খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন : ফরহাদ মজহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন : ফরহাদ মজহার
সংগৃহীত ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট লেখক, দার্শনিক, গবেষক ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ফরহাদ মজহার এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তিনি চান বা না চান অর্থাৎ সক্রিয় রাজনীতিতে তাকে জনগণ পাক বা না পাক বেগম জিয়ার প্রতীকী তাৎপর্য আগামী রাজনীতিকে অনেকাংশেই প্রভাবিত করতে পারে।

আরো পড়ুন
তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ

তারেক রহমানের ৪ মামলা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ

 

ফরহাদ মজহারের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেখা করেছেন। হয়তো তা নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎকার। কিন্তু তার ইতিবাচক তাৎপর্য রয়েছে।

উপদেষ্টা সরকারের রাজনৈতিক এবং আইনি বৈধতার অভাব গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

বৈরি ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় তা অত্যন্ত বিপজ্জনক। সম্প্রতি ছাত্র-তরুণরা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র রাজধানীতে সভা করে পাঠ করতে চেয়েছে। সেটা তারা করতে পারেনি, কিংবা করতে দেওয়া হয়নি। উপদেষ্টা সরকারের মধ্যে তা নিয়ে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রস্তাবিত ঘোষণার সরাসরি বিরোধিতা করেন (দেখুন, ‘ছাত্রদের জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পেছানোর নেপথ্যে’), এতে পরিষ্কার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জাতীয় রাজনীতিতে দুটো পরস্পরবিরোধী ধারা গড়ে উঠেছে এবং তাদের পার্থক্য ও বিরোধ আগামীতে আরো তীব্র এবং ব্যাপ্ত হবে। যে প্রতিবিপ্লবী শক্তি আইন ও সংবিধানের দোহাই তুলে প্রতিবিপ্লব ঘটিয়েছে এবং আইন ও রাজনীতি উভয় দিক থেকে একটা সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার কায়েম করেছে আগামীতে এই গণবিরোধী প্রতি বিপ্লবী ধারাকে আরো পরিষ্কার চেনা যাবে। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার দায়িত্ব পালনের দিক থেকে সেনাবাহিনীকে আগামী দিনে হিমশিম খেতে হবে। বলাবাহুল্য জনগণ অবশ্যই সেনাবাহিনীকে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এই গৌরবজনক অবস্থানেই দেখতে চাইবে। সেনাবাহিনী এই গৌরব ধরে রাখবে -- আমরা সাধারণ জনগণ সেটাই আশা করি।
৩ আগস্টের পর থেকে সেনাবাহিনী প্রমাণ করেছে সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষের শক্তি, প্রতিবিপ্লবী শক্তি নয়।

আরো পড়ুন
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আল্টিমেটাম

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আল্টিমেটাম

 

রাজনীতির এই বাস্তব মেরুকরণ এবং আগামী দিনে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার চ্যালেঞ্জ বিচার করলে সেনাপ্রধানের এই সৌজন্য সাক্ষাৎকার জনগণ খুবই ইতিবাচকভাবে দেখছে। আমি অতি সাধারণ মানুষ নিয়ে কারবার করি। সাধারণ মানুষের উপলব্ধিটুকু ব্যক্ত করলাম। বেগম খালেদা জিয়া তার দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তিনি চান বা না চান –অর্থাৎ সক্রিয় রাজনীতিতে তাকে জনগণ পাক বা না পাক – বেগম জিয়ার প্রতীকী তাৎপর্য আগামী রাজনীতিকে অনেকাংশেই প্রভাবিত করতে পারে। এর আগে আমি বলেছি তার আপসহীনতা – অর্থাৎ ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার অধীনে নির্বাচন না করা – তাকে এক ঐতিহাসিক মর্যাদা দিয়েছে তা আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এবং জনগণের স্মৃতিতে আর ম্লান হবার নয়। এই দিক থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের সাক্ষাৎকার নিছকই সৌজন্য হলেও তার ইতিবাচক রাজনৈতিক বার্তা পরিষ্কার। সেটা হচ্ছে ঐক্য এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবেশ তৈরির আন্তরিক প্রয়াস। এই সাক্ষাৎকার খুবই সময়োপযোগী হয়েছে। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের ফল কি দাঁড়াবে সেটা নির্ভর করবে মোটাদাগে রাজনীতির তিন ত্রিভূজ পক্ষের মধ্যে সমঝোতা কিম্বা বিরোধের মাত্রা দ্বারা। এই তিন পক্ষ কারা?

আরো পড়ুন
সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় জামায়াত নেতাকর্মীরা

সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় জামায়াত নেতাকর্মীরা

 

এক. গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্র-জনতার শক্তি এবং গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সামষ্টিক অভিপ্রায়ের রূপ কি হতে পারে সেটা তারা কতোটা জনগণকে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে বলতে ও ব্যাখ্যা করতে পারছে তার ওপর। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘ঘোষণা’ কিম্বা ‘ইশতেহার’ এই দিক থেকে বাংলাদেশের আগামী রাজনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এর আগের খসড়া বাজারে চাউর হয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এর প্রণয়ণ ওপর থেকে চাপিয়ে নয়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হওয়াই বাঞ্ছনীয়। ছাত্র-তরুণদের আবেগ তাড়িত হয়ে চললে তারা ব্যর্থ হবে। দরকার ইতিহাস, রাজনৈতিক মতাদর্শিক তর্ক মীমাংসা এবং পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের যুগে নিউ লিবারাল ইকোনমিক পলিসি এবং তথাকথিত লিবারেল রাজনৈতিক মতাদর্শ মোকাবিলার শক্তি অর্জন। কি সম্ভব আর কি সম্ভব নয় সেটা সকলকেই বুঝতে হবে। ছাত্র-তরুণদের প্রমাণ করতে হবে তারা সমাজের দায়িত্বশীল ও গাঠনিক শক্তি।

দুই. বিএনপি এবং তার জোট ও সমর্থক। জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে খালেদা জিয়ার ভাবমূর্তি সব পক্ষকে আন্তরিকভাবে স্বকার এবং প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা বহু জটিল সমস্যার সমাধান সহজে করতে পারি। 

তিন. সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি এবং রাষ্ট্র সুরক্ষার প্রচলিত আদর্শ ও ভূমিকা জাতীয় রাজনীতিতে সদাসর্বদা প্রকাশ্যে কিম্বা অপ্রকাশ্যে ছায়া ফেলে। ৩ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। আগামীতে যেন তারা এই গুরু দায়িত্ব পালন করে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বলাবাহুল্য এই ত্রিভূজের বাইরেও জমায়াতে ইসলামীসহ অন্য ইসলামী দল রয়েছে। তবে ইসলামপন্থি দলগুলো জাতীয় রাজনীতির নির্ধারক বয়ান নির্মাণে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। ছাত্র-তরুণদের রাজনীতি সেকুলার বনাম ধর্মীয় মতাদর্শের বাইনারি ভেঙে নতুন রাজনৈতিক বয়ান তৈরির শর্ত হাজির করেছে। তারা এই নতুন রাজনৈতিক পরিসর গড়ে ওঠায় উপকৃত। তারা নিজেদের স্বার্থেই ছাত্র তরুণদের অনুসরণ করবে। তাই বলা যায় মোটা দাগে এই তিন পক্ষের সমঝোতা কিম্বা বিরোধ আগামী দিনের রাজনীতির গতিপথ নির্ণয় করবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হার ১ শতাংশেরও কম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন হার ১ শতাংশেরও কম
সংগৃহীত ছবি

আইন অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু ৪৫ দিনের মধ্যে শতভাগ নিবন্ধন করার কথা বলা হলেও দেশের অধিকাংশ মানুষ তা মানছে না। এই সময়ে ৫৪ শতাংশ শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা হলেও মৃত্যু নিবন্ধন হচ্ছে ১ শতাংশের কম। পেনশন, উত্তরাধিকার ছাড়া কেউ মৃত আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যু নিবন্ধন করতে চায় না।   

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাজধানী পল্টনে ফারস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসে এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে সিআরভিএস শক্তিশালীকরণে গণযোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ক তথ্য প্রচার এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের প্রভাবশালী গল্প নিয়ে এ আয়োজন করে নারী মৈত্রী। 

কর্মশালায় সাংবাদিকদের বিতরণ করা কাগজপত্রে দেখা যায়, ১৬ কোটির বেশি মানুষের জন্ম নিবন্ধন ডাটাবেইসে সংরক্ষিত আছে এবং প্রতি মুহূর্তে এই সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এ সংখ্যা শিগগিরই ২৫ থেকে ৩০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।  

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) তথ্যে আরো বলা হয়,  মৃত্যু নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় আইন থাকা সত্ত্বেও প্রক্রিয়াটিতে এখন পর্যন্ত  অনেক বিড়ম্বনা ও হয়রানি করা হয়।

এ ছাড়া সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের প্রভাব, মৃত্যু সম্পর্কিত আচার-অনুষ্ঠান এবং দাফন প্রথা, প্রমাসনিক বাধা মৃত্যু নিবন্ধনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। 

অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন নারী মৈত্রী’র নির্বাহী পরিচালক শাহীন আক্তার ডলি বলেন, জন্ম, মৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি, পেনশন, ভাতা সুবিধার ক্ষেত্রে নিবন্ধন গুরুত্ব বহন করে। জন্ম নিবন্ধন শিশুদের আইনি পরিচয় প্রতিষ্ঠা করে। এর পাশাপাশি তার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

 

আরো পড়ুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুদিনের অভিযানে ৪ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই দিনের অভিযানে ৪ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

 

তিনি বলেন, নারী মৈত্রী বিশ্বাস করে একটি কার্যকর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন এবং সিভিল রেজিস্ট্রেশন ও ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) মূল ধারার আলোচনা ও গণমাধ্যমে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। 

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বাংলাদেশের মিডিয়া কাভারেজ ও সিআরভিএস অ্যাডভোকেসির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি মিডিয়ার নীতিগত সংস্কারের ওপর প্রভাব বিস্তারের গুরুত্ব উল্লেখ করে কিছু সফল উদাহরণও তুলে ধরেন।

