সাধের টাইলসের ওপর একসময় দাগ পড়ে যেতে পারে। নানা কারণেই পড়তে পারে এই দাগ অথবা হলুদভাব চলে আসে। ফলে ঘরের মেঝে দেখতে অপরিষ্কার লাগে। ঘর মোছার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
ঝকঝকে মেঝের জন্য যা করতে পারেন
অনলাইন ডেস্ক

যেভাবে পরিষ্কার করতে পারেন মেঝে
১. ভিনিগার বা লেবুর রসে স্পঞ্জ ভিজিয়ে টাইলসে লাগিয়ে নিন।
২. টাইলসের দাগ দূর করতে বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন। পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
দাগ খুব জেদি হলে এই পদ্ধতিতে ঘর মুছতে পারে। সেটা হলো, এক বালতি গরম পানিতে হাফ কাপের মতো অ্যামোনিয়া মিশিয়ে নিন। ওই পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ঘর মুছে ফেলুন। যে কোনো তেলমসলার দাগ, হলদেটে ছোপ বা কালচে দাগ উঠে যাবে।
প্রতিদিন ঘর মুছতেই হবে। সপ্তাহে তিন দিন কুসুম গরম পানিতে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে পরিষ্কার করুন। ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ভালো করে মেঝে মুছে দিতে হবে। তা না হলে পিচ্ছিলভাব যাবে না।
সূত্র : আনন্দবাজার
সম্পর্কিত খবর

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ
জীবনযাপন ডেস্ক

বৈশাখ উপলক্ষে বাড়িতে অনেকে অনেক পদের রান্না করেন। আর যা কিছু থাকুক আর না থাকুক ইলিশ কিন্তু থাকবেই। বৈশাখের সঙ্গে পান্তা-ইলিশ যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তবে এটি কবে থেকে শুরু হয় তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
বৈশাখের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক নিয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকবেই, তাই বলে তো খাওয়া বন্ধ থাকবে না। তাই এবারের বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ রান্না। চলুন, জেনে নেওয়া যাক কিভাবে রান্না করবেন ইলিশ।
ইলিশ পোলাও
উপকরণ
- ইলিশ মাছ ৬ টুকরা
- পেঁয়াজকুচি আধা কাপ
- পেঁয়াজবাটা ৩ টেবিল চামচ
- আদাবাটা দেড় টেবিল চামচ
- রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
- মরিচগুঁড়া ১ চা চামচ
- তেল দেড় কাপ
- ঘি সিকি কাপ
- লাল ও সবুজ কাঁচা মরিচ ১০-১২টি
- টক-মিষ্টি দই আধা কাপ
- নারকেল দুধ ১ কাপ
- চাল আধা কেজি
- পেঁয়াজ ভাজা ও বেরেস্তা আধা কাপ এবং
- লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালী
প্রথমে ইলিশ মাছটি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। দই ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে। এবার দইয়ে পেঁয়াজবাটা, রসুনবাটা, মরিচের গুঁড়া, পরিমাণমতো লবণ ও আধা কাপ নারকেল দুধ ভালো করে মিশিয়ে এর মধ্যে মাছ দিয়ে ম্যারিনেট করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর কড়াইয়ে উপকরণের অর্ধেক তেল ও অর্ধেক ঘি দিয়ে আস্তে করে ম্যারিনেট করা মাছগুলো ছেড়ে দিতে হবে।
মাঝারি জ্বালে ৬ মিনিট রাখার পর চুলা বন্ধ করুন। আরেকটি পাত্রে বাকি তেল ও ঘি দিয়ে অবশিষ্ট পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজ হালকা লাল হলেই চাল দিয়ে দিন এবং ভালোভাবে চালটা ভেজে ভেজে নিন।
চালে বলক এলে ৬-৭টি সবুজ ও লাল মরিচ দিয়ে দিন। এরপর পাত্রটি ঢেকে দিন, জ্বাল কমিয়ে ২০ মিনিট চুলায় রেখে দিন। ২০ মিনিট পর পোলাও হয়ে গেলে এর ওপর রান্না করা ইলিশ মাছগুলো এমনভাবে সাজিয়ে দিন যেন ভাতের মধ্যে ডুবে থাকে। মাছের ঘন ঝোল পোলাওয়ের ওপর ছড়িয়ে দিন। সবশেষে বেরেস্তা ছিটিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখুন।
এবার একটি ছড়ানো পাত্রে খুব সাবধানে প্রথমে পোলাও, পরে মাছগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা
উপকরণ
- ইলিশ মাছ, মাথা, ডিমসহ ছোট করে কাটা ২ কাপ
- লেবুপাতা ৫-৬টি
- পেঁয়াজকুচি ১ কাপ
- কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি
- হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ
- মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ
- জিরাগুঁড়া আধা চা-চামচ
- তেল আধা কাপ
- লবণ পরিমাণমতো
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
- চিনি ১ চা-চামচ
- টমেটো সস ২ টেবিল চামচ
প্রণালী
তেল গরম করে পেঁয়াজ ভাজতে হবে। পেঁয়াজ নরম হলে সমস্ত মসলা কষিয়ে টমেটো সস দিয়ে মাছ দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ঝোল কমে এলে চিনি, লেবুর রস, কাঁচা মরিচ, লেবুপাতা পর্যায়ক্রমে দিয়ে নামাতে হবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল লেবুপাতায় ইলিশ ভুনা।

