আইন-শৃঙ্খলার অবনতির দায় চাপানো নিয়ে যা বললেন পিনাকী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইন-শৃঙ্খলার অবনতির দায় চাপানো নিয়ে যা বললেন পিনাকী
সংগৃহীত ছবি

আলোচিত অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে লিখেছেন, আওয়ামী লীগ বজ্রপাতের ঘটনাকে বোমা হামলা বলে মামলা দিত বিএনপির নেতাদের নামে। মির্জা ফখরুল এসি বিস্ফোরণের ঘটনাকে বোমা হামলা বলে পত্রিকায় বিবৃতি পাঠিয়ে দিলেন। পরে ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু বিএনপি যে চাচ্ছে এই সরকারের ওপরে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির দায় চাপায়ে দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে, সেটা স্পষ্ট এই ঘটনায়।

আরো পড়ুন
নির্বাচন দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

নির্বাচন দেরি হলে ষড়যন্ত্র বাড়বে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

 

মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, বিসিএস প্রশাসনের কল্যাণ সমিতিতে এ ধরনের বোমা হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এ ধরনের হামলা প্রমাণ করে যে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কত অবনতি ঘটেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুষ্কৃতকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। এ ধরনের হামলা এবং হতাহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতা বহিঃপ্রকাশ।

যদিও পরে ভুল বিবৃতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে বিএনপি। শনিবার সন্ধ্যায় দলটির এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন
আবু সাঈদ হত্যা : ৪ আসামিকে হাজির করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

আবু সাঈদ হত্যা : ৪ আসামিকে হাজির করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃতপক্ষে সেখানে দুষ্কৃতকারী কর্তৃক কোনো বোমা হামলা সংঘটিত হয়নি। হতাহতের যে ঘটনা ঘটেছে তা এসি বিস্ফোরণে হয়েছে।

অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বিবৃতি প্রদানের জন্য বিএনপি দুঃখ প্রকাশ করছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নে ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’, যা বলছে সংস্থাটি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নে ‘আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন’, যা বলছে সংস্থাটি
ফাইল ছবি

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫। এবারের ঢাকা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রে উঠে এসেছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম।

আজ শুক্রবার ফেসবুকে করা এক পোস্টে এ তথ্য জানায় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। পোস্টে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নের ছবিও যুক্ত করা হয়।

পোস্টে বলা হয়, এবারের ঢাকা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্রে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন-বিষয়ক প্রশ্ন এসেছে। নিঃসন্দেহে এটা আমাদের জন্য এক তৃপ্তিদায়ক অর্জন।

ওই পোস্টে আরো বলা হয়েছে, মহান আল্লাহর অনুগ্রহ, দেশবাসীর আস্থা, ভালোবাসা ও সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি। এই আনন্দঘন মুহূর্তে ফাউন্ডেশনের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমরা আরো একবার কৃতজ্ঞতা জানাই।

তাতে লেখা আছে, উদ্দীপক-(ii) : ২০২৪-এর প্রলয়ংকরী বন্যায় লাকসাম এলাকার দুর্গত মানুষের জন্য ‘আসসুন্নাহ’ ফাউন্ডেশন থেকে ত্রাণসামগ্রী আসে। স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেব উপস্থিত থেকে সব মানুষের মধ্যে এগুলো সমানভাবে বিতরণ করেন।

(ক) গজনী মামুদ কে? (খ) ‘আমার ক্ষুধার অন্ন তা বলে বন্ধ করনি প্রভু’-পঙক্তি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? (গ) উদ্দীপক (i) এ ‘মানুষ’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব‍্যাখ্যা কর। (ঘ) উদ্দীপক (ii)-এর চেয়ারম্যানের কর্মকাণ্ডে ‘মানুষ’ কবিতার মর্মবাণী প্রতিফলিত হয়েছে কি? উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

মন্তব্য

কালকের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর পর আজহারির পোস্টে ৫ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কালকের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর পর আজহারির পোস্টে ৫ নির্দেশনা
সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফরম। যে কর্মসূচিতে বিপুল লোকসমাগমের আভাস মিলছে।

আগামীকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি।

এ বিষয়ে আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নির্দেশনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ যুবক

 

পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারি ওই পোস্টে লিখেন, ‘মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা। সব শ্রেণি-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।

এ সময় তিনি পাঁচটি নির্দেশনার কথা উল্লেখ করেন। ১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব।

২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব।

পানি, ছাতা, মাস্ক-সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

আরো পড়ুন
১৫ মাসে ভারত হয়ে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

১৫ মাসে ভারত হয়ে ৪৬২ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি

 

৩। যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

৪।

শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।

আরো পড়ুন
বিএনপির আহবায়কের ওপর দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা

বিএনপির আহবায়কের ওপর দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা

 

৫। জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।

এর আগে একই নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট করেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার আহমাদুল্লাহ।

মন্তব্য

আগামীকালের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর ৫ নির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আগামীকালের কর্মসূচি নিয়ে আহমাদুল্লাহর ৫ নির্দেশনা
শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি দিয়েছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফরম। যে কর্মসূচিতে বিপুল লোকসমাগমের আভাস মিলছে। 

আগামীকাল শনিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি। ওই গণজমায়েতে উপস্থিত থাকবেন ইসলামিক স্কলার শায়েখ আহমাদুল্লাহ।

তিনি সবার উদ্দেশ্যে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

মার্চ ফর গাজায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি নির্দেশিকা জানিয়ে ওই পোস্টে আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সকল শ্রেণী-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কিছু নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করতে চাই।

১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব—এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব। 

২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্ক-সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখব।

মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিক্যাল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব।

৩. যেকোন পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। 

৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব।
 
৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব।

দুষ্কৃতিকারীদেরকে প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।

শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফরমের ডাকা এ কর্মসূচি। 

মন্তব্য

আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আশিক চৌধুরী ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন ছাত্রদলের সেই নেত্রী
মানসুরা আলম।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়্যারম্যান আশিক চৌধুরীকে নিয়ে সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেওয়ার পর সমালোচনায় পড়েন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে চলে বিভিন্ন আলোচনা। অবশেষে ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে যারা আহত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মানসুরা আলম।

প্রায় ১৪ ঘণ্টা ডিজেবল ছিল তার ফেসবুক আইডি।

স্ট্যাটাসে আশিক চৌধুরীকে অসম্মান করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে নতুন আরেক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেছেন।

ওই পোস্টে মানসুরা আলম বলেন, প্রথমত, এপোলজি দিয়ে শুরু করতে চাই, যারা আমার একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছেন। গত ১৪ ঘণ্টা আইডিটি ডিজেবল থাকায় সেটা আমি করে উঠতে পারিনি।

আরো পড়ুন
পুলিশের লোগো থেকে বাদ ‘নৌকা’, আরো যেসব পরিবর্তন

পুলিশের লোগো থেকে বাদ ‘নৌকা’, আরো যেসব পরিবর্তন

 

তিনি বলেন, ড. ইউনূস সরকার বা তার পরিচালিত কোনো কাজকেই আজ পর্যন্ত একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি তাচ্ছিল্য করিনি বরং অ্যাপ্রিশিয়েট করেছি বারবার। আমার বিগত অনেক অ্যাপ্রিসিয়েশন পোস্ট আপনারা দেখেছেন আশা করি। এই দেশে কেউ কাজ করতে আসবেন, দেশের হয়ে কাজ করবেন- এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার। বিশেষ করে আমরা যারা এত বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি একটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বাংলাদেশের জন্য।

আশিক চৌধুরি বা বিনিয়োগ সম্মেলনের মতো প্রজেক্ট নিয়ে আমার ন্যূনতম কোনো সমালোচনার জায়গা নেই। বরং অ্যাপ্রিসিয়েশনের জায়গা অনেক বড়।

পূর্বের পোস্টের উদ্দেশ্য আশিক চৌধুরীকে তাচ্ছিল্য করা নয় দাবি করে তিনি বলেন, আমার সেই পোস্টের উদ্দেশ্য আশিক চৌধুরিকে অসম্মান করা ছিল না। বরং যারা আশিক চৌধুরিকে তার কাজের চেয়েও বেশি কিছু করে দেখছেন, তাকে মহাপুরুষ বানাচ্ছিলেন তাদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছিল। আমি নিশ্চিত, আশিক চৌধুরি নিজেও তেমন কিছু দেখতে চান না, তিনিও তার নিজের কাজ করে যেতে চান।

আরো পড়ুন
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সব মিলিয়ে ৪ দিন

রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সব মিলিয়ে ৪ দিন

 

ছাত্রদলের এই নেত্রী আরো বলেন, আমরা একটা সময় সুলাইমান সুখন, আরো বিভিন্ন তথাকথিত স্মার্ট ফিগার দেখেছি ফ্যাসিস্ট আমলে। মাশরাফি, সাকিবদের নিয়ে গালভরা গল্প দেখেছি। শেষে তাদের অবস্থা কি আমরা জানি। আমাদের মনে একটা ভয় থেকে যায়, যখন কাউকে হঠাৎ ফিগার বানাতে দেখি। আমরা এর সাফারার।

আশিক চৌধুরিসহ যারা বাংলাদেশকে ধারণ করে কাজ করে যেতে চান, তাদের জন্য আমাদের শুভকামনা সব সময়। সেই সঙ্গে আশিক চৌধুরিদের ইমেজ বিল্ড করতে গিয়ে তাকে তার কাজের চেয়েও বেশি কেউ বানাবে না, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দেশে সেটাও আমাদের প্রত্যাশা। সঙ্গে বাকস্বাধীনতা (কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ বাদে) চর্চার জন্য তার সোশ্যাল লাইফে হামলে পড়াও আমার লড়াই করা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের স্বপ্নে ছিল না। আমার বিরুদ্ধে আসা বেশির ভাগ সমালোচনা আমি দেখি না অথবা এড়িয়ে যাই। এমনকি ভয়ানক মিথ্যাচার ও তথ্যবিকৃতিও।

সবশেষে তিনি বলেন, আমার দায় ছিল শুধু আশিক চৌধুরির ব্যাপারে। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মিথ্যাচার, এডিটেড ছবি, স্ক্রিনশট- কোনো কিছু নিয়ে আমার জবাবের দায় নেই। ব্যক্তিগত আক্রমণের জবাব আমি দেব না। সেসব দায় তাদের, যারা এই ঘৃণ্য বাকস্বাধীনতা চর্চা করে অন্যের স্বাধীনতা ও ত্যাগকে অস্বীকার করছেন। আপনাদের সুস্থতা কামনা করি। নিজের পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেন। মানুষকে মানুষ মনে করেন। কেউ সমালোচনা করলেই তাকে ব্যক্তি আক্রমণ করতে হয় না, এটাও পারিবারিক শিক্ষা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