কে হচ্ছেন পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা? আলোচনায় যার নাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কে হচ্ছেন পরবর্তী তথ্য উপদেষ্টা? আলোচনায় যার নাম

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।

নাহিদের পদত্যাগের পর আলোচনা শুরু হয়েছে এই দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কে আসছেন।

নিয়ম অনুযায়ী, কোনো উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে তাৎক্ষণিক ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যস্ত হয়। তিনি বণ্টন করে দেন।

তবে নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর ওই দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাৎক্ষণিক বণ্টন করা হয়নি। মন্ত্রিপরিষদ সূত্র জানা গেছে, আজ তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের না-ও হতে পারে।

আরো পড়ুন
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

 

বিষয়টি নিয়ো আলোচনা চলছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে আলোচনায় আছে আরেক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের নাম। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো জানা যায়নি। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে উপদেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না।

গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।

এ ছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্যও আলোচনা চলছে। তবে সরকারি সূত্র জানিয়েছে, কোনো নতুন লোক উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হচ্ছে না। যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন তাদের মধ্যেই বণ্টন হতে পারে নাহিদ ইসলামের এই দুই মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে অসহনীয় লোডশেডিং হবে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
গরমে অসহনীয় লোডশেডিং হবে না: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‌‌‘রমজানে লোডশেডিং ছিল না। তবে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না, বিভিন্ন সমস্যা কারণে। নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চলছে। আশা করছি এবারে গরমে অসহনীয় লোডশেডিং হবে না।

এবার লোডশেডিং শুধু গ্রামে হবে না, যদি লোডশেডিং করা হয় তাহলে প্রথমে ঢাকায় করা হবে।’

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ট্রেন, বিদুৎসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব দেন।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কোচ ও ইঞ্জিন সংকটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।

কোচ ও ইঞ্জিন বাড়লে চট্টগ্রাম-চুয়েটসহ বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের জায়গায় কমিউটার ট্রেন সার্ভিস ব্যবস্থা করা হবে। ট্রেনের সার্ভিস বাড়াতে ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা বাড়াতে হয়। এজন্য আমরা চেষ্টা করছি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিও চীনে গিয়েছিলাম।
সেখানে চীনের ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টারের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে এবং আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ২শ কোচের জন্য একটি অর্ডার দেওয়া আছে। একটি দল এ মাসে যাবে। যাতে এ কোচগুলো আসা শুরু হয়। লোকোমোটিভ কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।

এত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা কমিউটার ট্রেন চালু করেছি। একটি জয়দেবপুর-ঢাকা। আরেকটি ভৈরব-ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা।’

জলাবদ্ধতার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজের কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে যে-সব খালগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে সেগুলোতে আবার ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যাচ্ছে আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। বিভাগীয় কমিশনার মতবিনিময় সভা করবে এলাকায় এলাকায়। আমরা চেষ্টা করছি ৩০ হাজার বিন দেওয়ার জন্য। চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন বিনগুলো বসাবেন। 

তিনি উপদেষ্টা আরো বলেন ‘মতবিনিময় সভায় উদ্বুদ্ধ এবং বিন দেওয়ার পরও যদি ময়লা যত্রতত্র ফেলে তাহলে মোবাইল কোর্ট করা হবে। জলাবদ্ধতা যে এবার হবে না তা নয়। বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করবে।’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন প্রমুখ। 

মন্তব্য

এশিয়ায় আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা সিআইসিএ’র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এশিয়ায় আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা সিআইসিএ’র
সংগৃহীত ছবি

এশিয়ায় আস্থা তৈরির পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) মহাসচিব কাইরাত সারিব।

শনিবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘আনাতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম (এডিএফ) ২০২৫’ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে সিআইসিএ মহাসচিব এ কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও সিআইসিএ-র মধ্যে সম্পর্কের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সিআইসিএ’কে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় রূপান্তরে মহাসচিবের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তিনি বাংলাদেশের খাতভিত্তিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইসিএ’র যোগাযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন, কারণ এটি বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।

উভয় পক্ষই বিদ্যমান কর্মপ্রচেষ্টার মাত্রা আরো উন্নত করতে এবং আগামী দিনে সহযোগিতার নতুন নতুন পথ অন্বেষণে সম্মত হয়েছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘রিক্লেইমিং ডিপ্লোমেসি ইন এ ফ্র্যাগমেন্টেড ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এডিএফ ২০২৫ আজ আনাতোলিয়ায় শুরু হয়েছে।

