ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫
২ বৈশাখ ১৪৩২, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৬

আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আগামী সপ্তাহে রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (ডানে) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন৷ ছবিটি ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে তাদের বৈঠকের আগে তোলা। ছবি : এএফপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮ ও ৯ জুলাই রাশিয়া সফর করবেন। ক্রেমলিন বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ রুশ-ভারত সম্পর্কের আরো উন্নয়নের সম্ভাবনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক এজেন্ডায় প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন’।

মস্কো ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরর পর রাশিয়ায় এটি মোদির প্রথম সফর।

পশ্চিমাবিশ্বে বর্তমানে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে রাশিয়া। এ পরিস্থিতিতে পুতিন মোদিকে গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাব্য কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জটিল। পাশাপাশি ভারত রুশ তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোতে যোগ দেয়নি।

এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ও মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ইউক্রেনে সংঘাত সম্পর্কে মোদির ‘উদ্বেগ’ তিনি বুঝতে পারেন। মোদি চান, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ এ যুদ্ধ শেষ হোক।

এই বছরের শুরুর দিকে ভারত বলেছিল, তারা রাশিয়াকে তাদের কিছু নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে, যারা রুশ সেনাবাহিনীতে সহায়ক হিসেবে চাকরি করতেন।

এর আগে রুশ সীমান্ত শহরে আটকা পড়া কয়েকজন ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। ভারত তার নাগরিকদের ‘এই সংঘাত থেকে দূরে থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে।

নয়াদিল্লি কিয়েভের কট্টর সমর্থক না। তবে গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ শান্তি সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে দেশটি। ওই বিবৃতিতে যেকোনো শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন
ইউক্রেন শান্তি বিবৃতিতে ৮০ দেশ, যে ‘অজুহাতে’ নেই ভারত

ইউক্রেন শান্তি বিবৃতিতে ৮০ দেশ, যে ‘অজুহাতে’ নেই ভারত

 

এ ছাড়া ভারত রুশ তেলের প্রধান ক্রেতায় পরিণত হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাশিয়া সেখানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি রপ্তানি বাজার পেয়েছে। তবে অর্থপ্রদানের সমস্যা ও রুশ রপ্তানিকারকরা আয় ফিরিয়ে আনতে পারছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে পুনঃনির্বাচিত মোদি শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। তিনি দেশটির সুদূর পূর্বের শহর ভ্লাদিভোস্টকে ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুবাইয়ে তৈরি ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ ককটেল-মকটেলের আদ্যোপান্ত
ক্রেতা ডায়ানা ও বারটেন্ডার সালভাতোরে। ছবি : খালিজ টাইমস

একটি বিশেষ ধরনের স্ফটিকের (ক্রিস্টাল) গ্লাসে পরিবেশিত, বিশেষভাবে তৈরি উপাদানে প্রস্তুত এবং একজন ‘সেলিব্রিটি’ বারটেন্ডারের পরিবেশিত ককটেল বিশ্বের সবচেয়ে দামি ককটেল হিসেবে রেকর্ড গড়েছে, যা তৈরি হয়েছে দুবাইয়ে। এই ককটেলটি ৩৭ হাজার ৫০০ ইউরো বা প্রায় এক লাখ ৫৬ হাজার দিরহামে বিক্রি হয়েছে দুবাইয়ের নাহাতে নামের একটি ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁয়। হাড্ডাহাড্ডি নিলাম পর্বের শেষে দুবাইয়ের মডেল ও উদ্যোক্তা ডায়ানা আহাদপুর এটি কেনেন।

নাহাতে রেস্তোরাঁর বেভারেজ ও মার্কেটিং ডিরেক্টর আন্দ্রেই বোলশাকভ জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল ককটেল তৈরির লক্ষ্যেই দুবাইতে অবস্থিত পারিবারিকভাবে পরিচালিত এই রেস্তোরাঁ সব ধরনের উদ্যোগ নেয়।

একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে এই পানীয়টি সর্বোচ্চ দামের ক্রেতার কাছে নিলামে বিক্রি করা হয়। শুরুতে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬০ হাজার দিরহাম। তবে উচ্চ চাহিদার কারণে সেটি দ্রুত দ্বিগুণ হয়ে শেষ পর্যন্ত দেড় লাখ দিরহামেরও বেশি দামে বিক্রি হয়।

বোলশাকভ বলেন, ‘যে নারী এটি কিনেছেন, তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে এই বিশেষ পানীয়টি তার হাতেই উঠবে।

’ নিলামে জেতার পর তিনি পানীয়টি উপভোগ করেন এবং কিছু অংশ বন্ধুদের সঙ্গেও ভাগ করে নেন। ‘এটি সবার জন্যই ছিল একটি স্মরণীয় আয়োজন।’

