নতুন সড়ক আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিশ

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
নতুন সড়ক আইনে মামলা শুরু করেছে পুলিশ
ফাইল ফটো

নতুন ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ গত ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হলেও এতে এতদিন মামলা করা হয়নি। তবে গতকাল দুপুরের পর থেকে উল্টোপথে চলাচলকারী কয়েকটি মোটরসাইকেলকে মামলা করতে দেখা যায়। এজন্য ডকুমেন্ট হিসেবে পুলিশ ভিডিও ধারণ করে রাখে। এতে জরিমানা করা হয় পাঁচ হাজার টাকা করে।

গতকাল শনিবার দুপুরের পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নতুন আইনে মামলা দেওয়া শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

গত বছর আইনটি প্রণয়ন করা হলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়।

ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, প্রথমদিনের মতো- যারা উল্টো পথে চলাচল করেছে এবং যাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই এমন মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও পিকআপের ওপর নতুন সড়ক আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর বিজয় সরণি চত্বরে উল্টো পথে চালানোর সময় আমিনুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল চালককে আটক করে নতুন আইনে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেওয়া হয়।

আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন আইন সম্পর্কে আমি জানি। সন্ধ্যার পর বিজয় সরণি রোডে গাড়ির চাপ ছিলো অনেক। আমার একটু তাড়া থাকার কারণে উল্টো পথ দিয়ে বিজয় সরণি মোড় পর্যন্ত উল্টো পথে আসি।

আইন ভঙ্গ করলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এশিয়ায় আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা সিআইসিএ’র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এশিয়ায় আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা সিআইসিএ’র
সংগৃহীত ছবি

এশিয়ায় আস্থা তৈরির পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) মহাসচিব কাইরাত সারিব।

শনিবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘আনাতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম (এডিএফ) ২০২৫’ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে সিআইসিএ মহাসচিব এ কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও সিআইসিএ-র মধ্যে সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সিআইসিএ’কে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় রূপান্তরে মহাসচিবের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি বাংলাদেশের খাতভিত্তিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইসিএ’র যোগাযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন, কারণ এটি বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

উভয় পক্ষই বিদ্যমান কর্মপ্রচেষ্টার মাত্রা আরো উন্নত করতে এবং আগামী দিনে সহযোগিতার নতুন নতুন পথ অন্বেষণে সম্মত হয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘রিক্লেইমিং ডিপ্লোমেসি ইন এ ফ্র্যাগমেন্টেড ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এডিএফ ২০২৫ আজ আনাতোলিয়ায় শুরু হয়েছে।

এবারের প্রতিপাদ্য ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বিভক্তির মধ্যে কূটনীতিকে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন ঘটায়।

২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, অর্ধশতাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ চার হাজারেরও বেশি অতিথি এই ফোরামে অংশ নেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না, আসে লুটেরা শ্রেণী : ফরহাদ মজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না, আসে লুটেরা শ্রেণী : ফরহাদ মজহার
ছবি: কালের কণ্ঠ

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘কমিউনিটি যখন দাঁড়িয়ে যায়, এলাকা যখন দাঁড়িয়ে যায় তখনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উম্মেষ ঘটে। ভোট দিয়ে হয় না, ভোটে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণী আসে।’ 

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শাহ আলী মাজারে জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের আয়োজিত গণমানুষের জাগ্রত জুলাই শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র কায়েম হয় যখন আমরা বুঝবো এই কমিউনিটি সবচেয়ে শক্তিশালী, কমিউনিটিতে থাকতে হবে, কমিউনিটির সিদ্ধান্তে এই এলাকায় উন্নয়ন হবে, কমিউনিটি যেমনি করে চায় তেমনি করে হবে।

কমিউনিটি খুব ভালো করে বুঝে কোনটা তার ভাল, কোনটা তার খারাপ।’

আরো পড়ুন
রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

 

তিনি আরো বলেন, ‘যে ইসলাম ধর্মের অন্তর্গত না, যে সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মের, অন্য ধর্মের সেও আমার সমাজের অন্তর্গত। আমার সমাজের বাইরে সে না, এই যে সত্য কথাটা, এটা মাজার নিত্যদিন প্রচার করে। মাজারে যে গান হয়, যে সংস্কৃতির চর্চা হয় তার একটাই ভাষা, মানুষ।

মানুষের চেয়ে সত্য আর কিছু নাই। মাজার এটাই করে। এই যে কথা বলবার যে শক্তির জায়গা এটা যদি রাখতে পারি তখন আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো।’

শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠন করতে জনগণকে লাগবে উল্লেখ করে এই রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে উপর থেকে চাপ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না।

