ঢাকা, শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫
২২ চৈত্র ১৪৩১, ০৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ০৫ এপ্রিল ২০২৫
২২ চৈত্র ১৪৩১, ০৫ শাওয়াল ১৪৪৬

বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য কী?

তন্ময় রহমান
তন্ময় রহমান
শেয়ার
বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য কী?

বিপ্লবের পরিপূর্ণতা ও স্থায়িত্বের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে যে ঘটনা ইতিহাসে বহুবার দেখা গেছে, তা হলো প্রতিবিপ্লব। একটি বিপ্লব যখন সমাজে বিদ্যমান ক্ষমতাসীন শ্রেণির বিরুদ্ধে রূপ নেয়, তাদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বিলোপ করে একটি নতুন সমাজ বা রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার চেষ্টা করে, তখন সেই ক্ষমতাচ্যুত শ্রেণি এবং তাদের সমর্থকরা পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার জন্য যে আন্দোলন বা প্রচেষ্টা চালায়, সেটিকেই বলা হয় প্রতিবিপ্লব। এই প্রক্রিয়াটি মূলত বিপ্লবের বিরুদ্ধচারী শক্তির পুনরুত্থানের প্রচেষ্টা।

বিপ্লব এবং প্রতিবিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য

উদ্দেশ্য ও অভিজ্ঞান

বিপ্লব: বিপ্লব একটি সমাজে বিদ্যমান শোষণমূলক ও বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা উল্টে দিয়ে, সাধারণ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শোষণমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হয়।

এটি সাধারণত গণমানুষের দাবি ও স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে এবং নতুন সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে চায়।

প্রতিবিপ্লব: অন্যদিকে, প্রতিবিপ্লবের উদ্দেশ্য বিপ্লবের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত নতুন কাঠামোকে ধ্বংস করে পুরনো ব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। ক্ষমতা হারানো এলিট শ্রেণি বা শাসকগোষ্ঠী আবার তাদের পূর্বস্থানে ফিরে আসতে চায় এবং বিপ্লবের অর্জনগুলোকে মুছে ফেলার চেষ্টা করে।

ধারাবাহিকতা

বিপ্লব: বিপ্লব সাধারণত একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে নতুনভাবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে।

বিপ্লবের লক্ষ্য হলো স্থায়ী পরিবর্তন।

প্রতিবিপ্লব: প্রতিবিপ্লব বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়াশীল এবং অস্থায়ী উদ্দেশ্য সাধনে কাজ করে। এর লক্ষ্য থাকে বিপ্লবের সাফল্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং পুরনো ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা। এটি মূলত বিপ্লবী চেতনার উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকে।

শক্তির বিন্যাস

বিপ্লব: বিপ্লব সাধারণত জনসমর্থনের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। সাধারণ জনগণ, শ্রমিক, কৃষক এবং মেহনতি মানুষ বিপ্লবের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে, যারা সমাজে দীর্ঘদিন ধরে শোষিত হয়ে আসছে।

প্রতিবিপ্লব: প্রতিবিপ্লব পরিচালিত হয় পুরনো ক্ষমতাসীন শ্রেণি, সামরিক বাহিনী এবং এলিট শ্রেণির মাধ্যমে, যারা বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে এবং যারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পুরনো ব্যবস্থার দিকে ফিরে যেতে চায়।

শাসন ব্যবস্থা

বিপ্লব: বিপ্লব সাধারণত নতুন শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলে যা জনগণের অধিকারের ওপর ভিত্তি করে। এটি নতুন রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করে যার মূল লক্ষ্য থাকে ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়া।

প্রতিবিপ্লব: প্রতিবিপ্লব বিপ্লবের পরিবর্তিত কাঠামোকে ভেঙে পুরনো শাসনব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা সাধারণত হয় স্বৈরতান্ত্রিক, শোষণমূলক বা গণতন্ত্রবিরোধী।

উদাহরণ

বিপ্লব: রাশিয়ার ১৯১৭ সালের বলশেভিক বিপ্লব কিংবা ১৯৪৯ সালের চীনের মাওবাদী বিপ্লব উভয়ই সমাজের বুনিয়াদি পরিবর্তন এনেছিল এবং শোষণের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বিজয় ঘোষণা করেছিল।

প্রতিবিপ্লব: রাশিয়ান বিপ্লবের পরপরই সেখানকার রাজতন্ত্রপন্থী এবং বিদেশি শক্তি মিলে যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়েছিল, তা ছিল একটি প্রতিবিপ্লবী প্রচেষ্টা। একইভাবে ফরাসি বিপ্লবের পর নেপোলিয়নের সম্রাট হওয়াকে অনেকেই প্রতিবিপ্লব হিসেবে দেখেন।