এই ককটেলটি শুধু উপাদানেই নয়, পরিবেশনের দিক থেকেও ছিল অনন্য। এটি পরিবেশিত হয় ১৯৩৭ সালে তৈরি বিশেষ গ্লাসে, যা এতদিন একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল।

বোলশাকভ জানান, ‘এ রকম ক্রিস্টাল দিয়ে কেবল দুটি গ্লাস তৈরি হয়েছিল, যা একদম বিশেষ কৌশলে তৈরি। এগুলো কখনো ব্যবহার করা হয়নি। আমি নিজে প্যারিস থেকে সংগ্রহ করে দুবাইয়ে এনেছি।’

নিলাম শেষে ককটেলটির ক্রেতাকে ওই ক্রিস্টাল গ্লাস দুটি স্মারক হিসেবে উপহার দেওয়া হয়।

রেস্তোরাঁর অংশীদার প্যাট্রন টেকিলা শুধু এই আয়োজনের জন্য একটি বিশেষ সংস্করণের মিশ্রণ তৈরি করেন।

বোলশাকভ জানান, ‘মাস্টার ডিস্টিলার মাত্র ৫০০ মিলিলিটার তৈরি করেছিলেনন, যা আমাদের কর্মীরা মেক্সিকো থেকে ইভেন্টের এক সপ্তাহ আগে নিয়ে আসেন।’

এ ছাড়া এতে ব্যবহার করা হয় কিনা লিলেট নামের একটি বিশেষ ফলের ওয়াইন, যেটি জেমস বন্ড ০০৭-এর মূল ককটেল রেসিপিতে ব্যবহৃত হতো। এটি এখন আর তৈরি হয় না এবং সারা বিশ্বে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বোতল অবশিষ্ট আছে। তারা যে বোতলটি সংগ্রহ করেছেন, তা বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের।

একই সঙ্গে এই ‘সুপার এক্সক্লুসিভ’ পানীয়ের সমাপ্তি টানা হয় বিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের তৈরি অ্যাঙ্গোস্তুরা বিটারস দিয়ে।

এই পানীয় তৈরি করেন বিশ্বের অন্যতম খ্যাতিমান বারটেন্ডার সালভাতোরে ‘দ্য মায়েস্ত্রো’ কালাব্রেস। বোলশাকভ বলেন, ‘তিনি ইন্ডাস্ট্রির একজন কিংবদন্তি এবং বহু সেলিব্রিটির জন্য পানীয় তৈরি করেছেন। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি পানীয় তৈরি করতে, যা কেবল দামের জন্য নয়, অভিজ্ঞতার দিক থেকেও বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল হয়।’

সবচেয়ে দামি মকটেলও এখন দুবাইয়ে
এর পাশাপাশি দুবাইয়ের বিলাসবহুল ডাইনিং দুনিয়ায় যোগ হয়েছে আরো একটি চমকপ্রদ উপাদান—বিশ্বের সবচেয়ে দামি মকটেল, যার দাম ১২ হাজার ৯৯ দিরহাম।

আল জাদ্দাফের বার্সেলো হোটেলের জিমিডিক্স রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জে উন্মোচিত হওয়া এই ঝলমলে পানীয়টি পরিবেশন করা হয় খাঁটি রূপার তৈরি গবলেট নামের পাত্রে, যা অতিথিদের জন্য একটি স্মারক হিসেবেও রয়ে যায়।

এই আড়ম্বরপূর্ণ পানীয়টিতে মেশানো হয়েছে টাটকা ক্র্যানবেরি, পুদিনা, ডালিমের রস, সামুদ্রিক লবণ ও ২৪ ক্যারেট ইইউ সনদপ্রাপ্ত ভোজ্য সোনার পানি ও ধুলা। এটি পরিবেশিত হয় দুটি স্টার্টারের সঙ্গে—সবজি বা আমিষ, অতিথির পছন্দ অনুযায়ী—যেগুলোও ভোজ্য সোনার পাত ও ধুলায় মোড়ানো থাকে।

এই ধারণার নেপথ্যে ছিলেন ভারতীয় প্রবাসী সুচেতা শর্মা, যিনি বোহো ক্যাফে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা। জিমিডিক্সের বার ম্যানেজার ফ্রেডরিকের সহায়তায় এটি বাস্তবে রূপ নেয়। এই গ্রুপ সাধারণ পানীয়কে বিলাসবহুল অভিজ্ঞতায় রূপ দেওয়ার জন্য পরিচিত। শর্মা বলেন, ‘এটি কোনো মার্কেটিং গিমিক নয়। এটা একটিকে স্মৃতি করে রাখার ব্যাপার।’

উন্মোচন অনুষ্ঠানে লাকি ড্রতে জিতে প্রথম এই পানীয়ের স্বাদ নেন চীনা প্রবাসী ইয়াও লেই। তিনি বলেন, ‘অলৌকিক মনে হচ্ছে। হয়তো আবার কখনো অর্ডার করব না, তবে গ্লাসটি অবশ্যই রেখে দেব।’