কর্মশালায় নারী মৈত্রীর প্রকল্প ব্যবস্থাপক লায়লা আরিফা খানম এবং সিনিয়র অ্যাডভোকেসি অফিসার আনিকা আনজুম ঐশী সিআরভিএস এবং এর সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব সম্পর্কে ধারণা দেন, যেখানে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও কার্যকর ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। 

ভাইটাল স্ট্রাটেজিস বাংলাদেশের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর নজরুল ইসলাম সাম্প্রতিক সিআরভিএস সংস্কার এবং চলমান সরকারি উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনা করেন।

তিনি সরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যম সংস্থার মধ্যে আরো সুসংগঠিত সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন, যাতে জনগণের জন্য সিআরভিএস পরিষেবার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি পায়। 

কর্মশালায় বক্তারা কার্যকর নিবন্ধনের জন্য কিছু সুপারিশ করেন। এর মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধনে স্বাস্থ্য বিভাগের সক্রিয় অংশগ্রহণ। অর্থাৎ হাসপাতালে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন।  বিনা খরচে নিবন্ধের বিধান জারি,  জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণকারী বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা, স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি প্ল্যাটফরম এবং ধর্মীয় নেতাদের জড়িত করা।

মন্তব্য

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম : প্রেস উইং

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম : প্রেস উইং
ফাইল ছবি

ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ‘অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার’ ভিত্তিহীন খবর প্রকাশিত হয়েছে বলে দাবি করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। এসব খবর ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে এক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার অভিযোগে যে খবর প্রকাশ করেছে, তা শুধু ভিত্তিহীনই নয়, বরং অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনও।

এতে আরো বলা হয়েছে, ‘এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা, (অন্য দেশের) হস্তক্ষেপ না করার নীতির পরিপন্থী। তথ্য-প্রমাণ ছাড়া এমন চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যা আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্পর্কের জন্যও ক্ষতিকর।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত
ফাইল ছবি

পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ডিএমপির সাবেক এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি তিনটি প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বরখাস্ত হওয়া এই তিন কর্মকর্তা বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তকালীন আসাদুজ্জামান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়।

সেহেতু, আবুল হাসনাত খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেহেতু, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নারীদের মানবিক সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপের আহ্বান একশনএইডের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নারীদের মানবিক সংকট মোকাবেলায় পদক্ষেপের আহ্বান একশনএইডের
সংগৃহীত ছবি

জাতিসংঘের মহাসচিবের বাংলাদেশে সফরকালে তাকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিশেষ করে নারী ও মেয়েশিশুদের তীব্র মানবিক সংকট মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে একশনএইড বাংলাদেশ। সংস্থাটি বলছে, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য তহবিল বরাদ্দ কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কঠিন হুমকির মুখে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন
ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বাসদের

ধর্ষকদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বাসদের

 

ডব্লিউএফপি’র উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তহবিল সংকটের কারণে বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেকে আনার ফলে (আগামী পহেলা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে) শরণার্থীদের জীবনধারনের ন্যূনতম সীমার নিচে ঠেলে দেবে, যা অপুষ্টি এবং স্বাস্থ্য সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলবে।

খাদ্য সহায়তা বরাদ্দের এই মারাত্মক হ্রাসের কারণে নারী ও কিশোরীরা অসমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গর্ভবতী এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মা, কিশোরী এবং শিশুরা ইতোমধ্যেই তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা এবং মৃত্যুর হার বাড়িয়ে তুলতে পারে। খাদ্য ঘাটতির চাপে পারিবারিক সহিংসতা এবং শোষণসহ জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে যুক্ত হয়েছে পর্যাপ্ত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর) পরিষেবার বিঘ্নের আশঙ্কা, এতে নারী ও কিশোরীরা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।

আরো পড়ুন
বাংলা সাহিত্যে রমজান মাস

বাংলা সাহিত্যে রমজান মাস

 

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য রেশন কমানোর খবরে ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা শিবিরে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এতে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে নারী ও কিশোরীদের বিপদ আরো বাড়াবে। আন্তর্জাতিক কমিউনিটির তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার কারণে মানবিক সংস্থাগুলোকে শরণার্থীদের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতেও হিমশিম খেতে বাধ্য করেছে।

একশনএইড বাংলাদেশ বলছে, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পূর্ণ খাদ্য রেশন পুনরুদ্ধার করতে এবং নারী ও কিশোরীদের অগ্রাধিকার দিয়ে জেন্ডার-সংবেদনশীল সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরি তহবিল প্রদানের আহ্বান জানাই। এছাড়া  রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবেলায় টেকসই প্রত্যাবাসন এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনাসহ দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

আরো বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। জাতিসংঘের মহাসচিব যখন এই সংকটের প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, তখন আমরা ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীর, বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় দ্রুত এবং সহানুভূতিশীল পদক্ষেপের আহ্বান জানাই।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