ফাহিমকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারতাম : তসলিমা

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
ফাহিমকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারতাম : তসলিমা

ফাহিম সালেহ অল্প বয়সে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন, ২.২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়ে বিলাস বহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন নিউইয়র্ক শহরের অভিজাত এলাকায়, এসব আমাকে আকর্ষণ করেনি। আমাকে আকর্ষণ করেছে তাঁর তুখোড় মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি, এবং প্রচণ্ড উদ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা আর লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করাটা। খুব ছোট আকারে শুরু করেছিলেন কিছু কাজ, বেঁচে থাকলে বড় কিছু হয়তো করতে পারতেন এই স্বপ্নবান যুবক।

তাঁকে বাঁচতে দিল না ২১ বছর বয়সী টাইরেস ডেভন হাস্পিল।

এই ছেলেকে কেন ফাহিম একসময় সহকারীর চাকরি দিয়েছিলেন কে জানে। সম্ভবত গুণ কিছু ছিল ছেলেটির। কিন্তু গুণের চেয়ে দোষ তো এর পাহাড়- সমান। ফাহিমের এক লাখ টাকা ডলার চুরি করে ধরা পড়েছিল টাইরেস।
তখন তার চাকরিটি খুব স্বাভাবিক যে, চলে যায়। ফাহিম তাকে পুলিশে সোপর্দ না করে কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার পরামর্শ দেন। কোথায় টাইরেস ফাহিমের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে, তা নয়, ফাহিমকে মেরে ফেলার প্ল্যান করে সে। ফাহিমকে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে টাইরেস।

২১ বছর বয়সী ছেলের নিশ্চয়ই এটি প্রথম হত্যা। কিন্তু এমন হত্যাকাণ্ড দেখে পুলিশ বলেছিলেন , এ কোনও প্রফেশানাল খুনির কাজ। অনেকে বিশ্বাস করে শিশু কিশোর তরুণেরা সৎ, নিস্পাপ, নিরীহ, কোমল, আদর্শবাদী। কিন্তু এরা যতটা ভয়ংকর হতে পারে, তত ভয়ংকর বয়স্ক মানুষেরা হয়তো হতে পারে না। গুলশান ক্যাফেতে টাইরেসের বয়সী ছেলেগুলোই তো ছিল, কী নৃশংস ভাবে ওরা জবাই করেছে মানুষগুলোকে।

ধর্মের জন্য যেমন মানুষ যা কিছু করতে পারে, তেমন টাকার জন্যও। এক দল পরকালের সুখের জন্য বীভৎস কাজ করতে দ্বিধা করে না, আরেক দল দ্বিধা করে না ইহকালের সুখের জন্য ।

এক লাখ ডলারের দেনা থেকে বাঁচার জন্য টাইরেস হত্যা করেছে ফাহিমকে। আহ, ফাহিম যদি জানতেন এ কারণে তাঁকে মরতে হবে, তাহলে তো টাইরেসকে এক লাখ ডলার দান করে দিতেন। অথবা চুরি করার কারণে টাইরেসকে পুলিশে দিতেন। টাইরেসের জন্য ফাহিমের এই ফেভারটাই, পুলিশে না দেওয়াটাই ফাহিমের কাল হলো।

নিউইয়র্কের পুলিশ দু'দিনের মধ্যেই খুনীকে ধরেছে। এরকম খুন আমাদের অঞ্চলে হলে কোনওদিনও হয়তো খুনী ধরা পড়তো না। কিন্তু একটি ব্যাপার আমি বুঝিনি, কেন ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডারকে সেকেণ্ড ডিগ্রি মার্ডার বলা হচ্ছে। সেকেণ্ড ডিগ্রি মার্ডার হলে টাইরেস শাস্তি কম পাবে। টাইরেস তো ফাহিমকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়েই ফাহিমের ফ্ল্যাটে গিয়েছিল ব্যাগে স্টান গান, ছুরি, ইত্যাদি নিয়ে। তাহলে?

বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত লোকদের মধ্যে তো গিজগিজ করছে বোকা গাধা, চোর বদমাশ, খুনী ধর্ষক ধর্মান্ধ প্রতারক, টেরোরিস্ট। এইসব গোবরে পদ্মফুল ছিলেন ফাহিম সালেহ। তাঁকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারতাম। কিন্তু পদ্মফুলটিকে অকালে ঝরিয়ে দিল একটা জঘন্য কুৎসিত লোক। হত্যাদৃশ্যটি কল্পনা করলে গুজবাম্প হয়।

-তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পরীক্ষায় ফেল, হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যা বললেন আহমাদুল্লাহ

শেয়ার
পরীক্ষায় ফেল, হতাশাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যা বললেন আহমাদুল্লাহ
শায়খ আহমাদুল্লাহ। ছবি : ফেসবুক থেকে নেওয়া

