<p>শেষমেষ ২০১৮ সালের নেদারল্যান্ডের র‌্যাডবাউড বিশ্ববিদ্যালয়ের তিজ কারমান এবং হাটসন একটি নতুন পদ্ধতির প্রস্তাবনা করেন। তাঁরা বলেন, লেজার রশ্মি দিয়ে তৈরি অপটিক্যাল টুইজারের বদলে মাইক্রোওয়েভ বিদ্যুৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র ব্যবহার করে ফাঁদ তৈরি করা যেতে পারে।</p> <p>এজন্য তাঁরা সোডিয়াম-পটাশিয়াম অর্থাৎ NaK অণু ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এটা একটা ফার্মিয়নিক অণু।  ২০২২ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউটের কোয়ান্টাম অপটিকস বিভাগের প্রধান ইমানুয়েল ব্লখ এবং তাঁর দল NaK অণুকে ২১ ন্যানোকেলভিন পর্যন্ত ঠাণ্ডা করতে সক্ষম হন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ২" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731837830-a55c702e695630f5ec3a40d1266280bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : পর্ব ২</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447638" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এটি ছিল ফার্মি তাপমাত্রার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এখানে অণুগুলো সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে অবস্থান করে। এ চেষ্টা থেকেওে কাংখিত আণবিক বিইসি তৈরি সম্ভব হয়নি।</p> <p>সর্বশেষ এ প্রক্রিয়া যোগ দিয়েছেন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাস্টিয়ান উইলের নেতৃত্বাধীন গবেষক দলটি। তাঁরা আণবিক বিইসি গঠনের জন্য ব্যবহর করেছেন সোডিয়াম-সিজিয়াম বা NaCS অণু। এই গবেষণায়, এক মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্র ব্যবহার করে পোলার অণু মেঘের ভেতর মিথস্ক্রিয়া রোধ করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731829417-c2a15ba3076e30820b84324cb9754ce5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>লোকাল রিয়েলিটি আসলে কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447600" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এখানে দুই ধরনের মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্র ছিল অত্যন্ত সুষম। সুষম করার জন্য তাঁরা বিশেষ এক অ্যান্টেনা ব্যবহার করেছেন। এই অ্যান্টেনা থেকে উৎপন্ন মাইক্রোওয়েভ বৃত্তকারভাবে বেরিয়ে পোলার অণুর ওপর ক্রিয়া করে। ফলে NaCs অণুর ভাঙন রোধ করতে সক্ষম।</p> <p>মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্র স্বল্প দূরত্বে পোলার অণুদের মধ্যে বিকর্ষণ তৈরি করে বটে। কিন্তু দীর্ঘপাল্লায় এটি আকর্ষণী প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ফলে খুব বেশি সোডিয়াম বা সিজিয়াম পরমাণুর মাইক্রোওয়েভের এই ফাঁদ থেরে বেরিয়ে যেতে পারে না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731740489-237b5a38c3496a6d76baec8333a0032e.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কোয়ান্টাম টেলিপোর্টেশন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447221" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উইল ও তাঁর দল ১০০০ হাজারেরও বেশি NaCs অণুকে পরমশূন্য তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি নিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেটা এতই কম, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। </p> <p>গবেষকরা দুই ধরনের মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্র ব্যবহার করেছেন, যা অণুদের একে অপরকে সবসময় প্রতিক্রিয়া করতে বাধ্য করে। এই প্রতিক্রিয়া অণুদের ঠাণ্ডা করা আরও সহজ করে দেয় এবং এতে অনেক বেশি অণু হারানোর হাত থেকে রক্ষা পায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্মার্টফোনে সাউন্ড কমে গেলে কী করবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731493849-59305ae8c36f77de54fde15507a053b1.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্মার্টফোনে সাউন্ড কমে গেলে কী করবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/13/1446186" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রক্রিয়াটি আরও নিখুঁত করা জন্য প্রথম মাইক্রোওয়েভ ক্ষেত্রের সঙ্গে উলম্বভাবে অর্থাৎ ৯০ ডিগ্রি কোণো আরেকটা অ্যান্টেনা যুক্ত করেন। এভাবে তাঁরা প্রথম দিকে ২০০টি NaCs পরমাণুকে ৬ ন্যানোকেলভিন তাপমাত্রায় ঠান্ডা করতে সক্ষম হয়। পরে অণুুর সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০টিরও বেশিতে নিয়ে যান।</p> <p>সবগুলো অণু মিলে তখন একটা বড়সড় অণুর মতো আচরণ করে। তৈরি হয় আণবিক বোস-আইনস্টাইন কন্ডেনসেট। তাদের এই আণবিক বিইসির স্থায়ীত্ব অবশ্য খুবই কম ছিল। মাত্র ১.৮ সেকেন্ডে। এতেই অবশ্য বিজ্ঞানীরা তৃপ্ত, প্রায় দুই দশকের চেষ্টার সফল মঞ্চায়ন হয়েছে বলে।<br /> সূত্র: নেচার</p>