কুয়েটে ছাত্রদের সংঘর্ষ : যা বললেন সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুয়েটে ছাত্রদের সংঘর্ষ : যা বললেন সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ
সংগৃহীত ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে উত্তেজনা এবং ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে হান্নান মাসউদ লিখেন, কুয়েটে ছাত্রদল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ স্টাইলে যে নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রদল নিজেদের রাজনৈতিক কবর রচনার পথেই অগ্রসর হলো।

এদিকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এখন উত্তপ্ত।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে সেখানে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। দুই পক্ষের মধ্যে চলছে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।  

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা কুয়েটকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা স্লোগান দেয়, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা’ ‘ছাত্ররাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই' বলে।

স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া কুয়েটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে।

খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

পরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএনপির প্রতি তাসনিম জারার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিএনপির প্রতি তাসনিম জারার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডা. তাসনিম জারা বলেছেন, ‘এখন প্রয়োজন গভীর সংস্কারের, রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের। বিএনপির প্রতি আমার আন্তরিক আহ্বান, সংস্কারের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে; আসুন, তা আমরা সম্মিলিতভাবে কাজে লাগাই।’

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিভায়েড পেজ থেকে একটি ফটোকার্ডের ক্যাপশনে এসব কথা লেখেন। গতকাল বুধবার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌরসভার কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মো. জাবেদ (৪৫) নামের এক পথচারী নিহত হন।

আহত হন আরো ৩০ জন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসংক্রান্ত ফটোকার্ড শেয়ার করেন তিনি।

তাসনিম জারা বলেন, ‘আমাদের সামনে যে ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে, তা যদি আমরা হাতছাড়া করি, তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা আরো বাড়বে। তখন মানুষ আমাদের কাউকেই ক্ষমা করবে না।

বিএনপির প্রতি আমার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন, সংস্কারের সুযোগ আমরা সম্মিলিতভাবে কাজে লাগাই। সংস্কারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না, বরং দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আপনারাও অগ্রণী ভূমিকা রাখুন।’

মন্তব্য

ভাইরাল ছবিটি কি আসলেই তামিমের?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভাইরাল ছবিটি কি আসলেই তামিমের?
ভাইরাল হওয়া ছবি

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ মার্চ খেলতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে সাভার বিকেএসপির পাশে অবস্থিত কেপিজে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তামিমের ‘লেফট এন্টেরিয়র ডিসেন্ডিং আর্টারি’তে শতভাগ ব্লক ধরা পড়ে। এরপর দ্রুত তাকে স্টেন্টিং (হার্টে রিং পরানো) করা হয়।

পরদিন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তামিম ইকবালের একটি ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে তাকে হাসপাতালে শয্যাশায়ী অবস্থায় দেখা যায়।

হাসপাতালের শয্যায় তামিম ইকবালের আলোচিত ছবিটি বাস্তব নয় বলে জানিয়েছে রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধান বলছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি তৈরি করা হয়েছে।

এই বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে ভাইরাল ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে এতে ছবির নিচের দিকের ডান কোণে ‘Grok’ লেখা একটি জলছাপ দেখা যায়। গ্রক (Grok) মূলত ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান xAI-এর একটি জেনারেটিভ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চ্যাটবট, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে চালু হয়। এই চ্যাটবটটি বাস্তবসম্মত ছবি ও কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম। গ্রক দিয়ে তৈরি ছবিতে সাধারণত ‘Grok’ লেখা জলছাপ দেখা যায়, যা এই এআই প্ল্যাটফরম দিয়ে তৈরি কনটেন্ট শনাক্তকরণে সাহায্য করে।

এই ছবির উৎস অনুসন্ধানে ‘Indian Cricket Stadiums’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গতকাল রাত ১০টা ৩৩ মিনিটে প্রকাশিত এই ছবিসংবলিত সম্ভাব্য প্রথম পোস্ট পাওয়া যায়। ওই পোস্টে তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাকের খবর জানানো হয়েছে এবং তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়েছে। 

পোস্টে তামিমের আলোচিত ছবিটির পাশাপাশি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে থাকা তামিমের আরো দুটি ছবি দেখা যায়। পোস্টটির এডিট হিস্টোরি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রকাশের প্রায় এক ঘণ্টা পর ক্যাপশন সম্পাদনা করে ছবিগুলো এআই দ্বারা তৈরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

এনসিপি থেকে হাসনাত-সারজিস বহিষ্কার দাবি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এনসিপি থেকে হাসনাত-সারজিস বহিষ্কার দাবি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা জানা গেল
হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে গত ১১ মার্চে হওয়া একটি বৈঠক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম ফেসবুকে ভিন্ন ভিন্ন দুটি পোস্ট করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ‘হাসনাত ও সারজিসকে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো’ শীর্ষক দাবিতে একটি চিঠির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে।

