ক্যালেন্ডারে চোখ পড়লেই বোঝার বাকি নেই যে পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় দশক শেষের পথে। বুধবার (১৯ মার্চ) পবিত্র রমজানের ১৮ নম্বর রোজা। আর দুটি রোজার মধ্য দিয়ে শেষ হবে মাগফিরাতের (দ্বিতীয়) দশক। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার মানদণ্ডে রমজান মাসের মাহাত্ম্য অন্য সকল মাস থেকে অনেক ওপরে।
ইফতারে কতটা উপকারী লেবু পানি?
জীবনযাপন ডেস্ক

বিশ্বের সকল দেশে খাদ্যাভ্যাস এক না হলেও লেবু পানি সাধারণত সবার ইফতারেই দেখা যায়।
সারাদিনের তপ্ত রোদে তৃষ্ণার্ত রোজাদারের মন স্বাভাবিকভাবেই পানির দিকে ঝুঁকে থাকে। আর যখন তা হয় বিশুদ্ধ পানিতে লেবু, পরিমাণমত চিনি, সাথে একটু বিট লবণ, তাহলে তো কথাই নেই। তৃষ্ণার সাথে সাথে মনও জুড়িয়ে যায়। শুধু কী তাই, শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি এনে দিতেও এর জুড়ি নেই।
হাইড্রেশন: রোজা রাখার কারণে শরীরের পানি অনেকটাই কমে যায়। যা লেবু পানি পানের মাধ্যমে দ্রুত পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। লেবু পানি শরীরে পানি শোষণ বাড়ায়, বিশেষ করে গরমের দিনে এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
ডিটক্সিফিকেশন: লেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা: লেবু পানি হজমের জন্য খুব উপকারী। এটি পেটের এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে এবং হজমের সমস্যা দূর করে।
ভিটামিন সি: লেবু একটি খুব ভাল ভিটামিন সি এর উৎস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
এনার্জি বৃদ্ধি: লেবু পানিতে থাকা শর্করা ও সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরে দ্রুত শক্তি প্রদান করে, যা রোজা শেষে তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরকে সজীব রাখে।
রোজা রেখে ভিটামিন সি এর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখা জরুরি যে, লেবু পানিতে অতিরিক্ত চিনি দেয়া অনেক সময় ক্ষতির কারণ হতে পারে। অনেক সময় চিনি শরীরে ক্যালোরি ও গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে এবং রোজার স্বাস্থ্যগত সুবিধাগুলো নষ্ট করে ফেলতে পারে।
সম্পর্কিত খবর

খাওয়ার পর লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কী উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক

খাওয়াদাওয়ার বৈচিত্র্যে নজির রয়েছে বাংলাদেশে। আর খাওয়াদাওয়ার পরে একটু মুখশুদ্ধি না হলে অনেকেরই আবার চলে না। মৌরি থেকে মিছরি, এলাচ থেকে পান বা সুপারি, খাওয়ার পরে নানা মুখশুদ্ধিতে মুখের স্বাদ বদলান খাদ্যরসিকরা। কিছু মুখশুদ্ধি তো এমন রয়েছে, যা খাওয়ার পিছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ও আয়ুর্বেদিক কিছু কারণ।
মুখশুদ্ধি হিসেবে লবঙ্গকে একদম ওপরের সারিতে রেখেছে আয়ুর্বেদ। লবঙ্গকে খাওয়ার পরে চিবিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। লবঙ্গ যে কেবল মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাই নয়, হজমের প্রক্রিয়াকে মজবুত করতে এর জুড়ি মেলা ভার।
খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে দাঁতের স্বাস্থ্যেও প্রভূত উপকার হয়।
লবঙ্গ যে শুধু এক ঘরোয়া দারুণ মশলা তাই নয়, এটির মধ্যে রয়েছে বিশেষ ঔষধিগুণও।
লবঙ্গকে বলা হয় প্রাকৃতিক মাউথ ফ্রেশনার। দাঁতের যন্ত্রণা, মাড়ির ফোলাভাব কমাতে কার্যকরী ভূমিকা নিয়ে থাকে লবঙ্গ। বহুদিন ধরেই লবঙ্গ তেলকে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ব্যবহার করা হয়।
ঠাণ্ডা লাগলে লবঙ্গ চিবালে গলার জমা কফ সহজে বেরিয়ে আসতে পারে। এর ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ সর্দি ও কাশি থেকে রেহাই দেয়। বিভিন্ন গবেষণায় ওঠে এসেছে, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
লবঙ্গের বিশেষ উপাদান শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে, যাতে ডায়াবেটিক রোগীদের উপকার হয়। লবঙ্গে উপযুক্ত মাত্রায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
লবঙ্গের গুণে শরীর থাকে সুস্থ, নীরোগ। শরীরের নানা সংক্রমণ থেকে লড়ার ক্ষমতা তৈরি হয় লবঙ্গের বিশেষ উপাদানের ফলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, খাওয়ার পরে ১ থেকে ২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার উপকার অনেক। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেতে হবে, যাতে এর রস মুখে ভালোভাবে মিশ্রিত হতে পারে।
সূত্র : আইএএনএস

