আর্কেশিয়া আয়োজিত স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে বাংলাদেশ। প্রফেশনাল ও স্টুডেন্ট উভয় ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দুটি দল। প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গড়া ‘শেয়ারিং ভয়েড’ দল। স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দলটি।
আর্কেশিয়ার সেরা দল বাংলাদেশ
পিন্টু রঞ্জন অর্ক

স্থপতিদের পেশাগত উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে ১৯৬৯ সালে গঠিত হয় ‘দি আর্কিটেক্টস রিজিওনাল কাউন্সিল এশিয়া (আর্কেশিয়া)’। এশিয়ার ২১টি দেশের স্থপতিদের সংগঠনটি প্রতিবছর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্থাপত্য নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
মোট তিন ধাপে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল ১২ মে। চলেছে গত শনিবার পর্যন্ত।
শেয়ারিং ভয়েডের সদস্য শাহরীন মুকাশাফাত সেমন্তী বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছে এই প্রতিযোগিতা। স্থপতিদের বরাবরই দুর্নাম আছে ধনীদের জন্য নকশা করেন তাঁরা। আমরা সেই দুর্নাম ঘোচাতে চেয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য কিছু করা, যা সময়োপযোগী, পরিবেশবান্ধব আবার তাদের সামর্থ্যের মধ্যে! রাজধানীর রায়ের বাজারের সাদেক খান বস্তি নিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা।’ দলের আরেক সদস্য সাব্বির আহমেদ জানান, ‘স্থানীয় কাঁচামাল এবং স্বল্প খরচ নির্মাণপদ্ধতি যেমন ঝাঁপি জানালা, চাটাই, পলিথিন, নির্বাচনের পোস্টার দিয়ে বানানো দেয়াল ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে এমন একটি বাসস্থান বানাতে চেয়েছি, যেখানে সুষ্ঠু জীবনযাত্রার মান বজায় থাকবে।’ স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে বিজয়ী দলের সদস্য ফেরদৌস রহমান মুগ্ধ বলেন, “প্রতিযোগিতার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল কিভাবে স্থাপত্যের প্রধান বিষয়গুলোকে কাজে লাগিয়ে মহামারির এই সময়ে আরো বেশি বাসযোগ্য করে তোলা যায়। আমাদের প্রকল্পের নাম ছিল ‘উঠান বাড়ি’। নারায়ণগঞ্জের একটা বস্তিকে কেন্দ্র করে কাজ করেছি।” এ ব্যাপারে আর্কেশিয়ার প্রেসিডেন্ট রিতা সোহ বলেন, ‘ওরা পুরো সমস্যাটি ভিন্ন আঙ্গিক থেকে দেখেছে। তাই সমাধানটিও চমকপ্রদ ও সৃজনশীল হয়েছে।’

পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে : আসিফ মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। চিরতরে এই বর্বরতা বন্ধ হোক, এমন প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
আজ রবিবার দুপুরে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে এক আলোচনাসভায় এ প্রতিবাদ জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি গাজার মজলুম জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সহমর্মিতা এবং সমর্থন জানান।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, "আজ যখন আমরা এখানে জাতীয় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপন করছি, তখন আমাদের পুরো পৃথিবী মানবতার একটি কলঙ্কজনক দিন দেখেছে। গতকাল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষের লাশ কিভাবে আকাশে উড়ছে বোমার আঘাতে।"
গাজার জনগণের প্রতি সহমর্মিতা ও সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা আশা করি, পৃথিবী থেকে সকল মানবতাবিরোধী কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ হোক।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার বক্তব্যে গাজার জনগণের প্রতি বাংলাদেশের একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে মানবাধিকারের প্রতি আরও গুরুত্বারোপের আহ্বান জানান।

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিতে অটল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইউএনবি

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবপাচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচারে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচার মোকাবিলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সঙ্গে শনাক্তকরণ ও তাদের চাহিদা মূল্যায়ন করে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে তৈরি এই প্লাটফর্মে সেবাদাতাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সংযুক্ত করা হবে।
পাশাপাশি মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বিমসটেক জোটের সদস্য দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা আরো বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ সময় মানবপাচার বন্ধ করতে বিমসটেকের অন্যান্য দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অবগত হয়ে দেশের পাচারাবিরোধী কৌশল আরো শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো এড়িয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে পাচারকারীরা।
এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সম্মিলিত ও কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেবার বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে।
এ সময় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানবপাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা অংশ নেন।

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু
অনলাইন ডেস্ক

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ এপ্রিল) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়। মিসরের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্টের কয়েকটি আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং অনুষ্ঠানের অথিতিরা আবেদনকারীদের হাতে ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষকরা, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।

শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান
অনলাইন ডেস্ক

দুই দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে তাদের এ কর্মসূচি।
পরিষদ বলছে, তারা ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবি) ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে।
পরিষদের দুই দফা দাবি হলো, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সব সুযোগ–সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না পাওয়া বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া।
এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আজ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় পরিষদ।