<p>অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন ছাড়া কোনো ভোটে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি আওয়ামী লীগের মতোই আরেকটি নির্বাচন হবে। জনগণ ও বিশ্ববাসীর কাছে সেটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’ </p> <p>বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘সংবিধান সংস্কার বিষয়ক জাতীয় পার্টির প্রস্তাব’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। </p> <p>সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কারে নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরেন জাপা চেয়ারম্যান। দলটি একক ব্যক্তি বা প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ কমাতে সাংবিধানিক কাঠামোর সংস্কার, পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১৯টি প্রস্তাব তুলে ধরে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/28/1732793569-de2d631cf64ae96008bc39b9fe6bc5f9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/11/28/1451636" target="_blank"> </a></div> </div> <p>জাপার সুপারিশ বা প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি না হওয়ার বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে; সংসদ সদস্যদের (এমপি) সংসদের নিজ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখতে হবে। তবে তারা সেটি করতে পারবেন যখন দলীয় এমপিদের মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজন দেখা যাবে এবং কমপক্ষে দলীয় এমপিদের এক-তৃতীয়াংশ দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। এমন প্রস্তাব অনুযায়ী সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে হবে; সর্বোচ্চ দুইবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে; সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে ৩৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংগঠন করার মৌলিক অধিকারের ওপর সরকারের জনবিরোধী বিধি-নিষেধ তুলে নিতে হবে; রাষ্ট্রপতি নিয়োগের জন্য তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অন্তর্ভুক্ত করতে অনুচ্ছেদ ৪৮(ক) সংশোধন করতে হবে; রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের জন্য সংসদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান প্রবর্তন করে স্থায়ীত্বের ঝুঁকি কমাতে হবে। সে অনুযায়ী সংবিধানের ৫২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করতে হবে; ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের সংশোধনী নিম্নরূপে করতে হবে : সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুযায়ী কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৬ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া রাষ্ট্রপতি তার অন্য সব দায়িত্ব পালনে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করবেন। নির্ধারিত কোনো পদ্ধতি না থাকলে তিনি নিজের বিবেক, বুদ্ধি ও বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করবেন; দুজন ডেপুটি স্পিকার এবং এর মধ্যে একজনকে বিরোধী দল থেকে মনোনীত বা নির্বাচিত করার বিধান যুক্ত করতে হবে; সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণের জন্য ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ গঠন করা যেতে পারে।</p>