ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০২ শাওয়াল ১৪৪৬

অসুস্থ হওয়ার আগেই জানুন স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
অসুস্থ হওয়ার আগেই জানুন স্নায়বিক রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

স্নায়ুঘটিত রোগ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষেরই স্পষ্ট ধারণা থাকে না।  কখন সচেতন হতে হবে, তা আমরা বুঝতেও পারি না। যে কারণে পরিস্থিতি জটিল না হলে ডাক্তারের কাছেও যাওয়া হয় না। কিন্তু ততক্ষণে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ সময় পেরিয়ে যায়।

নিচের স্নায়বিক রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন:

চল্লিশের নীচে: মাথাব্যথা, এপিলেপ্সি, স্ট্রোক। এই বয়সে সাধারণত স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য রোগের তুলনায় কম হলেও, গত কয়েক বছরে এই সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
চল্লিশের উপরে কিন্তু ষাটের নীচে: এপিলেপ্সি, স্ট্রোক, কোমরের নীচের দিকে ব্যথা, মাথাব্যথা।
ষাটের ঊর্ধ্বে: স্ট্রোক, ডিমেনশিয়া, মস্তিষ্কে সংক্রমণ।
যদি এপিলেপ্সির সমস্যা জিনগত কারণে হয়, তার প্রকাশ ১৮-২০ বছর বয়সেও হতে পারে।

মাথাব্যথা: এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার আজ অবধি মাথাব্যথা হয়নি। তাই বিশেষজ্ঞ বলছেন, মাথাব্যথার তীব্রতা ও কত দিন অন্তর হচ্ছে, তার উপরে নজর রাখতে হবে। এর সঙ্গে বমি, জ্বর, দেখার সমস্যা, ডাবল ভিশন বা ব্ল্যাক আউটের মতো উপসর্গ যদি দেখা যায়, বুঝতে হবে সমস্যাটি গুরুতর ও স্নায়ুজনিত।

তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

কোমরের নীচের দিকে ব্যথা: এ ক্ষেত্রেও ব্যথার তীব্রতা, ফ্রিকোয়েন্সি বিচার করতে হবে। এই ব্যথার কারণে কারও যদি দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়, তখন সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

এপিলেপ্সি: সাধারণ ভাষায় 'খিঁচুনি' বলা হয় এপিলেপ্সিকে। এর রকমফেরও আছে।

কিন্তু এমন কিছু এপিলেপ্সিও রয়েছে, যা সাধারণ মানুষ চিনতেই পারেন না। টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সির ক্ষেত্রে রোগী কথা বলতে বলতে আনমনা হয়ে যান। রোগীর বাড়ির লোক বলেন, তখন রোগী অদ্ভুত কিছু মুখভঙ্গিমা বা হাতের মুভমেন্ট করেন। রোগীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি হয়তো বলেন, ওই সময়ে তিনি কোনও অপরিচিত গন্ধ পান বা কোনও অবয়বের বিকৃতি দেখতে পান বা কোনও মন্ত্র শুনতে পান। হ্যালুসিনেশন শুনলেই আমাদের মনে হয়, রোগটি হয়তো মানসিক। সাইকায়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হই আমরা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যাটি স্নায়বিক।

হাত কাঁপা: স্নায়ুর সমস্যার ক্ষেত্রে হাত কাঁপা বহুল প্রচলিত একটি উপসর্গ। বয়স্কদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা হলেই অনেকে ভাবেন, পারকিনসনস ডিজ়িজ়। এই রোগটির ক্ষেত্রে রোগীর হাঁটা-চলা অস্বাভাবিক ভাবে ধীর গতির হয়ে যায়। যে কাজটির ক্ষেত্রে আগে তার পাঁচ মিনিট লাগত, সেটি করতে আধ ঘণ্টা লেগে যায়। তবে পারকিনসনস ডিজ়িজ় ক্ষেত্রবিশেষে খুব তাড়াতাড়ি বা খুব আস্তে আস্তে প্রকট হয়।

এসেনশিয়াল ট্রেমর: অনেকের জিনগত ভাবেই হাত কাঁপার সমস্যা থাকে। তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যাটির লক্ষণ আগেভাগেই প্রকট হয়।

সমস্যাটি স্নায়বিক না মানসিক?

