কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি তাদের ডায়েটে ফাইবার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কোলেস্টেরল শোষণ করে এবং তার নির্গমন বাড়ায়। কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানবো সেসব ফলের কথা।
কোলেস্টেরলের মাত্রা যাদের বেশি তাদের ডায়েটে ফাইবার থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি কোলেস্টেরল শোষণ করে এবং তার নির্গমন বাড়ায়। কিছু ফল রয়েছে, যেগুলো খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানবো সেসব ফলের কথা।
সাতটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল রক্তে কোলেস্টেরলের ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে।
পেঁপে
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারের পাশাপাশি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এগুলো হার্ট ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ফাইবার, স্টেরল, ভিটামিন সি এবং কে।
বেদানা
বেদানায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তারা এথোরোস্কৃলেরোসিসের অগ্রগতি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
আপেল
গবেষণায় দেখা গেছে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আপেল। এই ফলে পলিফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। যা রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
বেরি ফল
এই ফলগুলো উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
সাইট্রাস ফল
লেবু, কমলালেবু ও আঙুরের মতো ফলে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কমলালেবুতে পেকটিন নামের এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। এটি রক্তে এলডিএলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আনারস
আনারসে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলাইন রয়েছে। এটি এমন একটি এনজাইম যা ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে দেয় না এবং হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র : হ্যাপিয়েস্ট হেলথ্
সম্পর্কিত খবর
গ্রীষ্মের গরমে ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কড়া রোদের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি খুবই উপকারে আসে। মাঝে মাঝে আমরা সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যাই। কিন্তু যখন শরীরে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারি, তখন সানস্ক্রিন না লাগানো ঠিক নয়।
অনেকেই তীব্র সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে ‘ওরাল সানস্ক্রিন’ বা সাপ্লিমেন্ট বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এগুলো কি সানস্ক্রিনের মতো কার্যকর? অনেকেই মনে করেন সাপ্লিমেন্টগুলো অনেক বেশি ঝামেলামুক্ত।
সানস্ক্রিন পিলগুলো কী কী
বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, ওরাল সানস্ক্রিন পিলগুলোতে সাধারণত ভিটামিন, খনিজ, ক্যারোটিনয়েড নামক রঙিন যৌগ ও পলিফেনল নামে পরিচিত উদ্ভিদ-ভিত্তিক পদার্থের মিশ্রণ থাকে। এই পিলগুলোর মধ্যে পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস (পি. লিউকোটোমোস) নামক ফার্ন উদ্ভিদের নির্যাস থাকে।
এই নির্যাস ছাড়াও নিকোটিনামাইড (এক ধরনের ভিটামিন বি৩ যা ইউভি রশ্মি সম্পর্কিত ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করতে পারে), লাইকোপিন (যা সূর্যের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষায় সাহায্য করতে পারে) এর মতো উপাদানও থাকে।
এগুলো কি ঠিকঠাক কাজ করে
এ বিষয়ে এখনো খুব বেশি গবেষণা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ট্যাবলেটগুলো সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়। ২০১৫ সালে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা (এফডিএ) এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে। সংস্থাটি বলেছিল, এখনো পর্যন্ত সানস্ক্রিন বিকল্প হিসেবে কোনো ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল নেই।
ওরাল সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস ত্বককে সূর্যের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা নিয়মিত সানস্ক্রিন করে না। জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পিল গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ট্যান কম হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ট্যাবলেটগুলোকে ভালোভাবে জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
এগুলো খাওয়ার আগে যেসব বিষয় জানা উচিত
