প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর
সংগৃহীত ছবি

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, যা অজান্তেই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এই অভ্যাসগুলোর ফলে আমরা শুধু নিজেদেরই অসুস্থ করি না, বরং বাড়িতে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছি। তাই সুস্থ থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে নিজের কাজ করা খুবই জরুরি।

ছোট ছোট সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণগুলোর ঝুঁকি কমাতে পারি।

জেনে নিন, আমাদের কোন কোন অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়—

বাইরের পোশাক পরে বিছানায় শোয়া

সারা দিন ব্যবহারের পর আমাদের পোশাকে ধুলো, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে। আর যদি আমরা এই পোশাকগুলো না পরিবর্তন করেই বিছানায় শুয়ে পড়ি, তাহলে এই ময়লা ও জীবাণু বিছানায় স্থানান্তরিত হতে পারে। যা পরবর্তীতে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

বাইরে থেকে আসার পর হাত না ধোয়া

বাইরে থাকার সময় আমরা অনেক জায়গা স্পর্শ করি, যার কারণে আমাদের হাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জমে।

বাড়ি ফিরে আসার পর যদি আমরা অন্য জিনিস স্পর্শ করি বা হাত না ধুয়েই খাবার খাই, তাহলে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি ফিরে আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

বাড়ি ফিরে বিছানার ওপর ব্যাগ রাখা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণে বা বাইরে থাকার সময় অনেক ধরনের জীবাণু ব্যাগ বা স্যুটকেসের বাইরের অংশে লেগে থাকতে পারে।

যখন আমরা বাড়িতে এসে সেটি সরাসরি বিছানার ওপর রাখি, তখন এই জীবাণুগুলো বিছানার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

 

টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া

টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। তা না হলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে অনেক রোগ হতে পারে। 

ঘরের ভেতরে বাইরের জুতা পরা

রাস্তায় হাঁটার সময় জুতার মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা আমাদের সঙ্গে ঘরে আসে।

যদি আমরা ঘরের ভেতরে এই জুতা পরে থাকি, তাহলে এই ব্যাকটেরিয়া মেঝেতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।

এই অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে আমরা নিজেদের এবং আমাদের পরিবারের স্বাস্থ্যের আরো ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে ফেলা, হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবে যেসব ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবে যেসব ফল
সংগৃহীত ছবি

আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হচ্ছে ক্যালসিয়াম। হাড় ও দাঁতের সুস্থতা, পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই খনিজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। দুগ্ধজাত খাদ্যকে ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়।

দুধে ফ্যাট বেশি থাকায় অনেকে দুধ খেতে চান না। তাই তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। তবে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবে কিছু ফল। কী সেই ফল, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।

কমলালেবু : শুধু ভিটামিন সি নয়, ক্যালসিয়ামেও সমৃদ্ধ কমলালেবু। ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে প্রায় ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।

আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

 

ডুমুর : ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।

আধা কাপ ডুমুরে প্রায় ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

কিউই : ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস হলো কিউই, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।

পেঁপে : ১০০ গ্রাম পেঁপেতে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।

বেরি ফল : স্ট্রবেরি, রাসবেরি ও ব্লুবেরির মতো বেরিজাতীয় ফলে ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

আরো পড়ুন
নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

 

আপেল : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।

আঙুর : ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আঙুর হাড়ের স্বাস্থ্য ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

আম : আমে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।

আনারস : আনারসে ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি, জিংক, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

কালিজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা

শেয়ার
কালিজিরার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সংগৃহীত ছবি

কালিজিরা একটি শক্তিশালী ভেষজ মসলা। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কালিজিরা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। সর্দি, কাশি, জ্বর ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

কালিজিরা শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় না, এটির আরো অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের মতো পেটের নানা সমস্যা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে সহায়তা করে এবং বাতরোগসহ অন্যান্য সমস্যায় উপকারে আসে।

এটি মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কালিজিরা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল রাখে এবং চুল পড়া কমায়।

কালিজিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে এটি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

এ ছাড়া কালিজিরা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ কালিজিরা মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট ফোটাতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় খালি পেটে পান করলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

যেসব কারণে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেন নারীরা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব কারণে সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেন নারীরা
সংগৃহীত ছবি

সঙ্গীর কাছে প্রতারিত হওয়া যেকোনো মানুষের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো। সেটা বিয়ের আগে হোক বা পরে। বিশ্বাস ভাঙা ভালোবাসার বন্ধন ভাঙার মতো। এমনকি মন ভাঙার পরে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও আগের সেই বন্ধন এবং পুরনো অনুভূতিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের ‘প্রতারক’ হিসেবে দেখানো হয়। তবে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও প্রতারণা করেন।  

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টারের (এনওআরসি) ২০২২ সালের গ্লোবাল সোশ্যাল সার্ভেতে (জিএসএস) এমন কিছু চমকপ্রদ বিষয় পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ১৩ শতাংশ নারী তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।

আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

 

এ ছাড়া ইউকে গবেষণা এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম ২০১৯ সালের সমীক্ষায় এক হাজারেরও বেশি বিবাহিত ব্যক্তির ওপর একই রকম ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ১০ শতাংশ নারী তাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন।

গত কয়েক দশকে প্রতারণা করছেন, এরকম নারীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১০ সালে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করার প্রবণতা ২০ বছর আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে।

