ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে টেলিভিশিন বিক্রি করতে গিয়ে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। তবে সঙ্গে থাকা তার ভাতিজি কোনো আঘাত ছাড়াই পালিয়ে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী কেপটাউনের ফিলিপির ব্রাউনস ফার্মে। ভুক্তভোগী দুজনকে তাদের টিভিটি কেনার কথা বলে প্রলুব্ধ করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে দেশটির একটির সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ফেসবুকে টিভি বিক্রি করতে গিয়ে খুন ৫১ বছরের ব্যক্তি
অনলাইন ডেস্ক

দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, খুন হওয়া ব্যক্তি এবং তার ভাতিজি কেপটাউনের গ্লেনকেয়ার্ন থেকে একটি টিভি বিক্রির জন্য ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই যোগাযোগ করার পর তারা টিভিটি বিক্রি করতে ব্রাউনস ফার্মে যান এবং সেখানে আক্রমণের শিকার হন। তারা দুজন গাড়িতে বসে ছিলেন এবং ভাবছিলেন একজন ক্রেতার সঙ্গে তাদের দেখা হতে যাচ্ছে। তখন ছিনতাইকারীরা গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে আক্রমণ চালায়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা গাড়িটি উদ্ধার করেছে। কিন্তু সন্দেহভাজনরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
দেশটির পুলিশের মুখপাত্র সার্জেন্ট ওয়েসেলি টুইগ জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর শরীরে ছুরিকাঘাতের ক্ষত রয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আঘাতের কারণে তিনি মারা যান। তবে অন্য আরেক ভুক্তভোগী অক্ষত আছেন। নায়াঙ্গা পুলিশ তদন্তের জন্য একটি হত্যা এবং ছিনতাই মামলা নথিভুক্ত করেছে।
ম্যানেনবার্গ পুলিশের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ইয়ান বেনেট জানিয়েছেন, এলাকাটিতে প্রায়ই ছিনতাই এবং খুনের ঘটনা ঘটে থাকে। তাই জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : আইওএল।
সম্পর্কিত খবর

ওয়াকফ আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষোভে সহিংসতা, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
অনলাইন ডেস্ক

ভারতে সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে নানা শহরে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায় বুধবার বিক্ষোভ থেকে আবারও সহিংসতার পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবারও ওই জেলার রঘুনাথপুরে সহিংসতা ঘটেছিল। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত চলা ওই সহিংসতায় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদ জেলার দুটি থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, সুতির অজগরপাড়া এলাকায় বুধবার সকালে ১২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ভারতের পার্লামেন্ট উত্তপ্ত তর্কবিতর্কের পর মুসলিম ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি পাস হয় এবং ৫ই এপ্রিল শনিবার দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে সম্মতি দেওয়ায় এটি এখন ভারতের একটি আইনে পরিণত হয়েছে। তবে এই বিলটিকে চ্যালেঞ্জ করে অন্তত চারটি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয় যেগুলো করেছেন এআইএমআইএম, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি বা আরজেডি-র মতো দলের নেতারা এবং অন্তত একটি সিভিল রাইটস গোষ্ঠী। এ ছাড়া মণিপুর, গুজরাত, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী উসকানিকে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে।
পুলিশ সেখানে গেলেই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত পর্যন্ত পুলিশ ওই এলাকার নানা রাস্তায় লাঠি নিয়ে বিক্ষোভকারীদের তাড়া করে।
এরপর পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ভুয়া খবর বা গুজব যাতে না ছড়ায় তার জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ১১ই এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এক বিবৃতিতে মঙ্গলবারের ঘটনার নিন্দা করে জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যে কোনো প্রচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করা উচিত। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি পুলিশের লাঠি চালানোর নিন্দা করেছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা

