তাই ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্ট করার জন্য সঠিক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে পুষ্টিতে ভরপুর থাকে সবজি ও ফলমূল। এগুলো আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আপনি সুস্থ থাকবেন। এর মধ্যে কিছু সুপারফুড রয়েছে, যা ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বকের যত্ন নিতে খাদ্যতালিকায় কী কী জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, জেনে নিন—

আরো পড়ুন
সবজির সিজনে বাড়িতে তৈরি করুন ফুলকপির শিঙাড়া

সবজির সিজনে বাড়িতে তৈরি করুন ফুলকপির শিঙাড়া

 

গাজর

গাজর আপনার ত্বককে দেবে ভেতরের আভা।

এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং আপনার ত্বকে প্রাকৃতিক আভা দেয়। গাজর খেলে তা আপনার হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে। 

আখরোট

আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই এবং জিংক রয়েছে। তাই প্রতিদিন আখরোট খেলে তবে তা আমাদের ত্বকে গভীরভাবে পুষ্টি যোগাবে। এ ছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে।

এ জন্য স্ন্যাকস হিসেবে আখরোট খেতে পারেন। তা ছাড়া স্মুদিতে মিশিয়েও আখরোট খাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন
লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

লাইফস্টাইলে যে পরিবর্তন আনলে কমবে চুল পড়া

 

পালং শাক

জেল্লাদার ত্বক পেতে চাইলে রাতে ঘুমোনোর আগে মেনে চলুন এই নিয়ম— শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পালং শাক পাওয়া যায়। যা আয়রন, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি এবং ই এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি ত্বককে তরুণ ও সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করে। পালং শাকের স্যুপ বা পরোটা বানিয়ে খেতে পারেন।

অ্যাভোকাডো

অ্যাভোকাডোতে স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলো ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজ করে। এটি খাওয়া ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডার দিনে স্মুদি, সালাদ বা রুটিতে স্প্রেড করেও অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। এ ছাড়া এটি ম্যাশ করে ফেস মাস্ক হিসেবেও লাগাতে পারেন।

আমলা

আমলা ঔষধি গুণে পরিপূর্ণ। এটি চাটনি, মোরব্বা, আচার, এমনকি কাঁচা আকারেও খেতে পারেন। খালি পেটে আমলা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আমলা চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি শুধু মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায় না, দাগ থেকেও মুক্তি দিতে পারে।

আরো পড়ুন
পা নাড়ানোর অভ্যাস কী রোগের লক্ষণ

পা নাড়ানোর অভ্যাস কী রোগের লক্ষণ

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