<p>মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে বিব্রতকর কীর্তি গড়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ১০৬ রানে অলআউট হয়েছে। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার এই দিনে দুর্দান্ত বোলিং করেছে বাংলাদেশের বোলাররা।</p> <p>বোলাররা না বলে অবশ্য বলা যায় শুধু তাইজুল ইসলামের কথা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। তার ঘূর্ণিতেই ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন প্রতিপক্ষকে অল্পতে আটকিয়ে সেই কাজটাই করতে চান তিনি। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী স্পিনার।</p> <p>বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়া তাইজুল বলেছেন, ‘আজকে যেহেতু স্পিন করেছে, সামনে তো আরও স্পিন করবেই। এটাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি ওদের আটকানো যায়। বড় পার্টনারশিপ হলে আমাদের জন্য খারাপ হবে। ইতোমধ্যে লিড পেয়েছে। যত তাড়াতাড়ি অলআউট করা যায়, তাতে ম্যাচ আমাদের হাতে থাকবে। তবে বড় পার্টনারশিপ হয়ে গেলে আমাদের জন্য কঠিন হবে।’</p> <p>দিন শেষে ৩৪ রানের লিড পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করবেন প্রোটিয়াদের দুই অপরাজিত ব্যাটার কাইল ভেরেইন (১৮) ও উইয়ান মুল্ডার (১৭)। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৬ রানে অলআউট হয়। নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে হতাশাই ঝড়েছে তাইজুলের কণ্ঠে।</p> <p>দিন শেষে তাইজুল বলেছন, ‘কমতি আছে কি না, ব্যাটারদের ঘাটতি আছে কি না এটা কোচ ভালো বলতে পারবে, বা যারা কাজ করে। এটা আমার অংশ না। তবে রান কমই হয়েছে সত্যি বলতে। ২০০, ২২০ বা ২৫০ করলে ম্যাচ আমাদের হাতে থাকত। এখনও আছে, তবে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। ঘাটতি বলতে, ইনশাআল্লাহ পরের ইনিংসে ব্যাটাররা ভালো করে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে। ২০০-২৫০ রান হলে খুবই ভালো অবস্থানে থাকতাম।’</p>