তবুও এই পরিসংখ্যানের মধ্যেও একটি মৌলিক প্রশ্ন থেকে যায় এবং তা হলো কেন নারীরা প্রতারণা করেন? বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য কারণগুলো জানিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে—

একাকিত্ব

নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ হয়। তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে একাকিত্ব বা মানসিক বিচ্ছেদের কারণে অপর ব্যক্তির সঙ্গে মানসিক ও রোম্যান্টিক সম্পর্ক নিয়ে কল্পনা করা শুরু করেন। সঙ্গী প্রচুর ভ্রমণ করলে স্বামী বা স্ত্রী দীর্ঘ সময় কাজ করলে বা স্ত্রীর অসুস্থতাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে এই ধরনের অনুভূতি দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

 

আত্মসম্মান

যখন একজন নারীর কম আত্মসম্মান থাকে, তখন এই পরিস্থিতি তাকে মনোযোগ, সম্মান ইত্যাদির মতো বিষয়গুলোর জন্য বাইরের লোকের দিকে তাকাতে পারে।

সম্পর্ক যখন সহজলভ্য

মনোবিদদের মতে, সমাজের সব থেকে বড় সমস্যাই হল সহজলভ্যতার ধারণা। অনেক কিছুর মতো সম্পর্কও এখন অনেক সহজলভ্য বলে মনে করেন অনেকেই। একটু চেষ্টা করতে পারলেই যেন মিলে যায় সব সমস্যার সহজ সমাধান। এই মানসিকতা ঢুকে পড়েছে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।

মানসিক ক্ষুধা

গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য। যৌনতা সমীকরণের অংশও নয়। সম্পর্কটি শারীরিক বা মানসিক প্রকৃতির হোক না কেন, সেই নারী অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে কথোপকথন, সহানুভূতি, সম্মান, প্রশংসা, সমর্থন কামনা করে, যা সে তার বর্তমান সম্পর্ক থেকে পাচ্ছে না।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

 

সমাজে মানিয়ে নেওয়া

মনোবিদদের মতে, আজকাল সমাজে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটাই অনেক কমে গেছে। নিজের ক্যারিয়ারের ঝক্কি সামলে সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলোর মানিয়ে নেওয়ার সময় কোথায়? এ ক্ষেত্রেও মেয়েরা সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে প্রতারণার রাস্তাই বেছে নেন।

যৌন স্বাদে ভিন্নতা

আধুনিক যুগের ছেলেদের মত মেয়েরাও অনেক বেশি আধুনিক হয়ে গেছে। ছেলেরা যেমন বিভিন্ন যৌন স্বাদ পেতে ভালোবাসেন তেমনি এমন অনেক মেয়ে আছেন যারা বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে যৌন স্বাদ গ্রহণ করতে চান। এরা এক পুরুষের মাঝে সকল সুখ খুঁজে পায় না। এ কারণেও এই মেয়েরা স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে।

আরো পড়ুন

ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

 

রাগ বা প্রতিশোধ

কিছু নারী তাদের মনে মধ্যে সঙ্গীর একটি আদর্শ ভাবমূর্তি নিয়ে একটি সম্পর্কে প্রবেশ করে। কিন্তু যখন সঙ্গী প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না এবং তাদের প্রতিটি প্রয়োজন ও ইচ্ছা পূরণ করতে অক্ষম হয়, তখন এটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কিছু লোক তাদের অতীত সম্পর্কের মতো অন্য কোনো কারণে তাদের সঙ্গীর প্রতি রাগ করতে পারে, যার কারণে তারা নিজেরাই প্রতিশোধ হিসেবে প্রতারণা শুরু করে।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

ঘুম কম হয় যে ভিটামিনের অভাবে

শেয়ার
ঘুম কম হয় যে ভিটামিনের অভাবে
সংগৃহীত ছবি

সব বয়সের মানুষের রাতে ভালো ঘুম খুবই জরুরি। দৈনিক কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আধুনিক জীবনের জন্য অনেকেরই ঘুমের সমস্যা হয়। এর মধ্যে ভিটামিনের অভাব একটি বড় কারণ।

 

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি হাড়ের সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ঘুমে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি খেলে ভালো ঘুম হয় এবং অ্যানিমিয়া বা অনিদ্রার সমস্যা কমে যায়।

সূর্যালোক ছাড়াও আপনি সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুধ ও ফলের রস থেকে ভিটামিন ডি পেতে পারেন।

ভিটামিন ই
এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কোষের সুস্থতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন-ই ঘুমের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, পালং শাক, ব্রকলি এবং টমেটো থেকে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়।

ভিটামিন সি
ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা রোধ করে এবং ভালো ঘুম আনে। পালং শাক, ফুলকপি, সাইট্রাস ফল যেমন— কমলা, লেবু ইত্যাদি ভিটামিন সির ভালো উৎস।

ভিটামিন বি-৬
এ ভিটামিন অনিদ্রা দূর করতে সাহায্য করে এবং রাতে ভালো ঘুমে সাহায্য করে।

কলা, গাজর, পালং শাক, আলু, ডিম, চিজ, মাছ এবং গোটা শস্যদানায় প্রচুর ভিটামিন বি-৬ পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি-১২
এটি মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ঘুমের সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। প্রাণিজ প্রোটিন এবং দুধজাতীয় খাবারে এ ভিটামিন পাওয়া যায়।

 

সূত্র : এই সময়
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