<p>গত কয়েক দিন ধরেই ভারতের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র সিকিম রাজ্যের বহু জেলায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার মৌসুমের প্রথম তুষারপাত হয়েছে ছাংগুতে। এ বৃষ্টি আর তুষারপাতের পরিমাণ আগামী দিনে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া ভবন। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য দেওয়া হয়েছে সতর্কবার্তা। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎসবের মৌসুমে সিকিমে প্রচুর পর্যটক ভিড় জমান। ইতিমধ্যে সেখানে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। কারণ বৃষ্টির পরিমাণ যেমন বাড়তে পারে, তেমনই ধসের আশঙ্কাও করা হয়েছে। তাই ধসপ্রবণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি-ধস, তিস্তার পানি বৃদ্ধি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/27/1727433043-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দার্জিলিংয়ে প্রবল বৃষ্টি-ধস, তিস্তার পানি বৃদ্ধি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/27/1429463" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গ্যাংটকের আবহাওয়া দপ্তরের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, তিন দিন ধরে সিকিমে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের কারণে রাং-রাং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে মঙ্গল জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিকল্প রাস্তা জোঙ্গুও বন্ধ। ফলে পরিস্থিতি আরো সংকটময় হয়ে উঠেছে। আগামী দুই দিন ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া ভবন। মঙ্গন, গ্যালসিং, পাকিয়ং, সোরেং, নামচি ও গ্যাংটকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।</p> <p>এদিকে ধসপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্যবাসী ও পর্যটকদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাইকেও প্রচার চালানো হচ্ছে।</p> <p>জলাধারে পানির চাপ যাতে না বাড়ে তার জন্য তিস্তা লো ড্যাম ৩ ও ৪ থেকে পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। ফলে তিস্তাপার সংলগ্ন বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। তিস্তা ফুলে-ফেঁপে ওঠায় প্রভাব পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কেও।</p>