আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইইউও : সিইসি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন দেখতে চায় ইইউও : সিইসি
সংগৃহীত ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন দেখতে চায়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে তাদের কোনো দ্বিমত নেই। রবিবার (১৬ মার্চ) ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন

আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার

আবরার হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জেমি পালানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ পরিবার

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেন, ‘ওনারা (ইইউ) মূলত জানতে চেয়েছিলেন যে আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রস্তুতি কী আছে। আমরা যা যা করছি তাদের জানিয়েছি। নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির সব কিছু জানিয়েছি।

তারা জানতে চেয়েছিলেন, ভোটের বাজেট কত, টাকা-পয়সা ঠিকমতো আছে কি না, অসুবিধা কোনো রকম আছে কি না। আমরা বলেছি, আমাদের টাকা-পয়সার কোনো অসুবিধা নেই। সরকারের কাছে বাজেট চেয়েছি।’

সিইসি বলেন, ‘ওনারা আমাদের সাহায্য করতে চান।

আমাদের কী প্রয়োজন সেটা জানতে চান। আমরা বলেছি, ইউএনডিপি ইতিমধ্যে একটা নিড অ্যাসেসমেন্ট করেছে। একটা টিম পাঠিয়েছিল তারা। তারা সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। বাংলাদেশ উন্নয়নে সহায়তা করতে চায়।
তারা আগামী মাসে একটা কর্মশালা করবে। সেখানে সিভিল সোসাইটি থাকবে। আমরা পোলিং এজেন্ট, ভোটার এডুকেশন ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে চেয়েছে।’

আরো পড়ুন

ব্যাটারি ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১ জনের মৃত্য, আহত ৩

ব্যাটারি ভ্যানে বাসের ধাক্কায় ১ জনের মৃত্য, আহত ৩

 

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের একটা নির্বাচন ওনারা দেখতে চান। আমরা তো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এখানে আমাদের দ্বিমত নেই। তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযেগ্য নির্বাচন চান, যেটা আমাদেরও ওয়াদা। এটা আমরাও চাই। নিরপেক্ষভাবে আমরা কাজ করব, এটা তো আমরা ঘোষণা দিয়েছি। আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি। এমন কোনো দিন আছে যে আমাদের কেউ কথা বলছে না আপনাদের সঙ্গে৷ তো এটা আসলে কী বোঝায়, আমরা কোনো লুকিয়ে ছাপিয়ে করছি না। আমরা যা করছি একেবারে স্বচ্ছতার সঙ্গে করছি। আশা করছি সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে পারব।’

আরো পড়ুন

আবরার হত্যার রায় ছাত্র রাজনীতির জন্য কড়া বার্তা: অ্যাটর্নি জেনারেল

আবরার হত্যার রায় ছাত্ররাজনীতির জন্য কড়া বার্তা : অ্যাটর্নি জেনারেল

 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে যা হয়েছে ভুলে যান। এটা বর্তমান। দয়া করে কনফাইন টু দি কারেন্ট সিচুয়েশন। আমরা তো কাজ করব না এটা তো বলিনি কোথাও। অতীতের কথা ভুলে যান, সবাই যাতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সে পরিবেশ আমরা তৈরি করে দেব ইনশাআল্লাহ।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা।

এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
 
সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের একাধিক কর্মী।

তার আগে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের’ ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়।

কর্মীদের দাবিগুলো হচ্ছে— আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ওই পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতি কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবো এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।


 
মেট্রোরেল কর্মীরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আজ ১৭ মার্চ সকাল থেকে আমরা ট্রেন চালাব না। আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ট্রেন চালাব। আমাদের ঘটনার বিষয়ে হেড অফিসের বড় স্যাররা অবগত আছেন। ঘটনার পর তারা সচিবালয়ে মিটিং করেছে।
আমাদের প্রেস রিলিজ সরকারি ডেকোরাম মেনে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন মহিলা কোনো প্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে, সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীগণ বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। উক্ত পরিস্থিতি মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) উক্ত ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মন্তব্য