আমাদের উপদেষ্টা ফারুকী (সংস্কৃতি উপদেষ্টা) এটা খুব ভাল করে বুঝেন যে, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘মাজার আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন এই স্মৃতির উছিলায় একত্রিত হই, মানুষটা নাই কিন্তু মানুষের স্মৃতি আছে, সেটা কি? তার কাজ, তার আমল। মানুষ নশ্বর, মৃত্যুকে সে কখনোই এড়াতে পারবে না, সে মরবেই কিন্তু সে যেটা রেখে যায় সেটা হচ্ছে আমল। মাজার শেখায়, তোমার জীবন তুচ্ছ, তোমার আমল সবার আগে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন ও আহতদের কথা শুনলে যে আমরা বিধ্বস্ত হয়ে যাই, প্রচণ্ড বেদনার্ত লাগে, এই অনুভুতিটা থাকা ভালো। এই জাতি যতদিন এই বেদনা মনে রাখবে ততদিনই ঠিক পথে থাকবে, এই বেদনা ভুলে গেলেই আমরা আবার ভুল পথে চলে যাবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমরা ১০০ ভাগ সফল হয়েছি, যারা আহত হয়েছেন, যারা শহীদ হয়েছেন ঐ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের কাজে। এর অনেক কারণ আছে, কখনো রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা, কখনো পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত করে বলতে পারি, যদিও এটা আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না, আমাদের ইচ্ছায় কোনো রকমের কমতি নাই। আমাদের ক্যাবিনেটে সারাক্ষণই আমরা এই কথাটা বলি যে, আমরা বোধহয় যথেষ্ট করতে পারলাম না। এই কথাটা আমি অনুভব করি। এর অর্থ হলো, আমরা স্বীকার করি, আমরা যা করেছি তা যথেষ্ট না।’

জুলাই যাদুঘর ভিন্ন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জুলাই জাদুঘর করছি, সাধারণত যাদুঘর যেমন হয় এটা এমন হবে না। এই যাদুঘরে যারাই যাবেন তারা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভিতর দিয়ে ভ্রমণ করবেন। আমার বিশ্বাস, যখন যাদুঘর দেখে বের হয়ে আসবেন তখন তিনি হাটতে পারবেন না, তার পা ভারি হয়ে আসবে। আমরা চেষ্টা করবো জুলাই যাদুঘরে যেন আপনাদের সমস্ত বেদনা লিপিবদ্ধ থাকে।’

অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিরপুরে শহীদ মো. নাদিমের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা ও শহীদ মেহেরুন নেছা তানহার বাবা মোশাররফ হোসেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘৫৫ বছর যে আসছে সে আমাদের অত্যাচার করছে। আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময় নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ হয়েছে। ৮ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত বিচার পায়নি। আমাদের পূনর্বাসনও হয়নি। দ্রুত গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে গরিব-অসহায়দের জন্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প, জুলাইয়ের গ্রাফিতি, আন্দোলনের ছবি ও খবরের কাগজ প্রদর্শনী, কবিতাপাঠ, জুলাই আন্দোলনে আহত, সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, ভাবগানের আসর ও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মিরপুরে আন্দোলনে আহত মাহফুজুর রহমান, আবুল বাসার সোহেল, সম্মুখ সারির যোদ্ধা আলী নুর, কবি নকিব মুকশি, হাসনাত শোয়েব, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের সদস্য তৌফিক হাসান, হুমায়ুন শফিক, উদয় হাসান ও মিলন হোসেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি
সংগৃহীত ছবি

দেশে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মাধ্যমে ২ কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মাত্র সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা মাত্র সাড়ে তিন লাখ টন এবং চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ১৪ লাখ (সিদ্ধ চাল)।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৪৩ নাগরিক।

লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের সামান্য পরিমাণ ধান (সাড়ে তিন লাখ টন) কেনার প্রস্তাব কৃৃষকের সঙ্গে পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে গত বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ টন। বোঝা যাচ্ছে, মিলারদের বাণিজ্য সুবিধা দিতেই ধান না কিনে বেশি পরিমাণে চাল কেনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই প্রস্তাব দেশের কৃষকের জন্য ক্ষতিকর বলে আমরা এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

সরকারের এই কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে চারটি দাবি করেছে নাগরিক প্রতিনিধিরা। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এখনই পরিবর্তন করে ১৭ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টনে নামিয়ে আনতে হবে।

