আটা এবং ময়দা, কোনটা কেমন জেনে নিন

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
আটা এবং ময়দা, কোনটা কেমন জেনে নিন

আমাদের দেশে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রুটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা প্রায়ই একটা বিষয়ে দুশ্চিন্তা করেন। ভালো আটা কোনটা? স্রেফ গম ভাঙানো আটা ভালো, নাকি পরিশোধিত আটা ভালো? আসলে পরিশোধিক আটাকে আমরা ময়দা বলি। এখানে এদের সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

প্রস্তুতপ্রণালী 
আটা এবং ময়দা বানানোর প্রক্রিয়া আসলে ভিন্ন। গম পিষে তৈরি করা হয় আদা। এতে গমের বীজের সঙ্গে তার খোসাও পিষে ফেলা হয়। এ কারণে আদার রং অনেকটা বাদামী হয়।

কিন্তু ময়দা বানাতে আটাকে পরিশোধিত করা হয়। আলাদা করা হয় খোসা। এ কাজটি কয়েক দফা করলেই ময়দা মেলে। এ কারণে ময়দার রং ধবধবে সাদা হয়।
 

আটাই বেশি স্বাস্থ্যকর 
ময়দার চেয়ে আটাকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। কারণ আটায় প্রচুর ফাইবার থাকে যা ভক্ষণযোগ্য। এতে ভিটামিন এবং খনিজও থাকে বেশি। কিন্তু ময়দায় তেমন কিছু থাকে না। এতে অবশ্য ক্যালোরিও থাকে না।

 

রাসায়নিক ব্লিচ 
ময়দাকে 'অল পারপাসস ফ্লাওয়ার' বলা হয়। এর সুন্দর শুভ্র চেহারা ও মসৃণতা আনার জন্যে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ব্লিচ করা হয়। কিন্তু আটায় এসব প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হয় না। ফলে তা থাকে অনেক বেশি সাস্থ্যকর এবং উপাদেয়। 

পুষ্টি উপাদান 
আটায় অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান মেলে। এতে আছে ফোলেট, রিবোফ্লাভিন এবং ভিটাইম বি১, বি৩ এবং বি৫। এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে ময়দা। পরিশোধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসলে আটা থেকে প্রায় সব পুষ্টি উপাদান বেরিয়ে যায়।

ফাইবার 
সাদা ময়দার চেয়ে আটায় অনেক বেশি ফাইবার থাকে। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবারে অনেক উপকার। কোষ্ঠকাঠিন্য কমে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ওজন হ্রাস করে। 

অন্যান্য উপাদান 
আটায় তাকে অ্যামাইনো এসিড এবং অ্যান্টঅক্সিডেন্ট। এগুলো দেহের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনায় সহায়তা করে। উদ্বেগ, ঘুম না আসা, মাথাব্যথা এবং বিষণ্নতা সারাতে এই উপাদানগুলো বেশ কাজ করে। 

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স 
পরিশোধিত আটা বা ময়দা গ্লাইসেমিকক ইনডেক্সে আটার অনেক ওপরে অবস্থান করে। এই ইনডেক্সে যারা ওপরে অবস্থান করে সে সব খাবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে ইনসুলিন উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। 

ভিন্ন ব্যবহার 
সাধারণ ময়দা ব্যবহৃত হয় কেক, কুকি, পাস্তা, নুডলস, মাফিন এবং নানরুটি বানাতে। আর রুটি, পুরি এবং ডেজার্ট বানাতে লাগে আটা। 
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খালি পেটে ডায়াবেটিক রোগীরা যেসব খাবার খেতে পারবেন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
খালি পেটে ডায়াবেটিক রোগীরা যেসব খাবার খেতে পারবেন
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খালি পেটে থাকা একেবারেই ঠিক নয়। সকালে নাশতা না করলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। আবার খালি পেটে ভুল খাবার খেলে দেখা দিতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই সকালে এমন কিছু খাবার বেছে নেওয়া জরুরি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াবে না, বরং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