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছেন।

পুলিশ সুপার, তাঁদের ওপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে। বিভিন্ন মহানগর কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের সদস্যসহ ১২৭ জন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বৈঠকে যোগ দেবেন। 
পুলিশের আইজিপি সেখানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন। ৫ আগস্টের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হবে।
একই সঙ্গে পুলিশের কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য নেওয়া উদ্যোগ অবহিত করা হবে।

আজাদ মজুমদার বলেন, বিভিন্ন সময় ঘটা অপরাধ এবং সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করবেন আইজিপি। মাঠ পর্যায়ের ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তা ফোকাল পয়েন্টে গিয়ে নিজস্ব সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, ট্র্যাকিং বেইস পুলিশিং, শিল্প পুলিশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এটি একটি বিশেষ সভা, যা এর আগে কখনো হয়নি।

উপপ্রেস সচিব বলেন, এবার পুলিশ সপ্তাহ ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা দেবেন। জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
সংগৃহীত ছবি

গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) কমিশনার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক ‍বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ধর্ষণই, সেটি যার বিরুদ্ধেই হোক; ৮ বছর বয়সী শিশু কিংবা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নাম দিয়ে ডাকা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।

গতকাল শনিবার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী নিয়ে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন।

মন্তব্য

হজ-ওমরাহকেন্দ্রিক জটিলতা নিরসনের দাবি হাব উলামা সোসাইটির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হজ-ওমরাহকেন্দ্রিক জটিলতা নিরসনের দাবি হাব উলামা সোসাইটির
সংগৃহীত ছবি

কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে রমজান মাসে পবিত্র ওমরার ভিসা বন্ধ এবং হজযাত্রীদের ন্যূনতম ১৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণের কারণে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন (হাব) সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর বিজয়নগরের একটি রেস্টুরেন্টে হাব ওলামা সোসাইটি আয়োজিত সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাব সভাপতি সৈয়দ গোলাম সারওয়ার বলেন, রমজানে ওমরার প্যাকেজ নির্ধারণ করে এজেন্সিগুলো টিকেট ক্রয় এবং মক্কা-মদিনায় হোটেল বুকিং করে রেখেছে। এখন ওমরার ভিসা বন্ধ করার কারণে হাজার হাজার মানুষ ওমরায় যেতে পারছেন না।

এর ফলে এজেন্সিগুলো বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়েছে। অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এয়ার লাইন্সগুলোর পক্ষ থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে হাব মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সৌদি সরকার কর্তৃক হজযাত্রীদের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৫ নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে কয়েক হাজার হাজি হজে যেতে পারবে না। কারণ অনেকেই সপরিবারে হজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিবন্ধন করেছে, যেখানে তার ১৫ বছরের নিচের সন্তানও রয়েছে।

অনতিবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিলে বাংলাদেশ সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

হাব নেতৃবৃন্দ হাজিদের জন্য ২০ মার্চের মধ্যে মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করার নির্দেশনা বাতিলের দাবি জানান। এ সময় নেতৃবৃন্দ বিক্রিত টিকিটের কমিশন পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল এবং হজ লাইসেন্স নবায়নের পর তা হাবের মাধ্যমে বিতরণের দাবি জানান।

নবনির্বাচিত হাব সহ-সভাপতি ও হাব উলামা সোসাইটি সভাপতি হাফেজ নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হাবের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক দায়িত্বশীলদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন হাবের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ইয়াকুব শরাফতি, আব্দুল হামিদ, জাহিদ আলম, এম এন এইচ খাদেম দুলাল, জুনায়েদ গুলজার, নূর আহমদ, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুর, মাওলানা হানজালা, হেদায়েতুল্লাহ হাদী, তাজুল ইসলাম, আহমদ বিন নূর, মাওলানা তোফায়েল আহমদসহ সোসাইটির সদস্য এবং বিভিন্ন এজেন্সির স্বত্বাধিকারীরা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