ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন কবে থেকে
সংগৃহীত ছবি

ঈদে মেহেদির রঙে হাত সাজানো খুব জনপ্রিয় একটি রীতি। এ ছাড়া বিয়ে-জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে মেহেদির রঙে হাত না রাঙানোটা উৎসবের মধ্যেই পড়ে। মেহেদি পাতা বেটে, শুকিয়ে, গুঁড়া করে বা পেস্ট করে শরীরের বিভিন্ন স্থান রাঙানোর ইতিহাস বহু পুরনো। আর উৎসবে বিশেষ করে ঈদ হলে তো কথাই নেই।

বিয়েতে বর কনের হাতে মেহেদি থাকা চাই-ই চাই।

কিন্তু এই মেহেদির ইতিহাস, ঈদে মেহেদি দেওয়ার প্রচলন বা যেকোনো উৎসবে কেনই-বা মেহেদি দেওয়া হয়, তা জানেন না অনেকেই। চলুন, আজ তাহলে এসব বিষয়েই জেনে নিই।

মেহেদির ইতিহাস

মানব সভ্যতার ইতিহাস ৫ হাজার বছর ধরা হলেও মেহেদির ইতিহাস কিন্তু তার চেয়েও পুরনো।

নব্যপ্রস্তর যুগ (১০০০০-৪০০০ খ্রিষ্টপূর্ব) থেকে মেহেদির প্রথম ব্যবহার দেখা যায় উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের মরু অঞ্চলে। প্রায় ৯ হাজার বছর আগে মরুবাসী প্রচণ্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য তাদের পা মেহেদি পেস্ট দিয়ে ঢেকে রাখতো। যা তাদের শরীরকে ঠাণ্ডা রাখত। বিশেষত যোদ্ধাদের মধ্যে এর প্রচলন ছিল বেশি।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

তা ছাড়া দক্ষিণ চীনে প্রায় ৩ হাজার বছর ধরে প্রাচীন দেবী সংস্কৃতির সময় থেকে মেহেদি ব্যাপকভাবে প্রেমমূলক ধর্মানুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রাচীন মিসরের রানি নেফারতিতি ও রানি ক্লিওপেট্রা নিয়মিত মেহেদি ব্যবহার করতেন। মিসরের পিরামিডে ফারাও সম্রাটদের মমিতে মেহেদির ব্যবহার হতো। মধ্যযুগের কিছু চিত্রকলায় দেখা যায় কিং সলোমানের সঙ্গে রানির সেবারত অবস্থার কিছু ছবিতে তাকে মেহেদি পরতে দেখা যায়।

উপমহাদেশে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মেহেদির ব্যবহার শুরু হয় এবং মোগল আমলে প্রাকৃতিক প্রসাধনী হিসেবে মেহেদির ব্যাপকতা ছড়িয়ে পরে।

মোগল সম্রাট শাহজাহান পত্নী মমতাজকে মিসরের রাজা রাষ্ট্রীয় উপহার হিসেবে মেহেদি ও মেহেদি চারা উপহার দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

দেড় হাজার বছর ধরে মুসলিম নারীরা মেহেদি ব্যবহার করে আসছেন। নবীজি (সা.) মুসলিম নারীদের হাতে মেহেদির নকশা করাকে উৎসাহিত করতেন। তাঁর কন্যা ফাতেমা (রা.) নিয়মিত হাতে মেহেদির ডিজাইন করতেন। নবীজি (সা.) নিজেও তার দাড়িতে মেহেদি ব্যবহার করতেন। ইসলামী খেলাফতের সময় থেকে মুসলিমবিশ্বে মেহেদির ব্যবহার ধর্মীয় রীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

মেহেদির ব্যবহার

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মেহেদির প্রচলন শুরু হলেও বর্তমানে মেহেদি দেওয়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রথা হিসেবে পরিচয় লাভ করেছে। ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধসহ প্রায় সব ধর্মেই মেহেদির পবিত্রতা, ওষধি গুণাগুণ ও ব্যবহারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে মেহেদির ব্যবহার করা হয়।