আমেরিকা না ছাড়লে অবৈধ অভিবাসীদের দৈনিক ৯৯৮ ডলার জরিমানা
অনলাইন ডেস্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসন আদেশের পরও অবৈধ অভিবাসীদের কেউ আমেরিকায় থাকলে প্রতিদিন তাকে ৯৯৮ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জরিমানার অর্থ না দিলে বাজেয়াপ্ত করা হবে সম্পত্তি। নথি বিশ্লেষণের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদেন জানানো হয়েছে।
১৯৯৬ সালের একটি আইনে এই জরিমানার বিধান আছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসন পাঁচ বছর পর্যন্ত জরিমানা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে, যার ফলে ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে।
রয়টার্সের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী অভিবাসীদের ‘স্ব-নির্বাসন এবং এখনই দেশ ত্যাগ করতে’ সিবিপি ওয়ান নামে একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না। এর মধ্যে রয়েছে, চূড়ান্ত নির্বাসন আদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা প্রতিটি দিনের জন্য প্রতিদিন ৯৯৮ ডলার জরিমানার মুখোমুখি হবেন।
রয়টার্সের পর্যালোচনা করা ইমেলগুলো থেকে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউস মার্কিন কাস্টমস এবং সীমান্ত সুরক্ষাকে জরিমানা, অর্থ প্রদান না করা অভিবাসীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং তাদের সম্পদ বিক্রির বিষয়টি পরিচালনা করার জন্য চাপ দিয়েছে।
একটি ইমেল আরো বলা হয়েছে, বিচার বিভাগের জন্য আরেকটি বিকল্প হতে পারে নাগরিক সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যাপকভাবে অভিবাসন দমন শুরু করেন। প্রায় ১৪ লাখ অভিবাসীকে উদ্দেশ করে পরিকল্পিত জরিমানার প্রস্তাব আনা হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স

চীনে নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০
অনলাইন ডেস্ক

উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশের একটি নার্সিংহোমে আগুন লেগে ২০ জন নিহত হয়েছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে এ খবর জানিয়েছে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তর-পূর্বে লংহুয়া কাউন্টির একটি নার্সিংহোমে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। সিনহুয়া জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৩ টা নাগাদ বিশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘নার্সিংহোমে থাকা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের আরো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
কাউন্টি সরকার জানিয়েছে, নার্সিংহোমে আগুন লাগার জন্য দায়ি একজন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। ভবন নির্মাণের নিয়মে শিথিলতা এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রায়ই আবহেলার কারণে চীনে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড তুলনামূলকভাবে সাধারণ।
গত জানুয়ারিতে বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমে ঝাংজিয়াকো শহরের একটি সবজির বাজারে আগুন লেগে আটজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। এর এক মাস আগে গত বছর পূর্ব চীনের রংচেং শহরে একটি নির্মাণস্থলে আগুন লেগে নয়জন মারা যান।
সূত্র : এএফপি

আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে পাকিস্তান
ডয়চে ভেলে

৩১ মার্চের মধ্যে অবৈধ আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান। বলপ্রোয়গ করে তাদের সীমান্ত পার করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের বক্তব্য, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে ওই শরণার্থীদের আফগানিস্তানে পাঠানোর অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান।
সম্প্রতি ইসলামাবাদ জানিয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে সকল অবৈধ শরণার্থীকে দেশ ছাড়তে হবে। ওই তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় প্রশাসন নতুন করে অভিযান শুরু করেছে।
আফগান সিটিজেন কার্ড
পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় আট লাখ আফগান নাগরিককে একটি কার্ড দিয়েছিল দেশের প্রশাসন। এই কার্ডটিকে বলা হয় আফগান সিটিজেন কার্ড বা এসিসি। এই আট লাখ মানুষকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। তারা স্বেচ্ছায় না গেলে আফগানিস্তানে তাদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত নয় দিনে অন্তত আট হাজার ৯০৬ জনকে করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোই হলো এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।
মানবাধিকার লঙ্ঘন
গত ১৮ মাসে পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অন্তত আট লাখ ৪৫ হাজার আফগান। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।
সংবাদসংস্থার কাছে বহু আফগান অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের প্রশাসন তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলছে। বাড়ি ছাড়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যত এক কাপড়ে তাদের ঘর ছাড়তে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে কাবুলের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান তৈরির পিছনে আফগানিস্তানের তালেবানদের মদত আছে। এই দলটি পাকিস্তানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। আফগানিস্তানের তালেবানদের এই দলটির ওপর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, আফগান নাগরিকদের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরক্ত কাবুল। গত কয়েকদিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।