বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। দ্রুত নির্বাচনের দিনকাল ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে, সরকার গঠন করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিন। দ্রুত নির্বাচনের দিনকাল ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে, সরকার গঠন করবে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রাম ক্লাবে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনার সুরে যারা বলছেন—আমরা এই কাজ করছি, আমরা সেই কাজ করছি, আমরা সংস্কার করবো, আমরা বাংলাদেশে বিনোয়েগের ব্যবস্থা করছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সমস্ত গল্প শুনেছি শেখ হাসিনার কাছ থেকে। আমি উন্নয়ন করছি তো বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, ‘সকলকে ধারণ করতে হবে নতুন বাংলাদেশকে। মানুষের নতুন প্রত্যাশাকে নতুন আকাঙ্খাকে পূরণ করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে সংগ্রাম সেই সংগ্রাম শেষ হয়নি। সেই সংগ্রাম শেষ হবে জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। মালিকানা ফিরেয়ে দেওয়ার একমাত্র বাহক হচ্ছে একটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠন করা। যারা জনগণের নিকট দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহি থাকবে। একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আবার গণতাতিন্ত্রক অর্ডার ফিরিয়ে আনা। সেই গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে, নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে সমস্ত ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটা বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পলায়ন করার পরে বাংলাদেশের মানুষের মনজগতে যে বিশাল পরির্বতন এসেছে। এটাকে রাজনীতিবিদদের ধারণ করতে হবে, সাংবাদিকদের ধারণ করতে হবে। শেখ হাসিনা পলায়ন পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশের যে আকাঙ্খা, প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশা আমি নিশ্চিত সাংবাদিক ভাইবোনেরা তা পালন করবেন। বিগত দিনে বাংলাদেশকে যে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য যে নতুন রাজনীতি শুরু হয়েছে, সেই নতুন রাজনীতিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, নতুন চিন্তা করার জন্য, নতুন প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করি। এটা রাজনীতির জন্যও প্রযোজ্য।’
সম্পর্কিত খবর
যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে নারী শিশুসহ ৪০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন এ ঘটনা ঘটে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে (ফুড পয়জনিং) অধিকাংশ রোগীর পেটে ব্যথা ও বমির লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ নিয়ে ঈদের দিন নারী শিশুসহ অন্তত ৪০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের মাওলানা তাকিব হুসাইনের পরিবারের ৩ জন, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল মসজিদের ইমাম সাহেবের পরিবারের ৮ জন, প্রেমবাগ ইউনিয়নের প্রেমবাগ গ্রামের ৫ জন, গুয়াখোলা, বুইকারা, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেক পরিবার বাড়ি ফিরে গেছেন।
উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা তাকিব হুসাইন জানান, ঈদের দিন বিকেলে স্বপরিবারে ভাঙ্গাগেট এলাকায় ভৈরব সেতু সংলগ্ন এক ঈদ মেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক স্টল থেকে ফুচকা খেয়ে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের দিন ৩০/৪০ জন ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীকে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি, তবে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছেন।
গোপালগঞ্জ কারাগারের সামনে রান্না করা খাবার নিয়ে অপেক্ষারত শত শত কারাবন্দির স্বজনরা। জেলা বা জেলার আশপাশের এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন তারা। প্রিয়জনকে একপলক দেখতে এবং ঈদের খাবার খাওয়াতে আসেন।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে কারাবন্দিদের খাবার দেওয়া ও একনজর দেখা।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মো. মোক্কামেল হোসেন বলেন, ঈদের পরের দিন কারাবন্দিতের বাড়ি খাবার খেতে দেওয়ার প্রভিশন আছে। সেই হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কারাবন্দিদের স্বজনরা খাবার হাতে কারাগারের সামনে হাজির হন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ৫৮১ জন হাজতি রয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪০০ জনের খাবার এসেছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক পারাপারের সময় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মো. ইয়াকুব আলী (৩৫) নিহত হয়েছেন। ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝাটুরদিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাওলানা ইয়াকুব আলীর বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুকনী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোমিন উদ্দিনের ছেলে।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সুকনী গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাওলানা ইয়াকুব আলী ঝাটুরদিয়া বাজারে জুতার ব্যবসা করতেন। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বাজারের উল্টো দিকে আলগী ইউনিয়নে তার বাড়ি।
তিনি আরো বলেন, ‘পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে রাতেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তিনি মারা যান।’
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ধান শুকানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রঘুনাথপুর গ্রামে ধান শুকানোর জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- রঘুনাথপুর গ্রামের মহিবুর রহমান মানিক (৩৫), কামাল হোসেন (২৮), শাহীন (৩৮), জোনাক আহমদ (২৮), তারেক আহমদ (৩২), বদরুল আলম (৪২), শাহ আলম (৪৫), দুলাল (৪৫), মকসুদ আলী (৫০), আইবুর রহমান (৪০), শফিক আলী (৫০)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলী বলেন, ‘ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।