এবারের প্রতিপাদ্য ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বিভক্তির মধ্যে কূটনীতিকে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন ঘটায়।

২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, অর্ধশতাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ চার হাজারেরও বেশি অতিথি এই ফোরামে অংশ নেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না, আসে লুটেরা শ্রেণি : ফরহাদ মজহার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না, আসে লুটেরা শ্রেণি : ফরহাদ মজহার
ছবি: কালের কণ্ঠ

কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, ‘কমিউনিটি যখন দাঁড়িয়ে যায়, এলাকা যখন দাঁড়িয়ে যায় তখনই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের উম্মেষ ঘটে। ভোট দিয়ে হয় না, ভোটে লুটেরা মাফিয়া শ্রেণি আসে।’ 

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত শাহ আলী মাজারে জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের আয়োজিত গণমানুষের জাগ্রত জুলাই শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র কায়েম হয় যখন আমরা বুঝবো এই কমিউনিটি সবচেয়ে শক্তিশালী, কমিউনিটিতে থাকতে হবে, কমিউনিটির সিদ্ধান্তে এই এলাকায় উন্নয়ন হবে, কমিউনিটি যেমনি করে চায় তেমনি করে হবে।

কমিউনিটি খুব ভালো করে বুঝে কোনটা তার ভাল, কোনটা তার খারাপ।’

আরো পড়ুন
রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

রাজশাহীসহ পাঁচ আঞ্চলিক কেন্দ্রে রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

 

তিনি আরো বলেন, ‘যে ইসলাম ধর্মের অন্তর্গত না, যে সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্মের, অন্য ধর্মের সেও আমার সমাজের অন্তর্গত। আমার সমাজের বাইরে সে না, এই যে সত্য কথাটা, এটা মাজার নিত্যদিন প্রচার করে। মাজারে যে গান হয়, যে সংস্কৃতির চর্চা হয় তার একটাই ভাষা, মানুষ।

মানুষের চেয়ে সত্য আর কিছু নাই। মাজার এটাই করে। এই যে কথা বলবার যে শক্তির জায়গা এটা যদি রাখতে পারি তখন আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন করতে পারবো।’

শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠন করতে জনগণকে লাগবে উল্লেখ করে এই রাষ্ট্রচিন্তক বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে উপর থেকে চাপ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না।

আমাদের উপদেষ্টা ফারুকী (সংস্কৃতি উপদেষ্টা) এটা খুব ভাল করে বুঝেন যে, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র গঠন করা যায় না।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘মাজার আমাদের মনে করিয়ে দেয় স্মৃতি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যখন এই স্মৃতির উছিলায় একত্রিত হই, মানুষটা নাই কিন্তু মানুষের স্মৃতি আছে, সেটা কি? তার কাজ, তার আমল। মানুষ নশ্বর, মৃত্যুকে সে কখনোই এড়াতে পারবে না, সে মরবেই কিন্তু সে যেটা রেখে যায় সেটা হচ্ছে আমল। মাজার শেখায়, তোমার জীবন তুচ্ছ, তোমার আমল সবার আগে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের স্বজন ও আহতদের কথা শুনলে যে আমরা বিধ্বস্ত হয়ে যাই, প্রচণ্ড বেদনার্ত লাগে, এই অনুভুতিটা থাকা ভালো। এই জাতি যতদিন এই বেদনা মনে রাখবে ততদিনই ঠিক পথে থাকবে, এই বেদনা ভুলে গেলেই আমরা আবার ভুল পথে চলে যাবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি না যে, আমরা ১০০ ভাগ সফল হয়েছি, যারা আহত হয়েছেন, যারা শহীদ হয়েছেন ঐ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের কাজে। এর অনেক কারণ আছে, কখনো রিসোর্সের সীমাবদ্ধতা, কখনো পদ্ধতিগত সীমাবদ্ধতা। কিন্তু একটা জিনিস নিশ্চিত করে বলতে পারি, যদিও এটা আমার মন্ত্রণালয়ের কাজ না, আমাদের ইচ্ছায় কোনো রকমের কমতি নাই। আমাদের ক্যাবিনেটে সারাক্ষণই আমরা এই কথাটা বলি যে, আমরা বোধহয় যথেষ্ট করতে পারলাম না। এই কথাটা আমি অনুভব করি। এর অর্থ হলো, আমরা স্বীকার করি, আমরা যা করেছি তা যথেষ্ট না।’

