ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

আশাশুনিতে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত, দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আশাশুনিতে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত, দুর্যোগ মোকাবেলায় সেনাবাহিনী
সংগৃহীত ছবি

বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কিছু জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাঁধ রক্ষা তথা দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় মানুষদের পাশে থেকে সহযোগিতা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বুধবার (২ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ঈদের দিন গত সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের একটি অংশ ভেঙে প্রায় ১৫০ ফুট জায়গা খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙনের স্থানে একটি বিকল্প রিং বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করলেও জোয়ারের পানির চাপ বাড়ায় তা সম্ভবপর হয়নি।

এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক, ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের অন্তর্ভুক্ত আশাশুনি আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।

বর্তমানে আশাশুনি ক্যাম্প থেকে দুটি প্যাট্রল টিম দুর্গত এলাকায় অবস্থান করে স্থানীয় লোকজন এবং প্রশাসনকে বাঁধ মেরামতের কাজে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।

এছাড়াও, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ব্যাটালিয়নের একটি দলকে বাঁধ মেরামতের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নবাসীর ঈদের দিন রাত কেটেছে নির্ঘুম। খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ারের তোড়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্যঘের।

তলিয়ে গেছে কয়েকশ বিঘা বোরো ধান। ঘরবাড়ি ছেড়ে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। অনেকেই ঘরবাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মিয়ানমারে ১২০ টন ত্রাণ পৌঁছে দিল নৌবাহিনী
সংগৃহীত ছবি

বিধ্বংসী ভমিকম্পের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারে জরুরি ত্রাণ, চিকিৎসা-সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াঙ্গুন অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ১২০ টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা হস্তান্তর করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আরো পড়ুন
চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

চীনে ৮৩৮ ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ

 

আইএসপিআর জানায়, ত্রাণ সহায়তা হস্তান্তরের সময় অন্যান্যের মধ্যে ইয়াঙ্গুস্থ বাংলাদেশর কূটনৈতিকবৃন্দ, বানৌজা সমুদ্র অভিযানের অধিনায়কসহ সংশ্লিষ্ট সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

অন্যদিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কমান্ডার ইয়াঙ্গুন কমান্ড, কমান্ডার মায়ানমার নেভাল ট্রেনিং কমান্ড ও কমান্ডার ১ নং ফ্লিট।

আইএসপিআর আরো জানায়, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে মিয়ানমারের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্দশা লাঘবে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ এ সকল ত্রাণসামগ্রী দেশটিতে পাঠায়। বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় ও সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, বস্ত্রসামগ্রী, কম্বল, তাবু, জরুরি চিকিৎসা-সামগ্রী ও ঔষধসহ প্রায় ১২০ টন ত্রাণ মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ সরকার তথা সশস্ত্র বাহিনী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি মানবিক সহযোগিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বাংলাদেশ তিন ধাপে মোট ১৫১ মেট্রিক টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা, উদ্ধার ও চিকিৎসক দল মায়ানমারে পাঠাল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আলোচিত-১০ (১২ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানির একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
সংগৃহীত ছবি

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গত শুক্রবার রাতে। এর ১৭ ঘণ্টা পর শনিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে ফের একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৪৬ মেগাওয়াট। ক্রমান্বয়ে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়বে।

জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে এক হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। কারিগরি ত্রুটির কারণে প্রথম ইউনিট থেকে উৎপাদন বন্ধ হয়েছে ৮ এপ্রিল। আর দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে।

এতে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হয়। পরবর্তীতে আজ সন্ধ্যায় একটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে আদানি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (উৎপাদন) মো. জহুরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‌‌ত্রুটি দেখা দেওয়ায় আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানো হয়।

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম নিয়ে বিরোধ আছে। এটি নিয়ে আদানি ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনা চলছে। বকেয়া শোধ নিয়েও বিভিন্ন সময় তাগাদা দিয়েছে আদানি। গত বছর একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছিল আদানি। এরপর নিয়মিত চলতি বিল পরিশোধ করায় তারা একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহের অনুরোধ করে বিপিডিবি। গত মার্চে শুরু থেকেই দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে তারা।

পিজিসিবি ও বিপিডিবি সূত্র বলছে, শনিবার ছুটির দিন থাকায় বিদ্যুতের চাহিদা অন্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম আছে। আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ চাহিদা উঠেছে ১৩ হাজার ৫৫২ মেগাওয়াট। এ সময় ৪২৮ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ শুরু না হলে রবিবার লোডশেডিং আরো বৃদ্ধি পেত। ঘাটতি মেটাতে পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি গ্যাস সরবরাহও চেয়েছিল বিপিডিবি।

আদানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এই কেন্দ্রে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর ধরে কিনবে বাংলাদেশ। প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে। ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করে বিপিডিবি। আদানির সঙ্গে বিপিডিবির চুক্তি পর্যালোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত একটি কমিটি কাজ করছে।

মন্তব্য

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি

আগামী ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা

আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা

 

বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে। 

তারা আরো জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 

এ সময় কমিশনের সভাপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