কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কিডনি ভালো রাখতে কী কী খাবেন
সংগৃহীত ছবি

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে কাজ করে কিডনি। পাশাপাশি, শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই যন্ত্র। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা।

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

নারীদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ-এর ঝুঁকিও বেশি।

৩০ পার হওয়া নারীদের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কিডনিতে সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার ওপর নজর রাখতে হবে।

আরো পড়ুন
মাইগ্রেনের সমস্যা কি নারীদেরই বেশি হয়? কী বলছে গবেষণা

মাইগ্রেনের সমস্যা কি নারীদেরই বেশি হয়? কী বলছে গবেষণা

 

শরীরে পটাশিয়াম বেড়ে গেলে কিডনির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। তখন এমন খাবার খেতে হবে, যার মাধ্যমে ২০০ মিলিগ্রামের কম পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনের ঘাটতি হলে কিডনি অকেজো হতে শুরু করে। কী সেই ভিটামিন, তা জানেন কী?

গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি থাকলে কিডনি বিকল হতে থাকে।

ফলে শরীর কম মাত্রায় ক্যালসিয়াম শোষণ করে এবং রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। রক্তে ক্যালসিয়াম কমে গেলে প্যারাথাইরয়েড গ্ল্যান্ড বেশি মাত্রায় প্যারাথাইরয়েড হরমোন ক্ষরণ করে।

নারীদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের পরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি হয়। তাই সে সময়ে খাওয়া-দাওয়ায় বিশেষ নজর দিতে হবে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট একটা বয়সের পর রক্তে ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা যায়।

আরো পড়ুন
দাঁত পরিষ্কারে কতটা উপকারে আসে নিমের কাঠি

দাঁত পরিষ্কারে কতটা উপকারে আসে নিমের কাঠি

 

ভিটামিন-ডি একটি স্নেহপদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন। অনেকসময় একে বলে ‘সাইশাইন ভিটামিন’। তৈলাক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। পাশাপাশি মানুষের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত খাদ্য ও ডিমে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়।

ভিটামিন ডি হলো এমন এক ভিটামিন, যার ওপর মানুষের শরীর ও মন দুটিরই ভালো থাকা করে। এক দিকে ভিটামিন ডি হাড়-পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে, আবার মনমেজাজও ভালো রাখতে পারে। ভিটামিন ডি-র অভাব হলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়, অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা তৈরি হয়, রোগ প্রতিরোধ শক্তিও কমে যায়।

হাড় শক্তিশালী করতে এবং পেশির যত্ন নিতে ভিটামিন ডি অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ ডি-র অভাবে ভোগেন। শুধু হাড় মজবুত করতেই নয়, অস্থিসংক্রান্ত নানা রোগ, অস্টিয়োপোরেসিস-এর মতো রোগের ঝুঁকি কমায়। তা ছাড়া রোগ প্রতিরোধেও ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন
চলে এলো গুগলের জেমিনি ২.০, নতুন কী আছে এই চ্যাটবটে

চলে এলো গুগলের জেমিনি ২.০, নতুন কী আছে এই চ্যাটবটে

 

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে এই ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের থেকে বেশি হয়ে গেলেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি খেলে রক্তনালীতে ক্যালসিয়াম জমা হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ক্যালসিফিকেশন বলে, যার থেকে দেখা দিতে পারে হাইপারক্যালসিমিয়ার মতো রোগ। এর ফলে হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।

অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি যাতে শরীরের ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় এই ভিটামিনের সঙ্গে ভিটামিন-কে খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন-ডি যেখানে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে সেখানে ভিটামিন-কে হাড়ে ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের হার বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও। প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন কে পাওয়া যায় সবুজ শাক, সবজি, ডিমের কুসুম, মাংসের মেটে ও চিজ-এ।

ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ- এর তথ্যানুযায়ী, ০-১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য দৈনিক ভিটামিন ডি প্রয়োজন ০.০১ মিলিগ্রাম। ১-১৩ বছর বয়সীদের জন্যেও দৈনিক ভিটামিন ডি প্রয়োজন ০.০১৫ মিলিগ্রাম। ১৪-১৮ বছর বয়সিদেরও প্রতিদিন ০.০১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন। ১৯-৭০ বছর বয়সীদের নিয়মিত ০.০১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি খাওয়া প্রয়োজন। ৭১ বছর ও তার বেশি বয়সীদের দৈনিক ০.০২ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন ডি না খাওয়াই ভালো।

