কাল জার্মানির ২ রাজ্যে নির্বাচন, এএফডি এগিয়ে থাকায় উদ্বেগে অভিবাসীরা

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
কাল জার্মানির ২ রাজ্যে নির্বাচন, এএফডি এগিয়ে থাকায় উদ্বেগে অভিবাসীরা
জার্মানির স্যাক্সনি রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের জন্য ড্রেসডেন শহরে এএফডি দলের প্রচারণায় ২৯ আগস্ট সমর্থকরা জাতীয় পতাকা নাড়ছেন। ছবি : এএফপি

জার্মানির পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্য—স্যাক্সনি ও টুরিঙ্গিয়ায় রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অভিবাসনবিরোধী এএফডি দল দুটি রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে বলে জরিপ বলছে। তাই অধিকাংশ অভিবাসী উদ্বিগ্ন।

টুরিঙ্গিয়া শরণার্থী পরিষদে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন সিরিয়ায় জন্মগ্রহণ করা নুর আর জুবি।

ছয় বছর ধরে তিনি রাজ্যের গেরা শহরে বাস করছেন। প্রায় প্রতিদিন বর্ণবাদের শিকার হতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে এর সঙ্গে লড়তে হয়।’

তাই রবিবারের নির্বাচনে এএফডি সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও অন্য শহরে চলে যেতে চান না জুবি। তিনি জানান, টুরিঙ্গিয়া তার বাড়ি।

সম্প্রতি ট্রেনে ভ্রমণের সময় একজনের কাছ থেকে বর্ণবাদের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সেই সময় দুজন জার্মান যাত্রী তাকে সমর্থনও করেছিলেন। তাই জুবি বলেন, ‘এএফডি ভোটারের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বাগত জানানো জার্মানদের সংখ্যাও বাড়ছে।’

তিনি আরো বলেন, এএফডি জিতলে রাজ্য ছেড়ে যেতে চান—এমন কিছু মানুষকে চেনেন তিনি। আর এমন কিছু মানুষ আছেন যারা চলে যেতে চাইলেও তাদের পক্ষে সেটি সম্ভব নয়।

কারণ, আইনের কারণে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের অন্তত তিন বছর টুরিঙ্গিয়াতে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

টুরিঙ্গিয়া রাজ্যে কয়েক বছর ধরে অভিবাসীদের প্রতিকূল পরিবেশের শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতি আরেক রাজ্যে অবস্থিত জোলিঙেন শহরে ছুরি হামলায় তিনজন প্রাণ হারানোর ঘটনার পর অভিবাসনবিরোধী মনোভাব আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুবি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এএফডি জিতলে ‘আমাদের আরো বেশি বর্ণবাদের শিকার হতে হবে। বিষয়টা অপমান ছাড়িয়ে শারীরিক আঘাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে’।

অন্যদিকে জুবির শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরের শহর ড্রেসডেনে থাকেন ইসমাইল দাভুল। তুরস্কে জন্ম নেওয়া দাভুল ২০০৬ সালে জার্মানিতে পড়তে গিয়েছিলেন। ১১ বছর ধরে তিনি ফরেনার্স কাউন্সিলে কাজ করছেন। তরুণ অভিবাসীদের সহায়তা করা তার কাজ। রবিবারের নির্বাচনে এএফডি জিতলে কী পরিবর্তন হতে পারে—এমন প্রশ্ন এখন তাকে প্রায়ই শুনতে হচ্ছে বলে জানান দাভুল। তিনি বলেন, ‘সবাই আসলে ভয় পাচ্ছেন।’

দাভুল আরো বলেন, অভিবাসীদের ওপর হামলা অতীতে বিরল ঘটনা ছিল। তখন এমন ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যমে তার সমালোচনা করা হতো। এখনো গণমাধ্যমে সমালোচনা হয়, তবে ততটা নয়। ‘এখন প্রায় প্রতিদিনই হামলার কথা শুনি। চেহারা, চামড়ার রং বা উচ্চারণ, বিভিন্ন কারণে হামলা হচ্ছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারত ও নেপালে বজ্রাঘাতে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ভারত ও নেপালে বজ্রাঘাতে অন্তত ৬৯ জনের মৃত্যু
প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। ফাইল ছবি : এএফপি

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় বিহার রাজ্য ও পার্শ্ববর্তী নেপালে অস্বাভাবিক তীব্র বজ্রপাতের ফলে চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শনিবার এই কথা জানিয়েছেন।

প্রতি বছর আকস্মিক বন্যা ও বজ্রপাত হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।

বিহারের দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ শনিবার জানায়, বৃহস্পতি ও শুক্রবার তীব্র বজ্রপাত ও বজ্রপাতের ফলে কমপক্ষে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার বজ্রপাতে প্রতিবেশী নেপালে আরো আটজন নিহত হয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে শনিবার আবারও বিহারে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে বলে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা গত বছর সতর্ক করে দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতে মারাত্মক বজ্রপাতের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ৯০০ মানুষ মারা যায়।

পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার ফকির মোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে গবেষকদের একটি দল জানিয়েছে, ১৯৬৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বজ্রপাতে এক লাখ এক হাজার ৩০৯ জন মারা গেছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এ হার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

মন্তব্য

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নে সায় মার্কিন আদালতের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়নে সায় মার্কিন আদালতের
ছবিসূত্র : এএফপি

ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহমুদ খালিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদলতের একজন বিচারক। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই রায় দেন তিনি। এর ফলে নিউ ইয়র্ক সিটি থেকে এক মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদ খালিলকে দেশছাড়া করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন তাদের তৎপরতা চালিয়ে যেতে পারবে।