জুলাই যাদুঘর ভিন্ন আঙ্গিকে নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা জুলাই জাদুঘর করছি, সাধারণত যাদুঘর যেমন হয় এটা এমন হবে না। এই যাদুঘরে যারাই যাবেন তারা জুলাই-আগস্টের বেদনার ভিতর দিয়ে ভ্রমণ করবেন। আমার বিশ্বাস, যখন যাদুঘর দেখে বের হয়ে আসবেন তখন তিনি হাটতে পারবেন না, তার পা ভারি হয়ে আসবে। আমরা চেষ্টা করবো জুলাই যাদুঘরে যেন আপনাদের সমস্ত বেদনা লিপিবদ্ধ থাকে।’

অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিরপুরে শহীদ মো. নাদিমের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা ও শহীদ মেহেরুন নেছা তানহার বাবা মোশাররফ হোসেন।

শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘৫৫ বছর যে আসছে সে আমাদের অত্যাচার করছে। আমাদের সন্তানদের রক্তের বিনিময় নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ হয়েছে। ৮ মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত বিচার পায়নি। আমাদের পূনর্বাসনও হয়নি। দ্রুত গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে গরিব-অসহায়দের জন্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প, জুলাইয়ের গ্রাফিতি, আন্দোলনের ছবি ও খবরের কাগজ প্রদর্শনী, কবিতাপাঠ, জুলাই আন্দোলনে আহত, সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, ভাবগানের আসর ও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ রোমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মিরপুরে আন্দোলনে আহত মাহফুজুর রহমান, আবুল বাসার সোহেল, সম্মুখ সারির যোদ্ধা আলী নুর, কবি নকিব মুকশি, হাসনাত শোয়েব, জুলাই কমিউনিটি অ্যালায়েন্স মিরপুরের সদস্য তৌফিক হাসান, হুমায়ুন শফিক, উদয় হাসান ও মিলন হোসেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি
সংগৃহীত ছবি

দেশে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মাধ্যমে ২ কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মাত্র সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা মাত্র সাড়ে তিন লাখ টন এবং চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ১৪ লাখ (সিদ্ধ চাল)।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৪৩ নাগরিক।

লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের সামান্য পরিমাণ ধান (সাড়ে তিন লাখ টন) কেনার প্রস্তাব কৃৃষকের সঙ্গে পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে গত বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ টন। বোঝা যাচ্ছে, মিলারদের বাণিজ্য সুবিধা দিতেই ধান না কিনে বেশি পরিমাণে চাল কেনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই প্রস্তাব দেশের কৃষকের জন্য ক্ষতিকর বলে আমরা এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

সরকারের এই কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে চারটি দাবি করেছে নাগরিক প্রতিনিধিরা। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এখনই পরিবর্তন করে ১৭ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টনে নামিয়ে আনতে হবে।

চলতি বোরো মৌসুমেই কৃষকের নিকট থেকে পর্যায়ক্রমে ধান কেনার পরিমাণ ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সরকারি গুদামের সক্ষমতা ২১ লাখ টন থেকে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। সরকারের সংগ্রহ কার্যক্রম পুরোপুরি সংস্কার করতে হবে। বিবৃতিতে ধানের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।

বিবৃতি প্রদানকারী নাগরিকরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, পাভেল পার্থ এবং কল্লোল মোস্তফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান এবং সাংবাদিক ও গবেষক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

এছাড়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গবেষক এবং নৃবিজ্ঞানী নাসরিন খন্দকার, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের শিক্ষক নাজনীন শিফা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মোঃ নুরে আলম, নৃবিজ্ঞান গবেষক সায়েমা খাতুন, লেখক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শরত্ চৌধুরী, এনজিও ফোরাম অন এডিবির নির্বাহী পরিচালক রায়ান হাসান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক অলিউর সান, গবেষক হানা শামস আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ জুবেল, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সভাপতি অমল ত্রিপুরা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি  মেঘমল্লার বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরমানুল হক।

পরিবেশকর্মী ও চলচ্চিত্রনির্মাতা ব্রাত্য আমিন, চলচ্চিত্রকার আকরাম খান, জাতীয় কৃষি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, উন্নয়নকর্মী আবদুল্লাহ জাফর ও কামরুজ্জামান রিপন, মানবাধিকারকর্মী সাইদ আহমদ, গবেষক কৌশিক আহমেদ ও রেং ইয়ং ম্রো, এক্টিভিস্ট মারজিয়া প্রভা। সাংবাদিক ও কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক কল্যাণ সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহসানুল ইসলাম ডন, কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা এস এমনাজমুল হাসান, মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোঃ আবু আলী, রাসেল মাহবুব, সোহেল রানা ও সাজেদুল ইসলাম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