অনেক রোগের ওষুধ পানি। শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঠিক কাজের জন্য পানি খাওয়া জরুরি। পানি সঠিক পরিমাণে পান করলে শরীরের রেচন প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকে।
অনেক রোগের ওষুধ পানি। শরীর সুস্থ রাখতে পরিমিত পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। শরীরের প্রতিটি অঙ্গের সঠিক কাজের জন্য পানি খাওয়া জরুরি। পানি সঠিক পরিমাণে পান করলে শরীরের রেচন প্রক্রিয়াও স্বাভাবিক থাকে।
কিন্তু পানি খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। শরীরের তৃষ্ণাও জানান দেয় দেহের অন্দরের কাহিনি। তাই দেহের অন্যতম চালিকাশক্তি পানি খাওয়ার আগেও কয়েকটি কথা মনে রাখা জরুরি।
অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রস্রাবের পর পরই পিপাসা বোধ করেন। তাই মূত্র ত্যাগের পরেই পানি খেয়ে থাকেন প্রচুর মানুষ। অনেকে আবার মূত্র ত্যাগের পর তৃষ্ণা বোধ না করলেও সামান্য পানি খেয়ে থাকেন। কারণ তাদের ধারণা, প্রস্রাবের মাধ্যমে দেহ থেকে পানি নির্গত হয়।
অন্যদিকে, কারো মতে প্রস্রাবের পরপরই তৃষ্ণা বোধ বা পানি খাওয়া মোটেই উচিত নয়। এতে নষ্টের পথে এগিয়ে যায় কিডনি। এমনকি কিডনি স্টোন বা কিডনিতে পাথরও নাকি হতে পারে! কিন্তু আসল সত্যিটা ঠিক কী? চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
এ বিষয়ে সমস্ত ধোঁয়াশা দূর করলেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানালেন প্রস্রাবের ঠিক পরপরই পানি খাওয়া উচিত নাকি অনুচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি খাওয়ার সবচেয়ে বড় নিয়ম হলো শরীরের কথা শোনা। অর্থাত্ তৃষ্ণা পেলেই পানি খাওয়া। প্রস্রাবের পরে যদি তৃষ্ণা অনুভূত হয়, তাহলে নিশ্চিন্ত খাওয়া যেতে পারে পানি। এ ছাড়া প্রস্রাব করার পরপরই পানি পান করলে কিডনির রোগ হতে পারে, এই ধারণা একেবারেই ভুল। এটি সম্পূর্ণভাবে ব্যক্তির শরীরের হাইড্রেশনের ওপর নির্ভর করে।
কিন্তু মূত্র ত্যাগের পর তৃষ্ণা অনুভূত না হলে অকারণে পানি পানের প্রয়োজন নেই। বিনা তৃষ্ণায় জোর করে পানি খাওয়া উচিত নয়। বেশি পানি খেলে আমাদের হার্ট এবং কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়।
সূত্র : নিউজ ১৮
সম্পর্কিত খবর
ত্বকের যত্নের জন্য আমরা নানারকম প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। কখনো বুঝে, কখনো আবার না বুঝেই। বিভিন্ন ফার্মেসি, দোকান বা অনলাইন থেকে নানারকম ক্রিম লোশন কিনে থাকেন অনেকে। কিন্তু জানেন কি, ক্রিম আর লোশন এক নয়? এই দুটোর মধ্যে রয়েছে অনেকটাই তফাৎ।
ক্রিম ও লোশনের মধ্যে পার্থক্য
আমাদের মধ্যে অনেকেরে যখনই ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়, তখন টুক করে কিনে ফেলেন লোশন বা ক্রিম। কিন্তু কখনো হয়তো ভেবে দেখা হয় না, যে ক্রিম যা কাজ করে, লোশন কি তাই কাজ করবে? দুটোই কি একই রকম?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রিমের থেকে লোশন অনেকটাই হালকা। লোশনে পানির পরিমাণ বেশিমাত্রায় থাকে।
লোশনে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটা তরল আকারের হয় এবং ব্যবহার করতে সুবিধাজনক। অন্যদিকে ক্রিমের ক্ষেত্রে তরল ব্যাপারটি থাকে না।
কোনটি ব্যবহার করা ভালো
আসলে যেকোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনার ত্বকের ধরনটা বুঝে নেওয়া উচিত। ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত হলে কিংবা মিক্সড হলে সেই বুঝেই লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, আপনার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়, তাহলে অয়েল বেসড ক্রিম মাখা উচিত। এ ক্ষেত্রে লোশন এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। অন্যদিকে, যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় বা মিশ্র হয়, তাহলে নিশ্চিন্তে মাখুন লোশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনের বেলার সাধারণত লোশন মাখা ত্বকের পক্ষে ভালো। অন্যদিকে, ক্রিম মাখা উচিত রাতের বেলায়। সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় ড্রাই স্কিন হলে অয়েল বেসড ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বক হলে ব্যবহার করুন ওয়াটার বেসড লোশন।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা
অনেকেই বাড়িয়ে ভেতরে জুতা পরে হাঁটেন। কেউ কেউ আবার পছন্দ করেন বিশেষ ধরনের নরম জুতা। আবার এর বিপরীত মতও রয়েছে। কারো কারো বিশ্বাস খালি পায়ে হাঁটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
খালি পায়ে হাঁটার সুবিধা
পায়ের পেশি শক্তিশালী করে: খালি পায়ে হাঁটলে পায়ের ছোট ছোট পেশিগুলো সক্রিয় হয় এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর ফলে পায়ের গঠন ঠিক থাকে এবং শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে।
