গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর ‘ব্যাপক হামলা’য় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার এ পরিসংখ্যান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের ‘সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে’ আক্রমণ চালাচ্ছে। হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং আইডিএফ নতুন করে আরো অনেক এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
আরো পড়ুন
৩০০ ভিজিএফ কার্ড দাবির অভিযোগে সমন্বয়ক বহিষ্কার
চলমান গাজা ইস্যু নিয়ে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ও মিজানুর রহমান আজহারি।
আহমাদুল্লাহ পোস্টে লিখেছেন, ‘গাজা ইস্যুতে মুসলিম নেতাদের নির্লজ্জ নীরবতা তাদের মুনাফেকিকেই প্রকট করে তোলে। হে আল্লাহ, আমাদের আপনি এসব জুলুমের পরিণতি দেখে যাওয়ার তাওফিক দিন।’
একই পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তিনি লেখেন, ‘আমরা যখন রসনাবিলাসী ইফতার-সাহরি আর ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত, তখন আরেক প্রান্তের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর সাহরির ওয়াক্তে বর্বোরচিত বোমা হামলা করল মানুষ নামের পশুগুলো।
সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৪০৪। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর জন্য তড়পাচ্ছে আরো অসংখ্য মানুষ। গাজার আজকের ভোরের মতো বিষণ্ণ ও শোকতপ্ত ভোর বোধ হয় পৃথিবীতে আর কোনো দিন আসেনি।’
আরো পড়ুন
ট্রাকে তল্লাশি চালাতে ওঠা পুলিশ সদস্যকে নিয়ে গেল ডাকাতদল, অতঃপর...
তিনি আরো লেখেন, ‘সারি সারি পড়ে থাকা ক্ষত-বিক্ষত শিশুদের লাশে ভোরের বাতাস ভারী।
তা দেখে পাষাণ হৃদয়ও কেঁপে কেঁপে উঠছে। অথচ যে অমানুষগুলোর হাতে এই রক্তের দায়, তারা বধির হয়ে আছে। যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে, রমাদান মাসে, রোজাদারদের ওপর এই নৃশংসতা যারা চালাল, তাদের ওপর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর লানত।’
এদিকে মিজানুর রহমান আজহারি এক পোস্টে লেখেন, ‘আরশের মালিক! তুমি আমাদের মাজলুম ভাই-বোনদের সহায় হও। তাদের ওপর রহম করো।
’
আরো পড়ুন
আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানায় বিএনপি নেতাকর্মীর হামলা, পুলিশসহ আহত ৬