লুইজিয়ানার লাসাল অভিবাসন আদালতের বিচারক জেমি কোম্যান্সের রায়টি মাহমুদ খালিলের ভাগ্য নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নয়।

তবে রায়টি ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কারণ ট্রাম্প আইনগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা, অপরাধে অভিযুক্ত নন এমন ফিলিস্তিনিপন্থী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। 

১৯৫২ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গত মাসে বলেছিলেন, মাহমুদ খালিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের জন্য হুমকি হতে পারেন। তাকে তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের জন্য বিতাড়িত করা উচিত।

বিচারক জেমি কোম্যান্স জানান, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত খারিজ করার এখতিয়ার তার নেই। এ ছাড়া খলিলের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে রুবিওকে তলব এবং ১৯৫২ সালের আইনের অধীন তার নেওয়া সিদ্ধান্তের ‘যুক্তিসংগত কারণ’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, বিচারক তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৯০ মিনিটের শুনানির পর বিচারক বিচারক জেমি কোম্যান্স এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। আদালতটি লুইজিয়ানার গ্রামীণ এলাকায় একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রের ভেতর অবস্থিত।

সিরিয়ার একটি ফিলিস্তিনি শরণার্থীশিবিরে জন্মগ্রহণ করেন খলিল। তিনি আলজেরিয়ার নাগরিক এবং গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা হন। তার স্ত্রীও একজন মার্কিন নাগরিক।

বর্তমানে খলিল লুইজিয়ানার কারাগারেই আটক রয়েছেন, গত ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রেপ্তারের পর তাকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। বিচারক ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত তার আইনজীবীদের সময় দিয়েছেন আইনি সহায়তার আবেদন করার জন্য।

এরপর বিচারক বহিষ্কার আদেশ বিবেচনা করবেন। অভিবাসন আদালত নির্দিষ্ট শর্তে, যেমন নিজ দেশে নির্যাতনের সম্ভাবনা থাকলে, বহিষ্কার রোধ করতে পারেন।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

‘ওয়াকফ’ আইন নিয়ে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, গ্রেপ্তার ১১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার
‘ওয়াকফ’ আইন নিয়ে উত্তাল মুর্শিদাবাদ, গ্রেপ্তার ১১০
সংগৃহীত ছবি

ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন পাশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল ভারত। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার ১১০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  

এর আগে, শুক্রবার নতুন ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলি জেলায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ ভ্যানসহ একাধিক যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এছাড়া নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। এসময় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদে কড়া বিধি-নিষেধ আরোপ এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
 

শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সুতিতে অশান্তি চলাকালীন পুলিশের গুলিতে আহত এক কিশোরকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

সুতি এবং সামসেরগঞ্জ এলাকায় টহল বাড়িয়েছে পুলিশ।

সুতিতে ৭০ জন এবং সামসেরগঞ্জে ৪১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানা গেছে। পুনরায় বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে বাধা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া জনগণকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শুক্রবারের সহিংসতার সাথে জড়িতদের ধরতে জেলাগুলোতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে সহিংসতা দমনে মমতা সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি।

সহিংসতা দমনে মমতার প্রশাসন ব্যর্থ এমন অভিযোগ এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা নেয়া উচিত বলে মনে করছে দলটি। 

বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক এক্স বার্তায় এ ঘটনাকে একটি পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা, গণতন্ত্র ও শাসনব্যবস্থার ওপর আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেন। জনসাধারণের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছেন- এমন দাবি করে মমতা সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া বার্তায় সহিংসতায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেপ্তারও কঠোরতম শাস্তির মুখোমুখি করার দাবি জানান তিনি।

মন্তব্য

গাজা যুদ্ধের বিরোধী ১ হাজার সেনাকে বরখাস্তের অনুমোদন ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজা যুদ্ধের বিরোধী ১ হাজার সেনাকে বরখাস্তের অনুমোদন ইসরায়েলের
ছবিসূত্র : এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সেনাকে বরখাস্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান ইয়াল জামির গতকাল সিনিয়র কমান্ডার এবং প্রায় এক হাজার রিজার্ভ সেনাকে বরখাস্ত করার অনুমোদন দিয়েছেন।

এই সপ্তাহের শুরুতে শত শত ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর (আইএএফ) সেনা গাজায় সামরিক অভিযানের নিন্দা জানিয়ে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘এই যুদ্ধ রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা করে, নিরাপত্তার স্বার্থ নয়’, তারা একই সঙ্গে বন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়ার আহবানও জানিয়েছেন।

চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, বন্দিদের উদ্ধার শুধু যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে, সামরিক উপায়ে নয়।

আজমির বলেছেন, সেনারা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন এটি একটি ‘গুরুতর অপরাধ’। সেনারা এ ধরনের আবেদনে স্বাক্ষর করতে পারবেন না। স্বাক্ষরের পর আবার চাকরিতেও ফিরে যেতে পারবেন না।

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ যুদ্ধের বৈধতা ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টা হিসেবে চিঠিটির তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাবেক চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড্যান হালুৎজ, সাবেক বিমানবাহিনী কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) নিমরোদ শেফার এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রাক্তন প্রধান কর্নেল (অব.) নেরি ইয়ারকোনি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চিঠিতে তারা যুদ্ধ বন্ধ করে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চাপ সৃষ্টি করতে সব ইসরায়েলি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর মতে, চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের দশ শতাংশ সক্রিয় রিজার্ভ সেনা, যাদের বেশির ভাগই স্বেচ্ছাসেবক এবং বাকিরা সাবেক বা অবসরপ্রাপ্ত সেনা।

সূত্র : মিডিল ইস্ট মনিটর

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