পদ থেকে অব্যাহতি ও সদস্য পদ স্থগিত প্রসঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ওই চিঠিতে বলা হয়, “জাতীয় নাগরিক পার্টির এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির মুখ্য সমন্বয়ক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সাথে বৈরী সম্পর্ক তৈরি, পার্টিতে সিনিয়রদের সাথে (বিশেষ করে নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, সামান্তা শারমীন)-বেয়াদবি, একক আধিপত্য, ছাত্রলীগের অতীত পশুত্বপনা এখনো আচরণে থেকে যাওয়া, ঘোড়া ডিঙ্গিয়ে ঘাস খাওয়াসহ অগণিত কারণে, এই দুজনের স্বীয় পদ স্থগিত করা হলো এবং তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। এনসিপির সবাইকে এই দুজনের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জরুরি নির্দেশ দেওয়া হলো।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসনাত-সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস বিতর্কে জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তাদের সদস্য পদ স্থগিত ও দল থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার দাবিটি সঠিক নয় বরং এসংক্রান্ত চিঠিটি ভুয়া বলে জানিয়েছে রাজনৈতিক দলটি।

অনুসন্ধানে জাতীয় নাগরিক পার্টির ফেসবুক পেজে আলোচিত দাবির সপক্ষে কোনো প্রেস বিজ্ঞপ্তির পোস্ট বা তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।

আলোচিত চিঠিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এতে কয়েকটি ভিন্ন ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আলোচিত বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত ফন্টের সাথে এনসিপির প্রচলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহৃত ফন্টের ভিন্নতা রয়েছে।

মূলত এনসিপির প্রেস বিজ্ঞপ্তির আদলে লোগো ও নাম ব্যবহার করে আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, সংবাদমাধ্যম ‘The Daily Campus’-এর বরাতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত চিঠিটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ধরনের চিঠি ইস্যু করিনি। এই চিঠিটি ভুয়া।

’ সুতরাং হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির নামে প্রচারিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া ও বানোয়াট।

মন্তব্য

স্বাধীনতা মানে কী? ব্যক্তিগত মত জানালেন প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্বাধীনতা মানে কী? ব্যক্তিগত মত জানালেন প্রেসসচিব
শফিকুল আলম।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্বাধীনতা মানে দেশের প্রতিটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখতে পারা বলে ওই পোস্টে জানিয়েছেন প্রেসসচিব।

ইংরেজি ভাষায় দেয়া ওই স্ট্যাটাসে স্বাধীনতা মানে কী সেই বিষয়ে নিজের ব্যক্তিগত মতামত তুলে ধরেছেন তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘স্বাধীনতা মানে শাহীনবাগের সরু গলিতে একা হাঁটা, কিংবা এই ভিড়ঠাসা, কোলাহলময় শহরের যেকোনো প্রান্তে নিজের ইচ্ছেমতো ঘোরা।

স্বাধীনতা মানে আমার মাগুরার গ্রামে গাছের ছায়ায় ঢাকা রাস্তায় সাইকেলভ্যানে চড়ে বসা। স্বাধীনতা মানে গড়াই নদীতে নৌকা ভাসানো কিংবা কোনো চায়ের দোকানে বসে বর্ষার বৃষ্টিকে নদীর বুকে ঝরে পড়তে দেখা।’

স্বাধীনতা মানে দেশের প্রতিটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লিখতে পারা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই লেখাটা হবে নির্ভয়ে।

লিখতে গেলে গুম বা গ্রেপ্তারের আতঙ্ক থাকবে না মনে।

তিনি আরো লিখেছেন, ‘স্বাধীনতা মানে দিনভর বইয়ের পাতায় ডুবে থাকা। স্বাধীনতা মানে ফেসবুকে অন্তহীন ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দেওয়া। স্বাধীনতা মানে পেঁয়াজখেত আর ধানখেতের পথ ধরে হাঁটা।

স্বাধীনতা মানে নারোদের চায়ের দোকান আর দিলীপের সেলুনে বসে আড্ডা মারা। স্বাধীনতা মানে হালকা ঠাণ্ডা ফেব্রুয়ারির রোদে গা সেঁকা কিংবা ঢাকা শহরের কোনো মোড়ে কালবৈশাখীর ঝড়ের মধ্যে আটকে পড়া। স্বাধীনতা মানে অবিরাম আড্ডাবাজি।’

বাবা-মায়ের ইচ্ছার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা মানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে একা দাঁড়িয়ে পরকাল নিয়ে ভাবা, আর দুইটি আত্মার সঙ্গে নতুন করে সংযোগ খোঁজা— যারা কখনোই চাইতেন না, আমি এই দেশ ছেড়ে যাই!’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