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, তারা এই মকটেলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির জন্য জমা দেবেন।

উল্লেখ্য, দুবাইয়ের এমিরেটস ফিন্যান্সিয়াল টাওয়ারসে গত অক্টোবরেই চালু হওয়া বোহো ক্যাফে এর আগেও শিরোনাম হয়েছিল তাদের পাঁচ হাজার দিরহামের সোনার কারাক চায়ের জন্য, যা রূপার কাপ-সসারে পরিবেশিত হয়। গত নভেম্বরেও এক ইউরোপীয় পর্যটক ছয় হাজার ৬০০ দিরহামের বিল করেন একটি সোনার কফি, চারটি সোনার ক্রোয়েসেন্ট ও দুই স্কুপ সোনার আইসক্রিম খেয়ে।

সূত্র : খালিজ টাইমস

মন্তব্য

ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরাকে তীব্র ধূলিঝড়ে অসুস্থ হাজারও মানুষ, ২ বিমানবন্দর বন্ধ
ছবিসূত্র : এএফপি

ইরাকে ব্যাপক ধূলিঝড় হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে ধূলিঝড়ের পর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন এক হাজারেরও বেশি লোক। মুথান্না প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৭০০ জনের শ্বাসকষ্টের ঘটনা ঘটেছে।

অনলাইনে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে,  এলাকাগুলো ঘন কমলা রঙের কুয়াশায় ঢাকা।

স্থানীয় মিডিয়া বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিমান চলাচল বন্ধের খবর দিচ্ছে। ইরাকে ধূলিঝড় সাধারণ হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ সমস্যা আরো তীব্র হয়ে উঠছে।

আরো পড়ুন
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

 

এএফপি অনুসারে, পথচারীরা ধুলা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মুখোশ পরছে। শ্বাসকষ্টজনিত লোকদের সহায়তা করার জন্য প্যারামেডিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন।

দক্ষিণ ইরাকের মুথান্না প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৭০০ জন শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নাজাফ প্রদেশে ২৫০ জনেরও বেশি লোককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং শিশুসহ কমপক্ষে ৩২২ জন রোগীকে দিওয়ানিয়াহ প্রদেশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধী কার এবং বসরা প্রদেশে ৫৩০ জন শ্বাসকষ্টের সমস্যা রিপোর্ট করেছেন। ধূলিঝড় ইরাকের দক্ষিণ প্রদেশগুলোকে কমলা মেঘে ঢেকে ফেলেছিল।

ফলে দৃশ্যমানতা এক কিলোমিটারেরও কম (০.৬২ মাইল) হয়ে যায়।

কর্তৃপক্ষকে নাজাফ এবং বসরা প্রদেশের বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে বাধ্য করা হয়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া পরিষেবা অনুসারে, মঙ্গলবার সকালের মধ্যে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২২ সালেও একটি তীব্র ধূলিঝড়ে একজনের মৃত্যু হয় এবং ৫ হাজারের বেশি লোকের শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মতে, ইরাক ভবিষ্যতে বেশি বশি ধূলিঝড়ের মুখোমুখি হবে।

 

সূত্র : বিবিসি

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানের ২ বছরের যুদ্ধ শিশুদের জীবন তছনছ করে দিয়েছে

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) সোমবার সুদানে দুই বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে শিশুদের বিরুদ্ধে হত্যা থেকে অপহরণ পর্যন্ত বড় ধরনের অপরাধের সংখ্যা ১ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিল বলেছে, এই ধরনের ঘটনার মধ্যে পঙ্গুত্ব এবং স্কুল ও হাসপাতালে আক্রমণও অন্তর্ভুক্ত। যা আগে কয়েকটি অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস এবং সুদানের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের ফলে আরো কিছু অঞ্চলে এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দুই বছরের সহিংসতা এবং বাস্তুচ্যুতি সুদানজুড়ে লাখ লাখ শিশুর জীবনকে তছনছ করে দিয়েছে।’

ইউনিসেফ কর্তৃক এএফপিকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে  যাচাইকৃত ঘটনায় নিহত, পঙ্গু হওয়া শিশুর সংখ্যা ১৫০টি থেকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে আনুমানিক ২ হাজার ৭৭৬টিতে পৌঁছেছে।

আরো পড়ুন
সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

সুদানের জমজম ক্যাম্প থেকে যে কারণে পালাতে হলো ৪ লাখ মানুষকে

 

স্কুল এবং হাসপাতালে আক্রমণের যাচাইকৃত ঘটনাও ২০২২ সালের ৩৩টি থেকে বেড়ে প্রায় ১৮১টিতে পৌঁছেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা সম্পন্ন শিশুর সংখ্যা দুই বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।