মেহেদি দেওয়ার প্রথার গুরুত্ব বিয়ে, ঈদ-পূজা, বৈশাখ ও নববর্ষের অনুষ্ঠানে সময় আসলেই বোঝা যায়। আফ্রিকার অনেক জায়গায় আরোগ্য মুক্তি উপলক্ষে এবং আরব্য সংস্কৃতির বিয়েতে ‘মেহেদি সন্ধ্যা’ একটি জনপ্রিয় প্রথা রয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহেও দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। চীনসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আয়ুর্বেদীয়, ইউনানি ও বিভিন্ন প্রকার অর্গানিক চিকিৎসায় মেহেদির ব্যবহার হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন
ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

ঈদের তারিখ জানাল মালয়েশিয়া

 

ভারতীয় উপমহাদেশে এক সময় মেহেদির ব্যবহার শুধু মুসলিম সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে মুঘল সাম্রাজ্যের জনগণ এটাকে প্রসারিত করে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে মেহেদির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এবং আফ্রিকায় যেসব দেশের ভাষা অ্যারাবিক সেসব দেশেও ব্যবহৃত হয় এই মেহেদি।

মেহেদির বিভিন্ন নাম

মেহেদিকে হিন্দি ও উর্দুতে মেহেন্দি, ইংরেজিতে হেনা, মধ্যপ্রাচ্যে হেন্না, মধ্য এশিয়ায় ‘আল-খান্না’ নামে ডাকা হয়। এর ইউনানি নাম হেনা, আয়ুর্বেদিক নাম মদয়ন্তিকা, বোটানিক্যাল নাম লসোনিয়া ইরামিস, যা লেথরেসিয়া পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মেহেদির ডিজাইন

মেহেদির ডিজাইনে যুগে যুগে পরিবর্তন এসেছে ঠিকই কিন্তু সুন্দর কারুকার্য শোভিত ডিজাইনের আবেদন কখনোই কমে যায়নি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মেহেদি পরতে পারে তবে ডিজাইনে ভিন্নতা থাকা আবশ্যক। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিষ্টান, শিখসহ বিভিন্ন ধর্মে ঐতিহাসিকভাবে মেহেদি পবিত্রতা ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে যুক্ত। পৃথিবীর নানা জাতি ও অধিকাংশ আদিবাসী সমাজে সুস্বাস্থ্য, উর্বরতা, জ্ঞান, সুরক্ষা এবং আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান হিসেবে প্রতিটি সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ডিজাইনের আলাদা অর্থ রয়েছে।

বাজারে প্রচলিত মেহেদি

আগে মেহেদি পাতা বেটে তা হাত-পায়ের নখ, হাতের তালুতে লাগানো হতো। মেহেদি বাটার ব্যবহার এখনো বেশ জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে টিউব মেহেদির প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় মানুষ কেনা মেহেদিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বাজারে দুই ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। একটি হলো তৈরি করা বা ইনস্ট্যান্ট মেহেদিতে ৫ থেকে ১০ মিনিটে রং আসে। কিন্তু প্রতি ধোয়াতে হাত থেকে রং কমতে থাকে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

আরেকটি হলো প্রাকৃতিক বা অরগানিক মেহেদি। যেকোনো উৎসবে অরগানিক মেহেদি ব্যবহার করা ত্বকের জন্য ভালো। কারণ, এই মেহেদি হাতে তৈরি, তাই এতে রাসায়নিকের ব্যবহার থাকে না। এর রং হয় গাঢ়, দীর্ঘস্থায়ী এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে স্বস্তি দেবে অ্যালোভেরার জুস, আরো যে উপকার
সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্ম না আসতেই গরম শুরু হয়ে গেছে। এই সময়ে গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ দুপুরের দিকে বের হতে চান না। বের হলেও বিভিন্ন পানীয়র ওপর নির্ভর করেন। তেমন এক পানীয় হচ্ছে অ্যালোভেরার জুস।

এই অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা আমাদের ত্বক, মুখ ও হজমের জন্য বেশ উপকারী।

অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। বহু বছরে ধরেই এটি ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা গাছের পাতার ভেতর থেকে একরকম আঠালো রস বের হয়, সেটিই নানা কাজে ব্যবহৃত হয়।

এটি ত্বক ও চুলের জন্যও ভালো।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

অ্যালোভেরাকে বাংলায় অনেকে ঘৃতকুমারী গাছও বলে থাকেন। এতে থাকা পলিফেনল যৌগের কারণে প্রদাহ দূর হয়। এতে থাকা প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরকে ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের হাত থেকে রক্ষা করে।

একে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও বলে।

গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনকি এই কারণে হৃদরোগও দেখা দিতে পারে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রদাহনাশী উপাদান। এটোপিক ডার্মাটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই অ্যালোভেরা।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

পানীয় হিসেবে এর রস পান করা যায়, আবার অনেকে এর রস ত্বকে লাগান। দুটিতেই দারুণ উপকার মেলে। এ ছাড়া টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে এই অ্যালোভেরা। শুধু তা-ই নয়, রক্তে ফ্যাটি এসিডের মাত্রাও কমাতে পারে এটি।

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

শসা থেকে দূরে থাকবেন যারা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শসা থেকে দূরে থাকবেন যারা
সংগৃহীত ছবি

শীত চলে গিয়ে গরম শুরু হয়ে গেছে। গরম থেকে বাঁচতে এ সময় অনেকে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করেন। এ সময় আরেকটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হলো পানিশূণ্যতা। এ কারণে আমরা বেশিরভাগ সময় জলীয় উপাদান আছে এমন ফল ও শাক-সবজির দ্বারস্থ হই।

শরীরে স্বাস্থ্যকর ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এসব খাবার। সেদিক থেকে সবার প্রথমে মনে পড়ে শসার কথা। সস্তায় অঢেল পুষ্টির ভাণ্ডার এই ফল।

গ্রীষ্মের জন্য একটি নিখুঁত খাবার এ শসা।

এটি কাঁচা অবস্থায় খান অথবা আপনার সালাদ, স্মুদি, পানীয়তে যোগ করুন অথবা সবজি তৈরি করেন, এই সাধারণ সবজিটি প্রায় সবকিছুর সঙ্গেই খাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই সাধারণ সবজির কিছু লুকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে?

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

পুষ্টিবিদদের মতে, শসায় রয়েছে উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম, যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এটি একটি বিরল চিকিৎসা অবস্থা। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শসা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি কিডনির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।

তিতা শসা খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর কারণ শসাতে কিউকারবিটাসিন এবং টেট্রাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েডের মতো বিষাক্ত পদার্থ থাকে। কিছু গবেষণা অনুসারে, শসার তিতা স্বাদ এই বিষাক্ত পদার্থের ফলে হয়, যা শরীরে অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে এবং ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।

শসায় কিউকারবিটাসিন নামক একটি উপাদান থাকে, যা কিছু লোকের ক্ষেত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষত যাদের স্বাস্থ্য ও হজমের সমস্যা রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শসা খেলে পেট ফাঁপা, বদহজম ও অস্বস্তি হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

ঈদ যেন স্বজনদের মিলনমেলা

 

শসার বীজ হলো কিউকারবিটিনের একটি প্রধান উৎস, যা শসার একটি উপাদান যা মূত্রবর্ধক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত। বেশিরভাগ মানুষ তাদের খাদ্যতালিকায় আরো তরল যোগ করার জন্য শসা খান। তবে এটির অত্যধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, এটি মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে হয় যার ফলে আপনার শরীর থেকে তরল বের হয়ে যেতে পারে, ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে এবং পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

গর্ভাবস্থায় শসা সাধারণত ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত হয়। তবে, এই সবজির মূত্রবর্ধক প্রকৃতির কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব এবং পানির ক্ষয় হতে পারে, যা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আঁশের উপস্থিতিতে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

