<p>কখনো আলোচনা, কখনো সমালোচনা এমন নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে টানা দুই মেয়াদে আট বছর দায়িত্বে থাকার পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের অধ্যায় শেষ হয়েছে।</p> <p>দায়িত্ব শেষ হওয়ার একদিন আগেই গতকাল বুধবার তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেন। বৃহস্পতিবার কালের কণ্ঠকে মীজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>গত আট বছরে তাঁর প্রাপ্তির ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য ড.মীজানুর রহমান বলেন, 'আমার দ্বারা কার উপকার হয়েছে, কার অপকার হয়েছে সেটা তারাই বলবে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।</p> <p>মীজানুর রহমান আরো বলেন, 'সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন করার। নতুন ক্যাম্পাসের বাউন্ডারি তৈরি, মাটি পরীক্ষাসহ অন্য কাজগুলো শুরু করার জন্য যা করার দরকার আমি করেছি। সব কিছুই ঠিক করা আছে। এখন সৎ, দক্ষ কেউ এসে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে পারবে।'</p> <p>নতুন মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হলে দায়িত্ব নিবেন কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি ইতোমধ্যে সরকারকে বলে দিয়েছি, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমি দায়িত্ব নেব না। তৃতীয় মেয়াদে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার নজির কোথাও নেই। নতুন করে দায়িত্ব নিয়ে সমালোচিত হতে চাইনা।’</p> <p>সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞানের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ. কে. এম. সিরাজুল ইসলাম খান প্রথম উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হোসেন সিদ্দিক দ্বিতীয় উপাচার্য হিসেবে এক বছরে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদকে তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। তিনিই প্রথম উপাচার্য হিসেবে ৪ বছর এই দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর একই বছরের ১৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কোষাধ্যক্ষ ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানকে চার বছরের জন্য চতুর্থ উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রথম মেয়াদ শেষে ২০১৭ সালে তাকে পুনরায় দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ দেয় সরকার।</p>