২০২৩ সালের শুরুতে ৭৮ লাখ থেকে আজ ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি হয়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল, ‘সুদান আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।’ কিন্তু এটি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে না।

রাসেল বলেন, আমরা সুদানের শিশুদের পরিত্যাগ করতে পারি না।

আমাদের দক্ষতা এবং সহায়তা বৃদ্ধির সংকল্প আছে। তবে আমাদের প্রবেশাধিকার এবং টেকসই তহবিল প্রয়োজন।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি, আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধ প্রথম শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে। জাতিসংঘের মতে, তখন থেকে এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দারফুরের জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরসহ কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

বর্তমানে সেখানে আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সুদানে বিদ্রোহীদের হামলায় ৪ শতাধিক নিহত

এদিকে সুদানের দারফুরে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাম্প্রতিক হামলায় চার শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। নিহতদের মধ্যে ৯ জন মানবাধিকার কর্মী রয়েছেন বলেও জানায় সংস্থাটি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি বলেন, প্রাণহানি নিয়ে সংস্থার যাচাই প্রক্রিয়া এখনও চলমান। রোববারের সহিংসতার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলেও মত দেন তিনি।

সূত্র : এএফপি, বিবিসি

 

মন্তব্য

কিভাবে হবে সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচন?

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
কিভাবে হবে সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচন?
সংগৃহীত ছবি

সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের ১১ মার্চ ইলেকটোরাল বাউন্ডারি রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছে। তবে নির্বাচনের মূল প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি।

দলগুলো অপেক্ষা করছে ‘রিট অব ইলেকশন’ নামে একটি সরকারি ঘোষণার। যেটি নির্বাচনের তারিখ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে দেয়। এ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট জারি করেন। 

এই রিট ঘোষণার পরে জানানো হবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ও ভোট দেওয়ার দিন।

আগে যেসব নির্বাচনে এই রিট দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সময়সীমা ভিন্ন ছিল। 

নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে যিনি থাকবেন, তাকে বলা হয় রিটার্নিং অফিসার। মনোনয়নের দিন প্রার্থীরা তাদের কাগজপত্র জমা দেন। প্রার্থীর সঙ্গে একজন প্রস্তাবকারী, একজন সমর্থনকারী ও অন্তত চারজন সমর্থক থাকতে হয়।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সকাল ১১টা থেকে ১২টা। এ সময়ের মধ্যেই প্রার্থীদের নির্বাচনী জামানত জমা দিতে হয়, যা এমপিদের মাসিক বেতনের সমান বা কাছাকাছি হয়। ২০২০ সালে জমা নির্বাচনী জামানতের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। যদি কোনো প্রার্থী মোট ভোটের কমপক্ষে ১২.৫ শতাংশ পান, তাহলে এই টাকা তাকে ফেরত দেওয়া হয়।

মনোনয়নের সময় শেষ হলে প্রার্থীরা একে অন্যের কাগজপত্র দেখে আপত্তি তুলতে পারেন।

কারোর আপত্তি যদি রিটার্নিং অফিসার গ্রহণ করেন, তাহলে সেই প্রার্থী নির্বাচন করতে পারবেন না। যদি একটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকেন, তাহলে নির্বাচন হবে। আর যদি একজনই থাকেন, তাহলে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এটি ‘ওয়াকওভার’ নামে পরিচিত। মনোনয়ন শেষে প্রার্থীরা ধন্যবাদ বক্তব্য দিতে পারেন, যা টিভি ও অনলাইনে সম্প্রচারিত হয়।

দলের প্রচারণা শুরু হয় মনোনয়নের পরদিন থেকেই এবং এটি চলে ‘কুলিং অব ডে’ পর্যন্ত। প্রচারণার সময় প্রার্থীরা পথসভা করতে পারেন, লিফলেট বিলি করতে পারেন, পোস্টার টাঙাতে পারেন, ঘরে ঘরে যেতে পারেন ও অনলাইনে প্রচার চালাতে পারেন। তবে পুলিশের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত স্থানে পথসভা করতে হয়।

ভোটের আগের দিনকে বলা হয় ‘কুলিং অব ডে’। এই দিন পুরোপুরি প্রচারণা নিষিদ্ধ থাকে, যেন ভোটাররা নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। 

এরপর আসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন—ভোটের দিন। সিঙ্গাপুরে এই দিন সরকারিভাবে ছুটি ঘোষিত থাকে। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। ভোট শেষ হলে ব্যালট বাক্সগুলো ভোট গণনার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই ফলাফল জানানো হয়, যদিও তার আগেই ‘স্যাম্পল কাউন্ট’ প্রকাশ পায়। যা থেকে একটা মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায় কে জিততে পারে।

সূত্র : দ্য স্ট্রেইটস টাইম

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