আপনি যদি কোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা কমপক্ষে ৩০ SPF-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
ত্বক সংবেদনশীল হলে সানস্ক্রিন পিল ব্যবহারের আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন যারা, তারা অবশ্য বিশেষজ্ঞের মতামত নিন। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে অথবা অ্যান্টিবায়োটিকসহ নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেলে এই পিল এড়িয়ে চলুন।
যেহেতু এফডিএ এই পিলগুলোকে অনুমোদন দেয় না, তাই এর কোনো গ্যারান্টি নেই যে এগুলি নিরাপদে কাজ করে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
অনেক সাধ করে অনেকেই সুন্দর সুন্দর চায়ের কাপ, কফি মগ কিনেন। কিন্তু অল্প দিন যেতে না যেতেই চায়ের কাপে চা-কফির বাজে দাগ পড়ে যায়। হাজার চেষ্টার পরও কোনোভাবেই উঠছে না। কী করবেন তাহলে? চিন্তা নেই।
চা-কপির দাগ দূর করার উপায়
চা বা কফির কাপ ব্যবহারের পর অন্তত ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারমধ্যে ঢেলে দিন কিছুটা পরিমাণ থালা-বাসন মাজার তরল সাবান। এরপর হালকা করে ঘষে নিন।
কাপ, কফি মগ পরিষ্কার করতে ভিনিগারের সাহায্য নিন। পানির সঙ্গে ১ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর ভিনিগারের মিশ্রণটি দিয়ে কাপগুলো মেজে নিন। দেখবেন ঝটপট দাগ উঠে যাবে।
সপ্তাহে অন্তত একটা দিন চায়ের কাপ, ডিশ, কফি মগকে ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ঘষে নিন এতে কাপ ঝকঝকে থাকবে বহুদিন।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। দিন যত বাড়বে তাপপ্রবাহ আরো বাড়বে। গরমে সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞরা রোদ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হচ্ছে।
পানি খাওয়ার পাশাপাশি পানিজাতীয় ফলও খেতে হবে।
শসা
শসায় পানির ভাগ ৯৫ শতাংশ। গরমে সুস্থ থাকতে শসার মতো খাবার কমই আছে।
ফুটি
এই ফলে পানি আছে ৯০ শতাংশ।
তরমুজ
তরমুজেও পানির ভাগ ৯৫ শতাংশ। শরীরে পানির জোগান দিতে তরমুজ খেতে পারলে ভালো। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি। ক্যালরির মাত্রাও কম এই ফলে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণেও তরমুজের ভূমিকা অনবদ্য। ডায়াবেটিক রোগীরাও খেতে পারেন এই ফল।
সূত্র : এই সময়
ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য এক অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এটি শুধু সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে কোভিড-১৯-এর মতো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ত্বক, চুল, হাড়, মাংসপেশি ও ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি-এর অভাবে দেখা দিতে পারে স্কার্ভির মতো রোগ—যার উপসর্গ হলো মাড়ি ফোলা, রক্তপাত, দুর্বলতা এবং ত্বকের সমস্যা।
ভিটামিন সি-এর উপকারিতা—
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে,
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, কোষকে রক্ষা করে,
ত্বক ও চুলকে রাখে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত,
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,
চোখের ছানি প্রতিরোধে সহায়তা করে,
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
আমাদের আশেপাশের অনেক পরিচিত খাবারেই রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি। চলুন, জেনে নিই।
লেবু – প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস লেবু পানি শরীরকে ডিটক্স করে, বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
পেয়ারা – একটি পেয়ারায় থাকে প্রায় ১২৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এটি হজম ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
কমলা লেবু – একটি কমলায় থাকে প্রায় ৭০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
পেঁপে – স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
টমেটোর রস – ক্যান্সার প্রতিরোধে ও ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় সাহায্য করে।
আঙ্গুর – এতে রয়েছে ভিটামিন সি ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
স্ট্রবেরি – ডায়াবেটিস ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী।
ব্রকলি – মানসিক চাপ কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ফুলকপি – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ।
ভিটামিন সি-এর অভাবে কী কী সমস্যা হতে পারে?
স্কার্ভি (মাড়ি ফোলা ও রক্তপাত)
ক্লান্তি ও দুর্বলতা
চুল পড়া
ক্ষত সারতে দেরি
জয়েন্টে ব্যথা
মন খারাপ বা বিষণ্ণতা
বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ঘাটতি গুরুতর হতে পারে।
সূত্র : কলকাতা ২৪×৭