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক

গ্রীষ্মের গরমে ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কড়া রোদের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এটি খুবই উপকারে আসে। মাঝে মাঝে আমরা সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলে যাই। কিন্তু যখন শরীরে ইউভি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারি, তখন সানস্ক্রিন না লাগানো ঠিক নয়।
অনেকেই তীব্র সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা পেতে ‘ওরাল সানস্ক্রিন’ বা সাপ্লিমেন্ট বেছে নিচ্ছেন। কিন্তু এগুলো কি সানস্ক্রিনের মতো কার্যকর? অনেকেই মনে করেন সাপ্লিমেন্টগুলো অনেক বেশি ঝামেলামুক্ত।
সানস্ক্রিন পিলগুলো কী কী
বিশেষজ্ঞরা ব্যাখ্যা করেন, ওরাল সানস্ক্রিন পিলগুলোতে সাধারণত ভিটামিন, খনিজ, ক্যারোটিনয়েড নামক রঙিন যৌগ ও পলিফেনল নামে পরিচিত উদ্ভিদ-ভিত্তিক পদার্থের মিশ্রণ থাকে। এই পিলগুলোর মধ্যে পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস (পি. লিউকোটোমোস) নামক ফার্ন উদ্ভিদের নির্যাস থাকে।
এই নির্যাস ছাড়াও নিকোটিনামাইড (এক ধরনের ভিটামিন বি৩ যা ইউভি রশ্মি সম্পর্কিত ক্ষতি মেরামত করতে সাহায্য করতে পারে), লাইকোপিন (যা সূর্যের বিরুদ্ধে ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষায় সাহায্য করতে পারে) এর মতো উপাদানও থাকে।
এগুলো কি ঠিকঠাক কাজ করে
এ বিষয়ে এখনো খুব বেশি গবেষণা হয়নি, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই ট্যাবলেটগুলো সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ব্যবহার করা উচিত নয়। ২০১৫ সালে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা (এফডিএ) এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করে। সংস্থাটি বলেছিল, এখনো পর্যন্ত সানস্ক্রিন বিকল্প হিসেবে কোনো ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল নেই।
ওরাল সানস্ক্রিনের মধ্যে থাকা পলিপোডিয়াম লিউকোটোমোস ত্বককে সূর্যের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা নিয়মিত সানস্ক্রিন করে না। জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাসথেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পিল গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ট্যান কম হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ট্যাবলেটগুলোকে ভালোভাবে জানতে আরো গবেষণার প্রয়োজন।
এগুলো খাওয়ার আগে যেসব বিষয় জানা উচিত
আপনি যদি কোনো সাপ্লিমেন্ট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও নিয়মিত সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা কমপক্ষে ৩০ SPF-যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
ত্বক সংবেদনশীল হলে সানস্ক্রিন পিল ব্যবহারের আগে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অন্তঃসত্ত্বা বা সদ্য মা হয়েছেন যারা, তারা অবশ্য বিশেষজ্ঞের মতামত নিন। অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে অথবা অ্যান্টিবায়োটিকসহ নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেলে এই পিল এড়িয়ে চলুন।
যেহেতু এফডিএ এই পিলগুলোকে অনুমোদন দেয় না, তাই এর কোনো গ্যারান্টি নেই যে এগুলি নিরাপদে কাজ করে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে
জীবনযাপন ডেস্ক

অনেক সাধ করে অনেকেই সুন্দর সুন্দর চায়ের কাপ, কফি মগ কিনেন। কিন্তু অল্প দিন যেতে না যেতেই চায়ের কাপে চা-কফির বাজে দাগ পড়ে যায়। হাজার চেষ্টার পরও কোনোভাবেই উঠছে না। কী করবেন তাহলে? চিন্তা নেই।
চা-কপির দাগ দূর করার উপায়
চা বা কফির কাপ ব্যবহারের পর অন্তত ১৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারমধ্যে ঢেলে দিন কিছুটা পরিমাণ থালা-বাসন মাজার তরল সাবান। এরপর হালকা করে ঘষে নিন।
কাপ, কফি মগ পরিষ্কার করতে ভিনিগারের সাহায্য নিন। পানির সঙ্গে ১ চামচ ভিনিগার মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। তারপর ভিনিগারের মিশ্রণটি দিয়ে কাপগুলো মেজে নিন। দেখবেন ঝটপট দাগ উঠে যাবে।
সপ্তাহে অন্তত একটা দিন চায়ের কাপ, ডিশ, কফি মগকে ডিটারজেন্টে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে ঘষে নিন এতে কাপ ঝকঝকে থাকবে বহুদিন।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

গরমে হিটস্ট্রোক এড়াতে যেসব ফলের দ্বারস্থ হবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ বাড়ছে। দিন যত বাড়বে তাপপ্রবাহ আরো বাড়বে। গরমে সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞরা রোদ এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু কাজের প্রয়োজনে বাইরে বের হতেই হচ্ছে।
পানি খাওয়ার পাশাপাশি পানিজাতীয় ফলও খেতে হবে।
শসা
শসায় পানির ভাগ ৯৫ শতাংশ। গরমে সুস্থ থাকতে শসার মতো খাবার কমই আছে।
ফুটি
এই ফলে পানি আছে ৯০ শতাংশ।
তরমুজ
তরমুজেও পানির ভাগ ৯৫ শতাংশ। শরীরে পানির জোগান দিতে তরমুজ খেতে পারলে ভালো। তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি। ক্যালরির মাত্রাও কম এই ফলে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণেও তরমুজের ভূমিকা অনবদ্য। ডায়াবেটিক রোগীরাও খেতে পারেন এই ফল।
সূত্র : এই সময়