চলুন, দেখে নেওয়া যাক ডায়াবেটিক রোগীরা খালি পেটে কী কী খেতে পারেন।

চিয়া সিড ভেজানো পানি
চিয়া সিডে রয়েছে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও প্রোটিন। এটি খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। সকালে নাশতার আগে এক গ্লাস পানিতে ভেজানো চিয়া সিড পান করতে পারেন।

এরপর ৩০ মিনিট পরে মূল খাবার খেলে ভালো ফল পাবেন।

টক দই
বাড়িতে তৈরি টক দই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও প্রোবায়োটিকস, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। দইয়ের প্রোটিন গ্লুকোজ শোষণের গতি কমিয়ে দেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়ে না।

অবশ্যই দইয়ে চিনি বা ফ্লেভার না মেশানোই ভালো। চাইলে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া যোগ করতে পারেন।

মেথি ভেজানো পানি
মেথি দানায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করলে উপকার পাবেন।

ভেজানো কাঠবাদাম
ডায়াবেটিক রোগীদের একেবারেই খালি পেটে থাকা উচিত নয়। স্ন্যাকস হিসেবে কিংবা নাশতায় রাখতে পারেন কাঠবাদাম। এতে থাকা প্রোটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থির রাখতে সাহায্য করে। খোসা ছাড়িয়ে খেলে এটি সহজে হজম হয়।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

আখের রস কি সবার জন্য উপকারী?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
আখের রস কি সবার জন্য উপকারী?
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মকালে এক গ্লাস ঠাণ্ডা আখের রস যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। এতে থাকে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো দরকারি খনিজ উপাদান। যা শরীরকে রাখে হাইড্রেটেড এবং ক্লান্তি দূর করে এনার্জি বাড়ায়। তবে পুষ্টিগুণে ভরপুর হলেও আখের রস সবার জন্য উপযুক্ত নয়।

কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় এটি খেলে উপকারের বদলে হতে পারে ক্ষতি। চলুন, জেনে নিই কারা আখের রস খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

যারা ওজন কমাতে চাইছেন
আখের রসে ক্যালোরি ও প্রাকৃতিক চিনি অনেক বেশি। নিয়মিত খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে পেটের চর্বি দ্রুত জমে।

তাই ডায়েট করছেন বা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা এই রস খাবেন বুঝে শুনে।

যাদের পেটের সমস্যা আছে
আখের রসে থাকা কিছু উপাদান হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে থাকা পলিকোসানল হজমশক্তিকে প্রভাবিত করে। এর ফলে হতে পারে পেট ব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা বা ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা।

তাই পেটের সমস্যা থাকলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়াবেটিক রোগী
আখের রসে গ্লুকোজের পরিমাণ খুবই বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি একেবারেই পরামর্শযোগ্য নয়।

যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে
দাঁতের ব্যথা, মাড়ির সমস্যা বা ক্যাভিটির প্রবণতা থাকলে আখের রস এড়িয়ে চলাই ভালো। অতিরিক্ত মিষ্টির কারণে মুখের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে দাঁত ও মাড়ির অবস্থা খারাপ করতে পারে।

গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মায়েরা
গর্ভাবস্থায় বা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় আখের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে এবং কিছু ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।

আখের রস অনেক উপকারী হলেও, কিছু শারীরিক অবস্থায় এটি এড়িয়ে চলাই ভালো। যেকোনো সন্দেহ বা অসুবিধার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

‘ইয়েলো পার্সন’ কারা? আপনার জীবনে রোদ হয়ে আসা সেই মানুষটি কে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
‘ইয়েলো পার্সন’ কারা? আপনার জীবনে রোদ হয়ে আসা সেই মানুষটি কে?
সংগৃহীত ছবি

হলুদ শুধু একটি রং নয়। এটি দিয়ে জীবনের উষ্ণতা, নির্মলতা, আনন্দ, আশাবাদ বোঝানো হয়। আর এই সমস্ত গুণ যদি কোনো একজন মানুষে পাওয়া যায়, তাকে বলা হয় ‘ইয়েলো পার্সন’।

জীবনে ঝড় নামলেও যে আপনাকে বলবে, “চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।