বিপ্লব এবং প্রতিবিপ্লব সমাজের ক্ষমতা বিন্যাস এবং সামাজিক কাঠামোতে পরিবর্তনের দুটি বিপরীতমুখী প্রক্রিয়া। বিপ্লব যেখানে পরিবর্তনের জন্য লড়াই করে, প্রতিবিপ্লব সেখানে সেই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বিপ্লব দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রতিবিপ্লব পুরনো ব্যবস্থার প্রতি অনুগত থাকে এবং তার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করে।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল জিবলি আর্ট আসলে কী?
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় জিবলি আর্ট বেশ ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। যেখান এআই চ্যাট জিপিটি দিয়ে জিবলি স্টাইলে ছবি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, জিবলি আসলে কী। 
জিবলি হচ্ছে জাপানের বিখ্যাত অ্যানিমেশন স্টুডিও।

এর নাম শুনে না এমন মানুষ খুবই কম। যারা জানেন না, তাদের জন্য এই প্রতিবেদনে থাকছে স্টুডিও জিবলির ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

স্টুডিও জিবলির যাত্রা
১৯৮৫ সালে দুই কিংবদন্তি অ্যানিমেটর হায়াও মিয়াজাকি ও ইসাও তাকাহাতার হাত ধরে শুরু হয় স্টুডিও জিবলির যাত্রা। তাঁদের লক্ষ্য ছিল এমন একটি নতুন ধরনের অ্যানিমেশন তৈরি করা যেখানে জাপানের সংস্কৃতি, লোককথা, ইতিহাস ও আবেগ একসাথে প্রকাশ পাবে।

'জিবলি' নামটি এসেছে ইতালীয় শব্দ 'ঘিবলি' থেকে। যার অর্থ গরম মরুভূমির বাতাস। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অ্যানিমেশন জগতে নতুন বিপ্লব সৃষ্টি করা।

মিয়াজাকির অমর সৃষ্টি
স্টুডিও জিবলির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হায়াও মিয়াজাকি।

তাঁর তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমাগুলি শিশুদের জন্য একদিকে যেমন উপভোগ্য, তেমনি বড়দের জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। 
My Neighbor Totoro, Spirited Away, Howl’s Moving Castle, Princess Mononoke—এই চলচ্চিত্রগুলো সবই আলাদা আলাদা গল্প হলেও, প্রতিটি গল্পে সৌন্দর্য ও গভীরতার মেলবন্ধন রয়েছে। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Spirited Away অস্কার জিতেছিল। জাপানে মিয়াজাকিকে কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণ করা হয়।

জিবলি আর্ট কেন এত জনপ্রিয়?
স্টুডিও জিবলির অ্যানিমেশন চিত্রশৈলী বাস্তব ও কল্পনার এক মিশ্রণ।

বিশদ ব্যাকগ্রাউন্ড, হাতে আঁকা প্রতিটি দৃশ্য, চরিত্রগুলোর অভিব্যক্তি— সবকিছুতেই এক গভীর অনুভূতি প্রতিফলিত হয়। প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময় জগত, কল্পনা এবং নিখুঁত হাতে আঁকা অ্যানিমেশনই এই শিল্পকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।

মিয়াজাকি ও এআই
২০১৬ সালে মিয়াজাকি এআই এর মাধ্যমে ছবি আঁকার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর মতে, এটি দ্বারা জিবলির অ্যানিমেশন স্টাইল অনুকরণ করা মূলত শিল্পীদের কাজের অপমান। তিনি বলেছিলেন, ‘যারা এআই দিয়ে ছবি আঁকছে, তারা জানে না কষ্ট কী। আমার মতে, এটা হওয়া উচিত নয়; এটি দুঃখজনক।‘

জিবলির অ্যানিমেশন ও এর স্রষ্টার চিন্তা-ভাবনা সম্পর্কে একবার ভাবুন, যখন আপনি এই ট্রেন্ডে গা ভাসাচ্ছেন।

সূত্র : আজতক বাংলা

মন্তব্য

বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সংগৃহীত ছবি

আইনজ্ঞ, চিন্তাবিদ, নির্ভীক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন। ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। মাহবুব মোর্শেদ কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এমএ এবং ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

 

আরো পড়ুন
শুক্রবার থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি ঝরবে যেসব এলাকায়

শুক্রবার থেকে টানা ৪ দিন বৃষ্টি ঝরবে যেসব এলাকায়

 

লন্ডনের লিংকন্স ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আইনব্যবসা শুরু করেন। ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগ দেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে মাহবুব মোর্শেদ হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৬২-৬৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ছিলেন।

১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ নভেম্বর পদত্যাগ করেন।

সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে  যুক্তফ্রন্ট গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখেন। 

রবীন্দ্র শতবার্ষিকী উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি হিসেবে ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি ঢাকায় রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী পালনে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেন। আইয়ুব খানের শাসনকালে গণতান্ত্রিক অধিকার যখন বাধাগ্রস্ত, তখন মানুষের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতের আসন থেকেই তিনি সংগ্রাম করেছিলেন।

 

আরো পড়ুন
মান্নাত ছেড়েছেন, এবার ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন গৌরী খান

মান্নাত ছেড়েছেন, এবার ফ্ল্যাট বিক্রি করলেন গৌরী খান

 