দুধের সঙ্গে যা মেশালে ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি
জীবনযাপন ডেস্ক

সুস্থ থাকতে হলে একটু স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হতে হয়। আজকাল যেন সকলের কাছে সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে ঠিক সময়ে অনেকেই খাবার খান না। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ সুস্থ থাকার জন্য নিজের ডায়েটে স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য আজকাল অনেকের মন চঞ্চল হয়ে যাচ্ছে। কারো কারো রাতেও ঘুম আসছে না। এই পরিস্থিতিতে রাতের বেলা দুধের সঙ্গে একটি জিনিস মিশিয়ে খেলেই হবে সমাধান। কেউ যদি রাতের বেলা ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে মাখানা মিশিয়ে খান তাহলে অনেক উপকার পাবেন।
মাখানার পুষ্টিগুণ
মাখানাকে সুপার ফুড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ। আর মাখানা দুধের সঙ্গে মেশানো হলে এর উপকারিতা আরো বেড়ে যায়। ভালো ঘুম এবং সম্পূর্ণ পুষ্টির জন্য মাখানা একটি দুর্দান্ত খাবার।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাখানা দুধ পান করলে যে কারো ঘুমের মান উন্নত হতে পারে। একই সময়ে তা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। তবে কিছু কিছু মানুষের জন্য তা খাওয়া অতটা ভালো নয়। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।
মাখানা দুধ পানের উপকারিতা
মাখানায় সেরোটোনিন ও ট্রিপটোফ্যান নামক যৌগ পাওয়া যায়।
মাখানা ও দুধ দুটোই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভালো উৎস। এটি হাড় ও জয়েন্টগুলোকে শক্তিশালী করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেওয়া হাড়ের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। রাতে মাখানা দুধ পান করলে পরিপাকতন্ত্র ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে।
ডায়াবেটিস ও হার্টের জন্য ভালো। মাখানায় কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য নিরাপদ। এটি কোলেস্টেরল কমাতে এবং হার্টের ধমনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
মাখানা ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যামিনো এসিড ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। চুল বাড়ে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়। এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সহায়তা করে।
মাখানাযুক্ত দুধ পান করার অপকারিতা
পেট ফুলে যেতে পারে। মাখানায় ফাইবার বেশি থাকে, তাই এটি বেশি পরিমাণে খেলে পেট ভারী বা ফোলাভাব অনুভূত হতে পারে।
অ্যালার্জি হতে পারে। কারো কারো মাখানায় অ্যালার্জি হতে পারে, যা ত্বকে ফুটে উঠতে পারে বা পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কেউ যদি ওজন কমানোর কথা ভেবে মাখানা খান, তাহলে খেতে পারেন। মাখনায় ক্যালরি কম থাকে। তবে যদি বেশি পরিমাণে দুধের সঙ্গে কেউ মাখানা খায়, তাহলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
মাখানা দুধ কিভাবে তৈরি করবেন
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে মাখানা যোগ করুন এবং হালকাভাবে ভাজুন। এরপর মাখনাটি ব্লেন্ড করে নিন। একটি প্যানে দুধ গরম করে তাতে এলাচ গুঁড়া ও কুচি করা ড্রাই ফ্রুটস দিন। এ বার দুধে মাখনা যোগ করুন এবং ৩-৪ মিনিটের জন্য কম আঁচে রান্না করুন। মধু যোগ করতে পারেন। এটি গরম গরম পান করা ভালো।
সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