আরো পড়ুন
অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ঘরোয়া উপায়ে কমবে টনসিলের ব্যথা

অ্যান্টিবায়োটিক নয়, ঘরোয়া উপায়ে কমবে টনসিলের ব্যথা

 

এ ছাড়া কিডনি ভালো রাখার জন্য বেশি প্রয়োজন ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, আয়রন আর ভিটামিন বি১২। এগুলো কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঠাণ্ডা চা আবার গরম করে পান করা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত?

শেয়ার
ঠাণ্ডা চা আবার গরম করে পান করা কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত?
সংগৃহীত ছবি

কাজের মাঝে অনেকেই টেবিলে রাখা চা পান করতে ভুলে যান, ফলে তা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এরপর তারা আবার চা গরম করে পান করেন। তবে চিকিৎসকদের মতে, একাধিকবার চা গরম করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এর ফলে চায়ের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় এবং যকৃতে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

 

চায়ের পাতায় কিছু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক থাকে, বারবার চা গরম করলে সেগুলো বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া যুক্ত চা খাওয়া চোখের গ্লুকোমা ও স্নায়ুর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। 

এ ছাড়া বেশি সময় ধরে চা গরম করলে চায়ের ক্যাফেইন ও ট্যানিন নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চায়ের স্বাদ তেতো হয়ে যায়, যা শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

 দুধ চা বারবার গরম করলে চায়ের উপকারিতা কমে হজমশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

সূত্র : নিউজ ১৮ বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চোখের যে সমস্যা বলে দেবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চোখের যে সমস্যা বলে দেবে ডায়াবেটিসের লক্ষণ
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। পরিবারের প্রবীণ কোনো সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে ছোটদেরও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সমস্যার বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি বুঝতেও পারেন না যে তার ডায়াবেটিস হয়েছে।

এই সুযোগে ডায়াবেটিস নীরবে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করতে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির সমস্যা, স্নায়ুর ক্ষতি ও অন্ধত্বের মতো মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এই কারণে ডায়াবেটিসকে নীরব ঘাতক বলা হয়।

অনেক সময় চোখের সমস্যা দেখেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন যে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

বিষয়টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। এই সমস্যায় ডায়াবেটিস চোখের রেটিনাকে প্রভাবিত করে। দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্ত শর্করার কারণে রেটিনার ছোট রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই রোগ হয়।

আরো পড়ুন
চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

চুল আঁচড়ানোর যেসব ভুল বাড়িয়ে দেয় চুল পড়া

 

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির কিছু সাধারণ উপসর্গ

  • দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
  • চোখের সামনে কালো বা অস্বচ্ছ দাগ ভাসা (ফ্লোটার)
  • দৃষ্টিশক্তির ওঠানামা
  • রং চিনতে অসুবিধা হওয়া
  • দৃষ্টি ক্ষেত্রের কিছু অংশে অন্ধকার দেখতে পাওয়া
  • দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া

যদি এই উপসর্গগুলো অনুভব করেন, তবে দ্রুত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

তবে মনে রাখবেন এই উপসর্গ দেখে ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা যেতে পারে, তবে এটি ডায়াবেটিস নির্ণয়ের একমাত্র উপায় নয়। মূলত, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণগুলো সাধারণত ডায়াবেটিস হওয়ার বেশ কয়েক বছর পর দেখা দিতে শুরু করে। যখন একজন ব্যক্তি দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া, চোখে কালো দাগ দেখা বা রাতে কম দেখতে পাওয়ার মতো উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান, তখন চিকিৎসক চোখের পরীক্ষা করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি শনাক্ত করতে পারেন। এই অবস্থায়, চিকিৎসক সাধারণত রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন যাতে ডায়াবেটিসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়।

সুতরাং, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির উপসর্গ দেখা দিলে ডায়াবেটিস থাকার সম্ভাবনা প্রবল এবং এটি ডায়াবেটিস নির্ণয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হতে পারে।

আরো পড়ুন
বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

বিশ্বজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাবার

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

নতুন জামা পরার আগে ধোয়া উচিত কেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নতুন জামা পরার আগে ধোয়া উচিত কেন
সংগৃহীত ছবি

রমজান মাস শেষে আসছে ঈদ। আর এই সময় সবাই নতুন জামা-কাপড় কিনে থাকেন। নতুন জামা-কাপড়ের প্রতি আকর্ষণ থাকে সবারই। পছন্দের ওই পোশাকটি দ্রুত না পরা পর্যন্ত যেন মনের অস্থিরতা কাটেই না।

তবে দেখতে চকচকে হলেও নতুন জামা-কাপড় না ধুয়ে পরা উচিত না। নতুন পোশাক না ধুয়ে পরলে কী ক্ষতি হতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকে র‍্যাশ পড়া

প্রায়শই শপিং মল কিংবা দোকানে জামা-কাপড় ঝোলানো অবস্থায় দেখা যায়।

কাপড়ে যাতে ছত্রাক এর আক্রমণ না ঘটে সে জন্য ফর্মালডিহাইডের মতো রাসায়নিক ছড়িয়ে দেওয়া হয় অনেক সময়। ওই জামা পরলে স্পর্শকাতর ত্বকে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

ঈদে সুস্থ থাকবেন যেভাবে

 

চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়া

সুন্দর পোশাকটি আপনার কাছে আসার পূর্বে অনেক মানুষের ছোঁয়া লাগে। তৈরি থেকে শুরু করে প্যাকেট করা বা দোকানের সেলসম্যান অর্থাৎ বহু মানুষের হাতের স্পর্শ লেগে যায় কাপড়ে।

এর মধ্যে অনেকেই চর্ম রোগে আক্রান্ত থাকতে পারে। এই রোগের জীবাণু পোশাকে লেগে যেতে পারে এবং আপনি সহজেই উক্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন। তাই অবশ্যই নতুন পোশাক ভালো করে ধুয়ে তারপর পরুন।

ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি

শুধু অন্যের হাতের ছোঁয়াই নয়, পোশাককে নিখুঁতভাবে আপনার সামনে উপস্থাপন করতে নানারকম রাসায়নিক ও রং ব্যবহার করা হয়। এই উপাদান আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি করতে পারে।

এই রাসায়নিকের কারণে সামান্য চুলকানি বা র‌্যাশ থেকে শুরু করে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে কী করবেন

 

উকুনের বিস্তার ঘটা

নতুন পোশাক থেকে উকুনের বিস্তার একটি সাধারণ বিষয়। যেসব দোকানে বিশেষ করে পোশাক ট্রায়াল দিয়ে কেনার ব্যবস্থা আছে সেখানে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

অন্যের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়া

পোশাক ট্রায়ালের সময় অনেক ক্রেতা ঘামে ভেজা শরীরে ট্রায়াল দিয়ে চলে যান। পরে আপনি যদি সেই পোশাকটিই কিনে আনেন এবং না ধুয়েই পরেন তাহলে আগে ট্রায়াল দেওয়া মানুষটির শরীরের রোগ জীবাণু আপনার শরীরে চলে আসতে পারে। আপনিও তার শরীরে থাকা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যেতে পারেন।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

নতুন কাপড়ে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ডাই ও কেমিক্যাল থাকতে পারে যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য কেবল নতুন পোশাক নয়, নতুন তোয়ালে থেকে শুরু করে মোজা পর্যন্ত সব কিছুই ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর পরিধান করুন। এ ছাড়া জীবাণু ও কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

সূত্র : ডাক্তার ভাই

মন্তব্য

সুস্থ আছেন বলে কি হৃদরোগের ঝুঁকি নেই?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুস্থ আছেন বলে কি হৃদরোগের ঝুঁকি নেই?
সংগৃহীত ছবি

‘হার্ট অ্যাটাক’ শব্দ দুটি শুনলেই ভয়ে মুখ শুকিয়ে যায়। এই আধুনিক সময়ে হার্ট অ্যাটাক মৃত্যুর একটি বড় কারণ হয়ে উঠেছে। একটা সময় ছিল যখন বয়স্কদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দেখা যেত, কিন্তু আজকাল ফিট তরুণরাও এর শিকার হচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্যাপ্টেন তামিম ইকবালও শিকার হয়েছেন এমন রোগের। সম্পূর্ণ সুস্থ ও ফিটনেস থাকা সত্ত্বে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হার্টে রিং পরাতে হয়েছে। এ থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত যে যে কারো যেকোনো সময়ই এ সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।

আজকাল খারাপ জীবনযাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এই যুগেও মানুষের হার্ট অ্যাটাক এবং অন্যান্য হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। এই সম্পর্কিত অনেক মিথ এখনো মানুষের হৃদয়ে ভয় তৈরি করে। তাই আজকের প্রতিবেদনে হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কিত মিথ এবং সত্যগুলি জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

মাথা ব্যথা মানেই কি মাইগ্রেনের সমস্যা?

