<p>নেপালে সোমবার কে পি শর্মা অলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। তার কমিউনিস্ট পার্টি মধ্য বামপন্থী নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছে। এর মাধ্যমে দেশটির প্রায়ই অস্থিতিশীল হওয়া পার্লামেন্টে ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন হলো।</p> <p>৭২ বছর বয়সী অলি পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনিফাইড মার্কসবাদী লেনিনবাদীর (সিপিএন-ইউএমএল) প্রধান। তিনি চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন। প্রায় তিন কোটি জনসংখ্যার দেশটির ওপর প্রতিবেশী ভারত ও চীন প্রভাব ফেলে। অলি আগে প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রেখেছিলেন। দুই প্রতিবেশীর প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলেও তিনি নয়াদিল্লির ওপর তার দেশের নির্ভরতা কমাতে বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল।</p> <p>এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অলিকে অভিনন্দন জানিয়ে সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তিনি ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের গভীর বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করতে’ চান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/14/1720960408-301effa03e5f93f59ce2e9f91018bfd6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/07/14/1406502" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউডেল শপথবাক্য পাঠ করানোর সময় অলি বলেন, ‘আমি, কে পি শর্মা অলি, দেশ ও জনগণের নামে প্রতিজ্ঞা করছি, আমি সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত থাকব...এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করব।’</p> <p>অলি ২০১৫ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে বিরল সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিয়ে পুনর্নির্বাচিত হন এবং তারপর ২০২১ সালে সংক্ষিপ্তভাবে পুনর্নিযুক্ত হন। তার পূর্বসূরি ও সাবেক জোট সরকারের মিত্র পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড কার্যভার গ্রহণের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় শুক্রবার পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান। অলির দল সমর্থন প্রত্যাহার করার পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। অলি তার পরিবর্তে নেপালি কংগ্রেসের শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে চুক্তি করেছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরও পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/07/12/1720788784-301effa03e5f93f59ce2e9f91018bfd6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হারলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/07/12/1405867" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অলির রাজনৈতিক ক্যারিয়ার প্রায় ছয় দশকের। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তিনি ১৯৫২ সালে ভারতের সঙ্গে পূর্ব সীমান্তের কাছে নেপালের তেহরাথুম জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৪ বছর জেলে ছিলেন। ১৯৮৭ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সিপিএন-ইউএমএলে যোগ দেন এবং পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে দলীয় পদে উন্নীত হন।</p> <p>নেপালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৭ সালে হওয়ার কথা।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>