গত ১২ মে প্রকাশিত হয়েছে এসএসসি-২০২৩-এর ফল। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। গতবার পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার বেড়েছে পাসের হার।

এসএসসির ফল প্রকাশের পর অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের মধ্য একটি অংশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিছু শিক্ষার্থী আত্মহত্যার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নেয়। এদের সম্পর্ক বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এসএসসির ফলাফল প্রকাশের পর আটজন পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।

এটা গণমাধ্যমে আসা খবর। প্রকৃত সংখ্যাটা আরো বেশি হতে পারে। আত্মহত্যার মূল কারণ ধর্মীয় শিক্ষার অভাব। দ্বিনি দিক্ষা পাওয়া মানুষ হতাশ হতে পারে না।
কারণ, তার ভরসার জায়গা আছে। পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী দুঃখ থেকে বাঁচতে সে জাহান্নামের আজাবে ঝাঁপ দিতে পারে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরীক্ষার পাস-ফেলই সফলতা কিংবা বিফলতার মানদণ্ড নয়। অনেক ফেল করা ছাত্র কর্মজীবনে সফল হয়। আবার ঈর্ষণীয় রেজাল্টের পরও অনেকের কর্মজীবন সুখের হয় না।

এর অসংখ্য উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে আছে। সামগ্রিক জীবনের তুলনায় পরীক্ষার রেজাল্ট বিশেষ বড় কোনো ঘটনা নয়।’

সন্তানদের আত্মহত্যার পেছনে অনেক বাবা-মায়েরও দায় থাকে মন্তব্য করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘নিজেদের অপূর্ণ স্বপ্নের বোঝা তারা এমনভাবে চাপিয়ে দেন সন্তানের কাঁধে, সেই ভার আর তারা বইতে পারে না। ফলে চক্ষুলজ্জায় তারা আত্মহননের পথ বেছে নেয়।’

তিনি বলেন, পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেয়ে বেশি জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নৈতিক ও দিনি চেতনাসমৃদ্ধ ভালো মানুষ বানাতে পারি, তবে এই ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। নয়তো এই সংখ্যাটা দিন দিন আরো বাড়তেই থাকবে।

মন্তব্য

‘গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়’

দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।

গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন।

আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি।

সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।

 
একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন।

এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে।

এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না। 
খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব।

তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি, আল্লাহর কাছে ফিরে আসি এবং দাবদাহ দূরীকরণে সামাজিক সচেতনতা ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করি।

হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন। 
 

মন্তব্য

মাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ, ভিডিও ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মাকে কাঁধে নিয়ে তাওয়াফ, ভিডিও ভাইরাল

পবিত্র কাবাঘর প্রদক্ষিণ (তাওয়াফ) করছেন এক ব্যক্তি। তার কাঁধে বসে আছেন একজন বৃদ্ধা। দুজনের মুখেই হাসি। এমনই চিত্র ধরা পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে।

টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওর ক্যাপশেন লেখা হয়েছে, 'মুতামার তার মাকে কাঁধে নিয়ে কাবা প্রদক্ষিণ করেন ওমরাহ পালনের জন্য।' তবে ওই বৃদ্ধা ও তার ছেলে কোন দেশের নাগরিক তা জানা যায়নি।

ভিডিওতে দেখা যায়, ছেলের কাঁধে চড়ে ওমরাহ করা বৃদ্ধার চোখে-মুখে আনন্দের হাসি। কাঁধে বসেই ছেলের মুখ ধরে আদর করে দিচ্ছেন বৃদ্ধ মা।

কাবার পাশে মা-ছেলের এমন দৃশ্য দেখে ক্যামেরাবন্দি করছেন অনেকে। তাদের দেখে হাত নাড়েন। অপরদিকে তার মাও হাসিমুখে এদিক-ওদিকে তাকাতে থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাঁধে চড়ে মাকে তাওয়াফ করানোর দৃশ্য দেখে ছেলেকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা।

মন্তব্য

অবশেষে মুক্তি পেলেন ভাইরাল কালু

ভাইরাল ডেস্ক
ভাইরাল ডেস্ক
শেয়ার
অবশেষে মুক্তি পেলেন ভাইরাল কালু
ডামান্ট ও ভাইরাল কালু

অস্ট্রেলিয়ান ব্লগারকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে আটক দোভাষী আব্দুল্লাহ কালুকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে এক দিনের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সোমবার (৩ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

তবে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

সোমবার কালুকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।

পরে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে আদালত তাকে ২০০ টাকা অর্থদণ্ডের বিনিময়ে মুক্তির আদেশ দেন। সিএমএম আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

সম্প্রতি হোটেল থেকে বের হয়ে রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় ব্লগ করছিলেন লুক ডামান্ট। সে সময় সাবলীল ইংরেজিতে তাকে স্বাগত জানান আব্দুল্লাহ কালু।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