<p>ইসরায়েল বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর একটি অস্ত্রাগারে বিমান হামলা চালিয়েছে। লেবাননে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটি প্রথম হামলা। </p> <p>ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘অল্প সময় আগে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর মধ্যমপাল্লার রকেট মজুদের একটি স্থানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শনাক্ত হয়েছে। বিমানবাহিনীর মাধ্যমে ওই হুমকি রুখে দেওয়া হয়েছে।’</p> <p>দক্ষিণ লেবাননের বাইসারিয়ে শহরের মেয়র নাজিহ ইদ জানান, তার শহরের একটি এলাকায় হয়েছে। তিনি বলেন, ‘তারা এমন একটি বনভূমি লক্ষ্য করেছে, যেখানে সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।’</p> <p>এদিকে লেবানন বৃহস্পতিবার দেশের দক্ষিণে সেনা ও ট্যাংক মোতায়েন করেছে, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর আধিপত্য ছিল। তবে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী, এখন কেবল সেনা ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরাই সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন।</p> <p>লেবাননে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ও উভয় দেশ থেকে ব্যাপক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করা যুদ্ধের ইতি টানার উদ্দেশ্যে বুধবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। এ যুদ্ধ শুরু হয় ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলার মাধ্যমে। তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। তার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ করছে। হামাসকে সমর্থনে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গত সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল গাজার ওপর থেকে নজর সরিয়ে লেবাননের দিকে মনোনিবেশ করে। তারা উত্তর সীমান্তকে হিজবুল্লাহর আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করার জন্য ইরান সমর্থিত শিয়া মুসলিম আন্দোলনের ওপর একাধিক বড় আঘাত হানে।</p> <p>যুদ্ধবিরতির চুক্তি ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হয়। একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুক্তি অনুসারে ইসরায়েলি সেনারা তাদের অবস্থান ধরে রাখবে। তবে ‘৬০ দিনের সময়সীমা শুরু হবে, যার মধ্যে লেবাননের সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনী দক্ষিণে তাদের মোতায়েন শুরু করবে।’</p> <p>তিনি আরো জানান, এরপর ইসরায়েল ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে, যাতে শূন্যতা তৈরি না হয়, যা হিজবুল্লাহ বা অন্য কেউ দখল করতে পারে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/27/1732701538-22166c445cedd060e68c4c0dcdb545af.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/27/1451226" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অন্যদিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর লেবাননের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষ নিজেদের গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ফেরার পর অনেকেই বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দেখছেন। জিবকিন গ্রামের বাসিন্দা উম্ম মোহাম্মদ বেজেহ বলেন, ‘সব ধ্বংস ও শোক সত্ত্বেও আমরা ফিরে আসতে পেরে খুশি।’ তিনি তার চার সন্তান নিয়ে দুই মাস আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন।</p> <p>লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে দেশে কমপক্ষে তিন হাজার ৯৬১ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১৬ হাজার ৫২০ জন। অন্যদিকে ইসরায়েলের ৮২ জন সেনা ও ৪৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>