চলতি বোরো মৌসুমেই কৃষকের নিকট থেকে পর্যায়ক্রমে ধান কেনার পরিমাণ ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সরকারি গুদামের সক্ষমতা ২১ লাখ টন থেকে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। সরকারের সংগ্রহ কার্যক্রম পুরোপুরি সংস্কার করতে হবে। বিবৃতিতে ধানের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।

বিবৃতি প্রদানকারী নাগরিকরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, পাভেল পার্থ এবং কল্লোল মোস্তফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান এবং সাংবাদিক ও গবেষক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

এছাড়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গবেষক এবং নৃবিজ্ঞানী নাসরিন খন্দকার, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের শিক্ষক নাজনীন শিফা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মোঃ নুরে আলম, নৃবিজ্ঞান গবেষক সায়েমা খাতুন, লেখক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শরত্ চৌধুরী, এনজিও ফোরাম অন এডিবির নির্বাহী পরিচালক রায়ান হাসান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক অলিউর সান, গবেষক হানা শামস আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ জুবেল, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সভাপতি অমল ত্রিপুরা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি  মেঘমল্লার বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরমানুল হক।

পরিবেশকর্মী ও চলচ্চিত্রনির্মাতা ব্রাত্য আমিন, চলচ্চিত্রকার আকরাম খান, জাতীয় কৃষি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, উন্নয়নকর্মী আবদুল্লাহ জাফর ও কামরুজ্জামান রিপন, মানবাধিকারকর্মী সাইদ আহমদ, গবেষক কৌশিক আহমেদ ও রেং ইয়ং ম্রো, এক্টিভিস্ট মারজিয়া প্রভা। সাংবাদিক ও কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক কল্যাণ সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহসানুল ইসলাম ডন, কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা এস এমনাজমুল হাসান, মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোঃ আবু আলী, রাসেল মাহবুব, সোহেল রানা ও সাজেদুল ইসলাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে থাকছে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে থাকছে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান জানানো হবে এবারের পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী প্রভাতি অনুষ্ঠানে।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এবারে অনুষ্ঠানের মূলভাব ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। সম্মিলিত কণ্ঠে ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গানটি দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।

এতে বর্ষবরণ ১৪৩২-এর আয়োজন প্রসঙ্গে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা জানান, রমনা উদ্যান থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী এবারের আয়োজন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল (youtube.com/@chhayanautbd) ও ফেইসবুক পেইজে (facebook.com/chhayanautbd)। বিটিভিও সরাসরি সম্প্রচার করবে অনুষ্ঠানটি। এবারের অনুষ্ঠানসজ্জায় থাকছে ৯টি সম্মেলক ও ১২টি একক গান এবং ৩টি পাঠ।

সবমিলিয়ে দেড়শতাধিক শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি জানান, বরাবরের মতোই নতুন বাংলা বছরকে বরণ করার এই আয়োজন সুষ্ঠু রাখতে অক্লান্ত সেবা দিয়ে চলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর। ছায়ানট কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরলস শ্রম দিয়ে চলেছেন স্বেচ্ছাসেবীরা, থার্টিনথ হুসার্স ওপেন রোভার গ্রুপের নির্বাচিত সদস্যরা। মঞ্চসহ সার্বিক সাজসজ্জার পরিকল্পনা করেছেন ছায়ানটের প্রাক্তনী সুজন চৌধুরী।

ছায়ানটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বিশ্বব্যাপী যেমন ক্ষয়ে চলেছে মানবতা, তেমনি এদেশেও ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে মূল্যবোধের। তবুও আমরা আশাহত হই না, দিশা হারাই না, স্বপ্ন দেখি হাতে হাত রেখে সকলে একসাথে মিলবার, চলবার। বাঙালি জাগবেই, সবাই মিলে সুন্দর দিন কাটানোর সময় ফিরবেই। সার্থক হবেই হবে, মানুষ-দেশ, এ পৃথিবীকে ভালবেসে চলবার মন্ত্র।’

জানানো হয়, ১৪ এপ্রিল ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে ভৈরবীতে রাগালাপ দিয়ে ছায়ানটের ১৪৩২ বঙ্গাব্দবরণের সূচনা হবে।

ছায়ানটের এবারের বার্তা, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। যথারীতি অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন আলো, প্রকৃতি এবং মানুষকে ভালোবাসবার গান, দেশপ্রেম-মানবপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। সব মিলিয়ে বাঙালি সমাজকে নিয়ে আলোর পথে মুক্তির পথযাত্রী হবার আহ্বান থাকবে এবারের পরিবেশনায়।

উপস্থিত ছিলেন ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সহ-সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, যুগ্ম সম্পাদক পার্থ তানভীর নভেদ্‌ ও জয়ন্ত রায়। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