ফারাজ প্রকল্পে ৭৩ কোটি টাকা ভারতে পাচার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফারাজ প্রকল্পে ৭৩ কোটি টাকা ভারতে পাচার
সিমিন ও ফারাজ

ট্রান্সকম গ্রুপ ‘ফারাজ’ নামে সিনেমা নির্মাণে ভারতে অন্তত ৭৩ কোটি টাকা পাচার করেছে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে এই অর্থ পাচার করা হয়। মানিলন্ডারিং বিষয়ে সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। 

ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমানের ছেলে ‘ফারাজ’-এর জীবন নিয়ে এই কল্পকাহিনিভিত্তিক সিনেমাটি ভারতীয়।

সেই কল্পকাহিনি নির্মাণের জন্য পুরো টাকা দিয়েছিল ট্রান্সকম গ্রুপ। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ট্রান্সকম গ্রুপ ভারতে এই সিনেমা প্রযোজনার জন্য কোনো টাকা পাঠানোর অনুমতি গ্রহণ করেনি। এমনকি ট্রান্সকম গ্রুপের নথিপত্রেও এ ধরনের কোনো প্রকল্পের কথা উল্লেখ নেই। 

২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিতর্কিত এই সিনেমা নির্মাণের সব টাকা দিয়েছে ট্রান্সকম গ্রুপ ও সিমিন রহমান।

এই সিনেমার পরিচালক হানসাল মেহতা ‘ফিল্ম ফেয়ার’ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন। 

গত বছরের অক্টোবরে এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়। হানসাল মেহতা দাবি করেছেন, এটি একটি ফরমায়েশি সিনেমা। এর পরিকল্পনা, পাণ্ডুলিপি এবং অর্থ সবই দেওয়া হয়েছে সিমিন রহমান এবং তার শিল্প গ্রুপের মাধ্যমে।

 

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কয়েকজন বিদেশিসহ ২২ ব্যক্তি মারা যান। ওই জঙ্গি হামলা সারা দেশকে স্তম্ভিত করেছিল। সে সময় জঙ্গিদের সঙ্গে ছিলেন ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমানের ছেলে ফারাজ। তিনি জঙ্গিদের সহযোগী ছিলেন বলে পরবর্তী সময়ে একাধিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায়।

কিন্তু ঘটনার পরপরই ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিন রহমান তার ছেলেকে নিয়ে শুরু করেন সাজানো নাটক। 

বিপুল অর্থ ঢেলে জঙ্গি ছেলেকে ‘বীর’ বানানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে ফারাজ যে একজন জঙ্গি হিসেবে ওখানে নিহত হয়েছিলেন, এই তথ্যটি গোপন করা হয়। এতেও ক্ষান্ত হননি সিমিন রহমান। পরে তিনি পুরো ঘটনাটাকে অন্যভাবে সাজানোর জন্য একটি বিতর্কিত সিনেমা তৈরির পরিকল্পনা নেন। 

এ নিয়ে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ নুরুজ্জামান লাভলুকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই ঘটনায় ফারাজকে নায়ক বানিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করার। নুরুজ্জামান লাভলু সেই অনুযায়ী অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন। 

এরপর সিমিন রহমান বাংলাদেশের অন্তত দুজন চলচ্চিত্র পরিচালকের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেন। তাদের এ বিষয়ে সিনেমা তৈরির অনুরোধ করেন। এ সিনেমা নির্মাণের জন্য তাদের বিপুল অর্থ দেওয়া হবে বলেও প্রলোভন দেখান। কিন্তু বাংলাদেশের এই দুই পরিচালকের কেউই এতে রাজি হননি। এরপর সিমিন রহমান ভারতে যান। সেখানে একাধিক চিত্রপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। 

অবশেষে মতিউর রহমান ও মাহ্ফুজ আনামের মধ্যস্থতায় ভারতের তিনজন পরিচালক এ বিষয়ে রাজি হন। পরে মতিউর রহমান, মাহ্ফুজ আনাম ও আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়। সেই বাছাই কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে হানসাল মেহতাকে পরিচালক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হানসাল মেহতা সিনেমাটি নির্মাণের আগে ঢাকায় আসেন। সিমিন রহমানের সঙ্গে আর্থিক বিষয়াদি চূড়ান্ত হওয়ার পর সিনেমা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। 

সিনেমাটি নির্মাণের ব্যাপারে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনটি প্রতিষ্ঠানকে প্রযোজক হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- টি সিরিজ, বেনারস মিডিয়া ওয়ার্কস ও মাহানা কোম্পানি। এর মধ্যে টি সিরিজ ভারতে প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয়। বেনারস মিডিয়া ওয়ার্কস অনুভব সিনহার প্রতিষ্ঠান। 

এই প্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত। মাহানা কোম্পানিটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। এই কোম্পানিটি শুধু একটি সিনেমা করেছে, সেটি হলো ‘ফারাজ’। এর আগে-পরে এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় কোন সিনেমার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখেনি। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই মাহানা কোম্পানি হলো সিমিন রহমান এবং তার পুত্র যারাইফ আয়াত হোসেনের একটি ভৌতিক কোম্পানি। যে কোম্পানির মাধ্যমে এই সিনেমাটির অর্থায়ন করা হয়। হানসাল মেহতা নিজেই জানিয়েছেন সিনেমাটি নির্মাণে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি রুপির মতো। 

অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। এই পুরো অর্থই সিমিন রহমান দিয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ভারতীয় চলচ্চিত্র বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী টি সিরিজ সিনেমার গানের জন্য স্বত্ব নেয়। আর বেনারস মিডিয়া ছিল পরিবেশক। সিনেমায় এই দুই প্রতিষ্ঠান কোনো বিনিয়োগ করেনি। 

এই সিনেমাটি খুবই বিতর্কিত এবং হোলি আর্টিজানের মূল তদন্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্মাণ করা হয়েছে। সিনেমায় পুরো ঘটনাকে অন্য খাতে প্রবাহিত করে ফারাজকে এ ঘটনার একজন নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনভাবে হোলি আর্টিজানের ঘটনা বিকৃত করা হয়েছে, যেখানে দেখানো হচ্ছে যে ফারাজ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। 

কিন্তু হোলি আর্টিজানের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, এ ধরনের কোনো ঘটনাই সেখানে ঘটেনি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অনুসন্ধান করে দেখেছে, এই সিনেমা নির্মাণের পর্যায়ে সিমিন রহমান ও তার পুত্র যারাইফ আয়াত হোসেন অন্তত পাঁচবার ভারতে গিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, হানসাল মেহতা এবং তার টিম বাংলাদেশে এসেছিল চারবার। এ সময় সিমিন রহমানের বাসায় তারা একাধিক নৈশভোজেও অংশ নিয়েছিলেন। 

ধারণা করা যায়, এই সিনেমার অর্থ নিতেই হানসাল মেহতা ও তার টিম বাংলাদেশে এসেছিল। তা ছাড়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই সিনেমাটি বাংলাদেশে সুটিং করার জন্য কোনো অনুমোদন মন্ত্রণালয় থেকে নেওয়া হয়নি। অথচ আইন অনুযায়ী এ ধরনের যৌথ প্রাযোজনায় কোনো সিনেমা নির্মাণ করতে গেলে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব অনুমোদন লাগে। 

তৎকালীন দুর্নীতিবাজ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে যোগসাজশে সিমিন রহমান অনুমতি না নিয়েই এই সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন সিআইডি সিমিন রহমান ও যারাইফ আয়াত হোসেনের অবৈধভাবে ভারতে ৭৩ কোটি টাকা পাচারের বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। 

সিআইডির একটি সূত্র বলেছে, শুধু ‘ফারাজ’ নির্মাণই নয়, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ওটিটি প্ল্যাটফরম চরকিও তৈরি হয়েছে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে। চরকি প্রতিষ্ঠার সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের তৎকালীন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামীর সঙ্গে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

চরকিতে যে ভারত এবং প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের যৌথ অর্থায়ন ঘটেছে সে বিষয়েও সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। চরকির মাধ্যমেও বিপুল অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এ ব্যাপারে তারা তদন্ত শুরু করেছে। ট্রান্সকম গ্রুপ ও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইজতেমায় চলছে বয়ান, ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি (গাজীপুর)
আঞ্চলিক প্রতিনিধি (গাজীপুর)
শেয়ার
ইজতেমায় চলছে বয়ান, ইবাদতে মশগুল মুসল্লিরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর সকল বাধা ও সংকাকে পেছনে ফেলে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ নদের (টঙ্গী নদী) তীরে বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।

তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের (যোবায়ের) অনুসারী তাবলীগের সাথীরা এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব আয়োজন করছেন।

বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত শুরু হয়। বয়ানের অনুবাদ করছেন বাংলাদেশি মাওলানা জুবায়ের।

আর বয়ানে মশগুল হয়ে ইবাদত করছেন মুসল্লিরা।

আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে মাওলানা ইবরাহিম দেওলা বলেন, ‘মনকে আল্লাহর দিকে একাগ্র করার জন্য এবং আমাদের ওপর আল্লাহর যেই হক আছে তা শেখার জন্য ও আমার ওপর আল্লাহর কি হক আছে তা শেখার জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হতে হবে।’

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরায়ী নেজামের অধীনে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

প্রথম পর্বের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপরে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করবেন তাবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বী ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারী সাথীরা।

মন্তব্য

রাতে আধা ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে জরুরি সেবা ৯৯৯

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাতে আধা ঘণ্টা বিঘ্নিত হতে পারে জরুরি সেবা ৯৯৯
সংগৃহীত ছবি

কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩০ মিনিটের জন্য বিঘ্নিত হতে পারে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর সেবা।

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য দেন।

তিনি জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কার্যক্রম কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩১ জানুয়ারি রাত ১২টা ১৫ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। 

৯৯৯ হল জাতীয় জরুরি নম্বর।

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯। এই নম্বরটি 
৯৯৯ নম্বরে কল করা কলারকে একজন অপারেটরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, যিনি ফোনকারীকে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে সংযুক্ত করেন। পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি জাতীয় জরুরি হেল্প ডেস্কের অধীনে পরিষেবাগুলো প্রদান করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (৩০ জানুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আলোচিত-১০ (৩০ জানুয়ারি)
শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠন করবে : প্রধান উপদেষ্টা

শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠন করবে : প্রধান উপদেষ্টা

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক...

