<p style="text-align:justify">কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সহযোগিতায় দ্বীপে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।</p> <p style="text-align:justify">এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সঙ্গে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যায়ক্রমে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপনের জন্য কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।</p> <p style="text-align:justify">মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাল্টি-স্টেকহোল্ডার মডেলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব নিশ্চিত করা হবে, যা দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং জেলেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। এ কাজে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সদস্য হিসেবে ব্র্যাক, ইউনিলিভার ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কাজ করবে।</p> <p style="text-align:justify">প্রাথমিকভাবে দ্বীপটিতে যুবসমাজকে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্থানীয়দের এই কার্জক্রমে সম্পৃক্ত করতে নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।</p> <p style="text-align:justify">বর্জ্য উৎপাদন হ্রাসকরণ এবং সংগৃহীত বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার্কুলার ইকোনমিক ধারণা বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বীপে নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং উন্নত করার মাধ্যমে শূন্য-বর্জ্য ধারণাকে বাস্তবায়ন করা হবে। </p> <p style="text-align:justify">হোটেলকর্মী, পরিবহনকর্মীসহ স্থানীয় সকল শ্রেণি ও পেশার জনগণের মতামত নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। </p> <p style="text-align:justify">টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর এসইউপি ব্যবস্থাপনার জন্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কথোপকথন, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং সমন্বিত কর্মের সুবিধার্থে একটি সহযোগিতা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্রটি টেকসই অনুশীলনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।</p> <p style="text-align:justify">এই উদ্যোগটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেলকর্মী, মৎস্যজীবী, পর্যটক, নৌ যানকর্মী, সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা প্রকল্পটিকে সফল করে তুলবে। সেন্ট মার্টিনে সফল হওয়ার পর কক্সবাজারে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। </p> <p style="text-align:justify">এদিকে, সেন্ট মার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানমের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার একটি প্রতিনিধিদল নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাঁট পরিদর্শন করেছেন।</p>