খেজুর থেকে দূরে থাকবেন যারা

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
চায়ে যা মেশালে ফুরফুরে থাকবেন সারা দিন
সংগৃহীত ছবি

গরম বলে অনেকে এ সময় চা খেতে চান না। তারাই কিন্তু কনকনে শীতে চা ছাড়া থাকতে পারেন না। আবার অনেকে আছেন— কনকনে শীত হোক বা ভ্যাপসা গরম, চা ছাড়া তাদের চলেই না। অনেকে বলে গরমে গরম কাটে।

তাই চা খান। তা যাই হোক না কেন চা আমাদের চাই। তবে এটা ঠিক, চা যেকোনো সময়েই কিছুটা এনার্জি তো দেয়ই। তাই চায়ে এমন কিছু মেশান, যা খেলে সারা দিন ফুরফুরে থাকতে পারবেন।

প্রচণ্ড গরমে অনেকেই ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেওয়ার চেয়ে ঠাণ্ডা পানীয় খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তবে এই গরমেও শরীর ঠাণ্ডা রাখতে চায়ের ওপর ভরসা রাখা যায়। তার জন্য সাধারণ চা পাতার সঙ্গে মেশাতে হবে ৩টি উপাদান। এই ৩টি উপাদান চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে গরমেও শরীর থাকবে সুস্থ, সতেজ।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

হলুদ চা

এই গরমে রোদে পুড়ে ত্বক তার ঔজ্জ্বল্য হারাতে পারে। তাই শরীর সুস্থ রেখে, ত্বকের সঠিক পরিচর্যায় চায়ের সঙ্গে হলুদ মেশান। হলুদ রক্ত পরিষ্কার রাখতে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এক কাপ চায়ের জন্য এক চিমটি হলুদই যথেষ্ট। গরমে হলুদ মেশানো চা খেয়ে দেখুন, ফল পাবেন হাতে নাতে।

এলাচ চা

প্রচণ্ড গরমে হজমের নানা সমস্যা মাথা চাড়া দেয়। অম্বল, বুক জ্বালার মতো একাধিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে চা খান। ২ কাপ চায়ের জন্য ২টি এলাচ দিলেই চলবে। গরমে এলাচ চা খেয়ে দেখুন, উপকার পাবেন।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মৌরি চা

শরীর ঠাণ্ডা রাখতে মৌরি অত্যন্ত কার্যকরী একটি মশলা। হজমের নানা সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কাটাতেও সাহায্য করে মৌরি। ২ কাপ চায়ের জন্য ১ চামচ মৌরি নিন। চায়ের ফুটন্ত পানির মধ্যে এই ১ চামচ মৌরি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এই চা প্রতিদিন অন্তত একবার খেতে পারলে ফল পাবেন হাতে নাতে।

আরো পড়ুন
বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

 

সূত্র : আজতক বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জেনে নিন কারণ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছেন? জেনে নিন কারণ
সংগৃহীত ছবি

শরীরে কখন কোন অসুখ আসবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। অনেকেই কম বয়সে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে সহজেই রোগে ভুগে থাকে মানুষ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু অভ্যাস আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়।

সেগুলো ত্যাগ করা জরুরি। চলুন, জেনে নিই অভ্যাসগুলো কী কী।

প্রসেসড খাবারের অভ্যাস
অনেকেই বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকেন যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবারে উপস্থিত ক্ষতিকর ফ্যাট প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।

যা শরীরকে দুর্বল করে দেয়। সুতরাং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

শাক-সবজি খাওয়া
শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। এ ছাড়া শরী্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

শরীরচর্চার অভাব
অনেকেরই দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। যার ফলে শারীরিক পরিশ্রমের অভাব হয়। কিন্তু শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ধূমপান ও মদ্যপান
নেশাজাতীয় দ্রব্য যেমন ধূমপান বা মদ্যপান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া ক্যানসারের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

সুস্থ থাকতে নেশা থেকে দূরে থাকা জরুরি।

অপর্যাপ্ত ঘুম
রাতে যথেষ্ট ঘুম না হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। নিয়মিত অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী থাকে।

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