টেম্পোরাল লোব এপিলেপ্সির মতো আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে উপযুক্ত ধারণার অভাবে আমরা বুঝতে পারি না, কার সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন। যেমন, স্মৃতিলোপ ছাড়াও ডিমেনশিয়ার সমস্যা হতে পারে। খুব শান্তশিষ্ট ব্যক্তি হঠাৎ চনমনে হয়ে উঠলেন। ডিমেনশিয়ার কারণেই হয়তো তার এই পরিবর্তন। কিন্তু তার স্মৃতির সমস্যা হয়নি বলে ধরে নিই, হয়তো সাইকায়াট্রিস্টের পরামর্শ প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক সময়ে ডিমেনশিয়া ধরা পড়লে চিকিৎসা ও ক্ষেত্রবিশেষে নিরাময় সম্ভব।

নিকোটিন ও অ্যালকোহলের প্রভাব: চল্লিশ বছরের নীচে যারা স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন, সে ক্ষেত্রে লাগামছাড়া মদ্যপান একটি বড় কারণ। এর সঙ্গে সেডেন্টারি লাইফস্টাইল, হাইপার টেনশন, ডায়াবিটিসও স্ট্রোকের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। যারা দীর্ঘ দিন ধরে মদ্যপান করছেন, তাদের মধ্যে এপিলেপ্সি, আর্লি কগনিটিভ ডিক্লাইন, পেরিফেরাল নার্ভ ড্যামেজ ও ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

নিকোটিন: হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের জন্য অন্যতম রিস্ক ফ্যাক্টর।

মোবাইলের ব্যবহার: স্মার্ট ফোনের ক্রমাগত ব্যবহার ও হ্যান্ড মুভমেন্টের কারণে কবজির নার্ভ অনেক ক্ষেত্রেই সংকুচিত হয়ে যায়। স্পাইনাল কর্ডের সমস্যাও হতে পারে।

স্নায়বিক সমস্যার লক্ষণ:
⇒ কেউ অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বললে বা ভুল বাক্য গঠন করলে, সেটাও কিন্তু স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে।
⇒ ডাবল ভিশন, মাথা ঘোরাও স্ট্রোকের উপসর্গ।
⇒ সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেনের ব্যথা নয়। কোনও রোগীর দশ বছর ধরে মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলেও, মাথাব্যথার ধরন, ফ্রিকোয়েন্সি ও তীব্রতার উপরে রোগ নির্ণয়ে হেরফের হতে পারে।
⇒ ঘাড়ে ব্যথা ছাড়াও স্পাইনাল কর্ড ডিজ়অর্ডার দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে রোগীর ভারসাম্য রাখতে সমস্যা তৈরি হবে।
⇒ সার্ভাইকাল স্পন্ডিলোসিস কখনও ভার্টিগোর কারণ নয়। কান ও মাথার ব্যালান্সিং নার্ভের সমস্যার কারণে ভার্টিগো হয়। এটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা। ঘাড়ের ব্যায়াম করে এই রোগের নিরাময় সম্ভব নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্ম না আসতেই গরম শুরু হয়ে গেছে। এই সময়ে গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ দুপুরের দিকে বের হতে চান না। বের হলেও বিভিন্ন পানীয়র ওপর নির্ভর করেন। তেমন এক পানীয় হচ্ছে অ্যালোভেরার জুস।

এই অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা আমাদের ত্বক, মুখ ও হজমের জন্য বেশ উপকারী।

অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বহু বছরে ধরেই এটি ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতর থেকে একরকম আঠালো রস বের হয়, সেটিই নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।

এটি ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

অ্যালোভেরাকে বাংলায় অনেকে ঘৃতকুমারী গাছও বলে থাকেন। এতে থাকা পলিফেনল যৌগের কারণে প্রদাহ দূর হয়। এতে থাকা প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।

একে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও বলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনকি এই কারণে হৃদরোগও দেখা দিতে পারে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রদাহনাশী উপাদান। এটোপিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই অ্যালোভেরা।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

পানীয় হিসেবে এর রস পান করা যায়, আবার অনেকে এর রস ত্বকে লাগান। দুটিতেই দারুণ উপকার মেলে। এ ছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে এই অ্যালোভেরা। শুধু তা-ই নয়, রক্তে ফ্যাটি এসিডের মাত্রাও কমাতে পারে এটি।

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

শসা থেকে দূরে থাকবেন যারা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শসা থেকে দূরে থাকবেন যারা
সংগৃহীত ছবি

শীত চলে গিয়ে গরম শুরু হয়ে গেছে। গরম থেকে বাঁচতে এ সময় অনেকে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করেন। এ সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পানিশূণ্যতা। এ কারণে আমরা বেশিরভাগ সময় জলীয় উপাদান আছে এমন ফল ও শাক-সবজির দ্বারস্থ হই।

শরীরে স্বাস্থ্যকর ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এসব খাবার। সেদিক থেকে সবার প্রথমে মনে পড়ে শসার কথা। সস্তায় অঢেল পুষ্টির ভাণ্ডার এই ফল।

গ্রীষ্মের জন্য একটি নিখুঁত খাবার এ শসা।

এটি কাঁচা অবস্থায় খান অথবা আপনার সালাদ, স্মুদি, পানীয়তে যোগ করুন অথবা সবজি তৈরি করেন, এই সাধারণ সবজিটি প্রায় সবকিছুর সঙ্গেই খাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই সাধারণ সবজির কিছু লুকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে?