 

মিথ ১: হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের কম কাজ করা উচিত

সত্য: অনেকেই বিশ্বাস করেন যে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বিশ্রাম নেওয়া উচিত অথবা কঠোর পরিশ্রম করা উচিত নয়। কিন্তু সত্য হলো হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা মোটেও ভালো নয়। কারণ শারীরিক পরিশ্রমের ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশি শক্তিশালী হয় এবং একই সঙ্গে পুরো শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে, যা হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের তীব্র ব্যায়াম এড়িয়ে চলা উচিত এবং শুধু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যায়াম করা উচিত।

মিথ ২: বেশি ব্যায়াম করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না

সত্য: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি শরীরের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে।

আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করেন তবে এটি শরীরের পেশি ও অঙ্গগুলোর ক্ষতি করতে পারে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে ব্যায়াম করা এবং তীব্রতার এক্সারসাইজ করা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। এ ছাড়া এটি হৃদয়ের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

গরমে আচমকা বাড়তে পারে ব্লাড সুগারের মাত্রা, যেভাবে সামলাবেন

 

মিথ ৩: তরুণদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই

সত্য: সাধারণত তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক কম দেখা যায়। বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তিরা হার্ট অ্যাটাকে ভোগেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল যে তরুণদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই। হার্ট অ্যাটাকের বয়সের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক চাপ, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা, খারাপ জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ ও স্থূলতার মতো কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

মিথ ৪: বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ

সত্য: বুকে ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, তাই বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হওয়া জরুরি নয়। যদিও বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের সংকেতও হতে পারে। যদি হৃদযন্ত্রের ধমনীতে কোনো বাধা থাকে, তবে বুকে ব্যথা হতে পারে। যা হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়। কাঁধে ব্যথা, চোয়ালে ব্যথা, গলা ব্যথা, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা ক্লান্তির মতো উপসর্গগুলোও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। এর মানে হলো বুকে ব্যথা হৃদরোগের একমাত্র লক্ষণ নয় বরং এটি শরীরের অন্যান্য অংশেও ব্যথার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
চুইংগাম চিবানোতে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

চুইংগাম চিবানোতে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

 

মিথ ৫: হার্ট অ্যাটাক শুধু উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়

সত্য: উচ্চ রক্তচাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলেও, হৃদরোগের অন্যান্য কারণও রয়েছে। যেমন- উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান, স্থূলতা, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ও মানসিক চাপ ইত্যাদি।

মিথ ৬: বুকের ডান দিকে ব্যথা হলে তা হার্ট অ্যাটাক নয়

সত্য: সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে বুকের বাম দিকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু সত্য হলো হার্ট অ্যাটাকে, বুকের ডান, বাম বা উভয় পাশে ব্যথা বা টানটান ভাব হতে পারে। এতে কেবল বুকেই নয়, হাত, চোয়াল, ঘাড় ও কাঁধেও ব্যথা হতে পারে।

আরো পড়ুন
চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

 

মিথ ৭: হার্ট অ্যাটাক শুধু রাতে হয়

সত্য: হার্ট অ্যাটাক যেকোনো সময় হতে পারে। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে বিকেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি হতে পারে।

মিথ ৮: সুস্থ মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না

সত্য: শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা মানেই যে আপনার হার্ট অ্যাটাক হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কারণ শারীরিক ব্যায়াম শরীরের পেশি শক্তিশালী করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীরে কোলেস্টেরল তৈরি হতে বাধা দেয়। পারিবারিক ইতিহাস, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল ইত্যাদি অনেক কারণেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই শারীরিকভাবে সুস্থ ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কম থাকে, তবে তার হার্ট অ্যাটাক হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আরো পড়ুন
পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