” যার মুখের হাসি আপনাকে রোদে ভেজা দুপুরের মতো সান্ত্বনা দিবে। যার পাশে থাকলে মনটা একটু হালকা লাগে, মনের ভারগুলো যেন অল্প অল্প গলে যায়। ইয়েলো পার্সনরা হয় প্রাণবন্ত, আশাবাদী, আর এমন এক পরিবেশ তৈরি করেন যেখানে আপনি নিরাপদ বোধ করেন। তাদের পাশে থাকলে বুঝতে পারা যায়—ভালোবাসা মানে শান্তি, ভারসাম্য ও সম্মান।

আজকের দিনে ‘ইয়েলো পার্সন’ শুধু একটা ট্রেন্ড না—এটা একধরনের অনুভব, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রকাশ। সামাজিক মাধ্যমে প্রিয়জনদের জন্য সূর্যমুখী হাতে ছবি, ভিডিওতে ভালোবাসা জানানো এখন খুব পরিচিত দৃশ্য। কারণ সূর্যমুখী তার উজ্জ্বলতা আর সরল সৌন্দর্যে ঠিক সেই ‘ইয়েলো’ অনুভবই দিয়ে থাকে। নতুন প্রজন্মের কাছে ভালোবাসা মানে এখন আর গোলাপ নয় বরং সূর্যমুখীর মতো নির্ভরতার আলো।

যেকোনো ইতিবাচক সম্পর্ক আমাদের শুধু মনের শান্তিই দেয় না, শরীরেও প্রভাব ফেলে। চাপ কমে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

তবে এটাও মনে রাখতে হবে,
এই ‘ইয়েলো পার্সন’-রাও মানুষ। সবসময় হাসিখুশি, উজ্জ্বল থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তারাও ক্লান্ত হন, ভেঙে পড়েন, নীরব থাকেন।

তাই তাদেরও প্রয়োজন হয় ভালোবাসা, বোঝাপড়া ও বিশ্রামের। আমরাও যেন ভুলে না যাই—সুখ বা প্রশান্তির চাবিকাঠি কারো হাতে নয়, তা লুকিয়ে থাকে আমাদের নিজের ভিতরেই। তবুও যদি জীবনে এমন একজন থাকেন, যিনি ঝড়ের মধ্যে আলো হয়ে থাকেন, তাহলে তাকে ধরে রাখুন। কারণ এমন মানুষ খুব কমই আসে জীবনে।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

মন্তব্য

ডিমের কুসুম কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ায়?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডিমের কুসুম কি সত্যিই কোলেস্টেরল বাড়ায়?
সংগৃহীত ছবি

বর্তমানের ব্যস্ত ও অনিয়মিত জীবনযাত্রায় প্রায় সবাইকেই নানা শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনধারা না মানার কারণে শরীরে জমছে অতিরিক্ত মেদ, আর তা থেকেই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এসবের ভয়েই অনেকেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টিকর খাবার, তার মধ্যে অন্যতম ডিমের কুসুম। অনেকে ভাবেন, কুসুম খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে।

চলুন, জেনে নিই।

ডিমের দুটি অংশ—সাদা ও কুসুম। সাদা অংশে থাকে প্রোটিন, আর কুসুমে থাকে কোলেস্টেরল, ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যেমন এ,ডি,ই এবং বি-১২। একটি বড় ডিমের কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।

অনেকেই ভাবেন, এটি খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়, যা হার্টের সমস্যার কারণ হতে পারে।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ডিমের কুসুম শরীরের কোলেস্টেরলের উপর খুব সামান্য প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ প্রতিদিন একটি ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা খুবই কম। বরং কুসুমে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের সামগ্রিক পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।

তবে যাদের কোলেস্টেরল সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে বা পারিবারিক ইতিহাসে হার্টের রোগ আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিম খাওয়া উচিত। সাধারণত সুস্থ একজন মানুষের জন্য দিনে একটি ডিম খাওয়া নিরাপদ হিসেবেই ধরা হয়।

কীভাবে খাবেন ডিম?
ভাজা ডিমের বদলে সেদ্ধ বা পোচ করে খাওয়াই ভালো, কারণ এতে বাড়তি ফ্যাট যুক্ত হয় না। সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রচুর সবজি,শস্যদানা—যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে। সব মানুষের শরীর এক রকম নয়।

তাই স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