<p>গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ ওই ইউপির ৯ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব আনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।</p> <p>সোমবার (২১ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি শাখা-১ এর উপসচিব ড. মাসুরা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরমী ইউপির চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।</p> <p>প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের ক্ষমতা খর্ব করে পরিষদকে নিজের স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয়স্থল তৈরি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। পরিষদের সদস্যদের হুমকি প্রদান, নিয়মিত মাসিক সভা ও ওয়ার্ড সভা না করা, পরিষদের বাৎসরিক হিসাব প্রদান না করা, টিসিবি পণ্য বিতরণে কারচুপি এবং ইউনিয়ন পরিষদের দৈনন্দিন আয়ের টাকা ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।</p> <p>এ ছাড়া পরিষদের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের সম্মানি ভাতা পরিশোধ না করাসহ অভিযোগসমূহ সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ইউপির ৯ জন সদস্যের অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিশেষ সভা ডাকেন। সভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়। এতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৯টি ভোট পড়ে।</p> <p>প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত এবং বিশেষ সভায় অনাস্থা প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ায় তার দায়িত্ব পালন করা সমীচীন হবে না মর্মে বিবেচিত হওয়ায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ৩৯(১৩) ধারা অনুযায়ী অনুমোদিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</p> <p>শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, ‘চিঠি পাওয়ার পর অফিসিয়ালি যা ব্যবস্থা নেওয়ার তাই নেওয়া হবে।’</p> <p>এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।</p>