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

পুষ্টিবিদদের মতে, শসায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম, যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এটি একটি বিরল চিকিৎসা অবস্থা। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শসা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি কিডনির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

তিতা শসা খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েডের মতো বিষাক্ত পদার্থ থাকে। কিছু গবেষণা অনুসারে, শসার তিতা স্বাদ এই বিষাক্ত পদার্থের ফলে হয়, যা শরীরে অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।

শসায় কিউকারবিটাসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিছু লোকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষত যাদের স্বাস্থ্য ও হজমের সমস্যা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শসা খেলে পেট ফাঁপা, বদহজম ও অস্বস্তি হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

 

শসার বীজ হলো কিউকারবিটিনের একটি প্রধান উৎস, যা শসার একটি উপাদান যা মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। বেশিরভাগ মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় আরো তরল যোগ করার জন্য শসা খান। তবে এটির অত্যধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, এটি মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে হয় যার ফলে আপনার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যেতে পারে, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শসা সাধারণত ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয়। তবে, এই সবজির মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব এবং পানির ক্ষয় হতে পারে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আঁশের উপস্থিতিতে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন
সংগৃহীত ছবি

গরম বলে অনেকে এ সময় চা খেতে চান না। তারাই কিন্তু কনকনে শীতে চা ছাড়া থাকতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন— কনকনে শীত হোক বা ভ্যাপসা গরম, চা ছাড়া তাদের চলেই না। অনেকে বলে গরমে গরম কাটে।

তাই চা খান। তা যাই হোক না কেন চা আমাদের চাই। তবে এটা ঠিক, চা যেকোনো সময়েই কিছুটা এনার্জি তো দেয়ই। তাই চায়ে এমন কিছু মেশান, যা খেলে সারা দিন ফুরফুরে থাকতে পারবেন।

প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেওয়ার চেয়ে ঠাণ্ডা পানীয় খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই গরমেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে চায়ের ওপর ভরসা রাখা যায়। তার জন্য সাধারণ চা পাতার সঙ্গে মেশাতে হবে ৩টি উপাদান। এই ৩টি উপাদান চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে গরমেও শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

হলুদ চা

এই গরমে রোদে পুড়ে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রেখে, ত্বকের সঠিক পরিচর্যায় চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। হলুদ রক্ত পরিষ্কার রাখতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ চায়ের জন্য এক চিমটি হলুদই যথেষ্ট। গরমে হলুদ মেশানো চা খেয়ে দেখুন, ফল পাবেন হাতে নাতে।

এলাচ চা

প্রচণ্ড গরমে হজমের নানা সমস্যা মাথা চাড়া দেয়। অম্বল, বুক জ্বালার মতো একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে চা খান। ২ কাপ চায়ের জন্য ২টি এলাচ দিলেই চলবে। গরমে এলাচ চা খেয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মৌরি চা

শরীর ঠাণ্ডা রাখতে মৌরি অত্যন্ত কার্যকরী একটি মশলা। হজমের নানা সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটাতেও সাহায্য করে মৌরি। ২ কাপ চায়ের জন্য ১ চামচ মৌরি নিন। চায়ের ফুটন্ত পানির মধ্যে এই ১ চামচ মৌরি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই চা প্রতিদিন অন্তত একবার খেতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।

আরো পড়ুন
বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

 

সূত্র : আজতক বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জেনে নিন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জেনে নিন কারণ
সংগৃহীত ছবি

শরীরে কখন কোন অসুখ আসবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। অনেকেই কম বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজেই রোগে ভুগে থাকে মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।

সেগুলো ত্যাগ করা জরুরি। চলুন, জেনে নিই অভ্যাসগুলো কী কী।

প্রসেসড খাবারের অভ্যাস
অনেকেই বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকর ফ্যাট প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। সুতরাং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

শাক-সবজি খাওয়া
শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া শরী্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরচর্চার অভাব
অনেকেরই দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। যার ফলে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হয়। কিন্তু শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ধূমপান ও মদ্যপান
নেশাজাতীয় দ্রব্য যেমন ধূমপান বা মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

সুস্থ থাকতে নেশা থেকে দূরে থাকা জরুরি।

অপর্যাপ্ত ঘুম
রাতে যথেষ্ট ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। নিয়মিত অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