সন্তানের বন্ধু হবেন যেভাবে
জীবনযাপন ডেস্ক

আধুনিক এই যুগে সবাই মোটামুটি ব্যস্ত থাকেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো সময়ও পান না। তেমনি মা-বাবারাও চাকরি বা বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন সারা দিন। তাই ছেলেমেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো তাদের সময় হয় না।
আবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেই বাচ্চাকে পড়াতে বসাতে হয়। কোনোমতে রাতের খাবার সেরে সোজা ঘুম। এই চিত্রটা মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবনে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।
কিন্তু ব্যস্ত জীবনের মাঝেও সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানো দরকার।
সময় কাটান
সন্তানের বয়স ৭ হোক বা ১৭, তার সঙ্গে সময় কাটানো জরুরি। দিনের মধ্যে যেকোনো এক ঘণ্টা সন্তানের সঙ্গে কাটান। কোয়ালিটি টাইম কাটানো বাবা-মা ও সন্তানের সম্পর্কের জন্য জরুরি।
সন্তানের কথা শুনুন
সন্তান ভুল করছে না তো, এই ভয় সবসময় মা-বাবার মধ্যে কাজ করে। কিন্তু সেই ভয়ে সন্তানকে আগলে রাখবেন না। সে ভুল করলে বকাবকি করবেন না।
সন্তানের মতামতকে গুরুত্ব দিন
সন্তানের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। কোনো বিষয়ে সন্তানের যদি মতামত তৈরি হয়, সেটাকেও প্রাধান্য দিন। মা-বাবার পছন্দ-অপছন্দ জোর করে সন্তানের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। এতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি হতে পারে।
তা ছাড়া পরিবারের সদস্য সে, তারও কিছু মতামত থাকতে পারে, সেটা শোনা দরকার। তা হলে সন্তানও বুঝবে যে পরিবারে তারও গুরুত্ব রয়েছে।
সূত্র : এই সময়

ইউরিক এসিড দূর করবে যেসব পানীয়
জীবনযাপন ডেস্ক

বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে যে রোগটি বেশি দেখা যায় সেটি হচ্ছে ইউরিক এসিড। এই সমস্যাটি আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। মূলত ইউরিক এসিড শরীরের একটি বর্জ্য পদার্থ, যা খাবারে উপস্থিত পিউরিনের কারণে উৎপন্ন হয়।
যদিও কিডনি শরীর থেকে ইউরিক এসিড ফিল্টার করে বের করে দেয়।
এসব কারণে শরীরে ইউরিক এসিডের বর্ধিত পরিমাণ কমানো গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য কিছু প্রাকৃতিক আয়ুর্বেদিক জিনিসের সাহায্যও নিতে পারেন আপনিও।
গুগলির ক্বাথ
গুগলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এটি অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধে ব্যবহৃত হয়। গুগলির সাহায্যে শরীরে বর্ধিত ইউরিক এসিডও কমানো যেতে পারে।
গিলয়ের ক্বাথ
গিলয় একটি অ্যান্টিপাইরেটিক ভেষজ হিসেবে পরিচিত। এর শতশত উপকারিতার পাশাপাশি, এটি শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে। যদি কোনো ব্যক্তির উচ্চ ইউরিক এসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে তার দৈনন্দিন রুটিনে তাজা গুলঞ্চ পাতার রস বা গুলঞ্চ চা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
আদা চা
আদাতেও অনেক ঔষধি গুণ পাওয়া যায়। প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আদা খেলে ফোলাভাব এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি শরীরে বর্ধিত ইউরিক এসিড কমাতেও সাহায্য করে। আদা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এটি ৪-৫ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে নিন। তারপর একটি কাপে ছেঁকে নিন।
এবার এতে কিছু লেবুর রস ছেঁকে নিন। আদা ভেষজ চা প্রস্তুত। এই চা ইউরিক এসিড কমানোর পাশাপাশি ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে।
দারুচিনি চা
দারুচিনি চা শরীরে বর্ধিত ইউরিক এসিড কমাতেও সাহায্য করে। দারুচিনি অনেক ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। এটি চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে। দারুচিনি দিয়ে তৈরি ভেষজ চা পান করলে শরীরে বর্ধিত ইউরিক এসিড অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস