<p style="text-align:justify">ভুল চিকিৎসার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মধ্যরাতে নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শিশুর বাম চোখের পরিবর্তে ডান চোখে অপারেশন করেছেন এমন অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শিশুটির বাবা মাহমুদ হাসান। </p> <p style="text-align:justify">মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দেড় বছর বয়সী শিশুর চোখের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ আই হসপিটালে যান তারা। বাম চোখের মধ্যে ময়লা জাতীয় কিছুর অস্তিত্ব নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার অস্ত্রোপচার করেন শাহেদারা বেগম। তবে সেখান থেকে বের করার পর তারা দেখতে পান বাম চোখের জায়গায় ডান চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তখন বিষয়টি শাহেদারাকে জানালে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং পুনরায় ইরতিজার বাম চোখে অস্ত্রোপচার করেন।</p> <p style="text-align:justify">ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ‘ওই নারী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">এদিকে গ্রেপ্তারের আগে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শাহেদারা বেগম বলেন, শিশুর চোখে অপারেশন জাতীয় কোনো কিছুই করা হয়নি। চেম্বারের শেষের দিকে শিশুটিকে আনা হয়েছিল। সে চোখ ঠিক মতো দেখতেই দিচ্ছিল না। অনেক কষ্টে দেখতে পাই তার চোখে চুল জাতীয় কিছু একটা লেপ্টে আছে। সেখানে ঘর্ষণের দাগও দেখতে পাই। </p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে ওটিতে নিয়ে ওর ডান চোখে ফরেন বডি দেখতে পেয়ে সেটা রিমুভ করি; যাকে বলে এক্সামিনেশন আন্ডার এনেসথেশিয়া।  পরে শিশুর বাবা-মা জানান, সমস্যা বাম চোখে ছিল। তখন তাড়াতাড়ি তাওয়েল পেচিয়ে আবার ওটিতে নিয়ে বাম চোখের ফরেন বডিও রিমুভ করি ২ মিনিটের মধ্যেই। ঘর্ষণের জন্য একটা ব্যান্ডেজ দেই যা ২৪ ঘন্টা পর খুলে ফেলবে। ওর মূলত দুই চোখেই সমস্যা ছিলো। তবে কোন ধরণের অপারেশন করা হয়নি।</p>