 
আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের উষ্মা

আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের উষ্মা

ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের...

 
পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন উপদেষ্টা নাহিদ-আসিফ

জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার নতুন একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। দল ঘোষণার আগে আগামী ১৫...

 
এস আলমের ১৭৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

এস আলমের ১৭৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ

ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম ও তার পরিবারের নামে থাকা ১৭৫ বিঘা সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন...

 
আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরো বাড়ল

আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরো বাড়ল

ব্যক্তি করদাতাদের বার্ষিক বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আরো ১৬ দিন এবং কম্পানির করদাতাদের রিটার্ন জমা দেওয়ার...

 
আরো অনিশ্চয়তার পথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, সংকট সর্বত্র

আরো অনিশ্চয়তার পথে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, সংকট সর্বত্র

সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি, ভূ-কৌশলগত অবস্থান, অর্থায়ন সংকটসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি...

 
নারীদের কাজে বিধি-নিষেধ আরোপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

নারীদের কাজে বিধি-নিষেধ আরোপকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

সম্প্রতি দিনাজপুর ও জয়পুরহাটে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচে বাধার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ...

 
আমবয়ানে বিশ্ব ইজতেমা শুরু

আমবয়ানে বিশ্ব ইজতেমা শুরু

তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার পর সকল বাধা ও সংকাকে পেছনে ফেলে কড়া নিরাপত্তায় গাজীপুর...

 
সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু

সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত ইরাকি বংশোদ্ভূত ব্যক্তির মৃত্যু

সুইডেনে বেশ কয়েক কপি কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত এক ইরাকি ব্যক্তি মারা গেছেন। সুইডিশ মিডিয়া জানিয়েছে, কাছের...

 
সাকিবকে ছাড়া বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না : আকাশ চোপড়া

সাকিবকে ছাড়া বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না : আকাশ চোপড়া

দলে সাকিব আল হাসান না থাকায় বাংলাদেশকে বিশ্বমঞ্চে আর খুঁজেই পাওয়া যাবে না। আইসিসির বর্ষসেরা দলে বাংলাদেশি কোনো...

 
প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হাতাহাতির এই ভিডিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হাতাহাতির এই ভিডিও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়
সংগৃহীত ছবি

সম্প্রতি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সমন্বয়কদের কারণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম মাটির সাথে মিশে গেছে দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, সশস্ত্র সমারিক পোশাক পরিহিত কিছু ব্যক্তি ও সামরিক পোশাকবিহীন (পরনে সামরিক প্যান্ট দেখা যায়) ব্যক্তি মারপিট বা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

ভিডিওর ক্যাপশনে দাবি করা হয়, ‘বাংলাদেশের সুনাম ধন্য এক বাহিনীর নাম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছিল। সেই সেনাবাহিনী সম্মান মাটির সাথে গেছে অবৈধ সরকার ইউনূস গং এবং সমন্বয়ক নামের কুলাঙ্গারদের পৃষ্ঠপোষকতায়।

ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রচারিত ভিডিওটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নয়। বরং, মায়ানমারের কাচিন ইনডিপেডেন্স আর্মি (কেআইএ) ও তাআং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এর সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

415874

এ বিষয়ে অনুসন্ধানে  ‘စစ်ရူံးဘဘမင်းအောင်လိူင်’ নামের ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ জানুয়ারী ‘Part 1 အချင်းချင်းချကုန်ပီဟ #army #military #myanmar’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত ভিডিওর সাথে এই ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটির ক্যাপশনে #army #military #myanmar হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে।

এছাড়া, ‘Arakha Youtube Channel’ নামক ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৭ জানুয়ারী ‘KIA ၊ TNLA တပ်ဖွဲ့ဝင်များ မြေပြင်မှာ တင်းမာနေမှု။’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত উক্ত ঘটনার একটি দীর্ঘ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে এটা নিশ্চিত যে, এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কোনো ঘটনা নয়। এছাড়া ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি KIA এবং TNLA এর সৈন্যদের উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা।

পরবর্তীতে, ওই তথ্যগুলোর সূত্র ধরে মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা মিয়ানমার নাউ (Myanmar NOW) এর ওয়েবসাইটে গত ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওটি মিয়ানমারের কেআইএ (KIA) ও টিএনএলএ (TNLA) সসস্ত্র গোষ্ঠির সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার।

উত্তর শান রাজ্যে কুতকাই টাউনশিপের নাম ফাত কার শহরে বা তার কাছাকাছি সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। টিএনএলএ (TNLA) সদস্যরা একটি কেআই (KIA) চেকপয়েন্ট জোর করে অতিক্রম করার চেষ্টা করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সুতরাং, মিয়ানমারের ভিন্ন ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে সাধারণ মানুষের হাতাহাতির ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