স্নায়ু উদ্দীপিত হয়: পায়ের তলায় অনেক স্নায়ু থাকে। খালি পায়ে হাঁটলে এই স্নায়ুগুলো উদ্দীপিত হয়, যা শরীরের জন্য উপকারী।
রক্তচাপ কমায়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে খালি পায়ে হাঁটলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
মানসিক চাপ কমায়: খালি পায়ে ঘাস বা নরম মাটিতে হাঁটলে মানসিক চাপ কমে এবং মন শান্ত হয়।
খালি পায়ে হাঁটার অসুবিধা
আঘাতের ঝুঁকি: ঘরের মেঝে পরিষ্কার না থাকলে খালি পায়ে হাঁটলে ধারালো কিছুতে পা লেগে কেটে যেতে পারে বা আঘাত লাগতে পারে।
সংক্রমণের ঝুঁকি: খালি পায়ে হাঁটলে মাটি বা মেঝের জীবাণু পায়ে লেগে সংক্রমণের সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি আরো বেশি। কারণ ডায়াবেটিক রোগীরা অনেক সময় পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিতে ভোগেন। ফলে পায়ে ক্ষত হলেও বুঝতে পারেন না।
পায়ের সমস্যা: যাদের পায়ের পাতা সমতল বা অন্য কোনো পায়ের সমস্যা আছে, তাদের খালি পায়ে হাঁটলে সমস্যা বাড়তে পারে।
সব মিলিয়ে বাড়ির ভেতরে খালি পায়ে হাঁটা উচিত কি না, তা নির্ভর করে আপনার শারীরিক অবস্থা এবং পরিবেশের ওপর। যদি আপনার পায়ের কোনো সমস্যা না থাকে এবং মেঝে পরিষ্কার থাকে, তাহলে খালি পায়ে হাঁটতে পারেন। তবে যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন বা আপনার পায়ের স্নায়ু দুর্বল থাকে, তাহলে খালি পায়ে হাঁটা উচিত নয়।
সূত্র : আজকাল
আমাদের শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ হচ্ছে ক্যালসিয়াম। হাড় ও দাঁতের সুস্থতা, পেশির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই খনিজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন ৭০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। দুগ্ধজাত খাদ্যকে ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়।
দুধে ফ্যাট বেশি থাকায় অনেকে দুধ খেতে চান না। তাই তারা ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভোগেন। তবে এই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর করবে কিছু ফল। কী সেই ফল, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
কমলালেবু : শুধু ভিটামিন সি নয়, ক্যালসিয়ামেও সমৃদ্ধ কমলালেবু। ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে প্রায় ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ডুমুর : ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
কিউই : ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস হলো কিউই, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে প্রায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ফলে হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফল।
পেঁপে : ১০০ গ্রাম পেঁপেতে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে এবং হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
বেরি ফল : স্ট্রবেরি, রাসবেরি ও ব্লুবেরির মতো বেরিজাতীয় ফলে ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আপেল : আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
আঙুর : ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আঙুর হাড়ের স্বাস্থ্য ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
আম : আমে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়াম থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে।
আনারস : আনারসে ক্যালসিয়াম ভিটামিন সি, জিংক, ফসফরাস, ম্যাংগানিজ রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র : আজকাল
কালিজিরা একটি শক্তিশালী ভেষজ মসলা। এতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কালিজিরা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। সর্দি, কাশি, জ্বর ও অন্যান্য সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা এবং বদহজমের মতো পেটের নানা সমস্যা দূর করতে কালিজিরা সাহায্য করে। এটি শরীরের প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশন কমাতে সহায়তা করে এবং বাতরোগসহ অন্যান্য সমস্যায় উপকারে আসে।
এটি মেটাবলিজম রেট বাড়ায়, ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমায়, ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কালিজিরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে এটি নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।
এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ কালিজিরা মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট ফোটাতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় খালি পেটে পান করলে এর উপকারিতা পাওয়া যাবে।
সূত্র : নিউজ ১৮