১৯৬৯-এর আইয়ুববিরোধী গণআন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি ছাত্র সমাজের ১১-দফার প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। ওই বছরই আইয়ুব খান আহূত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি পূর্ব বাংলার  ছয়দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন ও সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবি জানিয়ে বক্তব্য পেশ করেন। উপরোন্তু, প্রাদেশিক গভর্নর মোনায়েম খানের প্রশাসনের সঙ্গে তার সংঘাতের কথা তখন সুবিদিত ছিল। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি শাসকচক্রের জুলুম-নির্যাতনের প্রতিবাদ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষাবলম্বন করেন।

আইনজীবী হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করলেও দক্ষ বিচারক হিসেবেই মাহবুব মোর্শেদের খ্যাতি সুদূর প্রসারিত। বিচারপতির মর্যাদা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য তিনি কঠোর প্রয়াস চালিয়েছেন।

‘মন্ত্রীর মামলা’, ‘কর্নেল ভট্টাচার্যের মামলা’ ও ‘পানের মামলা’-য় তার ঐতিহাসিক রায় একজন অকুতোভয় বিচারকের ন্যায়নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 

মন্তব্য

পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?

শেয়ার
পিরামিডের গাণিতিক রহস্য, প্রকৌশল না কি অলৌকিকতা?
সংগৃহীত ছবি

প্রাচীন মিশরের স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হওয়ার পাশাপাশি পিরামিড বিস্ময়কর গাণিতিক রহস্যও বহন করে। হাজার বছর আগে আধুনিক প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতেও কীভাবে মিশরীয়রা এত নিখুঁত গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পিরামিড নির্মাণ করেছিল, তা আজও গবেষকদের ভাবিয়ে তোলে। চলুন, জেনে নিই পিরামিডের কিছু চমকপ্রদ গাণিতিক রহস্য।

‘পাই’ ও ‘ফাই’এর উপস্থিতি
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ও পরিধির অনুপাত প্রায় ৩.১৪১।

যা গাণিতিক ধ্রুবক ‘পাই’ (π)-এর সমান। এ ছাড়াও পিরামিডের ত্রিভুজাকৃতির গঠন ‘সোনালি অনুপাত’ (ফাই = ১.৬১৮)-এর সঙ্গে মিলে যায়। যা প্রকৃতির বিভিন্ন গঠনে পাওয়া যায়।

পৃথিবীর মাত্রা ও পিরামিড
গ্রেট পিরামিডের উচ্চতা ১৪৬.৬ মিটার।

এটির ভিত্তির পরিধি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, যেন পিরামিডকে পৃথিবীর ব্যাসার্ধের একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ বলে মনে হয়। পিরামিডের চারটি বাহু পৃথিবীর চারটি দিকের (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম) সঙ্গে চমৎকারভাবে মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

সূর্য ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
পিরামিডের নকশায় সূর্যের অবস্থান, নক্ষত্রের চলাচল ও ঋতুর পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, এটি জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

যেখানে নির্দিষ্ট তারা যেমন ওরিয়ন বেল্টের সঙ্গে পিরামিডের অবস্থান মিলে যায়।

গণিতের নিখুঁত ব্যবহার
গ্রেট পিরামিডের প্রতিটি পাথরের ওজন প্রায় ২.৫ টন। পুরো পিরামিডে প্রায় ২৩ লাখ পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। যদি প্রতিদিন ১০টি পাথর বসানো হতো, তাহলে পুরো পিরামিড তৈরি হতে ৬৩ বছর লাগত। এটি কীভাবে মাত্র ২০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছিল, তা এক বিশাল প্রশ্ন।

জ্যামিতিক নিখুঁত গঠন
পিরামিডের প্রতিটি কোণ প্রায় ৫১.৮৪ ডিগ্রি। যা প্রকৌশলগতভাবে স্থিতিশীল একটি কাঠামো গঠনের জন্য আদর্শ। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজকের আধুনিক স্থাপত্যশাস্ত্রেও এই কোণটি ব্যবহৃত হয়।

পিরামিড শুধু রাজাদের সমাধি নয়, বরং এটি এক গাণিতিক বিস্ময়। প্রাচীন মিশরীয়রা কীভাবে এত নিখুঁত গণনা করতে পারত, তা এখনো রহস্য। এটি কি শুধুই গণিত ও প্রকৌশলের ফল, নাকি এর পেছনে আরো গভীর কোনো গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে? গবেষকরা এখনো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।

সূত্র : ব্রিটানিকা

মন্তব্য

কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কেমব্রিজের এপ্রিল ফুলে বোকা বনল বিশ্ব
সংগৃহীত ছবি

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের এপ্রিল ফুলে বোকা বনে গেল বিশ্ব।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিশেষ ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইংরেজি বর্ণমালা থেকে কিউ (Q) বর্ণটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

ওই ঘোষণায় কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, “আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে ‘কিউ’ বর্ণ দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর ক্ষেত্রে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ‘কিউ’ বর্ণটি সরিয়ে ফেলব।

তবে ‘কিউ’ বর্ণের পরিবর্তে অন্য কোন বর্ণ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে ‘কিউইউ’ দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে ‘কে’ অথবা ‘কেডব্লিউ’ দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ, kwiet, ekwipment এবং antike।

তবে কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ লেখা লিংক শেয়ার করেছেন। দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